প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যে ইতিহাস লেখা হয়নি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তানজানিয়ায় ব্রিটিশ সৈন্যদের কবর /ছবি: সংগৃহীত

তানজানিয়ায় ব্রিটিশ সৈন্যদের কবর /ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধ হয়েছে ইউরোপে কিন্তু আফ্রিকায় মানুষ কেন হত্যা হবে? তবে এটা যে বিশ্বযুদ্ধ, এখানে বিশ্বের সব দেশের মানুষ না মারা গেলে কিংবা সব দেশের ক্ষতি সাধন না হলে এটাতো সেভাবে বিশ্বযুদ্ধ বলা যায় না।

এ জন্যই হয়ত সারা পৃথিবীতে এক দেশ অন্য দেশের প্রতি এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে অবলীলায়। বলছি প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের কথা। যে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও লাখো মানুষ নির্বিকার প্রাণ হারিয়েছে অগোচরে।

অনেক দেশ আছে যারা শুধু সীমান্তবর্তী হওয়ায় বিশ্বের জঘন্য তাণ্ডবলীলার নির্মম সাক্ষী হয়েছে। আবার এমনও অনেক দেশ ও অনেক মানুষ শুধু যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছে কিন্তু ইতিহাস হতে পারেনি।

তেমনি একটি দেশ তাঞ্জানিয়া। পূর্ব আফ্রিকার এ দেশটিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। ১০০ বছর পূর্বের এই যুদ্ধে মাত্র কয়েকজন জার্মান সৈন্যকে কেন্দ্র করে দেশটিতে হত্যাযজ্ঞ চালায় ব্রিটিশ সৈন্যরা।

১৯১৪ সালে যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে ১৯১৮ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে ব্রিটিশরা এই অঞ্চল থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে। চার বছরের এ সময়টাতে এক লাখেরও বেশি তাঞ্জানিয়ান নাগরিক প্রাণ হারায়। অথচ তাঞ্জানিয়ার এই অঞ্চলটিতে মাত্র ২৫ হাজার জার্মান সৈন্য ছিল বিধায় দেশটির লক্ষাধিক প্রাণ বলিদান দিতে হয়েছে।

কী দোষ ছিল এই অঞ্চলের মানুষদের? প্রথম বিশবযুদ্ধ চলাকালীন আফ্রিকার দেশটি জার্মানদের উপনিবেশে ছিল। জার্মানদের দখলে থাকা দেশটিতে নিজেদের সামরিক মহড়া ও এর আশেপাশের দেশকে ঘায়েল করার জন্য সেখানে সেনা মোতায়েন করে। এজন্য ব্রিটিশ সরকার তাঞ্জানিয়ায় অবস্থিত জার্মান সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অজুহাতে দেশটিতে এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।

সম্প্রতি, বিশ্বযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ দেশটির  ইতিহাসবিদ ক্যাথলিন বোনামি বলেন, ‘আমি এই হত্যাযজ্ঞের ভেতর বাহির সব জানি। ইউরোপের মত এখানেও প্রথম বিশবযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করা হয়।’

অথচ তাঞ্জানিয়ার এই ইতিহাস লেখা হয়নি কোন বৈশ্বিক ইতিহাসের বইয়ের পাতায়। কখনো কোনো বিশ্বনেতার মুখে উচ্চারিত হয় না এই হত্যাযজ্ঞের কথা। এ যেন এক অলিখিত ইতিহাস, যা কেউ কোনো দিন জানবে না, পড়বে না।

শুধু তাঞ্জানিয়ার মানুষজন এ হত্যাযজ্ঞকে স্মরণ করে যাবে। এমনকি দেশটিতে নিহত ব্রিটিশ সেনাদের জন্য ইটের কবরস্থান তৈরি করা হলেও স্বদেশেই নিখোঁজ রয়েছে তাঞ্জানিয়ার মৃতদের কবর।

   

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।

শনিবার (১৮ মে) তাঁদের এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এএফপি। 

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। ৫৩ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী। তাকে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচআর জানিয়েছে, এ বছর ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে অন্তত ৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

;

সৌদি আরবে বিকিনি পরেই হাঁটলেন মডেলরা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রক্ষণশীলতার বেড়াজাল থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। দেশটিতে নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধি-নিষেধও উঠছে ধাপে ধাপে।

এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়ও সৌদির এক মডেলকে দেখা গেছে। বোরখা খুলে বিকিনি পরেই র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন ২৭ বছরের রুমি আলকাহতানি।

মিন্ট জানিয়েছে, এবার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্ব। সেটা হলো, এই প্রথম সেই দেশে বিকিনি পরেই ফ্যাশন শো’তে হাঁটেছেন মডেলরা।

সৌদিতে শুক্রবার (১৭ মে) রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল। আর সেখানেই এই বিপ্লব ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের পাশেই আয়োজন করা হয়েছিল সেই ফ্যাশন শো’র।

ওই ফ্যাশন শো’র ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাক ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রং-বেরঙের বিকিনিতে একে একে হেঁটে চলছেন সুন্দরী মডেলরা।

মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট। তবে, বিকিনি পোশাক পরলেও অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেছে তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শো’র দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল বিকিনিগুলোর নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শো’তে অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’’

;

ব্রাজিলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের দক্ষিণের রিও গ্রান্ডে ডো সুল রাজ্যে ঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা শুক্রবার (১৭ ) জানিয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বেড়েছে।

সংস্থাটির মতে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের অন্তত ৪৬১টি পৌরসভায় প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মোট ৬ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ১৯ দিনের জরুরি অবস্থার মধ্যে ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নজিরবিহীন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাজ্যটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়।

রাজ্যেটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রের সালগাদো ফিলহো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে চিলিতে তার রাষ্ট্রীয় সফর স্থগিত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও দা সিলভা।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে গত সোমবার (১৪ মে) জানিয়েছিল যে, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কারণে আগামী ১৭ ও ১৮ মে প্রেসিডেন্টের চিলি সফর হচ্ছে না।

ব্রাজিলের সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, বন্যার ফলে এখনও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

;