ইউক্রেনের পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে ন্যাটো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাশিয়ার ভূখন্ডে অবস্থিত সামরিক স্থাপনায় ইউক্রেনের আঘাত হানতে সক্ষম হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।

রয়টার্স জানিয়েছে এক বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেন স্টলটেনবার্গ।

দ্যা ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘মিত্র দেশগুলো কর্তৃক ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র ব্যবহারের ওপর তারা যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, এর কিছু প্রত্যাহার করা উচিত কি-না তা তাদের বিবেচনা করার সময় এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন যখন রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তের কাছাকাছি খারকিভে প্রচন্ড লড়াই চলছে, তখন রাশিয়ার ভূখন্ডে বৈধ সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে এই সব অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ ইউক্রেনের না থাকায় সেখানে কিয়েভের পক্ষে আত্মরক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’

তবে, ইউক্রেনের আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ন্যাটো সদস্যরা তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারে এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন স্টলটেনবার্গ।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে ন্যাটোর স্থল সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা সংঘাতের পক্ষে যাবো না।’

এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।’

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধে বিরতিতে যেতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেন বা পাশ্চাত্য দেশগুলি যদি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাতেও রাজি তিনি।

পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। তারা এটাও জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এগিয়ে থাকার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি আছেন পুতিন।

শুক্রবার (২৪ মে) রয়টার্স এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

রয়টার্সের সঙ্গে রাশিয়ার তিন শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এটাও স্মরণ করে দিয়ে বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে যুদ্ধ যতদিনই গড়াক না কেন, তা চালিয়ে যেতে আপত্তি নেই পুতিনের। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছেন পুতিন।

মোট পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। এর মধ্যে একজন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্রেমলিন প্রধান বার বার বলেছেন, রাশিয়া সব সময় আলোচনার দরজা খুলে রেখেছে। তিনি বলেন, পুতিন তার উদ্দেশ্য অর্জনের সব কিছু করতে রাজি। তিনি গৃহযুদ্ধ চান না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।

   

হজ করতে গিয়ে তীব্র গরমে ১৯ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবে মক্কায় পবিত্র হজ পালনের সময় জর্ডান ও ইরানের কমপক্ষে ১৯ হাজির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৬ জুন) দেশটিতে তীব্র তাপদাহের মাঝে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হজের রীতি পালনের সময় জর্ডানের কমপক্ষে ১৪ জন হজযাত্রী মারা গেছেন এবং আরও ১৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তীব্র তাপদাহের কারণে সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ওই ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

আর ইরানের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান পীরহোসেন কুলিবান্দ পৃথকভাবে বলেছেন, ‌‌এ বছর হজের সময় মক্কা ও মদিনায় এখন পর্যন্ত ইরানি পাঁচ হজযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে তারা কিভাবে মারা গেছেন সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাগমগুলোর একটি পবিত্র হজ। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি এই হজ। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ।

মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে। হজ পালনের সংকল্প করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদিতে আসা প্রায় ১৮ লাখ মুসলিম তীব্র গরম উপেক্ষা করেই হজ পালন করছেন।

সৌদি আরবের সরকার হজ পালনের সময় হজযাত্রীদের হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে জলবায়ু-নিয়ন্ত্রিত এলাকাসহ তাপ প্রশমনের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে দেশটি। এছাড়া হজযাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে পানি বিতরণ ও সূর্যের তাপ থেকে নিজেদের সুরক্ষার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সৌদি আরবের সরকারি এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গত বছর হজের সময় ১০ হাজারের বেশি তাপজনিত অসুস্থতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০ শতাংশই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

;

৪০ হাজারের বেশি মুসল্লি নিয়ে আল-আকসায় ঈদের জামাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যেই জেরুজালেমের আল আকসা মাসজিদে ঈদের নামাজে ঢল নামে মুসল্লিদের। পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য রোববার (১৬ জুন) ভোর থেকেই আল আকসা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, তারা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।

জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আজ সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।

;

বুরকিনা ফাসোতে হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বুরকিনা ফাসোতে হামলার হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী, জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম)। ম্যানসিলা এলাকায় ঐ হামলায় ১০০ জনেরও বেশি সৈন্যকে হত্যা করেছিল। নাইজারের সাথে সীমান্ত এসআইটিই ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রোববার (১৬ জুন) এসআইটিই এক বিবৃতিতে বলেছে, পাঁচ দিন আগে যোদ্ধারা শহরে একটি সামরিক পোস্টে হামলা চালায়, যেখানে ১০৭ জন সৈন্যকে হত্যা করে এবং সাইটটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

জেএনআইএম অনলাইনে শেয়ার করা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে সেনা ঘাঁটির চারপাশে তুমুল গোলাগুলি দেখা গেছে। অন্য একটি ভিডিওতে গোলাবারুদ এবং কয়েক ডজন অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে এবং সেখােনে দেখা যায় অন্তত সাতজন বুরকিনা ফাসো সৈন্যকে বন্দী করেছে।

কনরাড অ্যাডেনাউয়ার ফাউন্ডেশনের সাহেল প্রোগ্রামের প্রধান উলফ লেসিং আল জাজিরাকে বলেছেন, সরকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করছে তবে এটি করার জন্য পেশাদার সৈন্য নিয়োগ করেনি।

তিনি বলেন, ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই অল্প সময়ের প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তাই তারা ক্ষতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ভাগ্যক্রমে এটি খুব কার্যকর নয়। এখন প্রায় প্রতিদিনই এরকম ঘটনা ঘটছে

তিনি আরও বলেন, মুহুর্তে বুর্কিনা ফাসোর ভূখণ্ডের ৫০-৬০ শতাংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সরকার কঠোর চেষ্টা করছে, তারা অস্ত্র কিনছে, তাদের রাশিয়ার সাথে সামরিক অংশীদারিত্ব রয়েছে কিন্তু তারা খুব বেশি সফল নয়।

নাইজার এবং মালিও আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সাথে যুক্ত লড়াই নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। অস্থিরতা সাহেল অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে কারণ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি বুরকিনা ফাসো এবং মালির বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে, তারা দক্ষিণ উপকূলীয় দেশগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে৷

2023 সালের শেষ নাগাদ বুরকিনা ফাসো জুড়ে 36টি অবরুদ্ধ শহরে প্রায় দুই মিলিয়ন বেসামরিক লোক আটকা পড়েছিল।

;

গাজায় হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেডের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) পশ্চিম রাফা শহরের তাল আস-সুলতান জেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির আল-কাসাম ব্রিগেড এই হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেড জানায়, তাঁদের সেনারা পশ্চিম রাফা শহরের তাল আস-সুলতান জেলায় ইসরায়েলি সেনাদের গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়। তাঁদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়।

পরবর্তীতে ইসরায়েলে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আট সেনা নিহতের কথা নিশ্চিত করে। দক্ষিণ গাজায় অভিযান-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সময় তাঁরা নিহত হন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঠিক কীভাবে হামলাটি সংগঠিত হয়েছে, তা তদন্ত করা হবে বলে

গত ২৭ অক্টোবর স্থল অভিযান শুরুর পর গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার।

;