রিলায়েন্স নাকি টাটা, কে হচ্ছে জেটের ত্রাতা?



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জেট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ, ছবি: সংগৃহীত

জেট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বেসরকারি এয়ারলাইন্স জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর এখন আর নতুন নয়। ২৫ বছরের মধ্যে এয়ারলাইন্সটি হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ বিমান সংস্থায়। অথচ আর্থিক সংকটে পড়ে এয়ারলাইন্সটি এখন ডুবতে বসেছে। এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত কোম্পানির ১৬ হাজারের বেশি মানুষের জীবিকা।

শুধু মানুষের জীবিকাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্চলে বিমান চলাচল খাতের ভবিষ্যৎ। যদি জেট এয়ারওয়েজ পুনরায় ঘুরে না দাঁড়াতে পারে, তাহলে বিমান চলাচল খাতের জন্য তা হবে অশনি সংকেত। সবার মুখেই এখন একটিই প্রশ্ন, ডুবন্ত এই এয়ারলাইন্সকে কে টেনে তুলবে?

এয়ারলাইন্সটির হাজার হাজার কর্মী জেট এয়ারকে উদ্ধারে সরাসরি মোদি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। কিন্তু এখন জাতীয় নির্বাচন চলছে। তাছাড়া ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স এয়ার ইন্ডিয়া মাথার ওপর ৫০ হাজার কোটি রুপির ঋণ।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা এয়ার ইন্ডিয়াকেই যেখানে সরকার ঋণের বোঝা থেকে বের করতে পারছে না, সেখানে আরেকটি এয়ারলাইন্সকে উদ্ধার করার মতো আর্থিক সামর্থ্য সরকারের কতটুকু রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তবে এতসব অনিশ্চয়তার মধ্যেও জেট এয়ারওয়েজকে উদ্ধারে ত্রাতা হিসেবে আলোচনা হচ্ছে কয়েকটি কোম্পানির নাম। আলোচিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে রিলায়েন্স ও টাটা কোম্পানির নাম রয়েছে সবার ওপরে। অন্য কোম্পানিগুলোর নাম এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। ভারতের বিমান চলাচল খাতে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কে হচ্ছে জেট এয়ারওয়েজের ত্রাতা। রিলায়েন্স নাকি টাটা?

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির সঙ্গে জেটের মালিক নরেশ গয়ালের সঙ্গে সখ্যতা বহু পুরাতন। এয়ারলাইন্সটির ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক গয়াল জেটের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগের আগে আর্থিক সহায়তা চেয়ে আম্বানির শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তখন রিলায়েন্স তেমন কোনো আগ্রহ না দেখালেও এবার নড়েচড়ে বসতে পারেন বলে অনেকের ধারণা। তবে সেক্ষেত্রে সরাসরি না এসে জেটের অন্যতম মালিক মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাদের মাধ্যমে মালিকানা কিনতে পারেন বলেও আলোচনা চলছে।

২০১৩ সালে আবুধাবি ভিত্তিক ইতিহাদ এয়ারওয়েজ জেট এয়ারের ২৪ শতাংশ মালিকানা কিনে নেয়। চলতি বছরের শেষে নাগাদ ইতিহাদ এয়ারওয়েজ তার পুরো মালিকানা বিক্রি করে দিতে যাচ্ছে বলে কয়েকমাস আগে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। যদিও বিষয়টি তখন অস্বীকার করা হয়েছিল।

জানা গেছে, জেটের অপারেশন বন্ধের পর ইতিহাদ জেটের ৪৯ শতাংশ মালিকানা কিনে নিতে পারে। এর বেশি মালিকানা নিতে হলে সরকারের অনুমোদন লাগবে।

যতটুকু জানা গেছে, রিলায়েন্স কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জেটের ৭৬ শতাংশ মালিকানা নিয়ে নিতে পারে।

ভারতের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ টাটা জেট এয়ার কিনে নিতে পারে এই আলোচনাও চলছিল অনেক দিন ধরে। বিশেষ করে এয়ারলাইন্সটি বন্ধ হওয়ার হয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই এ আলোচনা চলছে।

টাটার মালয়েশিয়ার বাজেট ক্যারিয়ার এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বাজেট ক্যারিয়ার ভিস্তারা এয়ারলাইন্স পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই দিক থেকে এত বড় একটি এয়ারলাইন্স যার বহরে ১২০টি উড়োজাহাজ রয়েছে, সেটা টাটা কিনে নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে সেক্ষেত্রে টাটা ধীরে চল নীতি অবলম্বন করেছে। এখনই এ নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না তারা। জেট দেউলিয়া ঘোষণার আগে তারা এ নিয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবে কিনা, এমনটিই আলোচনা হচ্ছে।

এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জেট এয়ার যারাই কিনুক না কেন, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। নতুবা জেটের দক্ষ কর্মীদের অনেককেই এরই মধ্যে প্রতিযোগী এয়ারলাইন্সগুলো নেওয়া শুরু করেছে। এর বাইরেও অনেক দিন ধরে ফ্লাইট বন্ধ থাকলে জেট এয়ারওয়েজের স্লটসমূহ (সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে উড়োজাহাজ অবতরণের অনুমোদন) হারাতে হবে। তখন পুনরায় এসব স্লট ফিরে পেয়ে ওইসব গন্তব্যে যাত্রী পাওয়াও অনেক কঠিন হবে।

আর্থিক সংকট ও বাজেট এয়ারলাইন্সসমূহের কাছে মার খেয়ে ভারতে বিমান চলাচল খাতে দুরবস্থা নতুন কোনো সংবাদ নয়। আর্থিক সংকটে পড়ে ২০১২ সালে কিংফিশারের অপারেশন বন্ধ হয়ে যাওয়া গিয়েছিল।

বর্তমানে জেটের দেনার পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মূলত ব্যাংকসমূহ থেকে জেট এয়ারওয়েজকে কেউ ঋণ দিতে না হওয়াতেই এয়ারলাইন্সটি বন্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। আর্থিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে এমন একটি চাপ ছিল যে, নরেশ গয়াল পদত্যাগ করলে তারা প্রতিষ্ঠানটিকে ঋণ দেবেন, এমন একটি আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। গেল মাসে গয়াল ও তার স্ত্রী এয়ারলাইন্সের পরিচালনা বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ঋণের বদলে এয়ারলাইন্সের ভাগ্যে নেমে আসে কালো মেঘ, যে মেঘে এখনো ঢাকা পড়ে আছে জেট এয়ারওয়েজ।

   

ইয়েমেন উপকূলে তেল ট্যাঙ্কারে হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ইয়েমেন উপকূলে গ্রীকের একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এ কথা জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় সেন্টকম বলেছে, ১৮ মে রাত ১টার (সানা সময়) দিকে ইরান-সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরে গ্রীক মালিকানাধীন একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে জাহাজ বিধ্বংসী একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জাহাজটি পানামা পতাকাবাহী ছিল।

সেন্টকমের বার্তায় বলা হয়, জাহাজটি সম্প্রতি রাশিয়ায় নোঙর করে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।পরে জাহাজটি ফের যাত্রা শুরু করে।

এরআগে মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে এ হামলার কথা জানিয়ে বলেছিল, ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মোখা নগরী উপকূলে জাহাজটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

;

নেতানিয়াহুকে গ্যান্টজের হুমকি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরােয়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধর্মান্ধের পথ ছেড়ে জাতির স্বার্থ রক্ষার কথা বলেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। তিনি গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা না থাকলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজার জন্য ৮ জুনের মধ্যে ছয়টি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনার দাবি করেছেন গ্যান্টজ।

গ্যান্টজের এ ধরনের মন্তব্য ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও নেতানিয়ানহু সরকারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ফাটলের চিত্র তুলে ধরেছে। গ্যান্টজ গাজায় ৬ টি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৮ জুনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা করার ওপরও জোর দেন । যার মধ্যে আছে গাজায় হামাস শাসনের অবসান এবং অঞ্চলটিতে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, ‘‌নেতানিয়াহু যদি জাতীয় বিষয়কে ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপর স্থান দেন, তাহলে এ সংগ্রামে আমাদের পাশে পাবেন। কিন্তু তিনি যদি ধর্মান্ধের পথ বেছে নেন এবং পুরো জাতিকে অতল গহ্বরে নিয়ে যান, তাহলে আমরা এ সরকার ছাড়তে বাধ্য হব। ’

অবশ্য নেতানিয়াহু তার এই মন্তব্যকে ফালতু কথা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর অর্ধ ইসরায়েলের পরাজয়।

এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন গাজায় বেসামরিক ও সামরকি শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসরায়েলের যে কোনো পরিকল্পনা নেই তা যেন নেতানিয়ানহু জনসম্মুখে বলেন।

;

‘একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক’ রোধে কানাডায় প্রশাসনিক চাপ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্বের প্রায় সব মহাসাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন দেশে নেওয়া হচ্ছে আইনি বা বিকল্প ব্যবহারযোগ্য পণ্যের উৎপাদনের পদক্ষেপ।

সম্প্রতি কানাডার পার্লামেন্টে প্লাস্টিক দূষণ রোধের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কনজারভেটিভ দল থেকে আবারও দাবি তোলা হয়। এর আগে ২০২০ সালে প্রথম দাবিটি তোলা হয়েছিল। দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিসির প্রতিবেদনে সে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

মূলত, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক হল ডিসপোজেবল প্লাস্টিক যা একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়। পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের পানীয়ের বোতল ও বোতলের ক্যাপ, খাবারের মোড়ক, প্লাস্টিকের প্যাকেট, প্লাস্টিকের মোড়ক, স্ট্র, স্টিরার্স, স্টাইরোফোমের কাপ বা প্লেট, এয়ারবাড, প্লাস্টিকের কাপ-প্লেট-চামচ-গ্লাস-ছুরি, ট্রে, মিষ্টির বাক্স বাঁধার রিবন, থার্মোকল, স্টিয়ারার, সিগারেটের প্যাকেট, আইসক্রিম ও ক্যান্ডি স্টিক ইত্যাদি হল একক-ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক।

সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়,  টরন্টো ইউনিভার্সিটি অব আর্থ সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মরিয়ম ডায়মন্ড বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি  প্লাস্টিক উৎপাদন করেছি যা শেষ পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ন্যানোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে পরিবেশকে দূষিত করছে এবং এতে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে।’

ডায়মন্ড বলেছেন, বৃহত্তর পরিবেশ ঝুঁকির আশঙ্কাকে প্রাধান্য না দিয়ে প্লাস্টিকের এমন অধিক ব্যবহার দেখে  তিনি উদ্বিগ্ন। 

ডায়মন্ড সায়েন্টিস্ট কোয়ালিশন ফর অ্যান ইফেক্টিভ প্লাস্টিক ট্রিটির সদস্য এবং রাসায়নিক দূষণের আন্তর্জাতিক প্যানেলেরও ভাইস-চেয়ার। তার পরামর্শ হল- তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও প্লাস্টিক স্ট্র পরিহার করতে হবে। যাদের  শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারা ছাড়া বাকিদের স্ট্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন তিনি।  প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করার কোনো দরকার নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কনজারভেটিভ দলের এমপি কোরি টোচর গত মাসে হাউস অফ কমন্সে সি-৩৮০ বিল নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কানাডিয়ান এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন অ্যাক্টের অধীনে বিষাক্ত পদার্থ হিসেবে উৎপাদিত প্লাস্টিক আইটেমগুলোকে তালিকাভুক্ত করে সেসব নিধনের পদক্ষেপ নেওয়াটা জরুরি। 

অবশ্য এমন একটি তালিকা এরই মধ্যে করা হয়েছে যার অন্যতম উপাদান এই একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক। এই তালিকাটি ছিল ফেডারেল সরকারের একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ, যা বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া পদক্ষেপ।

হাউসে টোচরের বিল নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পাঁচ দিন পরে, কনজারভেটিভ এমপি ব্র্যান্ডেন লেসলি একটি আট মিনিটের ভিডিও পোস্টে বলেন, পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহার বাড়াতে হবে। কেনাকাটা, খাওয়া, সমুদ্রে ভ্রমণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্লাস্টিক এড়িয়ে এর বিকল্প ব্যবহারে ঝুঁকতে হবে।

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স এবং পরিবেশগত গবেষণার স্কুলের অধ্যাপক টনি ওয়াকার বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, কানাডার পরিসংখ্যান অনুযায়ী,, ২০১৬ সালে কানাডার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার টন। ২০১৯ সালে সেই প্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ১৪০ টনে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবেই ২০২০ সালে দেশটিতে সি-৩৮০ বিল উত্থাপন করা হয়। সেই ফেডারেল মূল্যায়নে বলা হয়, যেহেতু প্লাস্টিক খুব ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং পরিবেশে স্থায়ী অবস্থান নেয়, তাই প্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ সময়ের সাথে সাথে বাড়তেই থাকবে। প্লাস্টিক দূষণের ফলে পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। এর সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।’

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) অনুসারে, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক ধীরে ধীরে এবং ধীরে ধীরে প্লাস্টিকের ছোট ছোট টুকরোতে ভেঙে যায় যা মাইক্রোপ্লাস্টিক নামে পরিচিত। এসব প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কারণ এটি অ-বায়োডিগ্রেডেবল এবং পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে কয়েক বছর সময় নেয়। প্লাস্টিকের ব্যাগগু পঁচতে হাজার হাজার বছর সময় লাগতে পারে, এতে মাটি এবং জল দূষিত হয়। প্লাস্টিক তৈরি করতে ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো প্রাণীর টিস্যুতে স্থানান্তরিত হয় এবং অবশেষে, মানব খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে।

কোনো প্লাস্টিকই বায়োডিগ্রেডেবল নয়। তবে কোনো প্লাস্টিক ১০০ মাইক্রনের থেকে পাতলা হলে, তার চরিত্র বেশি ভঙ্গুর হয়। অর্থাৎ, অল্পসময়ের মধ্যেই ছোটো ছোটো টুকরোতে ভেঙে যায় এই ধরনের প্লাস্টিক। যা আমাদের কাছে পরিচিত মাইক্রোপ্লাস্টিক নামে। সাধারণ প্লাস্টিক পণ্যের থেকেও আণুবীক্ষণিক এই প্লাস্টিক কণা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এই সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট থেকে শুরু করে গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চ-সর্বত্রই হদিশ মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের। বাস্ততন্ত্রের ক্ষতিসাধন তো বটেই, খাদ্য এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের দেহেও অবাধে প্রবেশ করছে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

;

আরাকান আর্মির দখলে মিয়ানমারের বুথিডং শহর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে লড়াইরত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দাবি করেছে, জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহর  দখল করে নিয়েছে।

রোববার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্সের কাছে আরাকান আর্মি (এএ) এ দাবি করে বলেছে, কয়েক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর শনিবার রাতে তারা শহরটির দখল নিতে সক্ষম হয়।

এদিকে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাকান আর্মি শহর থেকে তাদের বিতাড়িত করছে। তবে এএ অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছে।

শহর দখল বিষয়ে আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র খিন থু খা রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর বুথিডং শহর কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে দখল নিতে সক্ষম হয়েছে।

এক টেলিফোন বার্তায় তিনি রয়টার্সের প্রতিনিধিকে জানান, শনিবার রাতে সামরিক জান্তার কাছ থেকে বুথিডং শহরের সেনা ঘাটি আরাকান আর্মি পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে এবং সেইসঙ্গে পুরো শহরটি তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।

অপরদিকে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, আরাকান আর্মি তাদেরকে জোর করে বুথিডং ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বিতাড়িত করছে।

এ বিষয়ে ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন অ্যাডভোকেসি' গ্রুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা নে সান লুউন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, শহরতলির কয়েকটি এলাকায় আরাকান আর্মির সদস্যরা রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে এবং এসময় কারো কারো বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরাকান আর্মির বুথিডং শহরের দখলের বিষয়ে জান্তা বাহিনীর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি রয়টার্স।

;