আদালতে হাজির করানো হলো কেজরিওয়ালকে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়েছে আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ইডি সূত্রে জানা গেছে, দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে তারা।

শুক্রবার (২২ মার্চ) মামলাটির শুনানি করবেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজা।

দিল্লির আবগারি মামলায় আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান কেজরিওয়ালকে মোট ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু ৮ বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। শেষ পাঠানো সমনে বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল।

এর পর কেজরিওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় ইডির কর্মকর্তরা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গ্রেফতারের আগে কেজরিওয়ালের নিজ বাড়িতেই তাকে আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

দিল্লি হাইকোর্ট আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে রক্ষার বিষয়টি প্রত্যাহার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইডির একটি দল তার বাড়িতে পৌঁছায় বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, ১২ জনের ইডি কর্মকর্তাদের একটি দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান। তল্লাশি অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়েই কেজরিওয়ালের বাড়িতে প্রবেশ করে তারা। তার বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় দিল্লি পুলিশ। নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়।

আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরিওয়াল বলেন, ‘ইডিকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।’

আপের অভিযোগ হলো, ইডির লক্ষ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এতদিন ধরেও তারা এই মামলায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য-প্রমাণ পায়নি। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে সমন পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুরেশকুমার কাইথ এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে কেজরিওয়ালের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল।

শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দেওয়ার কথা দিচ্ছি না।’

এই রায়ের পরেই তৎপর হয় ইডি। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান নিয়ে আপের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আবগারি মামলায় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে কয়েক দিন আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কবিতা ছাড়াও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা সিসৌদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং গ্রেফতার হয়েছেন।

এর আগে অভিযোগ ওঠে যে, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিয়েছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যারা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাদের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।

   

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসেই চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে এই মাসেই দেশটিতে সফর করার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ার এই পরিকল্পনার সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সফরটির সূচি আগামী ১৫-১৬ মে নির্ধারিত করা হয়েছে।

;

‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। গাজায় আগ্রাসনের এ সময়টায় অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করেনি হামাস।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল সবসময়ই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

;

গ্রেফতার আতঙ্কে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনকে হুমকি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও চলমান আগ্রাসন ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) এমন সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনকে দেউলিয়া করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল।

এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে আমেরিকাও বিষয়টি প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। আইসিসি সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে দেশটি।

এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে লক্ষ্য করে দুই ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, ইসরায়েলি সরকার বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে, যদি আইসিসি ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, যা তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।

জানা যায়, আইসিসি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তবে এটি ‘ঐতিহাসিক পর্যায়ের কেলেঙ্কারি’ হবে।

মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব স্থানান্তর বন্ধ করে দেবে। আর এমন পদক্ষেপ নিলে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেউলিয়া হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে ইসরায়েল এবং মাসিক ভিত্তিতে তা স্থানান্তর করে ফিলিস্তিনে।

;

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে ঢুকছে রুশ সেনারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এই ঘাঁটিতে আগে থেকেই ছিল মার্কিন বাহিনী। 

শুক্রবার (৩ মে) মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে যেখানে মার্কিন বাহিনীর আগে থেকেই অবস্থান ছিল।

সম্প্রতি নাইজারের সামরিক জান্তা দেশটি থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যেই আসলো এমন খবর।

এর আগে গত মার্চ মাসে, নাইজারের সামরিক জান্তা ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল, দেশটিতে অবস্থানরত প্রায় এক হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে।

গত বছরের জুলাইয়ে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। জান্তার ক্ষমতা দখলের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আইএস ও আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল নাইজার। অঞ্চলটিতে এখন প্রাণঘাতী সহিংসতা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন প্রতিরক্ষার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ওই বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যরা প্রবেশ করেছে। কিন্তু নাইজারের রাজধানী নিয়ামির দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ বিমানঘাঁটিটিতে মার্কিন বাহিনীর সাথে তাদের মুখোমুখী হয়নি।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন হুনুলুলুতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এয়ারবেজ ১০১’-এ মার্কিন বাহিনী আছে। এটি নাইজার বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটি। সেখানকার একটি পৃথক কম্পাউন্ডে রাশিয়ার লোকজন আছে। তবে এই মুহূর্তে তিনি সেখানে মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা, সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না।

 

;