ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে সেরা লেডি গাগা



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর
গ্লেন ক্লোজ ও লেডি গাগা

গ্লেন ক্লোজ ও লেডি গাগা

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডসের ২৪তম আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ভাগাভাগি করলেন দুই প্রজন্মের দুই তারকা গ্লেন ক্লোজ ও লেডি গাগা। ‘দ্য ওয়াইফ’ ছবির জন্য গোল্ডেন গ্লোব জেতার পর এবার ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস পেলেন গ্লেন। তার কাছে গোল্ডেন গ্লোবে হারলেও ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে পুরস্কার জিতলেন গাগা। ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’ ছবিতে দারুণ অভিনয়ের সুবাদে এই স্বীকৃতি উঠলো তার হাতে।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে রবিবার (১৩ জানুয়ারি) এবারের ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী করা হয়। সেরা মৌলিক গান বিভাগে সেরা হয়েছে ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’ ছবিতে ৩২ বছর বয়সী গাগার গাওয়া ‘শ্যালো’।

ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস জিতলে অস্কারের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়া যায় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে গ্লেন ক্লোজ ও লেডি গাগার মধ্যে এবারের অস্কারে তুমুল লড়াই হতে পারে।

২৪তম ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে সেরা চলচ্চিত্রসহ সর্বোচ্চ চারটি পুরস্কার জিতেছে ‘রোমা’। ছবিটির জন্য আলফনসো কুয়ারন সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রগ্রাহক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন। সেরা বিদেশি ভাষার ছবি বিভাগের স্বীকৃতিও গেছে তার হাতে।

‘ভাইস’ ছবিতে আমেরিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি চরিত্রের সুবাদে সেরা অভিনেতা বিভাগের পুরস্কার জিতেছেন ক্রিশ্চিয়ান বেল। সেরা কমেডি অভিনেতার স্বীকৃতি এসেছে ব্রিটিশ এই তারকার হাতে। সেরা কমেডি অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন আরেক ব্রিটিশ তারকা অলিভিয়া কোলম্যান (দ্য ফেভারিট)। তার ছবিটি সম্মিলিত অভিনয় বিভাগে সেরা হয়েছে।

গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের মতো ক্রিটিকস চয়েসেও মাহেরশালা আলি (গ্রিন বুক) সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ও রেজিনা কিং (ইফ বিয়েল স্ট্রিট কুড টক) সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হয়েছেন।

হলিউড হার্টথ্রব টম ক্রুজের ‘মিশন: ইমপসিবল-ফলআউট’ সেরা অ্যাকশন ছবি নির্বাচিত হয়েছে। গত বছর বক্স অফিসে সাড়া ফেলে দেওয়া ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস বিভাগে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে।

ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী তালিকা
সেরা চলচ্চিত্র: রোমা
সেরা অভিনেত্রী: গ্লেন ক্লোজ (দ্য ওয়াইফ) ও লেডি গাগা (অ্যা স্টার ইজ বর্ন)
সেরা অভিনেতা: ক্রিশ্চিয়ান বেল (ভাইস)
সেরা অভিনেত্রী (কমেডি): অলিভিয়া কোলম্যান (দ্য ফেভারিট)
সেরা অভিনেতা (কমেডি): ক্রিশ্চিয়ান বেল (ভাইস)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: মাহেরশালা আলি (গ্রিন বুক)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: রেজিনা কিং (ইফ বিয়েল স্ট্রিট কুড টক)
সেরা নবীন অভিনয়শিল্পী: এলসি ফিশার (এইথ গ্রেড)
সেরা সম্মিলিত অভিনয়: দ্য ফেভারিট
সেরা সাই-ফাই/ভৌতিক ছবি: অ্যা কোয়াইট প্লেস
সেরা অ্যাকশন ছবি: মিশন: ইমপসিবল-ফলআউট
সেরা কমেডি ছবি: ক্রেজি রিচ এশিয়ানস
সেরা বিদেশি ভাষার ছবি: রোমা (মেক্সিকো)
সেরা অ্যানিমেটেড ছবি: স্পাইডার-ম্যান: ইন্টু দ্য স্পাইডার-ভার্স
সেরা পরিচালক: আলফনসো কুয়ারন (রোমা)
সেরা মৌলিক সুর: ফার্স্ট ম্যান (জাস্টিন হারউইৎজ)
সেরা মৌলিক গান: শ্যালো (অ্যা স্টার ইজ বর্ন)
সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস: ব্ল্যাক প্যান্থার
সেরা চিত্রগ্রহণ: আলফনসো কুয়ারন (রোমা)
অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য: ইফ বিয়েল স্ট্রিট কুড টক (ব্যারি জেনকিন্স)
মৌলিক চিত্রনাট্য: ফার্স্ট রিফর্মড (পল শ্রেডার)

টেলিভিশনে সেরা
সেরা ড্রামা সিরিজ: দ্য আমেরিকানস (এফএক্স)
সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা সিরিজ): সান্ড্রা ওহ (কিলিং ইভ)
সেরা অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ): ম্যাথু রাইস (দ্য আমেরিকানস)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (ড্রামা সিরিজ): থ্যান্ডি নিউটন (ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ): নোয়া এমারিচ (দ্য আমেরিকানস)
সেরা কমেডি সিরিজ: দ্য মার্ভেলাস মিসেস মেইসেল
সেরা অভিনেত্রী (কমেডি সিরিজ): র‌্যাচেল ব্রসনাহান (দ্য মার্ভেলাস মিসেস মেইসেল)
সেরা অভিনেতা (কমেডি সিরিজ): বিল হেডার (ব্যারি)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (কমেডি সিরিজ): অ্যালেক্স বোর্স্টেইন (দ্য মার্ভেলাস মিসেস মেইসেল)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (কমেডি সিরিজ): হেনরি উইঙ্কলার (ব্যারি)
সেরা অভিনেত্রী (টিভি মুভি/মিনি সিরিজ): প্যাট্রিসিয়া আর্কেট (এস্কেপ অ্যাট ড্যানমোরা) ও অ্যামি অ্যাডামস (শার্প অবজেক্টস)
সেরা অভিনেতা (টিভি মুভি/মিনি সিরিজ): ড্যারেন ক্রিস (দ্য অ্যাসাসিনেশন অব জান্নি ভারসাচে: আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (টিভি মুভি/মিনি সিরিজ): বেন হুইশো (অ্যা ভেরি ইংলিশ স্ক্যান্ডাল)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (টিভি মুভি/মিনি সিরিজ): প্যাট্রিসিয়া ক্লার্কসন (শার্প অবজেক্টস)
সেরা টেলিভিশন মুভি: জেসাস ক্রাইস্ট সুপারস্টার লাইভ ইন কনসার্ট

   

ডিএ তায়েবকে তীক্ষ্ণ জবাব নিপুণের, নেবেন আইনি ব্যবস্থাও!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিএ তায়েব

নিপুণ ও ডিএ তায়েব

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে এমনটাই মনে করছিলেন সবাই। অল্প কিছু ভোটে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ হেরে যান খল নায়ক ডিপজলের কাছে। তখন তিনি বলেছিলেন, আমার অনেকগুলো ভোট নষ্ট হয়েছে। নয়ত ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। তারপরও নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে মিশ-ডিপজল প্যানেলকে বিজয়ের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তবে সেই নির্বাচনে এক মাস যেতে না যেতেই বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেন নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এরপরই শুরু হয় পক্ষে বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক।

শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি পদে জয়ী হওয়ায় ডিএ তায়েবকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন এক সহকর্মী

এরমধ্যে গেল বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।

নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে। তবে নিজের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে এমন খবর ঠিকই তার কানে গেছে। আর তা শুনে মুখও খুললেন নিপুণ। তিনি বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।

একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে

ডিএ তায়েবের মন্তব্যের জবাবে নিপুণ বলেন, ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না আমি। তিনি কি অভিনেতা? একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা? তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন? তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে বলেছেন, আমার নাকি মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।

;

কানের রেড কার্পেটে এবার চার নায়িকাকে নিয়ে হাজির ভাবনা!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা জানেন কিভাবে তার প্রথম কান যাত্রা অর্থবহ করা যায়। তাই সিনেমা দেখা, বিশ্বের বিভন্ন দেশের চলচ্চিত্রকার ও তারকাদের সঙ্গে কথা বলাসহ নিজের পোশাকেও রেখেছেন বুদ্ধিদীপ্ততা।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

তার প্রতিদিনের পোশাক আলাদা আলাদা কারণে স্পেশ্যাল হয়ে উঠেছে। প্রথম দিন তিনি হাজির হন আন্তর্জাতিক তারকাদের মতো লম্বা টেলওয়ালা গাউনে। এর পরদিন ঢাকার কাক’কে পোশাকে উপস্থাপন করেন। তৃতীয় ঢাকাই জামদানির সঙ্গে রিকশা পেইন্টের মোটিফে তৈরী ব্লাউজ পরে নজর কাড়েন। এর পরদিন তিনি বেছে নেন দেশিয় বেনারসি শাড়ি কেটে তৈরী ভিন্নধর্মী গাউন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

আর আজ প্রকাশ হয়েছে ভাবনার কান উৎসবের পঞ্চম দিনের সাজ। এটিও একটি বিশেষ কারণে নেটিজেনদের আগ্রহ কেড়ে নিয়েছে। ভাবনা এবার কালো অলসোল্ডার গাউনে হাজির হয়েছেন রেড কার্পেটে। পোশাকের কাটিং-প্যাটার্ণে আলাদা স্বকীয়তা না থাকলে নজর কেড়েছে পোশাকের দামান অংশের কাজ।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

সেখানে ফুলেল নকশার মাঝে মাঝে স্টোন দিয়ে কিছু লেখা চোখে পড়ছে। একটু ভালো করে খেয়াল করলেই দেখা যাবে তাতে লেখা চারটি নাম- ববিতা, সুর্বণা (সুবর্ণা মুস্তাফা), মেরিল স্ট্রিপ ও অড্রে হেপবার্ন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

এই নাম চারটি নিয়ে আলাদা করে বুঝিয়ে বলার কিছুই নেই। সিনেমাপ্রেমী প্রত্যেকে এই চারটি নামের সঙ্গে বহুকাল ধরে পরিচিতি। এমনকি চারজনই সবার প্রিয় নারী তারকা। দুজন বাংলাদেশের, দুজন হলিউডের।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

এই চারজন ভাবনারও খুব প্রিয় অভিনেত্রী। তাই তাদের সম্মান দেখানোর জন্যই কানের মতো প্রসিদ্ধ মঞ্চে ভাবনা তার পোশাকে নামগুলো খোদাই করেছেন। পোশাকটি ডিজাইন করে দিয়েছেন তার ছোট বোন অদিতি।

;

অবৈধ বিলবোর্ডে প্রাণ গেল কার্তিকের মামা-মামির!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কার্তিক আরিয়ান ও তার সদ্য প্রয়াত মামা-মামি

কার্তিক আরিয়ান ও তার সদ্য প্রয়াত মামা-মামি

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎই এক ঝড় কেড়ে নিয়েছে বলিউড তারকা কার্তিক আরিয়ানের মামা-মামিকে! গত ১৩ মে বেলা তিনটা নাগাদ মুম্বাই ও এর সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ ধেয়ে এসেছিল ধূলিঝড়। সেদিন আকস্মিক এ ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ১৬ জনের প্রাণ।

এই ঝড়ের তান্ডবে একটি বিলবোর্ড হঠাৎই ভেঙে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকার একটি পেট্রলপাম্পের কাছে। কার্তিক আরিয়ানের মামা-মামি মনোজ চ্যান্সোরিয়া (৬০) আর তার স্ত্রী অনিতা (৫৯) গাড়ির জ্বালানি নিতে সেই পেট্রলপাম্পে এসেছিলেন। আর তখনই প্রবল ঝড় শুরু হয়। চ্যান্সোরিয়া দম্পতি তখন গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। ঝড়ের দাপটে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে চ্যান্সোরিয়া দম্পতির গাড়ির ওপর। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

ভেঙে পড়া বিশাল আকৃতির অবৈধ বিলবোর্ড

জানা গেছে যে চ্যান্সোরিয়া দম্পতি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। তারা ভিসাসংক্রান্ত কাজে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন। চ্যান্সোরিয়া দম্পতির ছেলে যশ যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ছেলের কাছে যাবেন বলে ভিসার কাজে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন তারা। মনোজ ও অনিতার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে গোটা পরিবার শোকাহত।

চ্যান্সোরিয়া দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল দুর্ঘটনার ৫০ ঘণ্টা পর। তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মুম্বাইয়ের সাহার শ্মশানে। কার্তিক আরিয়ানসহ গোটা পরিবার শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন।

কার্তিক আরিয়ানসহ গোটা পরিবার শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন

জানা গেছে, বিশালাকার এই বিলবোর্ড অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। দেশের সবচেয়ে বড় হোর্ডিং হিসাবে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্থান পাওয়ার জন্য এটি লাগানো হয়েছিল। এই হোর্ডিং লাগিয়েছিল ইগো প্রাইভেট লিমিটেড।

মুম্বাই পুলিশ এই সংস্থার নির্দেশক ভাবেশ ভিন্ডেকে অবৈধ হোর্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে জানা গেছে, মনোজ চ্যান্সোরিয়া অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জেনারেল।

‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবিতে কার্তিক আরিয়ান

এদিকে, কার্তিক আরিয়ানের ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। কার্তিকের নিজের শহর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এক বড়সড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পাচ্ছে আজ। পরিবারের এই চরম বিপর্যয়ের সময়েও কার্তিক কাজের প্রতি অবিচল। অনেকে এই অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কার্তিক নিজের প্রতিশ্রুতি থেকে সরতে চাননি। তার কথায়, এই ছবির সঙ্গে অসংখ্য মানুষের ঘাম-রক্ত জড়িয়ে আছে। তাই তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে বলে মনে করেন অভিনেতা।

;

কানে রুনা লায়লা ও আরিফিন শুভকে নিয়ে যা বললেন নাসিরুদ্দিন শাহ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নাসিরুদ্দিন শাহ, রুনা লায়লা ও আরিফিন শুভ

নাসিরুদ্দিন শাহ, রুনা লায়লা ও আরিফিন শুভ

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ফ্রান্সে সাগরপাড়ের শহর কানে চলছে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং প্রভাবশালী কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসর। লম্বা অভিনয় ক্যারিয়ারে অনবদ্য সব চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও  সেখানে এবারই প্রথমবার হাজির হয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।

উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’। চার যুগ আগে অভিনয় করেছিলেন ‘মন্থন’ সিনেমায়। সেটি ছিল নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাঁই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

‘মন্থন’ ছবির দৃশ্যে নাসিরুদ্দিন শাহ

এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। প্রসঙ্গক্রমে সে কথা তুললে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের নাসিরুদ্দিন শাহ্ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ছবিটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো ছবি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম বেনেগালের ছবিটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন (আরিফিন শুভ) তিনি দারুণ করেছেন। আমি ছবিটি উপভোগ করেছি। ছবিটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’

নাসিরুদ্দিন শাহ্ শুধু শুভ’র প্রশংসাই করেননি। তিনি উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের গর্ব  রুনা লায়লাকে দারুণভাবে সম্মান দিয়েছেন তার কথায়। বাংলাদেশে দু’বার মঞ্চে পারফর্ম করতে এসেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, ‘ঢাকার দর্শকরা চমৎকার। আমার সবচেয়ে আনন্দ লেগেছে রুনা লায়লাজির সঙ্গে দেখা করে।’

সবশেষে বাংলা ভাষা জানেন কিনা বলতেই নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে নাসিরুদ্দিন শাহ ও তার স্ত্রী বর্ষিয়ান অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ

শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মন্থন’ (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয় গত শুক্রবার পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের বুনুয়েল থিয়েটারে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এর প্রদর্শনীতে নাসিরুদ্দিন শাহ ছাড়াও ছিলেন তার স্ত্রী বর্ষিয়ান অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ, ‘মন্থন’-এর নায়িকা স্মিতা পাতিলের পরিবার, প্রযোজক এবং ভারতের ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর।

ভারতের বৃহত্তম দুগ্ধ উন্নয়ন আন্দোলন তথা শ্বেত বিপ্লবের পটভূমিতে তৈরি হয় ‘মন্থন’। এটি ছিল ভারতের প্রথম গণঅর্থায়নে নির্মিত চলচ্চিত্র। দেশটির গুজরাট রাজ্যের ৫ লাখ কৃষক ছবিটি নির্মাণে ২ রুপি করে দান করেন। ভার্গিস কুরিয়েনের দুগ্ধ সমবায় আন্দোলনে অনুপ্রাণিত ‘মন্থন’। ছবিটির অন্যতম গল্পকার তিনি।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে ‘মন্থন’ ছবির টিম

ভার্গিস কুরিয়েনের বিলিয়ন লিটার আইডিয়া তথা অপারেশন ফ্লাড ভারত দুধের ঘাটতির দেশ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ও শীর্ষ উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়েছে। তার শ্বেত বিপ্লবের কর্মপন্থা বিশ্বের বৃহত্তম কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচি হিসেবে পরিচিত। ভারতের ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন ২০১৪ সাল থেকে এই কীর্তিমানের জন্মদিনকে জাতীয় দুগ্ধ দিবস হিসেবে পালন করছে। ভারত সরকারের কাছ থেকে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, কৃষিরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন দেশে অনেক সম্মাননায় ভূষিত করা হয় তাকে। ২০১২ সালে ৯০ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন তিনি।

হিন্দি ভাষায় নির্মিত ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের ‘মন্থন’ দেখিয়েছে গ্রামীণ ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে কাল্পনিক আখ্যানের মাধ্যমে শ্বেত বিপ্লবের উৎপত্তি। এতে আরও অভিনয় করেছেন গিরিশ কারনাড, অমরিশ পুরি, কুলভূষণ খারবান্দা, মোহন আগাসে, অনন্ত নাগ, রাজেন্দ্র যশপাল, আভা ঢুলিয়া, সাধু মেহের ও অঞ্জলি পায়গানকার।

‘মন্থন’ ছবির একটি দৃশ্যে সহশিল্পীদের সঙ্গে স্মিতা পাতিলা, নাসিরুদ্দিন শাহ

৪৮ বছরের পুরনো ‘মন্থন’ ছবির প্রিন্ট পুনরুদ্ধার করেছে ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এর ৩৫ মিলিমিটার মূল নেগেটিভ সংরক্ষিত ছিলো এনএফডিসিতে (ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহশালা)। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কাজ করেছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, চিত্রগ্রাহক গোবিন্দ নিহালানি, চেন্নাইয়ের প্রসাদ করপোরেশনের প্রাইভেট লিমিটেডের পোস্ট–স্টুডিওস এবং ইতালির লি’মাজিন রিত্রোভাতা ল্যাবরেটরি। অর্থায়নে সহযোগিতা করেছে ভার্গিস কুরিয়েনের গড়া প্রতিষ্ঠান গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেড। ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে সংরক্ষিত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩৫ মিলিমিটার প্রিন্ট থেকে শব্দ ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে।

১৯৭৭ সালে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র এবং সেরা চিত্রনাট্যকার (বিজয় টেন্ডুলকার) স্বীকৃতি জিতেছে ‘মন্থন’। ভারত থেকে অস্কারে পাঠানো হয় এই ছবি। এতে ‘মেরো গাম কথা পারে’ গানের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা গায়িকা বিভাগে পুরস্কার জয় করেন প্রীতি সাগর।

‘মন্থন’ ছবির দৃশ্যে স্মিতা পাতিলা
;