দায়িত্ব পালনকালে এবছর বিশ্বে নিহত ৬৭ সাংবাদিক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চলতি বছর বিশ্বে ৬৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। যার অধিকাংশ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, হাইতিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও মেক্সিকোতে অপরাধী চক্রগুলোর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার জেরে। খবর আল জাজিরা

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইজেএফ) ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কর্মরত সাংবাদিকদের হতাহতের তালিকা প্রকাশ করেছে। সে তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে ২০২১ সালে ৪৭ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হন।

আইএফজে বলছে, চলতি বছর অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় ইউক্রেনে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা মোট ১২ জন। তাদের বেশিরভাগই ইউক্রেনীয় সাংবাদিক, তবে বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিকও মারা যান।

আইএফজে আরও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে সংবাদ সংগ্রহের সময় আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চলতি সপ্তাহে সেই হত্যা মামলার তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক আদালতে আবেদন করেছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

তালিকায় দেখা যায়, ইউক্রেনের পর মেক্সিকোতে ১১ জন নিহত হয়েছেন। হাইতি আছে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে, যেখানে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬। পরের অবস্থানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান, যেখানে রাজনৈতিক সংকটে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন সাংবাদিক।

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফিলিপাইনে ফার্ডিনান্ড ‘বংবং’ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়রের শাসনামলের প্রথম বছরে ৪ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আফ্রিকার দেশ চাঁদ ও সোমালিয়ায় মারা গেছে ৪ জন সাংবাদিক। মহাদেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে আমেরিকায় ২৯ জন, এশিয়া প্যাসিফিকে ১৫ জন, ইউরোপে ১৪ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আরব বিশ্বে পাঁচজন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

দুই বছর আগে থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিক নির্যাতনের তালিকা প্রকাশ শুরু করে আইজিএফ। জাতিসংঘের মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

কর্মরত অবস্থায় কারাবন্দি হওয়া সাংবাদিকদের একটি পরিসংখ্যানও দেখিয়েছে আইজিএফ। এ বছর কর্মরত অবস্থায় কারাবন্দি সাংবাদিকের সংখ্যা ৩৭৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দি রয়েছে চীন, মিয়ানমার, তুরস্ক, ইরান ও বেলারুশে। গত বছরের কারাগারে বন্দি সাংবাদিকের সংখ্যা ৩৬৫ জন। চীন ও হংকংয়ে তার মিত্ররা ৮৪ সাংবাদিককে কারারুদ্ধ করে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এরপর মিয়ানমারে আটক আছে ৬৪, তুরস্কে ৫১, ইরানে ৩৪, বেলারুশে ৩৩, মিসরে ২৩, রাশিয়া ও ক্রিমিয়ায় ২৯, সৌদি আরবে ১১, ইয়েমেনে ১০, সিরিয়ায় ১০ ও ভারতে ৯ জন সাংবাদিক কারারুদ্ধ রয়েছেন।

   

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তারা দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এ ঘটনায় অপরাধীর বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ।



;

আমিরাতে প্রথম নারী কৃষক হিসেবে জিতলেন পুরস্কার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতির পিতা প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের বাড়ির উঠোনে কয়েক দশক আগে কৃষিকাজের যাত্রা শুরু করেছিলেন আমনা খলিফা আল কেমজি। তিনি বাড়ির উঠোনে চাষ করতে থাকেন বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলমুল; হয়ে উঠেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম নারী কৃষক।

তার কৃষি প্রচেষ্টা, আবেগ এবং প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিতে আবুধাবির সাবেক প্রধান তাকে খামারটি উপহার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ প্রদান করেন পুরস্কার। তাকে জৈব কৃষিতে অগ্রগামী সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরিবেশগত স্থায়িত্ব রক্ষায় অবদান এবং সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদেরও কৃষিকাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য আল কেমজিকে সম্মানিত করা হয়।

জানা যায়, আমনা খলিফা আল কেমজি কয়েক বছর ধরে টমেটো, আঙ্গুর, ডুমুর, তরমুজ, লাল মরিচসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রোপণ করতেন। আল কেমজি শীতকালীন সবজির পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফসলও চাষ করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী শেখ শাখবুত বলেন, ‘আমনা খলিফা আল কেমজি চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। বাড়ির উঠানের এক কোণে প্রথমে কৃষি প্রকল্প শুরু করলেও আল কেমজির অধ্যবসায় এবং আবেগ তার কৃষি উদ্যোগকে প্রসারিত করতে সক্ষম করেছে। তার উৎপাদন দেখে আমরা মুগ্ধ।

শেখ জায়েদ কেমজির জন্য একটি খামার নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেখানে তিনি ডুমুর, আঙ্গুর এবং ৭০ টিরও বেশি জাতের শাকসবজি এবং ফলমুল চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন।

;

তীব্র খরায় বতসোয়ানায় শুকনো নদীতে আটকা বিপন্ন জলহস্তী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফ্রিকান দেশগুলো তীব্র খরায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খরা-কবলিত আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় শুকনো জলাশয়ের কাদায় আটকে থাকা বিপন্ন হিপ্পোর পাল মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এএফপিকে জানিয়েছে, এল নিনোর আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা মারাত্মক খরা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এতে ঐ অঞ্চলের ফসল হুমকির মুখে পড়েছে, লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছে।

উত্তর বতসোয়ানার ওকাভাঙ্গো ডেল্টার বিস্তীর্ণ জলাভূমির কাছে শুকিয়ে যাওয়া নদীতে হিপ্পোর পাল আটকে যায়।

বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে বন্যপ্রাণী ও জাতীয় উদ্যান বিভাগের (ডিডব্লিউএনপি) মুখপাত্র লেসেগো মোসেকি বলেছেন, নদী ব্যবস্থা শুকিয়ে গেছে এবং প্রাণীরা একটি আপোষহীন পরিস্থিতিতে রয়েছে।

বতসোয়ানা হল বন্য অঞ্চলে বসবাসকারী হিপ্পোদের বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার আবাসস্থল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN)-এর তথ্য মতে, আনুমানিক ২ হাজার থেকে ৪ হাজার হিপ্পো রয়েছে।

মোসেকি বলেন, এনগামিল্যান্ডে (উত্তর-পশ্চিম জেলা) জলহস্তী ওকাভাঙ্গো ডেল্টা সিস্টেমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জলের উপর নির্ভর করে। তারা এখনও পুলগুলিতে কতগুলি জলহস্তী মারা গেছে তা খতিয়ে দেখছে।

হিপ্পোদের চামড়া পুরু কিন্তু সংবেদনশীল ত্বক থাকে। এদের রোদে পোড়া এড়াতে তাদের নিয়মিত পানিতে গোসল করতে হয় এবং এরা সাধারণত আর্দ্র অঞ্চলে থাকে।

পানি ছাড়া তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে এবং গ্রামের কাছে যেতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মানুষের সাথে সংঘাত এড়াতে হিপ্পোদের সংরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এল নিনো হল একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট জলবায়ু প্যাটার্ন যা সাধারণত বিশ্বব্যাপী তাপ বৃদ্ধির সাথে যুক্ত থাকে, যা বিশ্বের কিছু অংশে খরা এবং অন্যত্র ভারী বৃষ্টিপাতের দিকে পরিচালিত করে।

;

কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কম্বোডিয়ার পশ্চিম সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ২০ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট।

ফেসবুকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বলেন, কম্বোডিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কাম্পং স্পিউ প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, এতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তবে কি কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হবে।

সূত্র- এনডিটিভি

;