ধারাবাহিক দুর্ঘটনা, বোয়িংয়ের প্লেন কতটা নিরাপদ



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের একটি প্লেনের মাঝ আকাশে দরজা ভেঙে পড়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ম্যাক্স ৯ গত শনিবার (৬ জানুয়ারি) পোর্টল্যান্ডের ওরিগন থেকে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়োজাহাজের অব্যবহৃত একটি দরজা (ডোর প্লাগ) ভেঙে পড়ে।

এই ঘটনার পর বোয়িং উড়োজাহাজে বিশেষ করে ম্যাক্স ৯ মডেলে উড্ডয়ন কতটা নিরাপদ তা নিয়ে যাত্রীদের মনে শঙ্কা ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জাপানের আকাশে আরেকটি বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

জাপানের তোয়ামা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে নিপ্পন এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজটি মাঝ আকাশে ককপিটের জানালায় একটি ফাটল দেখা দেয়। পরে ৫৯ জন যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজটি পুনরায় ছেড়ে যাওয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচলকারী সংস্থা ১৭১টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করার নির্দেশ দেয় দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলে বাতিল হয় শতশত ফ্লাইট । আর এতে হাজার হাজার আকাশযাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন।

ওই ঘটনায় উড়োজাহাজের ভেতরের যাত্রীদের মধ্যে ভীতির তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত সবাই নিরাপদে ছেড়ে যাওয়া বিমানবন্দরে ফিরে যেতে সক্ষম হন। ভেঙে পড়া উড়োজাহাজটির অংশটির ওজন ছিল ২৭ কেজি। পরে ওই অংশটির খোঁজ পাওয়া যায়, পোর্টল্যান্ডের এক শিক্ষকের বাড়ির পেছনের আঙিনার বাগানে।
এই ঘটনায় বোয়িংয়ের প্রধান তাদের ভুল স্বীকার করে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে সমস্যাটি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

কিন্তু বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহীর আশ্বাসের পরপরই কি সব শঙ্কা দূর হয়েছে। আকাশপথে যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন তাদের জন্য পুনরায় একই মডেলের বোয়িংয়ের উড়োজাহাজের ভ্রমণে কতটা নিরাপদবোধ করবেন, সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

বিমান চলাচল খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেননা এখন পর্যন্ত বোয়িং উড়োজাহাজটির দরজা খুলে যাওয়ার মূল কারণটি উদঘাটিত হয়নি। এটি উন্মোচিত হলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। তবে এরপরেও সুনির্দিষ্ট এই উড়োজাহাজটিতে ভ্রমণে যাত্রীরা আদৌ আগ্রহী হবেন কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

ঘটনাটি কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ এয়ারলাইন্স ইউনাইটেড বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ পরিদর্শনের সময় ঢিলে হয়ে যাওয়া স্ক্রু পেয়েছে বলে জানা গেছে এবং ওই স্ক্রুগুলো পুনরায় শক্তভাবে লাগানো অবস্থায় থাকা প্রয়োজন ছিল মন্তব্য করেছে। এয়ারলাইন্সটি জানায়, তাদের গ্রাউন্ডেড হওয়া উড়োজাহাজগুলো পুনরায় চলাচলের উপযোগী করার আগে দরজার প্লাগ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।

অর্থাৎ ঘটনাটি এখন কেঁচো খুঁড়তে সাপ পাওয়ার মতো হয়ে গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার তারা প্রাথমিক পরিদর্শন শুরু করেছে। এরপর তারা দরজার প্লাগ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত ইস্যু দেখতে পেয়েছে। পরিদর্শক দল এসব দরজার স্ক্রুগুলো আরও শক্ত করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে।

বোয়িংয়ের ৭৩৭ উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ইস্যুটি আলাস্কা এয়ারলাইন্স বা নিপ্পন এয়ারওয়েজের এখানেই সীমাবদ্ধ নয়।

২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ অবতরণের পর উইন্ডশিল্ডে ফাটলের ঘটনা ধরা পড়ে। লিজে আনা এই উড়োজাহাজটি আকাশে থাকা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটলে বড় দুর্ঘটনা হতে পারতো।

এর আগে, ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন যাত্রী নিহত হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং উড়োজাহাজটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ জন যাত্রী প্রাণ হারায়। আর ২০১৯ সালের মার্চে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের আরেকটি বোয়িং বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ১৫৭ জন যাত্রী। এরপর বোয়িং কোম্পানি ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।

সেই দুটি দুর্ঘটনার ঘটনা যখন মানুষ ভুলতে বসেছিল তখনই আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ উড়োজাহাজের দরজা খুলে পড়ে যাওয়া নিয়ে বিমান চলাচল খাতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে বোয়িংয়ের পক্ষে পুনরায় বিশেষ করে ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজে আস্থা ফিরিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণের নিশ্চয়তা দেওয়া একটু কঠিনই হবে বলে মনে করছেন এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

   

ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা হুথিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সীমানার মধ্যে থাকা ইসরায়েলগামী যেকোন জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৩ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিরা তাদের সীমার মধ্যে থাকা যেকোনো এলাকায় ইসরায়েলি বন্দরগামী জাহাজগুলোর ওপর হামলা করবে। 

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারব সেখানেই ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজে আমার হামলা চালাব।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য ইরানপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের জাহাজগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে অনেক শিপিং কোম্পানি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়ার বদলে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহন খবর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

;

সারাবিশ্বে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৪ জন পরিবেশ সাংবাদিক সহিংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন; আর বেঁচে ফিরতে পেরেছেন ২৪ জন।

শুক্রবার (৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের জন্য ১২৯টি দেশের ৯০৫ জন পরিবেশ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকারে ৯০৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৭৪৯ জনই (শতকরা হিসেবে ৭০ শতাংশেরও বেশি) জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদেরকে শারীরিক হামলা কিংবা ভয়ভীতি, হুমকি, চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেককে আটক-গ্রেপ্তার ও মানহানির মামলা আইনী সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।

হামলা-হয়রানির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারীরিক হামলার ঘটনাগুলো পুরুষ সাংবাদিকদের বেলায় ঘটেছে বেশি। অন্যদিকে হয়রানির শিকার বেশি হয়েছেন নারী সাংবাদিকরা।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ইস্যুতে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসব ইস্যুর মধ্যে খনি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ভূমির দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, বন উজাড় হয়ে যাওয়া, চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ, দূষণ এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত এবং এর বাণিজ্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এসব হামলা ও হয়রানির সবই এসেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরিজীবী, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের লোকজন এসব হামলা ও হয়রানির জন্য দায়ী।

;

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসেই চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে এই মাসেই দেশটিতে সফর করার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ার এই পরিকল্পনার সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সফরটির সূচি আগামী ১৫-১৬ মে নির্ধারিত করা হয়েছে।

;

‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। গাজায় আগ্রাসনের এ সময়টায় অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করেনি হামাস।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল সবসময়ই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

;