ল্যুভর মিউজিয়ামে মোনালিসা চিত্রকর্মে স্যুপ নিক্ষেপ!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের প্যারিসে ল্যুভর মিউজিয়ামে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসার দিকে স্যুপ নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই খাদ্য অধিকারের দাবিতে এক দল বিক্ষোভকারী এ ঘটনা ঘটান।

চিত্রকর্মটি বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে সুরক্ষিত থাকায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকাশিত এক ভিডিওতে দুই বিক্ষোভকারীকে ‘স্বাস্থ্যকর ও টেকসই খাদ্য’ অধিকারের দাবি জানাতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করে বলেছে, আমাদের কৃষি ব্যবস্থা অসুস্থ।

১৯১১ সালে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে মোনালিসা চিত্রকর্মটি চুরি হয়েছিল। চুরির দুই বছর পর ১৯১৩ সালে মোনালিসার ছবিটি আবার উদ্ধার করা হয়। চিত্রকর্মটি ১৯৫০ এর দশকের গোড়ার দিকে নিরাপত্তা কাঁচ দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়। এক দর্শনার্থী চিত্রকর্মটির দিকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার পর এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরেই এটিকে সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।

২০১৯ সালে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলেছিল, এটির সুরক্ষায় বুলেটপ্রুফ গ্লাসের আরও স্বচ্ছ ফর্ম স্থাপন করেছে তারা।

এর আগে ২০২২ সালে অক্টোবরেও চিত্রকর্মটির দিকে কেক ছুড়ে মেরেছিলেন এক প্রতিবাদকারী। কেক ছুড়ে তিনি মানুষকে ‘পৃথিবীর কথা ভাবতে’ আহ্বান জানানোর বার্তা দিয়েছিলেন।

গত শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে কৃষকরা। তারা কৃষিকে বাঁচাতে জ্বালানি খরচ বন্ধের আহ্বান জানান।

   

ইউক্রেনের পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে ন্যাটো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাশিয়ার ভূখন্ডে অবস্থিত সামরিক স্থাপনায় ইউক্রেনের আঘাত হানতে সক্ষম হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।

রয়টার্স জানিয়েছে এক বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেন স্টলটেনবার্গ।

দ্যা ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘মিত্র দেশগুলো কর্তৃক ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র ব্যবহারের ওপর তারা যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, এর কিছু প্রত্যাহার করা উচিত কি-না তা তাদের বিবেচনা করার সময় এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন যখন রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তের কাছাকাছি খারকিভে প্রচন্ড লড়াই চলছে, তখন রাশিয়ার ভূখন্ডে বৈধ সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে এই সব অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ ইউক্রেনের না থাকায় সেখানে কিয়েভের পক্ষে আত্মরক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’

তবে, ইউক্রেনের আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ন্যাটো সদস্যরা তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারে এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন স্টলটেনবার্গ।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে ন্যাটোর স্থল সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা সংঘাতের পক্ষে যাবো না।’

এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।’

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধে বিরতিতে যেতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেন বা পাশ্চাত্য দেশগুলি যদি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাতেও রাজি তিনি।

পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। তারা এটাও জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এগিয়ে থাকার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি আছেন পুতিন।

শুক্রবার (২৪ মে) রয়টার্স এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

রয়টার্সের সঙ্গে রাশিয়ার তিন শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এটাও স্মরণ করে দিয়ে বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে যুদ্ধ যতদিনই গড়াক না কেন, তা চালিয়ে যেতে আপত্তি নেই পুতিনের। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছেন পুতিন।

মোট পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। এর মধ্যে একজন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্রেমলিন প্রধান বার বার বলেছেন, রাশিয়া সব সময় আলোচনার দরজা খুলে রেখেছে। তিনি বলেন, পুতিন তার উদ্দেশ্য অর্জনের সব কিছু করতে রাজি। তিনি গৃহযুদ্ধ চান না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।

;

ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরো জোরালো হবে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান ও রাশিয়ার সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরো জোরালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাশেম জলিলি।

শনিবার (২৫) ইরানের বার্তাসংস্থা মেহর নিউজ এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে জানায়, মস্কোর ইসলামিক সেন্টারে আয়োজিত এক সভায় কাশেম জালিলি এ মন্তব্য করেন।

জালিলি সভায় বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহ শহিদ হওয়ার পরেও তাদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ইরান ও রাশিয়া আরো শক্তি বৃদ্ধি করবে।

এ সভায় ইরান, রাশিয়া, আজারবাইজান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানসহ জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত মুসলিম শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রশংসা করে কাশেম জালিলি বলেন, ১৯ মে রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এ দিন ছুটির দিন হলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা ডাকেন। এ সভায় আমাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এ সভায় ইরানের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম।

এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে ইরানের পাশে থেকেছেন। রাশিয়ার কর্মকর্তারা ইরানের স্বার্থেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

;

আর্মেনিয়া সীমান্তের ৪ গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজান 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্মেনিয়া সীমান্তবর্তী গাজাখ জেলার চারটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজান। শুক্রবার (২৪ মে) আজারবাইজানের সীমান্ত পরিষেবা গ্রাম চারটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহিন মুস্তাফায়েভ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্ত চুক্তির অধীনে চারটি গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দিয়েছে আর্মেনিয়া। এর আগে গত মাসে জনবসতিহীন গ্রামগুলোকে আজারবাইজানের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল দেশটি।

উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহিন মুস্তাফায়েভ বলেন, ‘আর্মেনিয়ার সঙ্গে সীমান্ত চুক্তির অধীনে এ গ্রামগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আজারবাইজানকে ফেরত দেওয়া এই অঞ্চলের আয়তন ৬ দশমিক ৫ বর্গ কিলোমিটার।’

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘ দিন ধরেই বৈরী। গত তিন দশক ধরে দেশ দুটি পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। এরমধ্যে এই চুক্তি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজারের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এদিকে চারটি গ্রাম আজারবাইজানের কাছে হস্তান্তর করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন একদল আর্মেনীয় বিক্ষোভকারী। তারা আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।

;

গাজা যুদ্ধ নিয়ে আরব মন্ত্রীদের সঙ্গে মাখোঁ’র বৈঠক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা যুদ্ধ এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় নিয়ে শুক্রবার (২৪ মে) আরব মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তরের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এই বৈঠকের আয়োজন করেন বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে তাদের অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পর তিনি এই বৈঠক করেন।

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা এবং গাজার জন্য মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায়।

এলিসি প্রাসাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা গাজার সকল ক্রসিং পয়েন্ট ফের কীভাবে সক্রিয় করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, মাখোঁর সঙ্গে বৈঠকে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও জোরদার করা এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেন পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা।

এ ছাড়া ইসরায়েল রাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় কার্যকর করা এবং ফিলিস্তিনের বৈধ আকাঙ্খার প্রতি সাড়া দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এলিসি প্রাসাদ জানায়, এই বৈঠকে মাখোঁ এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজার্নের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ সৌকরি, জর্ডানের আয়মান সাফাদি এবং সৌদি আরবের ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

ফরাসি নেতা গাজা শহর রাফাহ এবং অধিকৃত পশ্চিমতীরে নতুন বসতি স্থাপনে ইসরায়েলের অভিযানের বিরুদ্ধে তার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি গাজায় হামাসের হাতে থাকা সকল জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপি’র তৈরি করা সমীক্ষা অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনায় ১,১৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। আর ওই হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়।

এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৫,৮০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।

;