দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হতে পারেন জাপানের শীর্ষ মন্ত্রীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা : ছবি : সংগৃহীত

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা : ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কথিত জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কয়েক জন শীর্ষ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করবেন। স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

জাপানের স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে মন্ত্রীসভা থেকে যাদের বাদ দেওয়া হবে তাদের মধ্যে রয়েছেন কিশিদার ডানহাত খ্যাত প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো এবং অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা।

দৈনিক আসাহি শিম্বুনের তথ্য অনুসারে মোট ১৫ জনকে বরখাস্ত করা হবে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উপমন্ত্রী এবং সংসদীয় উপ-মন্ত্রী রয়েছেন।

ওই ১৫ জনের সকলেই দেশটির প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বাধীন একটি উপদলের অন্তর্গত ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মধ্যে প্রভাব ও ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্তত পাঁচটি প্রধান দলের মধ্যে একটিতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।

সাম্প্রতিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, প্রসিকিউটররা অভিযোগগুলো তদন্ত করছেন যে, দলটি তহবিল সংগ্রহকারী দলগুলোর মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার সংগ্রহ করার বিষয়ে তথ্য প্রদান করতে পারেনি।

অভিযুক্তদের মধ্যে আরেকজন হলেন সাবেক অলিম্পিক মন্ত্রী সেকো হাশিমোতো।
তবে, সংসদের বর্তমান শেষ অধিবেশনে সম্ভাব্য রদবদলের বিষয়ে জানাতে অস্বীকার করেন কিশিদা। তিনি বলেন, তিনি জালিয়াতির অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।

কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং সরকারি কার্যক্রমে বিলম্ব রোধকল্পে আমি উপযুক্ত সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।’

   

মার্কিন অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল হয়তো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজা যুদ্ধের সময় কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এটি ‘মূল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত’ যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেগুলো ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ উপায়ে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করার মতো পূর্ণাঙ্গ তথ্য তাদের কাছে নেই। এ কারণে, আইন মেনেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, ইসরায়েলের এই আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসি বলছে, বিলম্বের পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশটি কীভাবে গত বছর সংঘর্ষের শুরু থেকে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

যদিও এই প্রতিবেদনটিতে গাজায় কিছু ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবেই তিরস্কার করা হয়েছে, তারপরও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে এটিতে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টাকে ‘অসঙ্গত, অকার্যকর এবং অপর্যাপ্ত’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলো।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট দেখতে পেয়েছে, সংঘাতের প্রথম মাসগুলোতে গাজায় মানবিক সহায়তা ‘বাড়ানোর’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সাথে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে এতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সরকার গাজায় মার্কিন মানবিক সহায়তা পরিবহন বা বিতরণ নিষিদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে সীমাবদ্ধ করছে বলে আমরা এখন মূল্যায়ন করছি না।’

বিবিসি বলছে, কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাফাহতে হামলা করলে ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই হুঁশিয়ারির পরেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।

তবে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এমনকি প্রয়োজনে ইসরায়েল ‘একাই লড়াই করবে’ বলেও দাবি করেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত এপ্রিলের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বলেছিল, বেসামরিক মৃত্যু, আঘাতের নির্দিষ্ট ঘটনা এবং বেআইনিভাবে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের উদাহরণগুলোর বর্ণনা বলে দিচ্ছে, ইসরায়েলকে সরবরাহ করা মার্কিন অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের ‘গুরুতর লঙ্ঘনে’ ব্যবহার করা হয়েছে।

;

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণহানি ৩৫ হাজার ছুঁই ছুঁই



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৫ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

শনিবার (১১ মে) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ৯৪৩ জনে পৌঁছেছে বলে শুক্রবার ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার (বাহিনী) গাজা উপত্যকায় পরিবারগুলোর ওপর ছয়টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন শহীদ এবং আরও ৫৮ জন আহত হয়েছেন।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

;

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৬০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া এই বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিবিসি বলছে, দেশটি উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আরও কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই অঞ্চলে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছিল। এতে করে সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ভয়াবহ এই বন্যা দেশটির এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বিবিসিকে বলেছেন, বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলায় দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন।

এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

;

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে ১৪৩ দেশের ভোট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। খবর এপি'র।

শুক্রবার (১০ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়।

এতে বলা হয়, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভোটি হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা।’

এই প্রস্তাবে ১৪৩টি দেশ একমত পোষণ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ফলে জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ পরিষদ।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ব্যাপক সমর্থনের পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে যায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে স্বীকৃতির পথ।

মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।

ইসরায়েল সহ এর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া নয়টি দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল।

 

;