বিদেশে বিপাকে পড়তে পারেন মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তার সন্তানরা



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘জাতিগত নিধনের’ অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও তিন শীর্ষ কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন।

এ নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে বিদেশে পড়তে যাওয়া মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের সন্তানরা বিপাকে পড়তে পারেন। দেশটির অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তাদের সন্তানরা ইউরোপ-আমেরিকায় পড়াশোনা করেন।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়-সহ তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের সাত সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিদেশে তাদের সম্পদ জব্দের পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের ও পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়। মিয়ানমার যদি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নেয় তাহলে সমস্ত সেনাবাহিনীর ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তখন বিদেশে পড়তে যাওয়া সেনা সন্তানদের সবাইকে মিয়ানমারে ফিরে আসতে হতে পারে।

মিয়ানমারে গত ৫০ বছরে সামরিক আমলে সরকার উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় তুলনামূলকভাবে কম বরাদ্দ রেখেছিল। কিন্তু সেনা কর্মকর্তারা নিজেদের সন্তানদের পড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে স্বচ্ছল পরিবারগুলো বেছে নিয়েছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন ও ভারতের মত দেশকে।

মিয়ানমারে স্নাতক পড়ুয়াদের জন্য খুব কম কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ব্যবসা ও প্রকৌশলের মতো পছন্দসই বিষয়ে পড়তে বড় সংখ্যার শিক্ষার্থীরা বিদেশেই যান। বেশিরভাগই সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো কাছাকাছি দেশগুলোতে যান। যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াও অনেকের পছন্দের গন্তব্যস্থল। তবে প্রতিবেশী দেশে শিক্ষার খরচ বাড়ছে। কিন্তু এ দেশগুলোর শিক্ষার মান পশ্চিমা মানের নয়। তাই সামরিক কর্মকর্তারা তাদের সন্তানদের পশ্চিমেই পাঠিয়ে থাকেন।

আর যারা গবেষণা করতে চান তাদের জন্য পছন্দসই গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের শিক্ষার্থীরা উন্নত মার্কেটিং জ্ঞান অর্জনে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান।

মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং শিক্ষার্থী ভিসা পেতে অসুবিধার কারণে অতীতে অল্পকিছু শিক্ষার্থী পশ্চিমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হতো। এ স্বল্প কয়েজনের মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের সন্তানরাই বেশি সুযোগ পেতেন।

তবে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে ভিসা পাওয়া সহজ হয়। মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত ‘এডুকেশন ফেয়ার’ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।

এক হিসাব মতে মিয়ানমারের ২৫ হাজার শিক্ষার্থী বিদেশে অধ্যয়নরত রয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা ক্রমাগতই বাড়ছে।

থাইল্যান্ড হলো মিয়ানমারের শিক্ষার্থীদের প্রধান বিদেশি গন্তব্য, প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী সেখানে যাচ্ছেন।

এশিয়াতে অন্যান্য গন্তব্য সিঙ্গাপুরে ৫ হাজার, জাপানে সাড়ে ৩ হাজার, চীনে ৩ হাজার ও মালয়েশিয়ায় ১ হাজার শিক্ষার্থী পড়তে গেছেন। মিয়ানমারের শিক্ষার্থীরা হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও পড়াশোনা করছেন।

পশ্চিমে যুক্তরাজ্যে ২ হাজার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৬শ’ এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৬শ’ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এদের বড় একটি সংখ্যা সামরিক অফিসারদের সন্তান।

মিয়ানমারে প্রায় ৩০টি বেসরকারি আন্তর্জাতিক বিদ্যালয় আছে। সবগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। এর ফলে শুরুতেই সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে চলে যায় এই শিক্ষার্থীরা। এর অর্থ তারা সবাই বিদেশে অধ্যয়ন করার পরিকল্পনা করছে।

   

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।

শনিবার (১৮ মে) তাঁদের এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এএফপি। 

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। ৫৩ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী। তাকে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচআর জানিয়েছে, এ বছর ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে অন্তত ৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

;

সৌদি আরবে বিকিনি পরেই হাঁটলেন মডেলরা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রক্ষণশীলতার বেড়াজাল থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। দেশটিতে নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধি-নিষেধও উঠছে ধাপে ধাপে।

এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়ও সৌদির এক মডেলকে দেখা গেছে। বোরখা খুলে বিকিনি পরেই র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন ২৭ বছরের রুমি আলকাহতানি।

মিন্ট জানিয়েছে, এবার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্ব। সেটা হলো, এই প্রথম সেই দেশে বিকিনি পরেই ফ্যাশন শো’তে হাঁটেছেন মডেলরা।

সৌদিতে শুক্রবার (১৭ মে) রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল। আর সেখানেই এই বিপ্লব ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের পাশেই আয়োজন করা হয়েছিল সেই ফ্যাশন শো’র।

ওই ফ্যাশন শো’র ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাক ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রং-বেরঙের বিকিনিতে একে একে হেঁটে চলছেন সুন্দরী মডেলরা।

মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট। তবে, বিকিনি পোশাক পরলেও অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেছে তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শো’র দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল বিকিনিগুলোর নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শো’তে অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’’

;

ব্রাজিলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের দক্ষিণের রিও গ্রান্ডে ডো সুল রাজ্যে ঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা শুক্রবার (১৭ ) জানিয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বেড়েছে।

সংস্থাটির মতে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের অন্তত ৪৬১টি পৌরসভায় প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মোট ৬ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ১৯ দিনের জরুরি অবস্থার মধ্যে ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নজিরবিহীন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাজ্যটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়।

রাজ্যেটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রের সালগাদো ফিলহো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে চিলিতে তার রাষ্ট্রীয় সফর স্থগিত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও দা সিলভা।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে গত সোমবার (১৪ মে) জানিয়েছিল যে, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কারণে আগামী ১৭ ও ১৮ মে প্রেসিডেন্টের চিলি সফর হচ্ছে না।

ব্রাজিলের সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, বন্যার ফলে এখনও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

;