ইউক্রেনে সামরিক রসদ দ্রুত পাঠানোর উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোলাবারুদ, অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের সরবরাহ দ্রুত ইউক্রেনে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিকে সমর্থন করার জন্য অনেক বিলম্বিত বিলে স্বাক্ষর করার পর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মোট ৯৫ বিলিয়ন তহবিলের চূড়ান্ত অনুমোদিত বিলের মধ্যে কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সম্মুখীন ইউক্রেনের জন্য কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক বিতর্কের পর এই অনুমোদন দেওয়া হলো।

জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই সপ্তাহান্তে প্রতিনিধি পরিষদে এবং সিনেটে অনুমোদিত জাতীয় সুরক্ষা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছি।’

আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে শিপমেন্টগুলো শুরু হবে বলে নিশ্চিত করছেন তিনি।

বাইডেনের বক্তব্যের কয়েক মিনিট পর পেন্টাগন নতুন তহবিল ব্যবহার করে কিয়েভের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি রাউন্ড, হাইমার্স রকেট লঞ্চারের জন্য গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক-বিরোধী অস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিল পাসের পরপরই দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিল অনুমোদনের জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কংগ্রেস এবং সমস্ত আমেরিকানদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের দীর্ঘস্থায়ী অনুরোধ পূরণ করে মার্চের সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের অনুরোধে তাদের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য শুরুতে এটি ঘোষণা করিনি।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চলতি মাসে ইউক্রেন হাতে পেয়েছে।’

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

   

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৩০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির পাহাং অভিবাসন বিভাগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তান এবং মারান জেলার আশেপাশের আবাসিক ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শনিবার (৪ মে) পাহাং অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানে প্রথমে ৫৫ জন বিদেশিকে তল্লাশি করে ২২ থেকে ৫১ বছর বয়সি ৩০ জনকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে অনুমোদিত সময়ের বেশি দেশটিতে অবস্থান করেছে অনেকে।

আটককৃতদের মধ্যে ১০ বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশীয় ১০, থাইল্যান্ডের ৭, মিয়ানমারের ২ এবং একজন কম্বোডিয়ার নাগরিক রয়েছেন। আটক অভিবাসীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

অধিকতর তদন্তের জন্য কেমায়ান ইমিগ্রেশন ডিপোতে সকল বন্দীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ৫১(৫) (বি) ধারায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের বাড়ি ভাড়া দেয়ায় বাড়ির মালিকদেরও সন্ধান করছে বিভাগটি।

;

যুদ্ধবিরতির চুক্তি মানবে না হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবেন না। কারণ, এতে গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছেন বলে  অভিযোগ করেছেন তিনি।

মিশরের কায়রোতে শনিবার (৪ মে) কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন। এ সময়ে তারা হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শোনেন। প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু শনিবার রাতে হামাসের সিনিয়র ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের গ্রুপ কোনো অবস্থাতেই এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ঐ কর্মকর্তা আরো বলেছেন, গাজা যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে চুুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কেবল জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। নেতানিয়াহু কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা চলে। কিন্তু সেটি এক পর্যায়ে থমকে যায়। কারণ, হামাসের দাবি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন। রাফাহ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনীদের আশ্রয়স্থল।

আলোচনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হামাসের সিনিয়র সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা রোববার পুনরায় শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এ  পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

;

পাকিস্তানে দ্বিতীয় দীর্ঘ ‘আর্দ্র এপ্রিল’, নিহত ১৪৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৬১ সালের পর এ বছর ‘সবচেয়ে আর্দ্র এপ্রিলের’ দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। এপ্রিলে দেশটিতে ৫৯ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা ৬০ বছরের ইতিহাসকে ভেঙে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া সংস্থা। সাধারণত এ সময়ে ২২ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। 

শুক্রবার (৪ মে) পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের মাসিক জলবায়ু প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য বেলুচিস্তানে। গড় হিসেবে এখানে ৪৩৭ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। এপ্রিলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়ি ঘর ধসে এবং বজ্রপাতে ১৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাকতুনখাওয়ায়। প্রদেশটিতে ৩৮ জন শিশুসহ ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া সাড়ে তিন হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

যদিও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহ চলছে। কিন্তু সেখানে পাকিস্তানে গত মাসে তাপমাত্র ছিল ২৩ দশমিক ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের মুখপাত্র জাহের আহমেদ বাবর বলেন, জলাবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। 

২০২২ সালে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারায়। ওই বন্যায় দেশটিতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। যদিও পাকিস্তান সেই ক্ষতি পুশিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ওই সময়ে দেশটির বেলুচিস্তানে ৫৯০ শতাংশ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া করাচিতে ৭২৬ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়।

;

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ৫৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের রিও গ্রান্ডে দো সুলে রাজ্যে প্রলয়ঙ্করী বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রিও গ্রান্ডে দো সুলের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫৬ জন নিহত হওয়ার পাশপাশি এখন পর্যন্ত ৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী এ রাজ্যের অন্তত ৪৯৭টি শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।

এর আগে রিও গ্রান্ডে দো সুলের রাজ্য কর্তৃপক্ষ ৫৫ জন মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছিল। সকল মৃত্যুই বন্যা, ঝড় ও ভূমিধসের কারণে ঘটেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও অসংখ্য সেতু ধসে পড়েছে। প্রবল ঝড়ের কারণে একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেন্টো গনকালভস শহরের একটি শহররক্ষাবাঁধের আংশিক ধসে পড়েছে।

রিও গ্রান্ডে দো সুলের রাজধানী পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা হ্রদের পাড় ভেঙে গেছে। এ ছাড়া পোর্তো আলেগ্রের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করেছে।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক কয়েক দিনের প্রবল ঝড়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে রিও গ্র্যান্ডে দো সুলের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করতে ‘মার্শাল প্ল্যান’ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বন্যাকবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি সরাসরি উদ্ধার অভিযান দেখেছেন। তাঁর প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা পাওলো পিমেন্তা জানিয়েছেন, আজ রোববার প্রেসিডেন্ট লুলা আবারও উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করতে যাবেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লুলা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপন চেষ্টায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রিও গ্রান্ডে দো সুলে রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আজ রোববারও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত ক্রমশ কমছে। এ সপ্তাহের শেষে বৃষ্টিপাত আরও কমে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টি ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।




;