এরিয়া-৫১, মানুষের তৈরি অজানা রহস্য!



মোঃ শরীফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
এরিয়া-৫১

এরিয়া-৫১

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজ্ঞানপ্রেমী অথচ এরিয়া-৫১ এর নাম শোনেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যারা বিজ্ঞান ভালোবাসেন কিংবা কল্পবিজ্ঞান যাদের আকর্ষণের বিষয় তাদের কাছে রহস্যে ঘেরা এই স্থানটি সম্পর্কে জানার আগ্রহের শেষ নেই। 

আমেরিকার নেভাডা স্টেটের দক্ষিণে, লাস ভেগাস থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাহাড়ঘেরা মরুভূমির মধ্যে আছে নেভাদা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জ। আধুনিক মারণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাগার। প্রচলিত তথ্যমতে এই স্থানটিতে আমেরিকা ৫’শরও বেশি পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

আমেরিকার ভূখণ্ডে থাকা সবচেয়ে সুরক্ষিত কিছু জায়গা যেমন- পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস, নাসার সদর দপ্তর ও বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডেও অনুমতি নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারলেও এরিয়া-৫১ এর আশপাশে মিডিয়া বা জনসাধারণের প্রবেশাধিকার একেবারেই নিষিদ্ধ। 

অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও জায়গাটিতে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর! তবে চারদিকে খোলা বলেই এই জায়গায় মন চাইলেই প্রবেশ করতে পারবেন, সে আশার গুড়ে বালি। কঠোর সিকিউরিটি ব্যবস্থা, গিরগিটির মতো ছড়িয়ে থাকা হাজারো স্বশস্ত্র সৈনিক, অত্যাধুনিক ড্রোন এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি, মোশন, সাউন্ড, লেজার ও স্মেল ডিটেক্টরসহ রয়েছে অদৃশ্যমান সিকিউরিটি ব্যবস্থাও। তাই তো নোটিশ টাঙ্গিয়ে বড় করে লিখে দেওয়া হয়েছে, Use of deadly force Authorized, যা জানান দেয়, নিষেধ সত্ত্বেও প্রবেশের চেষ্টা করলে মৃত্যু নিশ্চিত।

কিন্তু কেন এই নিরাপত্তা, কী আছে এর ভেতরে? এমন কী গবেষণা চলছে সেখানে? এরকম হাজারো প্রশ্ন আজো দানা বেঁধেছে মানুষের মনে। তবে সে প্রশ্নের উত্তর জানা কিংবা জানার চেষ্টা করা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সামিল!

স্থানটিকে ঘিরে মার্কিন সেনাদের অস্বাভাবিক মাত্রার সুরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্ব জুড়ে সন্দেহ এবং কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে ভেবে থাকেন, এখানে মার্কিন সরকার বিশ্বব্যাপি নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বিশেষভাবে প্রচলিত আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে থাকা প্রাণের সন্ধানে কাজ করছে এ স্থানটি। এলিয়েনদের যাতায়াতের গুজবসহ রয়েছে হাজারো কল্পনা-জল্পনা। এছাড়া শোনা যায় বিভিন্ন ধরণের এয়ারক্রাফট ও ওয়েপন সিস্টেম নিয়েই পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয় এ জায়গাটিতে। 

অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট ও ওয়েপন নিয়েই গবেষণা হয় এরিয়া-৫১ এ

১৯৮৯ সালের বব লাজার নামের একজন বিজ্ঞানী এরিয়া-৫১ এ কাজ করছিলেন বলে দাবি করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে স্থানটিতে এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ, ইউএফও যাতায়াতসহ অনেক রহস্যজনক তথ্য উঠে আসে। তবে সেসবের কোনো সত্যতা আজ পর্যন্ত মেলেনি।

চাঁদে অবতরণ নিয়ে মানুষের মনে যে সন্দেহ তাকে দৃঢ় করতে কাজ করে এই স্থানটি। অনেকে মনে করেন এরিয়া-৫১ এ শুটিং করে নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিনের চাঁদে অবতরণের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল! সেসব ঘটনা, মিথ্যা হোক কিংবা সত্য, এরিয়া-৫১ আজো রয়ে গেছে মানুষের জানার বাইরে। 

মানুষ আশায় আছে, কোনো একদিন হুট করে মুখ খুলবে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। জানাবে দীর্ঘ দিন ধরে চলা রহস্য গড়া এই স্থানে চলমান কীর্তিকালাপের কথা। দূর হবে মানুষের মনের শত প্রশ্ন আর জল্পনা-কল্পনা। ততদিন আড়ালেই থাকুক এরিয়া-৫১। নিজের কল্পনাশক্তি কাজে লাগিয়ে লেখকরা রচনা করুক হাজারো বই, নির্মাতারা তৈরি করুক শত সিনামা।

   

মানুষের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করে যে পাখি



বিভোর বিশ্বাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মাটিতে খাবারের সন্ধানে ‘পাকরা-শালিক’। ছবি: বিভোর

মাটিতে খাবারের সন্ধানে ‘পাকরা-শালিক’। ছবি: বিভোর

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের প্রকৃতিতে নানান প্রজাতির পাখির সমারোহ। নানা রকমের চরিত্র তাদের। কোনটা বনের পাখি। কোনোটা শহরের পাখি। কোনোটা আবার বিল-হাওরের পাখি। স্বভাব-চরিত্র ভেদেই তাদের জীবন সম্পূর্ণ হয় পরিপূর্ণতার দিকে।

আজ যে পাখির কথা বলছি- সে মানুষের আশেপাশে থাকতেই খুব বেশি পছন্দ করে। মানুষকে ভয় পায় না। প্রায় প্রতিদিনই চা বাগানের নির্জন পথে তার সাথে দেখা হয়ে যায়! হয় চোখাচোখিও! ও থাকে ওর মতো! চা গাছেদের নিচে খাদ্য অনুসন্ধানে ব্যয় করে বেড়ায় দিনের অনেকটা সময়ে।

এ পাখিটির নাম ‘পাকরা-শালিক’। ইংরেজি নাম Asian Pied Starling বৈজ্ঞানিক নাম Sturnus contra. তবে কেউ কেউ ‘গো শালিক’ বা ‘গোবরে শালিক’ বলে পাখিটিকে কিছুটা হলেও অসম্মান করেন। বহুকাল ধরে ভাবি, ভাবতেই থাকি- সুন্দর এই পাখিটির ‘এমন নাম’ পাখিটির আপামর সৌন্দর্যকে অনেকটাই হনন করেছে। যিনি এই সুন্দর পাখির সাথে ‘এমন নাম’ জুড়ে দিয়েছেন তিনি এর প্রতি গভীর অবিচার করেছেন। এই অবিচারই আমাকে ব্যথিত করে। নিঃশব্দ-নীরবে!

পাকরা-শালিক পাখিটির দৈর্ঘ্য ২৩ সেন্টিমিটার। পাখিটির দেহের রং সাদা-কালো। গাল, পেট ও লেজতল সাদা রঙের। দেহের অবশিষ্ট অংশ কালচে। চোখ সাদা, তবে চোখের পাশে রয়েছে কমলা রঙের চামড়ার পট্টি। এ পট্টিতেই ফোটে আছে তার মুখশ্রীর আসল সৌন্দর্য।

গৃহপালিত ষাঁড় বা গাভীর গোবরে থাকে ছোট ছোট পোকা। সেগুলোই মূলত পাকরা-শালিকের অন্যতম প্রধান খাবার। চা বাগানের সেকশনের ভেতরে অসংখ্য গরু চষে বেড়ায়। সেখানেই পতিত হয় তাদের মল। সূর্যোলোকের আলোয় সেই মল কিছু শুকিয়ে গেলে তাতেই বাসা বাঁধে এক ধরণের পোকা। পাখিটি সেই অর্ধশুকনো গোবর পা দিয়ে টেনে টেনে পোকাগুলোকে বের করে খায়। সেইটাই ওর খাদ্য অনুসন্ধানের চারিত্রিক প্রধান প্রক্রিয়া।

সেই গোবরে পোকাগুলোই খাবার হয়ে শালিক প্রজাতির এই সুন্দর পাখিটাকে বহুকাল ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমরা ক্রমশই দেখে চলেছি পাখিটির প্রাকৃতিক গতিময় সৌন্দর্য।

;

ছোট্ট দ্বীপের নতুন রাজা



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছোট্ট দ্বীপের নতুন রাজা

ছোট্ট দ্বীপের নতুন রাজা

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ে গল্প পড়েছিলাম, “এক বছরের রাজা”। এক বছরের জন্য রাজত্ব ভোগ করে বাকি জীবন কষ্টে পার করতে চাননি এই রাজা। তাই নতুন এক দ্বীপে গাছপালা লাগিয়ে বসবাস যোগ্য করে রাজ্য গড়ে তোলেন তিনি। আর আজীবন সুখে রাজত্ব করতে থাকেন সেখানে। এরকম গল্পেরই ভিন্ন ধারার এক বাস্তব উদাহরণের খোঁজ মিললো এবার। এক বছরের জন্য নয়, তবে এক দ্বীপরাজ্যের রাজা হয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক।

যুক্তরাজ্যের এক ছোট্ট দ্বীপ, যার নাম পিল। সেই দেশেও আছে নিজস্ব রাজা! ৫০ একরের এই দ্বীপের রাজা ৩৩ বছর বয়সী অ্যারন স্যান্ডারসন। তিনি গতবছরই এই দ্বীপের রাজা হন। পানীয় বিয়ার দিয়ে তার রাজ্যাভিষেক করেছিলেন দেশের নাগরিক। তবে, মজার ব্যাপার হলো দেশের বাসিন্দাই মাত্র ১০ জন।

কুম্বরিয়ায় ফার্নেস উপদ্বীপের উপকূলে অবস্থিত এই পিল আইল্যান্ড। দ্বীপে মানুষের আনাগোনা পুরো বছর জুড়ে থাকে না। এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য বছরে একটি মাত্র ফেরি যায় এখানে। বালুকাময় পায়ে হাঁটা এক পথ ধরে দ্বীপে পৌঁছায় মানুষ। এখানে অনেক বন্যপ্রাণী রয়েছে। 


বহু বছর ধরেই পিল রাজ্য বিশ্বব্যাপী মানুষের আকর্ষণের মূলে রয়েছে। যার কারণ হলো এর স্বতন্ত্রতা। যদিও নিতান্তই নগণ্য সংখ্যক পরিবারই এখানে বাস করে। তবে কথিত আছে, ৩ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে এখানে মানুষ বসবাস করে আসছে। কেউ কেউ এই দ্বীপের ইতিহাসকে জাদুর মতো মনে করেন।

বিবিসির তথ্যমতে, ১৪ শতকের পিল দুর্গের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে এখানে। পাশাপাশি আছে শীপ-ইন নামের তৎকালীন একটি পাবও। যার বয়স কিনা ২'শ বছরেরও বেশি।

দ্য গার্ডিয়ান বলে, স্কটিশ আক্রমণকারীদের নিবৃত্ত করার জন্য ফার্নেস সন্ন্যাসীরা তৈরি করেছিলেন এই দুর্গ। মোরেকাম্বে উপসাগর থেকে পিল দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই দুর্গটি সহজেই দেখঅ যায়। দ্বীপটি নীরবে ইংরেজি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

তথ্যসূত্র:এনডিটিভি

 

 

;

বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুল তার



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুল রাখার জন্য ভারতের উত্তরপ্রদেশের নাগরিক স্মিতা শ্রীবাস্তব (৪৬) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যমটি প্রতিবেদনে জানায়, স্মিতা ১৪ বছর বয়স থেকে তার চুল কাটা থেকে বিরত রয়েছেন। এখন তার চুলের দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি। তিনি ১৯৮০-এর দশকে হিন্দি অভিনেত্রীদের দ্বারা আইকনিক লম্বা চুলের স্টাইলে অনুপ্রাণিত হয়ে চুল বড় রাখার সিদ্ধান্ত নেন। যা তাকে এখন রেকর্ড বইয়ে স্থান করে দিয়েছে।

স্মিতা বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে, দেবীদের ঐতিহ্যগতভাবে খুব লম্বা চুল ছিল। আমাদের সমাজে চুল কাটা অশুভ বলে মনে করা হয়, তাই নারীরা চুল কাটতেন না। আর তাছাড়াও লম্বা চুল মহিলাদের সৌন্দর্য বাড়ায়।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, স্মিতা সাধারণত প্রতি সপ্তাহে দুবার চুল ধুয়ে ফেলেন। ধোয়া, শুকানো, ডিট্যাংলিং এবং স্টাইলিংসহ পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রতিবার তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নেন। তিনি এটি ধোয়ার জন্য ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যয় করেন। তারপর সোজা করার জন্য তার হাত ব্যবহার করার আগে একটি তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নেন, যা করতে সাধারণত দুই ঘণ্টা সময় লাগে।

স্মিতা আরও বলেন,আমি যখনই চুল ছেড়ে বাইরে বের হই তখন আশেপাশের মানুষ "আশ্চর্য" হয়ে যায়। চুল এত লম্বা করা কঠিন বলে মনে করেন তারা। এবং তার বছরের পর বছর ধরে চুল না কাটার বিষয়টি সবাই অবিশ্বাস করেন।

৪৬ বছরের এই নারী জানান, আমার চুল দেখার পর সবাই কাছে এসে চুলে হাত স্পর্শ করে, অনেকে সেলফি তোলে এবং আমি যে পণ্যগুলো ব্যবহার করি সে সম্পর্কে জানতে চায়। আমি তাদের সে সম্পর্কে বলি এবং তারাও সেসব পণ্য ব্যবহার করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন।

স্মিতা এখন এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব অর্জন করতে পেরে আনন্দিত, তিনি বলেন, ঈশ্বর আমার প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন।

;

যখন বয়স কোনো বাঁধাই নয়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ বয়সে রান্নার ভিডিও দিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন তিনি

বৃদ্ধ বয়সে রান্নার ভিডিও দিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন তিনি

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনকার যুগে সকলের জীবন ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ। সময়ের অভাবে প্রতিদিন আমরা নিজেদের পছন্দের ও শখের কাজ করতে পারি না। কত মানুষ অভিযোগ করে, বয়সের জন্য এটা ওটা করতে পারছেন না। অনেকে তো বয়স বাড়ার কারণে হালই ছেড়ে দেন। কিন্তু কোনো কাজ মন থেকে করতে চাইলে বয়স বা সময় কোনো বাঁধা হতে পারে না। ইচ্ছাশক্তি থাকলে এখনই উপযুক্ত সময়। আবারও মিললো তার প্রমাণ।

সম্প্রতি ইউটিউবে একের পর এক রান্না সম্পর্কীয় ভিডিও দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বিজয় নিশ্চল। তিনি একজন ভারতীয় বৃদ্ধা। ৮৫ বছর বয়সে এক নতুন যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। অদ্ভুত শিরোনাম দিয়ে ইউটিউবে রান্নার ভিডিও দিয়ে দর্শকের নজরে পড়েছেন নিশ্চল। ৯০ সেকেন্ডের ভিডিওতে, সহজ রেসিপিগুলো দিয়ে তিনি এই প্রজন্মের মন জয় করে নিচ্ছেন।

নিশ্চল তার বাবার কাছে ছোটবেলায় রান্না শিখেছিলেন। সেই প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তার নাতি তাকে ইউটিউব চ্যানেল খোলার বুদ্ধি দেয়। বর্তমানে ইন্সটাগ্রামে তার ৮,৩১,০০০ ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে। এ এক দৃষ্টান্ত, নিজের মন আর ইচ্ছাকে অনুসরণ করলে বয়স কখনো বাঁধা হতে পারে না।

সম্প্রতি তিনি ডিমবিহীন এক কেকের রেসিপি তার চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। সাধারণত, ডিম দিয়েই কেক বানানো হয়। কারণ ডিম কেক ফোলায় এবং কেকে ফ্লেভার প্রদান করে। গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ ছাড়াও সুস্বাদু কেক বানিয়েছেন তিনি। মাত্র ১০ দিনে ১.১ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে ভিডিওটি। কমেন্ট বক্সে প্রশংসায় ভাসছে তার অনুসারীরা। কেউ বলছে, বর্তমান অর্ধেক টিনএজারদের চেয়ে দাদী বেশি কুল। আরেকজন বলেছে, কুলেস্ট দাদী এভার!

এরপূর্বেও, “ডান্সিং দাদী” খ্যাত ভারতীয় নৃত্যশিল্পী রবি বালা প্রমাণ করেছিলেন বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। তুখোড় নৃত্যশৈলীর কারণে ইন্টারনেটে প্রশংসার ঝড় তুলেছিলেন তিনি।

;