ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র : ব্লিঙ্কেন
ইসরায়েল রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখল করার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার (৯ মে) মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরোধীতা করে যুক্তরাষ্ট্র।’
রয়টার্স জানিয়েছে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরির সঙ্গে টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্য পুনরুল্লেখ করে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘জো বাইডেন বলেছেন রাফাহতে বড় সামরিক অভিযান এবং গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলি পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না।’
ব্লিঙ্কেনের ওই বক্তব্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও।
মিলার বলেছেন, ‘রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করার জন্য এবং অবিলম্বে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অব্যাহত প্রবাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ব্লিঙ্কেন।’
ব্যাপক জন ঘনত্বের রাফাহ শহরে ভয়ঙ্কর স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেন যে, রাফাহ ক্রসিংয়ে ইসরায়েলের পতাকা উত্তোলন করেছে তার সেনারা। হামাসের কাছ থেকে মিশরে প্রাথমিক সীমান্ত চৌকি দখলের ঘটনা এটি।
অর্ধ বছরের যুদ্ধের পর ১৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছে এবং ইসরায়েল শহরটির পূর্ব দিক থেকে সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছে।
এ ছাড়াও অনেক ডানপন্থী ইসরায়েলি হামাস শাসিত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরিত করার বিষয়ে পরিকল্পনা করছে।
এই ধরনের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং সেইসঙ্গে আরব দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সৃষ্টির পর উদ্বাস্তুদের সংখ্যা বৃদ্ধির সামঞ্জস্য রেখে আরেকটি বড় বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কা করছে।
ব্লিঙ্কেন তার আলোচনায় জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মিশরের মধ্যস্থতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, কায়রো আলোচনায় ব্যাপকভাবে জড়িত সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছেন।