ইন্ডাস্ট্রি ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহ্’র প্রথাবিরোধী যত ভাবনা



যাকওয়ান সাঈদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
নাসিরুদ্দিন শাহ্

নাসিরুদ্দিন শাহ্

  • Font increase
  • Font Decrease

নাসিরুদ্দিন শাহ্ একজন বলিউড অভিনেতা। নানাসময়ে তিনি নানামুখী সাহসী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে একটি বিতর্কিত অবস্থায় নিজেকে উপস্থাপন করে থাকেন। ফলে তার ব্যাপারে উপমহাদেশের মানুষদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়। অনেকের মনে তার জন্য রয়েছে অসামান্য ভালোবাসা, আবার অনেকের কাছেই তিনি ঘৃণার পাত্র।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/20/1563613235548.jpg
তরুণ বয়সে নাসিরুদ্দিন শাহ্ ◢

 

কিছুদিন আগেও এই অভিনেতা ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিস্তর আলাপ-আলোচনার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। সেই সময়কালে ভারতের একটি নামকরা দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “মানুষ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে কেন বলতে পারেন? মূলত সে স্ক্রিনে তার নিজের নামটা একটু দেখতে চায়। এটা তাদের কাছে একটা আকর্ষণীয় ব্যাপার। আমি নিজেও স্বপ্ন দেখতাম, অভিনেতা হয়ে নিজের নামটা পর্দায় দেখতে পাব। আসলে যেইসব লোকেদের কাজবাজ নাই, তারাই মূলত স্যোশাল মিডিয়া থেকে এই সুযোগটা নিয়ে থাকে। অন্য লোকদের ব্যাপারে তারাই বিরূপতা তৈরি করতে চায়, ঘৃণা অথবা অশ্লীলতা ছড়ায়, এগুলোই তাদের কাজ।

নাসিরুদ্দিন শাহ্ সর্বদাই চলমান বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অর্থহীন সিনেমাসমূহকে প্রশ্নের মুখোমুখি রাখতে চেষ্টা করেছেন। মূলত তাকে, এবং ওম পুরি নামক আরেকজন অভিনেতাকে বলিউডের সবচেয়ে শক্তিশালী নন-কমার্শিয়াল অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কমার্শিয়াল সিনেমার ব্যাপার তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “কমার্শিয়াল সিনেমাগুলো একটা বৃহৎ সংখ্যক সনাতনী ধ্যানধারণাকে সমাজে চালু রাখতে সাহায্য করে, যেগুলো আসলে পরিবর্তন হওয়া উচিত। দুঃখজনকভাবে এখানকার টেলিভিশন সিরিজগুলোও এই ধরনের চিরক্ষতিকর বিষয়গুলোর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে। এগুলো সেই পুরান আমলের নারীবিদ্বেষী প্রেক্ষাপটগুলোকেই প্রচার করছে। যেমন একজন মহিলা সর্বদাই তার স্বামীর পেছনে পেছনে চলছে, অথবা স্বামীর পায়ের ওপরে শুয়ে আছে, অথবা ‘মেরে তুলসি তেরে আগান কি’ জাতীয় কথা বলে বলে তার স্বামীর অপেক্ষা করছে। এই জাতীয় রাবিশ আর পশ্চাদমুখী পরিবার প্রথাগুলো কোনোভাবেই এই বর্তমান দুনিয়ার সঙ্গে মানানসই না।

কমার্শিয়াল সিনেমার প্রতি এধরনের মনোভাব পোষণ করা ছাড়াও নাসিরুদ্দিন নতুন সিনেমা, অর্থাৎ চিন্তাশীল নতুন চলচ্চিত্রকারদেরকে গুরুত্ব দিতে ভীষণভাবে তৎপর থাকেন। এবং তিনি নিজে ‘ইউটিউব জেনারেশন’-এর চলচ্চিত্রকারদের দ্বারা অভিভূত হতে চান, এমনটাই ব্যক্ত করেন।
এই প্রসঙ্গে তার বক্তব্যটি এমন, “আমি এইসব চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে আশা খুঁজে পাই। কেননা তারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে কোনো প্রকার প্রডিউসারের সঙ্গে বসাবসি ব্যতিরেকে। তারা বাজেট অথবা হলগুলো থেকে কী পরিমাণ টাকা রিটার্ন আসলো, এসব চিন্তা থেকে মুক্ত।

বলিউডের বিরাট বাজেটের সিনেমাগুলোর ব্যাপারে তিনি একপ্রকার হাস্যরসই করে থাকেন। সম্প্রতি কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “লক্ষ করবেন, হয় বলিউডে বিরাট বিরাট বাজেটের ছবিগুলো হচ্ছে, আর নয়তো হচ্ছে স্বল্প বাজেটের ইন্ডিপেন্ডেট ছবি। মাঝামাঝি কিছু নেই। আর বড় ছবিগুলো একের পর এক শুধু ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু তাতে কি বলিউডের শিক্ষা হচ্ছে? এক ডজন অভিনেতাকে নিয়ে আরো বড় বড় ছবি বানিয়ে যাবে তারা, এন্ড হোপফুলি দে উইল কিপ লুজিং মানি।

নাসিরুদ্দিন শাহ্ পারিবারিক জীবনকেও সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। এবং বর্তমান ভারতের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিতে তিনি নিজের পরিবারকে নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম পরিবার থেকে আসলেও তার স্ত্রী একজন হিন্দু পরিবার থেকে আসা মানুষ, কাজেই তার সন্তানদের পক্ষে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের পরিচয়ে নিজেদেরকে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এপ্রসঙ্গে নাসিরুদ্দিন বলেন, “আমি আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি। কেননা, এই ইতর জনগণ আগামীকালকে যদি তাদেরকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসা করে, তোমরা হিন্দু নাকি মুসলিম, সেক্ষেত্রে তাদের কোনো উত্তর দেওয়ার থাকবে না।” নাসিরুদ্দিনের ভিভান শাহ এবং ইমাদ শাহ নামে দুইজন পুত্র সন্তান আর হীবা শাহ নামে একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/20/1563613579950.jpg
পরিবারের সদস্যদের সাথে নাসিরুদ্দিন শাহ্ ◢

 

স্ত্রী রত্না পাঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্কটা এক ধরনের কেমিস্ট্র, যা মূলত দুইজন অভিনয়শিল্পীর মধ্যে সুন্দর বিবেচনাবোধ হিসেবে বিরাজ করে, এবং যখন সম্ভব হয় একে অন্যকে সাহায্য করে।

নাসিরুদ্দিন শাহ্ রত্না পাঠকের ব্যাপারে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ, তার কিছু কথায় এধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়। যেমন তিনি বলেন, “সে আমাকে চমৎকারভাবে সাহায্য করে, ঠিক ততটা সাহায্য আমিও তাকে করতে পারি না। প্রায় প্রত্যেকটা বিষয়ে আমি তার মতামতের ওপর ভরসা করে চলি, এমনকি আমার সিনেমার কাজগুলোর ক্ষেত্রেও। তার মতামত আমার জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/20/1563614014136.jpg
নাসিরুদ্দিন শাহ্ এবং ওম পুরি ◢

 

আজ ২০ জুলাই, এই বরেণ্য অভিনয় শিল্পীর জন্মদিন। নিচে তার বিখ্যাত কয়েকটি উক্তি বা কোটেশন উল্লেখ করা যাক। এর আগে, তার ব্যাপারে আমাদের কিছু বিষয় জেনে নিলে ভালো। ফুটনোট আকার ওই বিষয়গুলো প্রথমে উল্লেখ করা যাচ্ছে—

• সিনেমায় আসার আগে নাসিরুদ্দিন শাহ্ একজন শক্তিশালী থিয়েটার অভিনেতা ছিলেন। ১৯৭৭ সালে এই মর্মে তিনি ‘মটলি প্রডাকশন’ নামে একটি নাট্যদল গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে তার সহযোগী ছিলেন অভিনেতা বেঞ্জামিন গিলানি এবং মার্কিন বংশোদ্ভুত অভিনেতা টম অল্টার।

• তার সিনেমা-জীবনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সিনেমার পর্দায় প্রথম কাজ হিসেবে ‘নিশান্ত’ নামের একটি ছবিতে তিনি খুব ছোট একটি রোল করেছিলেন।

• জীবনের ২০ বছর বয়সেই তিনি প্রথম বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই বিয়ে টিকেছিল মাত্র এক বছর। তার প্রথম স্ত্রীর নাম মানারা সিক্রি।

• নাসিরুদ্দিন শাহ্ কখনোই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে এক পর্দায় অভিনয় করেননি।

• তিনি দিল্লির ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’ থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

• এই পর্যন্ত তিনি একশোটিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

• ১৯৫০ সালের ২০ জুলাই তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বরাবাঁকি নামক একটি স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলে মোহাম্মদ শাহ, আর মাতার নাম ফাররুখ সুলতান।

• তিনি ১৯৭১ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

• ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি ভারত সরকার কর্তৃক দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করেছেন, এর সময়কাল ছিল ১৯৮৭। আর ২০০৩ সালে তিনি ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননাও অর্জন করেন, এটি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা।

নাসিরুদ্দিন শাহ্’র বিখ্যাত ২৭টি উক্তি

১. আপনি হাসতে পারা আর কাঁদতে পারার পারদর্শিতার ওপরেই শুধু ভরসা রাখতে পারেন না, আর ভাবতে পারেন না যে এটাই অভিনয়ের একমাত্র নিহিত অর্থ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের দেশে কান্নাকেই সর্বদা ভালো অভিনয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২. ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখনো মনে করে, আপনি একজন অভিনেতা নিয়ে আসবেন আর তাতেই একটা ফিল্ম তৈরি হয়ে যাবে। একথাও অনেকাংশে সঠিক বটে, কিন্তু এমন কিছুকে আমি কখনোই সম্মতি দেব না।

৩. আমি পরবর্তীকালে ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, একজন প্রথাবিরুদ্ধ অভিনেতা তাদের তৃতীয় বা চতুর্থ চয়েজ হিসেবে থাকে। এবং একমাত্র তখনই তাকে কাস্ট করা হয়, যখন তারকা অভিনেতারা সেই পার্টে অভিনয় করতে অনীহা প্রকাশ করে।

৪. মাসালা সিনেমাতে অভিনয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটা দেখতে-শুনতে ভালো শরীর। আর জানতে হবে কিভাবে পোশাক পরতে হয়, কিভাবে নাচতে হয়, কিভাবে মারামারি করতে হয়, বা কিভাবে হাসি-কান্নার অভিনয় করতে হয়। কিন্তু একজন মানুষ হয়ে ওঠার পক্ষে দরকারি জীবনদর্শন এবং চিন্তাচেতনার সঙ্গে আপনার কোনো বোঝাপড়া করতে হবে না। কেননা মাসালা সিনেমাগুলো এগুলোর কোনোটাই ধারণ করে না।

৫. বলিউডে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। সবকিছু এখানে তেমনই আছে, পঞ্চাশ বছর আগেও যেমনটা ছিল। হয়তো ফটোগ্রাফি আর এডিটিংটা ভালো হয়েছে, কিন্তু বিষয় বা সারাংশ সেই সত্তরের দশকে যেমন ছিল, আজও তেমনই ছেলেমানুষি রয়ে গেছে।

৬. এখানে প্রতিভা কিংবা সহজাত ক্ষমতা বলতে কিছু নেই। এখানে যা আছে তা প্রতিভার ঘাটতি বা অভাব। প্রতিভার অভাব পরিলক্ষিত হয় তখন, যখন কেউ তার নির্দিষ্ট স্থানে থাকে না।

৭. আমি কখনোই আমার চুল রঙ করার সিদ্ধান্ত নিইনি। কেননা এতে করে, একজন পুরুষকে মোটেও কমবয়স্ক লাগে না। বরং, আমার মনে হয়, পুরুষের মুখের বয়সচিহ্ণগুলো আরো স্পষ্ট হয়, যখন আপনি চুল রঙ করেন।

৮. সামহাউ, হলিউড ফিল্মগুলো আমার মধ্যে যেভাবে কাজ করে, হিন্দি সিনেমাগুলো মোটেও তেমনটা করে না। সেই পাঁচ বা ছয় বছর বয়সে আমি দেখতে পেয়েছিলাম, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ধরনেই এই দুই ঘরানার সিনেমার মধ্যে তফাৎ রয়েছে।

৯. স্বতন্ত্র সত্তা তার নিজস্ব পথকেই শুধু গ্রহণ করে। আমার বাবা তার চিন্তানুযায়ী সবচেয়ে উৎকৃষ্ঠ পন্থায় আমাকে গাইড করতে চেয়েছিলেন, এবং এটা কাজ করেনি। আমি আমার চাওয়া পথেই গিয়েছি।

১০. বোম্বের মাটিতে আমার পদার্পণটি খুব ভাগ্যমণ্ডিত ছিল। বোম্বেতে তখনই সবেমাত্র সিরিয়াস সিনেমার গোড়াপত্তন ঘটতে চলেছিল।

১১. মানুষ ভাবে আমি মজা করছি, যখন আমি বলি আমার ফেভারিট অভিনেতারা হলেন শাম্মি কাপুর আর দারা সিং।

১২. ফাইনালি আমি অনুধাবন করেছি যে, দেখতে ভালো হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

১৩. আমি প্রত্যেকটা প্রজেক্টে যাই সমান উৎসাহ আর সমান আশাবাদ নিয়ে। কিন্তু সেসবের কোনো কোনোটা ফলে, আর কোনো কোনোটা বিফলে।

১৪. আমি মনে করি না, কারো জীবনকে পাল্টে দেওয়ার শক্তি সিনেমার আছে।

১৫. পড়াশোনাকে বাদ দেওয়ার জন্যে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন না।

১৬. আমি স্কুলে শেক্সপিয়ার পড়াতে চাই। কিন্তু, সমস্যা হলো, যদি আমি আমার পদ্ধতি প্রয়োগ করি তাহলে তারা আমার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়বে।

১৭. থিয়েটার আপনাকে এমন একটা পৃথিবীর দিকে নিয়ে যাবে যেখানে আপনার কল্পনাশক্তি আরো শাণিত হবে, আপনার অভিমতগুলো আরো শক্তিশালী হবে, আর এভাবে অভিনয়কে উপভোগ করা আপনার পক্ষে আরো সহজ হবে।

১৮. থিয়েটারের সবচেয়ে সুন্দর সংজ্ঞাটা আমি ফেলে এসেছি, সেটা হলো, ‘একজন অভিনেতা, একজন দর্শক।’

১৯, রাজনৈতিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ লোকদেরকে আমি পছন্দ করি। এবং পছন্দ করি, যারা খুব যাচ্ছেতাই।

২০. আমি এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনো কিছুর কাছেই ঋণী না। আমি তাদেরকে নিয়ে আমার ক্যারিয়ার শুরু করিনি। তারা আমার কাছে আসে, যখন তাদের একজন অভিনেতা প্রয়োজন হয়, যে ভালো ভালো বিষয় ডেলিভারি দিতে পারে।

২১. সবাই সন্তুষ্টি বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা বলে। এখানে মূলত এমন একটা কিছু আছে, যেটাকে অর্থনৈতিক সন্তুষ্টি বলা যায়।

২২. আমি আমার বাচ্চাদেরকে গাইড করতে গিয়ে এই ভুল করিনি যে, তাদেরকে আমার পছন্দসই পথে চলতে হবে। আমি তাদেরকে তাদের নিজস্ব পথ খুঁজে নেবার স্বাধীনতা দিয়েছিলাম। আমার তাদের প্রতি বিশ্বাস আছে, এবং তারা এটার মূল্য রাখবে।

২৩. আমি সমালোচনাকে সমাদর করি। আমি তাদেরকে পছন্দ করি যারা আমাকে বলে, আমার কাজ তাদের পছন্দ হয়নি এবং কেন পছন্দ হয়নি। কাউকে প্রশংসা করার চাইতে সমালোচনা করাটা অধিক খাটুনির ব্যাপার।

২৪. ব্যর্থতা মানে হলো একজন মানুষ তার কাজ খুঁজে পায়নি। কারণ সে জানে না, তার কী কাজ। বেশিরভাগ অভিনেতার ব্যর্থ হবার পেছনে এটাই কারণ যে, তারা জানে না তাদের কী কাজ।

২৫. এরকম বিশ্বাস করা নিতান্ত বোকামি যে, থিয়েটারে আপনার পারফর্ম করা মানে সেটা একটা বিশেষ ব্যাপ্ত ঘটনা। ভালো অভিনয় মানে ভালো অভিনয়, সেটা মঞ্চে হোক আর সিনেমায় হোক।

২৭. একজন অভিনেতার মধ্যে থাকা নানামুখী আবেগ-অনুভূতির বৈচিত্রকে খুঁজে নিতে পারাই তার কাজ।

   

বিশ্ব চা দিবস



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চা / ছবি: বিং এআই

চা / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

কনকনে শীতে কাপছেন। সোয়েটার-চাদর মুড়ে বসলেও গা ভেতর থেকে কাঁপুনি কমছে না। অথবা কাজ করতে করতে মাথা ঝিমঝিম করছে। অস্বস্তি সহ্যও হচ্ছে না, অথচ এই স্বল্প ব্যথায় ঔষধও তো খাওয়া যায় না! কিংবা বাসায় আসা কোনো মেহমান বা বিকেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বসেছেন। শুধু মুখে বসে থেকে গল্প করতে কতক্ষণই বা ভালো লাগে? এরকম সব পরিস্থিতি সামাল দিতেই রয়েছে- চা।

আজ ২১ মে বিশ্ব চা দিবস। তথ্য অনুযায়ী ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম চায়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে একে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা চিন্তা করা হয়। বিশ্ব সামাজিক ফোরাম এই সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারপরের বছর ২০০৫ সালে প্রথমবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বিশ্ব চা দিবস উদযাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায়েএই দিবস পালন করা হয়। ২০১৫ সালে চা দিবসে উদযাপন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়। ২০১৯ সালে জোতিসংঘ কয়েকটি দেশের সম্মিলিত উপস্থিতিতে ২১ , চা দিবসের আয়োজন করে।   

 চা পাতা তোলা / ছবি: বিং এআই

চায়ের জন্ম হয় ঠিক কবে হয়েছিল তার নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, আজ থেকে ৫ হাজার বছরেরও আগে সৃষ্টি হয় এই পানীয়। এশিয়ারই বৃহত্তর দেশ চীনে এর জন্ম হয়। তৎকালীন সময়ের পাওয়া জিনিসপত্রে চায়ের অস্তিত্বের প্রমান মেলে। ক্যামেলিয়া সিনেনসিস উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন হয় এই পানীয় তাই চীনের নামের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  সাধারণ পাহাড়ি অঞ্চলে শক্ত পাথুরে মাটিতে জুমচাষে চা উৎপন্ন করা হয়। আমাদের দেশেও বৃহত্তর সিলেটঅঞ্চল এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশে চা পাতা চাষকরা হয়।    

কম-বেশি চা খান না- এমন মানুষ হাতে গুনতে পারা যায়। মূলত উদ্ভিজ এই পানীয় জনপ্রিয় তার অনন্য স্বাদ, ঘ্রাণ এবং উপকারের জন্য। কফি অনেকেই পছন্দ করেন। তবে চিকিৎসকরা অনেককে কফির উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। চায়ের ক্ষেত্রে সেই বালাই নেই। তাই চা-কে অন্য সব পানীয়ের মতো শুধু একটি পানীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। বরং একে খাদ্যতালিকার পানির পরে পানীয় হিসেবে এক বিশেষ অংশ হিসেবে মনে করা হয়।  

চাষ করা চা পাতা শুকিয়ে নিয়ে, গরম পানি বা দুধে চিনি ও অনেকক্ষেত্রে মশলা মিশিয়ে শুকনো সেই পাতা দিয়ে বানানো হয় চা। আমাদের দেশ হোক বা বাইরের দেশে, অধিকাংশ মানুষের জীবন ধারার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এই পানীয়।   

;

অকালে আম পাকে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অপরিপক্ক পাকা আম / ছবি: পিক্সাবে

অপরিপক্ক পাকা আম / ছবি: পিক্সাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বৈশাখে তোর রূদ্র ভয়াল,

কেতন ওড়ায় কালবৈশাখী!

জষ্ঠি মাসে বনে বনে

আম কাঠালের হাট বসে কি...’

রবিঠাকুরের কলমে রচিত এ পংক্তি যেন, কেবল কাগজের উপর কালিতে সাজানো কিছু শব্দ নয়। বাংলা বছরের প্রথম ঋতুর সকল বৈশিষ্ট্য খুব অল্প ভাষায় সুসজ্জ্বিত করে গানের রূপে সামনে আনেন বিশ্বকবি।

দিন গুনতে গুনতে বছরের প্রথম মাসটি অনায়াসে কেটে গেল। চলছে জৈষ্ঠ্য মাস। ভয়ংকর কাল বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে; জৈষ্ঠ্যের পাকা আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুই যেন গ্রীষ্মের আসল আনন্দ।  

গ্রীষ্মের পরিপূরক হলো আম। আম পছন্দ নয়, এমন মানুষটি খুঁজে পাওয়া দায়! এজন্যই আমকে বলে ফলের রাজা। ত্যক্ত-বিরক্ত করা গরমেও পাকা টসটসে আমের সুঘ্রাণই যেন আনন্দের স্বস্তি। তবে সে আনন্দেও বালি ঢেলে দেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ভোজন-রসিক মানুষরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে রসে টসটসে তাজা ফলের স্বাদ আস্বাদনের জন্য। অনেক ভোক্তদের সেই অপেক্ষা বৃথা হয়ে যায় অপরিপক্ক ফলের কারণে।

অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে আম পাকানোর চেষ্টা করে। আম যখন কাঁচা অবস্থায় থাকে তখন এর মধ্যে সাইট্রিক এসিড ম্যালিক এসিড, টারটারিক এসিড থাকে। এ কারণে আমের হাইড্রোজেন আয়নের ঋণাত্মক ঘনমাত্রার লগারিদম মান খুব কম হয়, ফলে আম অম্লধর্মী হয়। এছাড়া কাঁচা অবস্থায় আমে উচ্চ ওজনের পেকটিনের মজুদ বেশি থাকে।

অপরিপক্ক পাকা আম

সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে পাঁকার সময় এই পেকটিনের ওজন কমতে থাকে। আমের মধ্যকার ভিটামিন ‘সি‘ কালক্রমে বদলে ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। একই সঙ্গে ক্লোরোফিল পরিবর্তিত হয়ে গ্লোবুলার ক্রোমোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হয়। অ্যান্থোসায়ানিন পিগমেন্ট ফিনাইলপ্রোপানয়েডের সেকেন্ডারি মেটাবোলাইটসের  উপসি্থতি বাড়তে থাকে।(‘বিজ্ঞানচিন্তা’র তথ্যমতে) এই কারণে কাঁচা আমের সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে লালচে-হলুদাভাব বর্ণ ধারণ করে। এভাবে পাকার ফলে আম হয় সুস্বাদু। আমের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে যায়।

তবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড (CaC2)  এর প্রয়োগের কারণে আমের মধ্যে পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে থাকা (৮০থেকে৮৫ভাগ) ক্যালসিয়ামের কারণে আমের অম্লত্ব নষ্ট হতে শুরু করে। অম্ল-ক্ষারের প্রশমনের কারণে আমের মধ্যে থাকা ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিডের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই কাঁচা অবস্থাতেই আমের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করে।

আমের ভিটামিন বি১ পানিতে দ্রবনীয়। আমের আর্দ্র অংশের সঙ্গে ক্যালসিয়াম কার্বাইড বিক্রিয়া করে অ্যাকটেলিন গ্যাস উৎপন্ন করে। এতে আম অসময়েই পাক শুরু করে। সামগ্রিকভাবে আমের রাসায়নিক পরিবর্তন না ঘটলেও বাহ্যিকভাবে রঙের পরিবর্তনের কারণে দেখলে মনে হয় আম পেকেছে। এই অপরিপক্ক আম খেলে কেবল রুচি ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, তাই নয়! শরীরের জন্যও অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।

;

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ম্যাক্স' নামের একটি বিড়ালকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব লিটারেচার’ বা ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালটিকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম না থাকায় উপস্থিত ছিল না ম্যাক্স। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানে বিড়ালটি উপস্থিত ছিল না। তাই বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডোর কাছে খুব শিঘ্রই এই ডিগ্রি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   

বন্ধুসুলভ এই বিড়ালটিকে তার ইঁদুর শিকারের দক্ষতা বা অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য নয় বরং তার সহচার্যের জন্যই স্বীকৃতি দিয়েছে।   বিড়ালটিকে এই ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!

বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স দ্য ক্যাট, অনেক বছর ধরেই ক্যাসেলটন পরিবারের একজন আদুরে সদস্য। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তায় পাশেই বসবাস করে এক পরিবার। বিড়ালটি সেই পরিবারেরই পোষা।

বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডো বলেন, ‘বিড়ালটি ঠিক করেছে সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে। আর শিক্ষার্থীরাও তাকে আদর করতে শুরু করে।’

বিড়ালটি প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করছে। বিড়ালটিকে পথের ধারে শুয়ে থাকতে দেখলেই সবাই তার সঙ্গে সেলফি নেয়।

এমনকি সাবেক ছাত্ররাও যখনই ক্যাম্পাসে আসেন তারা তখনই বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডো-এর কাছে যান। ডো তাদের কাছে বিড়ালটির মা হিসেবেই বেশি পরিচিত।

;

৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে খেলা, কৈশরে পড়ালেখা, যৌবনে চাকরি, মধ্যবয়সে সংসার, বৃদ্ধবয়সে একটা মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজে অবসরে সময় কাটিয়ে দেওয়া। কপাল খারাপ থাকলে বিছানাতেই শোয়া বা আধশোয়া থেকে মৃত্যুর দিন গোণা। সাধারণত এভাবেই মানুষের জীবন কেটে যায়। অনেকে আবার মধ্যবয়সের পরেই নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অথবা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আবাসস্থল বানিয়ে দুর্বল হয়েই বেঁচে থাকেন। তবে খড়ের গাদায় সূচের মতো দু-একজন থাকে যারা একেবারেই ব্যতিক্রম। তেমনভাবেই আলোচনায় এসেছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ।  তার ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের ধারাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যুসমাজে।     

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জন স্টারব্রুক। তিনি একজন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়। এটি মূলত পানির মধ্যে বাস্কেটবলের মতো একধরনের খেলা। এইখেলার সাথে কুস্তি খেলারও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। জনের বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও যথেষ্ট সুস্থ এবং সবল তিনি। সমবয়েসীদের যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও ২ জনের সহায়তা লাগে, সেখানে এখনো ম্যারাথনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বেশ দক্ষ সাঁতারুও বটে! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

প্রায় শতাব্দি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের এমন কারিশমা দেখে চোখ ছানাবড়া হবার উপক্রম। জন মূলত একজন সাঁতারু। পেশাগতভাবে না হলেও অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাঁতার কাটেন তিনি। দেশের সম্মানজনক অনেপ্রতিযোগীতায় একাধিক বার চ্যাম্পিয়নের খেতাবও জেতেন। চাকরি করেছেন ‘ব্রিটিশ আর্মি মেডিক্যাল কর্পস’-। সেখানেও সাঁতারের দক্ষতার কারণে তার বেশ সুনাম ছিল।   

ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন ৯৩ বছরের জন

তবে সাঁতারের পাশাপাশি এখন ম্যারাথেনেও অংশগ্রহণ করেছেন জন। ৫২ টির বেশি ম্যারাথনের দৌড় শেষ করেছেন তিনি। জানালেন এই বয়সেও তার এমন চ্যালেঞ্জিং সব কাজের অভিজ্ঞতা। সুস্থতা ধরে রাখার রহস্যও ফাঁস করলেন সকলের কাছে। ব্রিটিশ নাগরিক জন বন্ধুদের কাছে ‘দ্য লিজেন্ডনামেই পরিচিত। একই নামে তাকে আখ্যায়িত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো

জন স্টারব্রুক জানান, তিনি এখনো সপ্তাহের ৬ দিনই জিমে যাতায়াত করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যাভাস নেই তার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখতে পছন্দ করেন- এই যা। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পোরিজ খান তিনি। তবে তিনি কখনো ধূমপান করেননি। অ্যালকোহলও খুব সীমিত পরিমাণে সেবন করতেন। মূলত এই বয়সেও এটা সবল থাকার পেছনে বংশ পরম্পরায় পাওয়া নিজের জীন আসল কারণ- বিশ্বাস করেন জন।

কারণ যাই হোক, প্রানবন্ত এই বৃদ্ধ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তার মতোই দৃঢ় মানসিকতা ধরে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুবক-যুবতীরা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

;