বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতিতে তাইওয়ান নির্বাচনের প্রভাব



আসমা ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব এশিয়ার অন্যতম স্বশাসিত পৃথক দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় এসেছে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। সারা বিশ্বে মাত্র ১২টি দেশ এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে যাদের অধিকাংশই দক্ষিণ আমেরিকা, ক্যারিবীয় ও ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ। সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র চীন মনে করে হংকংয়ের মতো তাইওয়ানও চীনের অংশ। কোনো একদিন আবারও তাইওয়ান চীনের অধিভুক্ত হবে সে অপেক্ষায় রয়েছে চীন। কিন্তু গত ৮ বছরের ক্ষমতাসীন ডিপিপি সরকার চেয়েছে একটি স্বাধীন তাইওয়ান প্রতিষ্ঠা করতে। সে প্রচেষ্টায় বারবার সহায়তা নিয়েছে চীনের চির প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র থেকে। 

চীনের সেই অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে আজকের নির্বাচনের এই ফলাফলের মাধ্যমে। সম্পর্ক প্রসারিত হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। এতে শুধু চীন বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতির কারণে বিশ্বের সব দেশের কাছেই তাইওয়ানের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নির্বাচনী ফলাফল চীন-তাইওয়ান সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এবং একইসঙ্গে এই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। বাণিজ্যিক ইস্যুতেও যথেষ্ট প্রভাব রাখবে এই নির্বাচনী ফলাফল।

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাইওয়ান নির্বাচনের প্রভাব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন ফোন, ল্যাপটপ, ঘড়ি, গেম কনসোলসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী তাইওয়ানের তৈরি কম্পিউটার চিপসের সাহায্যে চলে। এদিক থেকে তাইওয়ানের ‘দ্য তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফাকচারিং কোম্পানি বা টিএসএমসি’ সারা বিশ্বের অর্ধেক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। টিএসএমসিকে বলা হয় ‘ফাউন্ড্রি’। অর্থাৎ টিএসএমসি এমন একটি কোম্পানি যারা চিপস ভোক্তা ও সামরিক ক্রেতাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বিরাট শিল্পের বাজার দখলে মরিয়া চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই অনেক চীনা ইলেক্ট্রনিকস ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এক্ষেত্রে তাইওয়ানের সাথে মিলিত হয়ে একেযোগে কাজ করলে চীনকে একেবারেই সরিয়ে দেওয়া অবাক করা কোনো বিষয় হবে না।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য নানা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) আবার জয়লাভ করায় প্রযুক্তিক্ষেত্রে চীনের প্রবেশাধিকার যেন কমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানসহ তাদের মিত্ররা মাইক্রোচিপ তৈরিতে আরও এগিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করবে দেশটি। কিন্তু অপর দল কুওমিনটাং পার্টি (কেএমটি) ক্ষমতায় আসলে তাইওয়ানের বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইতো বেইজিং। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্পের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রক পেতে বেশি বেগ পেতে হতো না চীনকে। 

তাইওয়ানের বড় দুই দলের মধ্যে (ডিপিপি) এখনও  স্বাধীনতার পক্ষে যার সহায়তায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে কেএমটি চায় মূল চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণ। ডিপিপি ক্ষমতায় আসায় চলমান উত্তেজনাই যেন বজায় থাকলো চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে। তবে দেশটির জনগণ অর্থনীতির বিষয়টিকে নির্বাচনের আগে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছিল।

তাইওয়ানের অর্থনীতি এখন চীনের ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এখন আর স্বাধীনতাকে কোন বাস্তবসম্মত বিকল্প বলে ভাবে না। তাইওয়ানের জনগণের একটি অংশ তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চাইলেও অর্থনীতিতে চীন নির্ভরতা থাকার কারণে কেউ কেউ চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে ছিল।

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, তাইওয়ানের জনগণ মনে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ নাগরিক চান যে, তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিক। দেশটির জনগণের একটা বিরাট অংশ মনে করেন, তাইওয়ান এখন যে অবস্থায় আছে (চীনেরও অংশ নয়, আবার চীন থেকে আলাদাও নয়) সেটিই সুবিধাজনক অবস্থা। ডিপিপিকেই আবার ক্ষমতায় আনার কারণও হতে পারে সেটিই।

তবে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও ধীর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে ক্ষমতাসীন দল ডিপিপির প্রতি আস্থা কম ছিল জনগণের। স্বল্প বেতন, নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য ও বাড়ির মূল্য বাড়া নিয়ে তরুণ জনগোষ্ঠী ও শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক হতাশাও দেখা দিয়েছিল। এমন নড়বড়ে অর্থনীতি নিয়ে এশিয়ার পরাশক্তি চীনকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না দেশটির জন্য। আবার অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলেও চীনের প্রতি সংবেদনশীল থাকতে হবে এমনটাই ভাবতো দেশটির জনগণ। তাছাড়া চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের উপর বৈশ্বিক অর্থনীতিও নির্ভরশীল। অন্যদিকে প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক বাজারে তাইওয়ানকে পাশে পেতে চাওয়া যুক্তরাষ্ট্রও বৈশ্বিক অর্থনীতির বড় নেয়ামক। তাই এই নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিতে পারে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক চিত্র।

আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাইওয়ান নির্বাচনের প্রভাব:

একদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরাশক্তি চীনের উপর নির্ভরশীলতা অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের সমর্থনে স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা তাইওয়ানকে সিদ্ধান্তহীনতায় ফেলে বারবার। গত নির্বাচনের ফলাফল দেখলে বোঝা যায় দেশটির জনগণও এ বিষয়ে যথেষ্ট সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল।

২০১৫ সালের  নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৭৫ শতাংশ। সে নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ভোটের শতাংশের হিসাবে স্বাধীনতাকামী সাই ইং-ওয়েনের নেতৃত্বে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি-ডিপিপি ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬৩টি আসন লাভ করে। হ্যান কিউ-ইউ'র নেতৃত্বে চাইনিজ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ৩৮ দশমিক ছয় শতাংশ ভোট পেয়ে ৩৮টি আসন লাভ করে। জেমস সুং এর নেতৃত্বে চার দশমিক তিন শতাংশ ভোট পেয়ে ৫টি আসন পায়  তাইওয়ান'স পিপলস পার্টি এবং অন্যান্যরা বাকি ৯টি আসন পায়। ১১৩ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে ডিপিপি। কিন্তু ২০২২ সালের স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ডিপিপির ভরাডুবি হয়। ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারায় স্বাধীনতা প্রত্যাশী ডিপিপি’র সাই ইং-ওয়েন। চীন এই রাজনৈতিক দলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে থাকে।

কিন্তু ডিপিপির হয়ে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন লাই চিং-তে। আবারও ডিপিপি অন্যদের সাথে জোট বেঁধে ১১৩ সদস্যের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এতে আইন তৈরি, বাজেট, যুদ্ধ ঘোষণা এবং কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকলো।

লাইয়ের বিপরীতে তাইওয়ানের বৃহত্তম বিরোধী দল কুওমিনতাংয়ের (কেএমটি) হউ ইউ-ইহ এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) নেতা ও  সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে লড়েছেন। হউ চীন ও তাইওয়ানের জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক তৈরির পক্ষে ছিল। অপর প্রার্থী কো ওয়েন-জে জনগণের দৈনন্দিন জীবনের ওপর তার মূল ফোকাস নির্ধারণ করেছেন। তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এই প্রার্থীও ছিল তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করার পক্ষে। অনেকটা সুবিধাবাদী অবস্থান বজায় রাখতে তিনি বলেছিলেন, চীনের সাথে তাইওয়ানের একত্রীকরণ দেশের গণতন্ত্র ও জীবনযাত্রার সুরক্ষার বিনিময়ে নয়। একটি উইন-উইন পরিস্থিতি বজায় রেখে অর্থনীতি এবং স্বাধীনতা দুটোই বাঁচিয়ে রাখবে কো ওয়েন-জে।

অর্থাৎ, আজকের নির্বাচনে ডিপিপি ছাড়া যেই ক্ষমতায় আসতো, সে সুবিধা ভোগ করতে পারতো চীন। ভূরাজনীতিতে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাইওয়ানকে পাশে পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে বেশ ভালোভাবেই টক্কর দিতে পারতো দেশটি। তবে ডিপিপি ক্ষমতায় আসায় সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হলো আরও ৪ বছরের জন্য।

চীন ও তাইওয়ানের রাজনৈতিক ইতিহাস:

চীনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমূদ্রের একটি দ্বীপ। ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের রাজারাই শাসন করেছে এক সময়ের ওলন্দাজ কলোনির অন্তর্ভুক্ত থাকা তাইওয়ানের। এরপর জাপানীরা এই দ্বীপ দখল করে নেয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া হয় চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন চীনা সরকারের হাতে।

মাও জেদং এর নেতৃত্বে কমিউনিষ্ট বাহিনির সঙ্গে চিয়াং কাইশেকের সরকার যখন যুদ্ধে হারতে থাকে তখন চীনের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ হারায় দেশটি। এরপর চিয়াং কাইশেক আর তার কুওমিনটাং সরকারের লোকজন তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। সেখানে তারা 'রিপাবলিক অব চায়না' নামে এক সরকার গঠন করে। নিজেদেরকে সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার বলেও দাবি করে তারা। কমিউনিষ্টদের কাছ থেকে আবার পুরো চীনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনাই ছিল তাদের।

জাতিসংঘসহ বিশ্বের অনেক দেশই বহুদিন পর্যন্ত  চিয়াং কাইশেকের সরকারকে চীনের সত্যিকারের সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছিল। এমনকি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীনের প্রতিনিধিত্বও করেছে তাইওয়ানের সরকার। কিন্তু ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ বেইজিং সরকারকেই চীনের আসল সরকার বলে স্বীকৃতি দিলে একে একে বিশ্বের প্রায় সব দেশই বেইজিং এর পক্ষ নিল। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কমতে কমতে একেবারেই তলানিতে এসে থামলো।

১৯৮০র দশক পর্যন্ত চীন আর তাইওয়ানের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলছিল। কিন্তু এরপর থেকে আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করে সম্পর্ক। 'এক দেশ, দুই পদ্ধতি' নামে চীন এক প্রস্তাব রাখে যেখানে তাইওয়ান মূল চীনে বিলুপ্ত হবে, কিন্তু তাদের স্বায়ত্বশাসন দেয়া হবে। তাইওয়ান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান থাকে। ২০০০ সালে তাইওয়ানের নুতন প্রেসিডেন্ট হন চেন শুই বিয়ান। ২০০৪ সালে তিনি ঘোষণা দেন যে তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। তার এই অবস্থান চীনকে ভীষণ রুষ্ট করে। ২০০৫ সালে চীন তড়িঘড়ি করে এক আইন পাশ করে। যাতে বলা হয়, তাইওয়ান যদি চীন থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে, সেটা ঠেকাতে চীন প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবে।

বিভিন্ন সময়ে তাইওয়ানের আকাশে হামলার হুমকি দিয়ে পরাক্রমশীলতার জানান দেয় চীন। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে তাইওয়ানকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বহুমুখী কারণে স্বাধীনতার চেয়েও নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে দেশটির জনগণ বেশি প্রাধান্য দিলেও নির্বাচিত করলো সেই ডিপিপিকেই। তাইওয়ান নির্বাচনের এই ফলাফল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে কেমন প্রভাব রাখতে চলেছে সেটিই এখন তাই দেখার বিষয়। 

   

প্রেসিডেন্ট হিসাবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে মঙ্গলবার (৭ মে) পঞ্চমবারের মতো শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় থাকা ৭১ বছর বয়সি পুতিন দেশীয় রাজনৈতিক ভূখণ্ডে একতরফা আধিপত্য বিস্তার করেছেন।

তবে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নানা বিরোধে জড়িয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, সেটি মূলত ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনকে ঘিরে।

কিন্তু পুতিন বরাবরই বলে এসেছেন যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার এবং টুকরো টুকরো করার চেষ্টায় পশ্চিমারা ইউক্রেনকে বাহন হিসাবে ব্যবহার করেছে।

শপথ নেওয়ার পর পুতিন বলেন, তিনি পশ্চিমাদের সঙ্গে সংলাপ বন্ধ করবেন না। তবে, তারা কীভাবে তার দেশের সঙ্গে জড়িত থাকবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে কৌশলগত পারমাণবিক স্থিতিশীলতার বিষয়েও আলোচনা সম্ভব, তবে সেটি শুধুমাত্র সম্ভব সমান শর্তে।

পুতিন বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে সব বাধা অতিক্রম করব। আমরা যা পরিকল্পনা করেছি, তার বাস্তবায়ন করবো। একসঙ্গে বিজয়ী হবো আমরা।’

উল্লেখ্য, পুতিন গত মার্চ মাসে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত একটি নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন।

তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আলেক্সি নাভালনি এই নির্বাচনের এক মাস আগে আর্কটিক কারাগারে আকস্মিকভাবে মারা যান। দেশটির অন্যান্য নেতৃস্থানীয় সমালোচকরা হয় কারাগারে আছেন নতুবা বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা রাশিয়ার সর্বশেষ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করে না।

এদিকে, ব্রিটেন, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ পুতিনের শপথ গ্রহণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফ্রান্স বলেছে, তারা তাদের দূত পাঠাবে।

ইউক্রেন বলেছে, পুতিন রাশিয়ান ফেডারেশনকে একটি আগ্রাসী রাষ্ট্র এবং শাসনকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করেছে।

পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র সের্গেই চেমেজভ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে রয়টার্সকে বলেন, ‘পুতিন তার দেশে স্থিতিশীলতা এনেছেন। এটি এমন কিছু, যা তার সমালোচকদেরও স্বাগত জানানো উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন এবং তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবেন, যদিও পশ্চিমারা সম্ভবত এটি পছন্দ করবে না।’

;

দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু ব্যয়ের স্বচ্ছতার তাগিদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র দেশগুলোকে জলবায়ু সহায়তার অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রদর্শনের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৯ এর নেতা গ্লোবাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুখতার বাবায়েভ।

তিনি বলেছেন, দরিদ্র দেশগুলিকে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ট্রিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়, তাদেরকে অবশ্যই এসব অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ হিসাব প্রদর্শন করতে হবে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৯ এর নেতৃত্ব দেবেন আজারবাইজানের পরিবেশ মন্ত্রী মুখতার বাবায়েভ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর বিষয়ে তাদের অগ্রগতি এবং জলবায়ু সংকটে তাদের ব্যয়ের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সব পক্ষগুলোর মধ্যে একটি সঠিক, ভালো এবং সৎ বিশ্বাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দেশে স্বচ্ছতা প্রক্রিয়া তৈরি করা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং চরম আবহাওয়ার প্রভাবগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য বাকুতে কপ২৯-এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থ সরবরাহের জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্মেলন ঘিরে আফ্রিকার কয়েকেটি দেশের সরকার ট্রিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাবায়েভ বলেন, দরিদ্র দেশগুলোতে তাদের গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার পরিকল্পনা আপডেট করতে সাহায্য করার জন্য বড় অঙ্কের প্রয়োজন হয়। এ জন্য জলবায়ু ব্যয়ের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা উন্নত করার প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ত্রিভুজের মতো। প্রথমত, স্বচ্ছতা। এটা দলগুলোর মধ্যে আস্থা। পরবর্তী, অর্থ. পরবর্তী, এনডিসি। আজ আমরা এই ত্রিভুজটির দিকে তাকিয়ে আছি।

স্বচ্ছতা বা স্পষ্ট অর্থনৈতিক হিসাব বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়গুলির মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনেক দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে কম কাজ করে, অনেকে অর্থ ব্যয়ের সঠিক হিসাব আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের কাছে হিসাব জমা দিতেও অনিচ্ছুক।

স্বচ্ছতার অভাব কীভাবে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে তার অনেক উদাহরণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক এনার্জি সংস্থা ২০২২ সালে এক প্রতিবেদনে জানায়, গ্রীনহাউস গ্যাস মিথেনের নির্গমনের হার দরিদ্র দেশগুলির তুলনায় শক্তিশালী দেশে ৭০ শতাংশ বেশি ছিলো।

জলবায়ু অর্থ ব্যয় গোপনীয়তায় আবদ্ধ এবং স্থূল বিকৃতির সাপেক্ষে: গত বছর রয়টার্সের একটি তদন্তে দেখা গেছে, ইতালি এশিয়ায় আইসক্রিমের দোকান খুলতে সহায়তা করেছে এবং জাপান বাংলাদেশে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অর্থ সরবরাহ করেছে এবং একটি জলবায়ু অর্থায়নের ছদ্মবেশে মিশরে বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

২০১৫ প্যারিস চুক্তি অনুসারে সব দেশকে অবশ্যই নতুন স্বচ্ছতা প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। উন্নত দেশগুলো ২০২২ সালের মধ্যে তাদের প্রথমে প্রতিবেদন জমা দেওয়া কথা বলা হয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা এই বছরের শেষ পর্যন্ত।

বাবায়েভ উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোকে দ্রুত তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি চান আগামী ১১ নভেম্বর থেকে কপ-২৯ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই যেন এসব দেশ তাদের প্রতিবেদন জমা দিক। যদি দরিদ্র দেশগুলো স্পষ্টভাবে তাদের স্বচ্ছতা দেখাতে পারে অর্থাৎ তারা গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর চেষ্টা করছে, জলবায়ু সংকটের প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে তাহলে উন্নত দেশগুলো তাদের কাছ থেকে জলবায়ু অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য কম অজুহাত পাবে।

বাবায়েভ বলেন, যদি এসব দেশ তাদের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছ চিত্র জমা দেয়, তবে এটি উন্নত বিশ্বের জন্য উন্নয়নশীল বিশ্বের অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য একটি খুব ভাল যুক্তি হবে। আমরা আন্তঃসংযোগকারী হতে চাই।

আজারবাইজান তেল এবং গ্যাসের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা দেশের রপ্তানির ৯০ শাতাংশেরও বেশি এবং রাষ্ট্রীয় বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি। বাবায়েভ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি উত্পাদকদের কপ-এ মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সমস্ত দেশকে, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় একসাথে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই, ভাবতে চাই কিভাবে আমরা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ ইতিমধ্যেই দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থ সাহায্য করছে। দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক ভিত্তিতে তারা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের সবুজ পরিবর্তনের জন্য বিনিয়োগ করছে।

আজারবাইজানের প্রধান আলোচক ইয়ালচিন রাফিয়েভ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারীরা সমস্যার একমাত্র উৎস হিসেবে চিহ্নিত হতে চায় না। তিনি উল্লেখ করেন, অন্যান্য খাত যেমন পরিবহনও কার্বন নির্গমনের বড় উৎস।

তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানী দেশগুলোকে আমি বৈধ উদ্বেগ বলে মনে করি। এদের দূষণকারী হিসাবে চিহ্নিত হতে চাই না।

;

জামিন পেলেও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না কেজরিওয়াল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন আবেদনের শুনানিতে ইডির প্রতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধানের দায়ের করা মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয় বলে মঙ্গলবারের (৭ মে) শুনানিতে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ।

এই বেঞ্চ ইডিকে বলেছেন, ‘অধিকার থেকে কাউকে আপনি বঞ্চিত করতে পারেন না।’

শীর্ষ আদালত আরও বলেছেন, ‘কেজরিওয়াল একজন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, যদি কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়, তা হলেও তিনি কোনো সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না।’

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল। তারপর থেকে তিনি জেলবন্দি রয়েছেন। তার গ্রেফতারকে বেআইনি দাবি করে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার আইনজীবীরা।

কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা চলতি মাসের শেষ দিকে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হন আপ প্রধান।

গত শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ মন্তব্য করেছিল যে, ‘লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’

আদালত আরও মন্তব্য করেছিল, ‘গ্রেফতারের বিরুদ্ধে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের শুনানির জন্য সময় লাগতে পারে।’

তাই আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের কথা ভাবতে পারে। তারপর থেকেই কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

মঙ্গলবার শুনানির সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের প্রসঙ্গ তুলে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেজরিওয়ালের মুক্তি গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।’

বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ তখন জানায়, তারা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন শুনবেন। কারণ, কেজরিওয়াল একজন জনপ্রতিনিধি। নির্বাচনে জিতেছেন। নির্বাচনে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে তার।

তখন কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আদালতে জানায়, ‘ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার কেজরিওয়ালকে জামিন দিলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তদন্তের স্বার্থে ছয় মাসে তাকে নয়বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি একবারও হাজিরা দেননি।’

তখন সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘দেশে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে, আমরা কখনই তা উপেক্ষা করতে পারি না।’

;

চীনে হাসপাতালে ছুরিকাঘাতে দুজন নিহত, আহত ২১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের ইউনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২১ জন।

মঙ্গলবার (০৭ মে) স্থানীয় সময় ১১টা ৩৭ মিনিটে দেশটির ইউনান প্রদেশের জেনসিয়ং পিপলস হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

দেশটির স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের সংবাদমাধ্যম দ্য পেপারের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরে কালো পোশাকে এক ব্যক্তি দুই হাতে ছুরি নিয়ে ঘুরছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি জেনসিয়ংয়ের পোজি শহরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এর আগে ২৩ জন আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ২১ জনের কথা উল্লেখ করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা দ্য পেপারকে জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনও বেশ বিশৃঙ্খল, তারা এখনও আহতের সংখ্যা নির্ধারণ করছে। পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে।

চীনা নিউজ আউটলেট হংজিং নিউজেরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে বলেছে এবং অপরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

;