ডা. এজাজের চোখে দেখা হুমায়ূন আহমেদ



মাহবুবর রহমান সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
হুমায়ূন আহমেদ ও এজাজুল ইসলাম

হুমায়ূন আহমেদ ও এজাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

এজাজুল ইসলাম পেশায় চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান তিনি। তবে তাকে ডা. এজাজ নামে পরিচয় করিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের ৫টি সিনেমাসহ বহু নাটকে কাজ করেছেন ডা. এজাজ। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।

ডা. এজাজ দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে খুব কাছ থেকে দেখেছেন হুমায়ূন আহমেদকে। হুমায়ূন আহমেদের চলে যাওয়ার ৭ বছরে ঠিক মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে শুনিয়েছেন সেই গল্প।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529984602.jpgপ্রথম দেখা ও প্রথম কাজ
১৯৮৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এজাজুল ইসলাম। তারপর কয়েক বছর পার হলেও সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি। ১৯৯২ সালে গেলেন সার্টিফিকেট নিতে। সার্টিফিকেট নিতে হবে প্রফেসর ড. এম এ করিমের কাছ থেকে। যিনি হুমায়ূন আহমেদের স্কুলবন্ধু। চেম্বারে গিয়ে জানতে পারেন, হুমায়ূন আহমেদের অফিসে গেছেন ড. এম এ করিম। সার্টিফিকেটে সই নেওয়ার অজুহাতে হুমায়ূন আহমেদের কাকরাইলের অফিসে ছুটে যান এজাজুল ইসলামও।

ডা. এজাজ বলছিলেন, ‘যেই সময় কাকরাইলে রওনা দেই সেই সময় সার্টিফিকেট ওঠানোর ব্যাপারটা মাথায় ছিল না, মাথায় ঘুরছিল—আজ আমার হুমায়ূন আহমেদে স্যারের সঙ্গে দেখা হবে। সেদিন আমার প্রথম স্যারের সঙ্গে দেখা হয়।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529688117.jpgপ্রথম আলাপচারিতায় হুমায়ূন আহমেদ এজাজুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কোথায় পড়েন, কোন বিষয়ে, কী করেন, কোথায় থাকেন এসব। যখন হুমায়ূন আহমেদ জানলেন এজাজুল ইসলাম গাজীপুরে থাকেন ও চাকরি করেন তখন বলেছিলেন, ‘আমি তো গাজীপুরে শুটিং করি। অনেক ঝামেলা হয়। অনেক সহযোগিতারও প্রয়োজন হয়। তোমার যদি সময় হয় আমাকে একটু সহযোগিতা কর।’ প্রথম দেখায় হুমায়ূন আহমেদের কাছাকাছি যেয়ে কাজের প্রস্তাব পেয়ে হতবাক হয়েছিলেন এজাজুল ইসলাম। সেদিন শুধু মাথা নেড়ে টেলিফোন (টিএনটি) নম্বর দিয়ে এসেছিলেন তিনি।

দুই সপ্তাহ পরে হুমায়ূন আহমেদ ফোন করে এজাজুল ইসলামকে বলেছিলেন, 'আমি সবুজ সাথী নামে একটি সিরিয়াল করব। এটার জন্য লোকেশন ও থাকার জায়গা দরকার। তুমি ব্যবস্থা করে দাও?’ সেদিন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এজাজুল ইসলাম শুধু বলেছিলে, ‘স্যার আমি আপনার অফিসে আসছি। এসে কথা বলছি।’ সেই থেকে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে এজাজুল ইসলামের পথচলা শুরু।

এজাজুল ইসলাম থেকে ডা. এজাজ
চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করার সুযোগ পান এজাজুল ইসলাম। তার অভিনয়ে দর্শকরা হেসে উঠেছিল, যা তার অভিনয়ের ব্যাপারে আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। এরপর ১৯৭৮-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত রংপুর রেডিওতে কাজ করেন এজাজুল ইসলাম। তারপর চাকরির পাশাপাশি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের তীব্র আগ্রহ থেকে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অভিনয় শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু থিয়েটারের কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি কোন নাটকে অভিনয় করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না।

‘সবুজ সাথী’ সিরিয়ালের শুটিং চলাকালেও এসব কিছুই জানতেন না হুমায়ূন আহমেদ। শুটিং এর মাঝামাঝি সময়ে এজাজুল ইসলাম একদিন জানালেন সেসব কথা। সেদিন হুমায়ূন আহমেদ শুধু বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে। আমি কালকেই তোমাকে সুযোগ দিচ্ছি।’ পরের দিন হুমায়ূন আহমেদ এজাজুল ইসলামের জন্য একটি সিকুয়েন্স লিখলেন। সেটার নাম ছিল ‘স্বাস্থ্য কর্মী’। সেদিন সেই দৃশ্যে অভিনয় করার পর হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ‘এই আমাদের ডাক্তার তো ভালো অভিনয় করে’। সেই থেকে শুরু হলো এজাজুল ইসলামের অভিনয় জীবন। আর সেখান থেকেই এজাজুল ইসলাম থেকে হয়ে উঠলেন ডা. এজাজ।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529709497.jpgশুটিংয়ের সময়ে হুমায়ূন
‘হুমায়ূন আহমেদের শুটিং সেটে কাজ ছাড়া অন্য কিছু ভাবার বা মোবাইলে কথা বলার চিন্তা করারও সাহস পেতাম না আমরা। উনি যেমন কাজের প্রতি মনযোগী থাকতেন সেটের সবাই তেমন মনযোগী থাকতে বাধ্য হতো। স্যার ভুল করলে বকতেন কিন্তু সেই বকায় অসম্ভব এক মায়া ছিল।’

শুটিংয়ের সময়ে কেমন ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ এমন প্রশ্নের এভাবেই উত্তর দিচ্ছিলেন ডা. এজাজ। শুটিং সেটে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সাদামাটা। পরনে থাকত সাধারণ পোশাক। হুমায়ূন আহমেদের জন্য শুটিং সেটে থাকত না আলাদা কোন চেয়ার। তবে একটি নিয়ম ছিল তিনি যে চেয়ারে যেদিন বসতেন সেই চেয়ারে অন্য কেউ বসতেন না। ডা. এজাজ অনেক দিন দেখাশোনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রোডাকশনের কাজ।

সেই গল্প বলতে ডা. এজাজ বলেন, ‘স্যারের কাছে সবাই সমান ছিল। স্যার আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ডাক্তার শুটিং সেটে আমি যা খাব আমার সেটের প্রোডাকশন বয়ও তাই খাবে। আমার জন্য বিশেষ কোন খাবার হবে না। সবার জন্য একই আয়োজন যেন থাকে।’ স্যার যে খাবার খেয়েছেন সবাই তা-ই খাচ্ছে কিনা তা তদারকি করতেন। রমজান মাসজুড়ে শুটিংয়ের কাজ চলত ঈদের জন্য। সেই সময় ইফতারের আগে নিয়ম ছিল সবাই গোসল করে অজু করে ইফতার করার। সেই গল্পে এজাজ জানালেন, ‘রমজান মাসে স্যার মজা করে বলতেন তোমাদের আমার ভয়ে হলেও নামাজ পড়তে হবে।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529812943.jpgকাজপ্রেমী হুমায়ূন
হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন কাজপ্রেমী। কাজের প্রতি তিনি ছিলেন যথেষ্ট দায়িত্ববান। কেমন কাজপ্রেমী ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ সেই প্রশ্নের উত্তরে ডা. এজাজ বলেন আরেক গল্প—‘স্যারের একবার বাইপাস অপারেশন করা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় ফোন করে ডেকেছিলেন আমাকে। আমি মনে করেছিলাম স্যারের অপারেশন লাগেনি। কিন্তু স্যারের বাসায় যেয়ে শুনলাম স্যারের অপারেশন শেষ। স্যার সেদিন আমাকে দেখে প্রথম বলেছিলেন, ‘ডাক্তার শুটিং করব তুমি সব কিছু রেডি কর’। আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, স্যার এখন অনেক গরম, কয়েকদিন পরে কাজ শুরু করি।’

ডা. এজাজের দেখা একমাত্র ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ যিনি বাইপাস অপারেশনের পর এত কম সময়ে কাজ শুরু করেছেন আর সেই কাজে কোন অসুস্থতা, বিরক্তি, অমনোযোগ বা ক্লান্তির ছাপ ছিল না।

হুমায়ূনের জাদু
ডা. এজাজের জীবনে সরাসরি হুমায়ূন আহমেদের জাদু দেখার সুযোগ হয়েছে একবার। সেই জাদু তিনি দেখেছিলেন ‘রূপালী রাত্রি’ নাটকে শুটিংয়ের জন্য সুইজারল্যান্ড গিয়ে। সেই নাটকের একটি দৃশ্য ছিল স্বাধীন খসরুর। দৃশ্যটি হলো—খালি হাত, হাত মুঠি করে খুললে দেখা যাবে টাকা। দৃশ্য ধারণের আগে হুমায়ূন আহমেদ বেশ কয়েকবার দেখিয়েছিলেন সেই জাদু।

হুমায়ূনের খাবার
‘স্যার খুব অল্প খেতেন তবে খাবার ব্যাপারে ছিলেন খুবই রুচিশীল। হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল ইলিশ মাছ, শিং মাছ, চ্যাপা শুঁটকির ভর্তা, মাসকলাইয়ের ডাল, গরু ও খাসির গোস্ত। তিনি দুধ চা খেতেন।’ তবে ডায়াবেটিকস ধরা পড়ার পর চায়ে চিনি খেতেন কি না সে কথা মনে নেই ডা. এজাজের।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529837767.jpgব্যক্তিগত সম্পর্ক
হুমায়ূন আহমেদ ডা. এজাজকে ডাক্তার বলে ডাকতেন। আর ডা. এজাজ হুমায়ূন আহমেদকে ডাকতেন স্যার বলে। নিজেদের সম্পর্কে বিষয়ে ডা. এজাজ বলেন, ‘স্যার আমাকে খুব বিশ্বাস করতেন, খুব মায়া করতেন, খুব ভালোবাসতেন। এতটাই বিশ্বাস করতেন যে, আমি শুটিং লোকেশন দেখে আসলে স্যার বলতেন ডাক্তার তোমার পছন্দ হয়েছে তো? আমি হ্যাঁ বললে তিনি লোকেশন না দেখতে যেয়ে বলতেন তোমার পছন্দ হয়েছে তাতেই হবে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529898483.jpgনুহাশ পল্লীর ব্যাপারে ডা. এজাজ জানালেন, ‘অদেখা ভুবন’-এর শুটিংয়ের জন্য বাসে করে যাচ্ছিলাম আমরা। স্যার সামনের দিকে বসা। আমাকে ডেকে বলছিলেন, ডাক্তার আমার একটা সুন্দর বাগানবাড়ির স্বপ্ন। অনেককে বলেছি, সবাই বলে স্যার দেখব। কিন্তু কেউ আসলে দেখে না। আমাকে বলেই যায় দেখব। পরে কেউ দেখে না। আমি শুধু তোমাকে দায়িত্ব দিলাম তুমি আমাকে একটা জায়গা দেখে দেবে। কাউকে কিচ্ছু বলার দরকার নাই। এ দায়িত্ব শুধুই তোমার। সেই ছবির শুটিং শেষ করার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে এখনকার নুহাশ পল্লীর জায়গাটা স্যারকে খুঁজে দেই। স্যার অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। নুহাশ পল্লীর জায়গা দেখে আসার পর স্যার আমাকে বলেছিলেন, ডাক্তার আমার জীবনে অনেক বড় একটা স্বপ্ন তোমার মাধ্যমে আল্লাহ পাক পূরণ করে দিলেন। আরও বলছিলেন, তুমি কী চাও? আমি বলেছিলাম স্যার আমি আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। হুমায়ূন আহমেদ একবার স্বপ্ন দেখেছিলেন কয়েকটি বাচ্চা কোলে নিয়ে তার সামনে কয়েকজন ঘুরছে। সেকথা বলেছিলেন ডা. এজাজকে। সেই থেকে এজাজের পরামর্শে প্রায়ই নিজের স্কুলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করতেন হুমায়ূন আহমেদ।

   

ছেলের সাফল্যে আপ্লুত প্রসেনজিৎ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ৪০ বছর ধরে সিনেমায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য। মাঝে কিছু বছর কম বয়সী নায়কদের বেশ দাপট চললেও এখন দর্শকের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। তাই সেই এঘেয়ে প্রেমের গল্প, ধুমধারাক্কা একশন আর আইটেম গানে ভর্তি কমার্শিয়াল সিনেমাগুলো বেশি সুবিধঅ করে উঠতে পারছে না। তাই আর্টিস্টিক সিনেমার হাত ধরে ফর্মে ফিরে এসেছেন বুম্বাদা। তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। সঙ্গে যদি থাকে ঋতুপর্ণা, তার মানেই সিনেমা সুপার হিট। একসঙে্গই অর্ধশত সিনেমার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তারা। সামনেই আসতে চলেছে জনপ্রিয় এই জুটির পঞ্চাশ তম সিনেমা অযোগ্য। ৭ জুন সিনেমা ঘরে প্রকাশ পাবে সিনেমাটি।

সিনেমা জীবনে যেমন সফল এবং গর্বিত প্রসেনজিৎ, তেমনই ব্যক্তিজীবনও তার বেশ ভালো কাটছে। সম্প্রতি ছেলের সাফল্যে আপ্লুত হয়ে পড়েন অভিনেতা। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ইন্সটাগ্রামে) ছেলে তৃষানজিতের একটি ছবি প্রকাশ করেন তিনি।   

ইউরোপে স্কুলজীবন শেষ করলেও উচ্চশিক্ষার জন্য মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন তৃষাণজিৎ। তবে কলকাতা নয়, দক্ষিণ ভারতের নামী প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক শেষ করলেন। গ্রাজুযেশন সেরেমনিতে ছেলের স্নাতকের প্রশংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, ‘ আজ নিজেকে গর্বিত বাবা মনে হচ্ছে। কারণ, আমার ছেলে মিশুক স্নাতক হল। ওর জীবনের এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত। অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাও।’  বুম্বাদার এই পোস্টে ইন্ডাস্ট্রির সকল সহকর্মী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।

ছেলের অভিনয় জগতে আসা নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি প্রসেনজিৎ। তবে যেহেতু এখন পড়াশোনার পাঠ চুকেছে তাই শিগগিরই হয়তো তাকে বঢ় পর্দায় দেখা যাবে- আশা করছেন নেটিজেনরা। যদিও ছোটথেকেই ফুটবলে ঝোঁক রয়েছে তৃষাণের। তবে তাকে দৈহিক গঠন এবং লুক দেখে অনেকে মনে করেন, তৃষাণজিতের উচিত বাবা-দাদার পথের অনুসারী হওয়া।   

;

হীরামান্ডির ‘আলমজেব’-এর পাশে দাঁড়ালেন রিচা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বড়পর্দার রূপালী মায়া কাটিয়ে ওটিটি জগতে এলেন খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি। তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়। বিশাল আয়োজনে নির্মিত এই সিরিজ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। তবে নেটফ্লিক্সে এটি বিপুল সাড়া পাচ্ছে।

‘হীরামান্ডি’র যে দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা-নিন্দা হচ্ছে, তা হলো আলমজেব চরিত্র। এই চরিত্রে শারমিন সেহগালের অভিনয় দর্শকের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। শারমিনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি তাকে কাস্ট করার কারণে বানসালির বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’র অভিযোগও তুলছে নেটিজেনরা। কারণ তিনি শারমিনের মামা।

মামা-ভাগ্নি সঞ্জয়লীলা বানসালি ও শারমিন সেহগাল

এবার নিন্দায় বিপর্যস্ত শারমিনের পাশে দাঁড়ালেন এই সিরিজেরই সহ-অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা। ‘হীরামান্ডি’তে রিচার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এমন সময় সাধারনত তারকারা এদিক সেদিক তাকান না। নিজের সফলতা উপভোগ করেন। বিপাকে জড়িয়ে নিজের দিকে সমালোচনার তীর আসুক সেটা তারা একেবারেই চান না। তবে রিচা বরাবরই আলাদা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন। নিজের অনুভূতি কোন কিছুর চাপে দমিয়ে রাখার পাত্রী তিনি নন। এর আগেও রিচা তার ‘সর্বজিৎ’ সিনেমার কো আর্টিস্ট ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তার সেই জবাব রীতিমতো ভাইরাল হয়।

 হীরামন্ডি সিরিজে লাজ্জো চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় ও নাচ পরিবেশন করেছেন রিচা

এবার হীরামন্ডি সিরিজের ‘আলমজেব’ চরিত্রের শারমিককে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা (সমালোচনা করা) দর্শকের অধিকার। তারা সিরিজটি পছন্দ করতে পারে, অপছন্দও করতে পারে। কারও অভিনয় ভালো লাগবে, আবার কারও কাজ ভালো লাগবে না। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ যেভাবে ট্রল করে, মিম বানায়, নিন্দা করে; আমার মতে এটা সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারও প্রতি নির্দয় হওয়া উচিত নয়, কারণ আগামীকাল এমন কিছু আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে। এবং হ্যাঁ, প্রত্যেকেই মানুষ।’

মা হতে যাচ্ছেন রিচা। তার স্বামী বলিউড অভিনেতা আলী ফজল

‘হীরামান্ডি’ নির্মিত হয়েছে ১৯৪০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে। তখন লাহোরে হীরামান্ডি নামের এলাকায় বাইজিপাড়া ছিল। সেখানকার ছয় বাইজিকে ঘিরেই এগিয়েছে সিরিজের গল্প। এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ। সিরিজটিতে আরও আছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, সানজিদা শেখ, ফারদিন খান, শেখর সুমন, ফরিদা জালার প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বলিউড হাঙ্গামা

;

জয়িতার টেগর’স টেল-এ বুঁদ সাধারণ থেকে তারকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন স্কুল জীবনের বন্ধুর অনুভূতি দিয়ে শুরু করা যাক। মারুফা আজিজ উপমা লিখেছেন, ‘সেই স্কুল জীবন থেকে তোর গান শুনে আসছি, কিন্তু এবারের গান অন্যরকম ভালো লাগার। কারণ এবার তোর একক সংগীত সন্ধ্যায় ছিলাম আমরা। প্রতিটা মুহূর্তে আন্টিকে (প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শিল্পী মিতা হক) মিস করেছি, মাঝে মাঝে দেখে মনে হচ্ছিল আন্টিই গাইছেন। গর্বিত বাবা-মায়ের গর্বিত সন্তান।’

কথাগুলো যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে তিনি ফারহিন খান জয়িতা। তরুণ প্রজন্মের রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। যাকে এ প্রজন্মের অন্যতম মেধাবী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী বলে মনে করেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা!

ফারহিন খান জয়িতা

জয়িতার আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক মিতা হক এবং মঞ্চ নাটকের যুবরাজ’খ্যাত খালেদ খানের একমাত্র কন্যা।

গত ১৭ মে ছুটির দিনে রাত ৮টা থেকে বনানীর যাত্রা বিরতির নতুন ঠিকানায় জয়িতার একক সংগীত সন্ধ্যা ‘টেগর’স টেলস’। সেই অনুষ্ঠান দেখতে টিকেট কেটে হাজির হন অনেকেই। তারমধ্যে শোবিজ তারকারাও ছিলেন।

এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট জয়িতা একে একে গেয়ে গেলেন বাল্মীকি প্রতিভা, মায়ার খেলা, প্রেম পর্যায়ের গানগুলো।

অনুষ্ঠানে এক ফ্রেমে জয়িতা, তার স্বামী শাহিদ মুস্তাফিজ, অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী, নাদিয়া আহমেদ ও তার মা

গান শুনতে গিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী। নিজের অনুভূতির কথা সোশ্যাল লিখেছেন এভাবে, ‘গত সন্ধ্যায় জয়িতার কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীতে বুঁদ হয়ে ছিলাম। জয়িতা সোনা, তোমার কণ্ঠে মধু আছে। আর উচ্চারণ, তোমার কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। তুমি অতুলনীয়। তোমার জন্য শুভকামনা সকল সময়।’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ অনুষ্ঠান শেষে ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপিং শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমাদের জয়িতা। মিতা আপার সুযোগ্য কন্যা জয়িতা। ওকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিংবা ওকে নিয়ে বলবার কিছু নেই। শুধু বলবো, আজকে গান থেকে শুরু করে কয়েক লাইন আবৃত্তি এক অসাধারন মুগ্ধতার সন্ধ্যা কাটলো। যারা রবীন্দ্রপ্রেমী তাদের জন্য একটু শেয়ার করলাম। জয়িতা তুই একটা ভালবাসা।’

জয়িতার সঙ্গে সেমন্তী মঞ্জুরী ও তার স্বামী

নিজে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী হয়ে আরেকজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সেমন্তী মঞ্জুরী লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর দিদির এতগুলো গান শুনলাম! আনন্দঘন সময় কাটলো। গান তো ভালো বলতেই হয়। তবে আবৃত্তি শুনে বার বার মামার (জয়িতার বাবা অভিনেতা খালেন খান) চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। লাভ ইউ জয়িতা দিদি।’

মেধাবী নির্মাতা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কি অনবদ্য এক ঘন্টা পয়তাল্লিশ মিনিট কাটালাম! জয়িতা দোস্ত, তুমি সবার হৃদয় হরণ করেছ। তোমার গায়কী এবং গান নির্বাচন ছিলো এক কথায় পারফেক্ট। তুমি তো বটেই, তোমার যন্ত্রশিল্পীরাও অসাধারন পারফরমেন্স করেছেন গত রাতে। গান, নাচ, কবিতা সব মিলিয়ে অদ্ভূত সুন্দর একটা আবহ তৈরী হয়েছিলো। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি। এ ধরনের পরিবেশনা তোমার আরও বেশি বেশি করা উচিত।’

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ অনবদ্য পরিবেশনা ছিল জয়িতার

শুধু এই তারকারাই নন, জয়িতার ফেসবুক জুড়ে আরও নানা পেশা, নানা বয়সের দর্শকের প্রশংসা বার্তা ছড়িয়ে আছে। টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে জয়িতা আগের দিনই জানিয়েছেন, শিগগির আবার ফিরবেন এরকম আয়োজন নিয়ে।

;

ডিএ তায়েবকে তীক্ষ্ণ জবাব নিপুণের, নেবেন আইনি ব্যবস্থাও!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিএ তায়েব

নিপুণ ও ডিএ তায়েব

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে এমনটাই মনে করছিলেন সবাই। অল্প কিছু ভোটে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ হেরে যান খল নায়ক ডিপজলের কাছে। তখন তিনি বলেছিলেন, আমার অনেকগুলো ভোট নষ্ট হয়েছে। নয়ত ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। তারপরও নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে মিশ-ডিপজল প্যানেলকে বিজয়ের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তবে সেই নির্বাচনে এক মাস যেতে না যেতেই বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেন নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এরপরই শুরু হয় পক্ষে বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক।

শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি পদে জয়ী হওয়ায় ডিএ তায়েবকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন এক সহকর্মী

এরমধ্যে গেল বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।

নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে। তবে নিজের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে এমন খবর ঠিকই তার কানে গেছে। আর তা শুনে মুখও খুললেন নিপুণ। তিনি বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।

একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে

ডিএ তায়েবের মন্তব্যের জবাবে নিপুণ বলেন, ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না আমি। তিনি কি অভিনেতা? একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা? তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন? তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে বলেছেন, আমার নাকি মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।

;