আন্দোলন জারি রাখার প্রত্যয়ে পর্তুগালে গণতন্ত্র দিবস উদযাপন



নাঈম হাসান পাভেল পর্তুগাল (লিসবন) থেকে
পর্তুগালের লিসবন সড়কে আনন্দের মিছিল / ছবি: বার্তা২৪

পর্তুগালের লিসবন সড়কে আনন্দের মিছিল / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সবার হাতে ক্রাভো ফুল। শিশু থেকে তরুণ, বৃদ্ধ সবার মুখে মুক্তির শ্লোগান আর আনন্দের শ্লোগান। এদিন যেমনটা স্বৈরাচার মুক্তি আর পরাধীন জীবনের লাভের আনন্দ, তেমনি পরাধীনতার পরও রয়ে যাওয়া নানান অসঙ্গতির বিরুদ্ধে রাস্তায় এসে আওয়াজ তোলার দিন। ২৫ এপ্রিল পর্তুগালের আনন্দের দিন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র লাভের দিন। তাই এদিন পর্তুগিজদের অন্যতম জাতীয় উদযাপনের দিন।

প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি উদযাপনে লিসবনের মার্কেশ পম্বাল চত্বর থেকে একটি আনন্দ র‍্যালি প্রথাগতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি ঐতিহাসিক এভিনিধা দ্যা লিবরেদাদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রোসিও চত্বরে জড়ো হয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে সমবেত হয় সমাজের সব শ্রেণী পেশার মানুষ।

২৫ এপ্রিল পর্তুগালের গণতন্ত্র দিবস (দিয়া দ্যা লিবরেদাদ) অথবা কার্নেশন বিপ্লব নামেও পরিচিত। ১৯৭৪ সালের এই দিনে লিসবনে সেনা অভ্যুত্থান হয় যা কর্তৃত্ববাদী এস্তাদো নভো শাসনকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/26/1556248504470.jpeg

পর্তুগিজ মুভিটিও দাস ফোরাস আর্মাদাস, এমএফএ দ্বারা সংগঠিত সেই অভ্যুত্থান শিগগিরই একটি অবিচ্ছিন্ন, জনপ্রিয় নাগরিক প্রতিরোধ আন্দোলনে রুপ পায়। সংযুক্ত হয় সাধারণ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ‘বিপ্লব এস্তাদো নভো’ পর্তুগালের কর্তৃত্ববাদী শাসনের ৪৮ বছর শেষ এবং পর্তুগালের সকল ঔপনিবেশিক আফ্রিকান দেশগুলো থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক বিশেষ শাসনের অবসান ঘটে এদিন।

নাগরিক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, নারী অধিকার, ঔপনিবেশিক বিরোধ, সামরিক ব্যয় কমানো, আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা এবং বাক স্বাধীনতা দমনের প্রতিবাদে তৎকালীন সেই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র ও বেসামরিক শাসনের প্রতিষ্ঠা এবং ঔপনিবেশিক দেশ অ্যাঙ্গোলা, কেপ ভার্দে, গিনি বিসাউ, মোজাম্বিক এবং সাও তমে ই প্রিন্সিপে এই দেশগুলোকে স্বাধীনতা প্রদানের দাবি করা হয়েছিল।

তাই প্রতিবছর এইদিনে রাজপথে তরুণদের স্লোগানে উঠে আসে সাম্য, সমতা, স্বাধীনতা আর অধিকারের কথা। কর্মজীবী মানুষেরা এদিন রাস্তায় আসেন তাদের দাবিগুলো নিয়ে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত থাকে শহর। জনপ্রিয় শ্লোগানের মধ্যে থাকে ‘এপ্রিল সব সময়’ ‘এপ্রিল এখনো রাস্তায়’ ‘আমাদের আন্দোলন চলমান’।

এইদিনে ক্রাভো ফুল সবার হাতে শোভা পায়। সংগ্রামের সেই সময় থেকে এই ফুল দিবসটি উদযাপনের ঐতিহ্য বহন করে। এই ফুলকে দিনটি উদযাপনের অনন্য একটি সংযোজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিশু বৃদ্ধ সবার হাতে ক্রাভো ফুল দেখা যায়। তরুণীদের খোঁপায়ও এ ফুলটি শোভা পায়।

এই দিনে বিশেষ করে নারীরা সমবেত কণ্ঠে সেই সময়টির কথা প্রতিবাদ স্বরুপ তুলে আনেন। তাদের সেই সময়ে হরণ হওয়া অধিকারের কথা। মেয়েরা সে সময়ে অনুমতি ছাড়া বাইরে যেতে পারতো না। বাইরে কাজ করতে পারতো না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/26/1556248521998.jpeg

র‍্যালিতে অংশ নেওয়া এক পর্তুগিজ নারী সোনিয়া সওজা বলেন, ‘এই দিনটি আমাদের অধিকার আদায়ের দিন, এই দিনটি ইতিহাসকে মনে করার দিন। এই দিনে সেই কালো অধ্যায়কে মনে করিয়ে দেওয়ার একটিই কারণ। এমন দিনগুলো যেন কখনো আমাদের জাতীয় জীবনে ফিরে না আসে। কারণ মানুষ ভুলে যায় অতীতের কথা। তাই ইতিহাসের স্মরণের মাধ্যমে আমরা তরুণদের নতুন অনুপ্রেরণা দিতে পারি। ’

এদিন অভিবাসীদেরও আন্দোলনে দেখা যায়। পর্তুগালে অভিবাসীদের জন্য কাজ করা সংগঠন সলিদারিটি ইমিগ্রেন্টস এদিন র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে। সেই সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন অভিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এছাড়া রাস্তায় র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে প্রায় শতাধিক সংগঠন।

২৫ এপ্রিল পর্তুগিজদের জাতীয় জীবনে একটি অনন্য দিন। ২৫ এপ্রিল আনন্দের দিন, উদযাপনের দিন। পর্তুগিজদের এদিনের শ্লোগান তাই ‘২৫ শে এপ্রিল সবসময়, আর কোনো অপশাসন নয়’।

   

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণের তালিকায় কোক-পেপসি শীর্ষে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকেরও বেশির জন্য দায়ী ৫৬টি কোম্পানি। ৫ বছর ব্যাপী চালানো নতুন গবেষণায় প্লাস্টিক বর্জ্যের পেছনে দায়ী কোম্পানিগুলি নথিভুক্ত করেছে৷

গবেষণায় দেখা গেছে, সমস্ত ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের ২০ ভাগের জন্য মাত্র ৪টি কোম্পানী দায়ী। এর মধ্যে শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো— কোকা-কোলা (১১ শতাংশ), পেপসিকো (৫ শতাংশ), নেসলে (৩ শতাংশ) এবং ড্যানোন (২ শতাংশ)।

ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়, ৫ বছরের ধরে ৮৪টি দেশে প্লাস্টিক দূষণের উপর পরিক্ষা নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি হয়।


ডালহৌসির স্কুল ফর রিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক টনি ওয়াকার বলেছেন, "বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম কর্পোরেশন তারা গ্রহের প্রতিটি দেশে পৌঁছে গেছে।"

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি ১ হাজার ৫শ ৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে প্লাস্টিকের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে, ২০০০ সালে ২০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন থেকে থেকে ২০১৯ সালে ৪০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে, কোকা-কোলা বলেছে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায় প্যাকেজিংয়ের জন্য।

পেপসিকো জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

কোম্পানি আরও জানায়, "প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য একটি বড় এবং বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে কাজ করছে। এবং তাদের অন্যদেরও এটি করার সুযোগটি কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।"

এক বিবৃতিতে, নেসলে স্বীকার করেছে যে প্লাস্টিক দূষণ একটি "গুরুতর সমস্যা এবং এটি সমাধানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি" - এবং এটি বিশ্বব্যাপী আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করে৷ এটি ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকায় বর্জ্য সংগ্রহ, বাছাই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্কিমগুলি বিকাশের জন্য নেসলের চলমান প্রকল্পগুলিরও উল্লেখ করেছে।

এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য জানায়নি ফ্রান্সভিত্তিক বহুজাতিক খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্যানোন।

ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক প্যাট্রিসিয়া করকোরান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করা গবেষণাটি "অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ"।

করকোরান গ্রেট লেকের সৈকতে প্লাস্টিক দূষণ পরীক্ষা করার অনুরূপ গবেষণায় কাজ করেছে। গবেষণায়, "খাদ্য এবং পানীয়ের বর্জ্যই সেখানে রয়েছে - এটি কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় বলে তিনি জানিয়েছেন"।

তিনি বলেন, "আপনি যদি সবচেয়ে বড় উৎপাদককে হাইলাইট করেন...তাহলে হয়তো এটি কোম্পানির সচেতনতা বাড়াবে এবং কোম্পানি এটি সম্পর্কে কিছু করতে পারে।"

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উদ্ধারকৃত প্লাস্টিক আইটেমগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি সূর্য, পানি এবং বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে কোনও স্পষ্ট ব্র্যান্ডিং এর লেবেল ছিল না।

গবেষকরা বলেছেন যে তাদের গবেষণায় প্লাস্টিক পণ্য এবং প্যাকেজিংয়ের উৎপাদন এবং লেবেলিংয়ের বিষয়ে বৃহত্তর স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তারয়েছে, যাতে দূষণ কারা করছে তা বের করা সহজ হয় এবং সংস্থাগুলিকে জবাবদিহি করা যায়।

তারা একটি আন্তর্জাতিক, ওপেন-অ্যাক্সেস ডাটাবেস তৈরির জন্য যুক্তি দেখান, যেখানে কোম্পানিগুলি তাদের পণ্য, প্যাকেজিং এবং ব্র্যান্ডগুলি পরিবেশে পরিমাণগতভাবে ট্র্যাক করতে এবং রিপোর্ট করতে বাধ্য।

কানাডার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী স্টিভেন গিলবিউল্ট একটি নতুন রেজিস্ট্রি ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে কোম্পানিগুলিতে কতটা প্লাস্টিক উত্পাদিত হচ্ছে এবং এটি কোথায় গিয়ে শেষ হবে তার বিশদ সরবরাহ করতে হবে।

গিলবিউল্ট কানাডার নতুন প্লাস্টিক রেজিস্ট্রির পরিকল্পনা এবং অটোয়াতে জাতিসংঘের প্লাস্টিক দূষণ চুক্তির আলোচনার বিশদ বিবরণ সম্পর্কে বলেছেন। তিনি আলোচনার লক্ষ্য ১৭০টিরও বেশি দেশের জন্য প্লাস্টিক দূষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি নিয়ে আসার পরামর্শও দিয়েছিলেন।

;

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।

শনিবার (১৮ মে) তাঁদের এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এএফপি। 

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। ৫৩ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী। তাকে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচআর জানিয়েছে, এ বছর ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে অন্তত ৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

;