লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জন্য বড় ‘সারপ্রাইজ’ রয়েছে : রাহুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
কংগ্রেস দলীয় সাংসদ রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

কংগ্রেস দলীয় সাংসদ রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কংগ্রেস দলীয় সাংসদ রাহুল গান্ধী রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে জোর দিয়ে বলেছেন, তার দল তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতোই রাজস্থানের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হবে এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জন্য বড় ‘সারপ্রাইজ’ রয়েছে।

রাহুল তার দলের এক্স-একাউন্ট থেকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলছেন, ‘এই মুহূর্তে, আমরা তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় জিতেছি এবং আমরা রাজস্থানেও জয়ের খুব কাছাকাছি। আমরা মনে করি, আমরা সেখানে জিততে সক্ষম হব। বিজেপিও নিজেদের মধ্যে আলাপে এটাই বলছে।’

রাহুল লোকসভার অভ্যন্তরে বিএসপি সাংসদ দানিশ আলীর বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক মন্তব্যকে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা কর্ণাটক থেকে শিক্ষা নিয়েছি। রমেশ বিধুরী এবং নিশিকান্ত দুবে-এসব বিজেপি নেতা বর্ণ আদমশুমারির ধারণা থেকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা জানে যে, এটি একটি মৌলিক বিষয়, যা জনগণ চায়। কিন্তু, তারা সেই আলোচনা করতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখনই আমরা আলোচনার টেবিলে একটি পয়েন্ট নিয়ে আসি, তখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই ধরণের আাচরন করে থাকে। তবে, আমরা এখন শিখেছি কিভাবে এসব মোকাবেলা করতে হয়।’

আসামের প্রতিদিন মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় বক্তৃতা করার সময় রাহুল আরও বলেন, ‘এক জাতি, এক নির্বাচন-ধারণাটি জনগণকে তাদের আসল সমস্যাগুলো থেকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে ছিল। এটি বিজেপির বিভ্রান্তিকর কৌশলগুলোর মধ্যে একটি।’

এনডিটিভি জানিয়েছে রাহুল অভিযোগের সুরে বলেন, বিরোধী দলগুলো আর্থিক এবং মিডিয়া আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে এতো চাপ থাকা সত্ত্বেও তারা ভাল করছে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ভারতের ধারণা রক্ষার জন্য লড়াই করছি। আর সেজন্যই আমরা আমাদের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ দিয়েছি।’’

   

ইসরায়েলের ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব হামাসের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীদের জন্য জিম্মি বিনিময়ের জন্য তিন ধাপের চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে মুক্তি দিতে চাওয়া এই ৩৩ জন জিম্মির সবাই জীবিত নয়।

প্রস্তাবিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ৩০ জন শিশু ও নারীকে মুক্তি দেবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে গত সোমবার (৬ মে) হামাস বলেছে, তারা গাজায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

চুক্তির তৃতীয় দিনে প্রথম ধাপে হামাস তিন জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং তারপর প্রতি সাত দিনে আরও তিন জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

ষষ্ঠ সপ্তাহে এই পর্বের আওতায় থাকা বাকি সব বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে হামাসের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী কারাগারে সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

শর্ত অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর তৃতীয় দিনে ইসরায়েলি বাহিনীকে উত্তর গাজার আল-রশিদ রাস্তা থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রথম পর্বের ২২তম দিনে ইসরায়েলি বাহিনীওক সালাহ আল-দিন রোডের পূর্বে উপত্যকার কেন্দ্র থেকে ইসরায়েলের সীমান্তের কাছে একটি এলাকায় সরিয়ে নেবে ইসরায়েল।

দ্বিতীয় পর্বে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনিদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলের কিছু রিজার্ভ সেনাকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে হামাস।

তৃতীয় ধাপে কাতার, মিশর এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে থাকা সাহায্য সংস্থার আদান-প্রদান এবং পুনর্গঠনের বাস্তবায়ন শুরু হবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তিটি ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ শর্তগুলো একতরফা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘প্রস্তাবটি ইসরায়েলের দাবি থেকে অনেক দূরে।’

হামাস সদস্য খলিল আল-হাইয়া কাতারভিত্তিক আল জাজিরা চ্যানেলকে বলেছেন, ‘প্রস্তাবে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

হামাসের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও বলেছে, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্তির অগ্রগতির জন্য হামাসের উপর সামরিক চাপ প্রয়োগ করতে রাফাহ আক্রমণ চলবে।’

নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এটি ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় রাখবে এবং তা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’

;

প্রেসিডেন্ট হিসাবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে মঙ্গলবার (৭ মে) পঞ্চমবারের মতো শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় থাকা ৭১ বছর বয়সি পুতিন দেশীয় রাজনৈতিক ভূখণ্ডে একতরফা আধিপত্য বিস্তার করেছেন।

তবে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নানা বিরোধে জড়িয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, সেটি মূলত ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনকে ঘিরে।

কিন্তু পুতিন বরাবরই বলে এসেছেন যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার এবং টুকরো টুকরো করার চেষ্টায় পশ্চিমারা ইউক্রেনকে বাহন হিসাবে ব্যবহার করেছে।

শপথ নেওয়ার পর পুতিন বলেন, তিনি পশ্চিমাদের সঙ্গে সংলাপ বন্ধ করবেন না। তবে, তারা কীভাবে তার দেশের সঙ্গে জড়িত থাকবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে কৌশলগত পারমাণবিক স্থিতিশীলতার বিষয়েও আলোচনা সম্ভব, তবে সেটি শুধুমাত্র সম্ভব সমান শর্তে।

পুতিন বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে সব বাধা অতিক্রম করব। আমরা যা পরিকল্পনা করেছি, তার বাস্তবায়ন করবো। একসঙ্গে বিজয়ী হবো আমরা।’

উল্লেখ্য, পুতিন গত মার্চ মাসে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত একটি নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন।

তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আলেক্সি নাভালনি এই নির্বাচনের এক মাস আগে আর্কটিক কারাগারে আকস্মিকভাবে মারা যান। দেশটির অন্যান্য নেতৃস্থানীয় সমালোচকরা হয় কারাগারে আছেন নতুবা বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা রাশিয়ার সর্বশেষ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করে না।

এদিকে, ব্রিটেন, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ পুতিনের শপথ গ্রহণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফ্রান্স বলেছে, তারা তাদের দূত পাঠাবে।

ইউক্রেন বলেছে, পুতিন রাশিয়ান ফেডারেশনকে একটি আগ্রাসী রাষ্ট্র এবং শাসনকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করেছে।

পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র সের্গেই চেমেজভ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে রয়টার্সকে বলেন, ‘পুতিন তার দেশে স্থিতিশীলতা এনেছেন। এটি এমন কিছু, যা তার সমালোচকদেরও স্বাগত জানানো উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন এবং তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবেন, যদিও পশ্চিমারা সম্ভবত এটি পছন্দ করবে না।’

;

দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু ব্যয়ের স্বচ্ছতার তাগিদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র দেশগুলোকে জলবায়ু সহায়তার অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রদর্শনের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৯ এর নেতা গ্লোবাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুখতার বাবায়েভ।

তিনি বলেছেন, দরিদ্র দেশগুলিকে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ট্রিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়, তাদেরকে অবশ্যই এসব অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ হিসাব প্রদর্শন করতে হবে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৯ এর নেতৃত্ব দেবেন আজারবাইজানের পরিবেশ মন্ত্রী মুখতার বাবায়েভ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর বিষয়ে তাদের অগ্রগতি এবং জলবায়ু সংকটে তাদের ব্যয়ের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সব পক্ষগুলোর মধ্যে একটি সঠিক, ভালো এবং সৎ বিশ্বাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দেশে স্বচ্ছতা প্রক্রিয়া তৈরি করা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং চরম আবহাওয়ার প্রভাবগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য বাকুতে কপ২৯-এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থ সরবরাহের জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্মেলন ঘিরে আফ্রিকার কয়েকেটি দেশের সরকার ট্রিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাবায়েভ বলেন, দরিদ্র দেশগুলোতে তাদের গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার পরিকল্পনা আপডেট করতে সাহায্য করার জন্য বড় অঙ্কের প্রয়োজন হয়। এ জন্য জলবায়ু ব্যয়ের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা উন্নত করার প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ত্রিভুজের মতো। প্রথমত, স্বচ্ছতা। এটা দলগুলোর মধ্যে আস্থা। পরবর্তী, অর্থ. পরবর্তী, এনডিসি। আজ আমরা এই ত্রিভুজটির দিকে তাকিয়ে আছি।

স্বচ্ছতা বা স্পষ্ট অর্থনৈতিক হিসাব বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়গুলির মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনেক দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে কম কাজ করে, অনেকে অর্থ ব্যয়ের সঠিক হিসাব আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের কাছে হিসাব জমা দিতেও অনিচ্ছুক।

স্বচ্ছতার অভাব কীভাবে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে তার অনেক উদাহরণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক এনার্জি সংস্থা ২০২২ সালে এক প্রতিবেদনে জানায়, গ্রীনহাউস গ্যাস মিথেনের নির্গমনের হার দরিদ্র দেশগুলির তুলনায় শক্তিশালী দেশে ৭০ শতাংশ বেশি ছিলো।

জলবায়ু অর্থ ব্যয় গোপনীয়তায় আবদ্ধ এবং স্থূল বিকৃতির সাপেক্ষে: গত বছর রয়টার্সের একটি তদন্তে দেখা গেছে, ইতালি এশিয়ায় আইসক্রিমের দোকান খুলতে সহায়তা করেছে এবং জাপান বাংলাদেশে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অর্থ সরবরাহ করেছে এবং একটি জলবায়ু অর্থায়নের ছদ্মবেশে মিশরে বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

২০১৫ প্যারিস চুক্তি অনুসারে সব দেশকে অবশ্যই নতুন স্বচ্ছতা প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। উন্নত দেশগুলো ২০২২ সালের মধ্যে তাদের প্রথমে প্রতিবেদন জমা দেওয়া কথা বলা হয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা এই বছরের শেষ পর্যন্ত।

বাবায়েভ উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোকে দ্রুত তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি চান আগামী ১১ নভেম্বর থেকে কপ-২৯ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই যেন এসব দেশ তাদের প্রতিবেদন জমা দিক। যদি দরিদ্র দেশগুলো স্পষ্টভাবে তাদের স্বচ্ছতা দেখাতে পারে অর্থাৎ তারা গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর চেষ্টা করছে, জলবায়ু সংকটের প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে তাহলে উন্নত দেশগুলো তাদের কাছ থেকে জলবায়ু অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য কম অজুহাত পাবে।

বাবায়েভ বলেন, যদি এসব দেশ তাদের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছ চিত্র জমা দেয়, তবে এটি উন্নত বিশ্বের জন্য উন্নয়নশীল বিশ্বের অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য একটি খুব ভাল যুক্তি হবে। আমরা আন্তঃসংযোগকারী হতে চাই।

আজারবাইজান তেল এবং গ্যাসের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা দেশের রপ্তানির ৯০ শাতাংশেরও বেশি এবং রাষ্ট্রীয় বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি। বাবায়েভ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি উত্পাদকদের কপ-এ মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সমস্ত দেশকে, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় একসাথে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই, ভাবতে চাই কিভাবে আমরা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ ইতিমধ্যেই দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থ সাহায্য করছে। দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক ভিত্তিতে তারা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের সবুজ পরিবর্তনের জন্য বিনিয়োগ করছে।

আজারবাইজানের প্রধান আলোচক ইয়ালচিন রাফিয়েভ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারীরা সমস্যার একমাত্র উৎস হিসেবে চিহ্নিত হতে চায় না। তিনি উল্লেখ করেন, অন্যান্য খাত যেমন পরিবহনও কার্বন নির্গমনের বড় উৎস।

তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানী দেশগুলোকে আমি বৈধ উদ্বেগ বলে মনে করি। এদের দূষণকারী হিসাবে চিহ্নিত হতে চাই না।

;

জামিন পেলেও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না কেজরিওয়াল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন আবেদনের শুনানিতে ইডির প্রতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধানের দায়ের করা মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয় বলে মঙ্গলবারের (৭ মে) শুনানিতে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ।

এই বেঞ্চ ইডিকে বলেছেন, ‘অধিকার থেকে কাউকে আপনি বঞ্চিত করতে পারেন না।’

শীর্ষ আদালত আরও বলেছেন, ‘কেজরিওয়াল একজন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, যদি কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়, তা হলেও তিনি কোনো সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না।’

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল। তারপর থেকে তিনি জেলবন্দি রয়েছেন। তার গ্রেফতারকে বেআইনি দাবি করে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার আইনজীবীরা।

কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা চলতি মাসের শেষ দিকে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হন আপ প্রধান।

গত শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ মন্তব্য করেছিল যে, ‘লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’

আদালত আরও মন্তব্য করেছিল, ‘গ্রেফতারের বিরুদ্ধে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের শুনানির জন্য সময় লাগতে পারে।’

তাই আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের কথা ভাবতে পারে। তারপর থেকেই কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

মঙ্গলবার শুনানির সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের প্রসঙ্গ তুলে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেজরিওয়ালের মুক্তি গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।’

বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ তখন জানায়, তারা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন শুনবেন। কারণ, কেজরিওয়াল একজন জনপ্রতিনিধি। নির্বাচনে জিতেছেন। নির্বাচনে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে তার।

তখন কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আদালতে জানায়, ‘ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার কেজরিওয়ালকে জামিন দিলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তদন্তের স্বার্থে ছয় মাসে তাকে নয়বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি একবারও হাজিরা দেননি।’

তখন সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘দেশে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে, আমরা কখনই তা উপেক্ষা করতে পারি না।’

;