ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনী নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’। এটি পরিচালনা করবেন ‘সর্বজিৎ’খ্যাত ওমাঙ কুমার। এমনটা অনেক আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো। তবে মোদির চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিলো জল্পনা-কল্পনা।
ক’দিন আগে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিলো বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয় ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবিটিতে নাম চরিত্রে অভিনয় করবেন। পরে গত ৪ জানুয়ারি টুইটারে বিবেকের অভিনয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাণিজ্য গবেষক তরণ আদর্শ।
এদিকে, সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ প্রথম পোস্টার। আর সেখানেই মোদির রূপে দেখা গেলো বিবেককে। ছবিটি দেখে একদমই বোঝার উপায় নেই এটি বিবেক। চরিত্রটিকে দারুণভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন বলিউডের এই অভিনেতা।
Vivek Anand Oberoi [Vivek Oberoi] to star in Narendra Modi biopic, titled #PMNarendraModi... The first look poster was launched in 23 languages by Maharashtra CM Devendra Fadnavis... Directed by Omung Kumar... Produced by Suresh Oberoi and Sandip Ssingh. pic.twitter.com/K0HdjhFVtj
— taran adarsh (@taran_adarsh) January 7, 2019
চমকপ্রদ তথ্য হলো- ২৩টি ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র পোস্টার।
খুব শিগগিরই শুরু হবে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র শুটিং। এটি প্রযোজনা করছেন সুরেশ ওবেরয় ও সন্দীপ সিং।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ৭৭ তম আসর চলছে মহাসমারোহে। বিশ্ব সিনেমার প্রদর্শন, মার্কেটিং, সেমিনার, কর্মশালাসহ নানা আয়োজন তো থাকছেই। তবে ফ্যাশনপ্রিয় মানুষের চোখ থাকে রেড কার্পেটের দিকে। প্রতিদিন হলিউড-বলিউডসহ বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় শোবিজ তারকারা কানের লাল গালিচা মাতিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের দর্শকের অবশ্য সবচেয়ে আগ্রহ থাকে পাশের দেশ ভারতের কোন তারকা কি পোশাক পরলেন সেদিকে!
সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে বলা হয় ‘কানের রেড কার্পেটের রানী’! কারণ তিনি ২০ বছর ধরে কানের লাল গালিচায় যাচ্ছেন।
রাই সুন্দরীর চেহারার এখনো একটুখানি দ্যূতি কমেনি। তবে এ বছর তার পোশাক আশাক সেভাবে দর্শক মাতাতে পারছে না। এখন পর্যন্ত কানের দুটি লুক প্রকাশিত হয়েছে অ্যাশের। দুটির ডিজাইনই করেছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘ফাল্গুনী এন্ড শেন পিকক’।
প্রথম দিন তিনি সাদা কালো টেলওয়ালা গাউন পরে রেড কার্পেটে হাটেন। তবে গাউনের ডিজাইন মনে ধরেনি দর্শকের।
দ্বিতীয় দিনও ওই একই অবস্থা। ঝলমলে নীল রঙের জরির গাউন পরেন ঐশ্বর্য্য। তবে এদিন গাউনের সুউচ্চ হাতা নিয়ে মজা করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা।
আরেক বলিউড তারকা ঊর্বশী রাউটেলাও বিগত কয়েক বছর ধরে কানে যাচ্ছেন। শুরুর দিকে তার ফ্যাশন সেন্স নিয়ে হাসাহাসি হলেও আস্তে আস্তে তিনি বেশ মানিয়ে নিচ্ছেন। এ বছর তার পোশাকগুলো দেখে অন্তত তাই মনে হচ্ছে। ঊর্বশী সাধারনত গাঢ় রঙের পোশাকে হাজির হন। এবারও তার বিকল্প হয়নি।
প্রথমদিন তিনি পরেন গোলাপী রঙের গাউন। তবে নজর কাড়ে ঘাড়ের কাছে গাউনটির নাটকীয় ডিজাইন। সঙ্গে নেটের হাতমোজাটিও কারও দৃষ্টি এড়ায়নি।
আর দ্বিতীয় দিন এই তারকা হাজির হন গাঢ় লাল আর সোনালী রঙের অফ সোল্ডার গাউনে। এদিনের সাজ কারও বেশ পছন্দ হয়েছে। কেউ আবার বলছে, অতোটাও জমেনি!
সঞ্জয়লীলা বানশালীর নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’তে অভিনয় করে বর্তমানে বেশ আলোচনায় রয়েছেন বলিউডেরা তরুণ তুর্কী ত্বাহা শাহ। এই তারকাও পৌঁছে গেছেন কানে। তাকে রেড কার্পেটে একবার দেখা গেলেও এরইমধ্যে কানের তিনটি লুক প্রকাশ করেছেন এই আবেদনময় অভিনেতা। কানের সাগরপাড়ে ফুরফুরে বাতাসে কালো ট্রান্সপারেন্ট শার্টে দারণ দেখাচ্ছে ত্বাহাকে। আরেকটি লুকে তিনি হাজির নীল পানির মধ্যে ইয়োটে নীল জ্যাকেট পরা।
আর রেড কার্পেটে তিনি হাজির হন ভারতীয় ট্রেডিশনাল পোশাকে। তাকে অফ হোয়াইট পাঞ্জাবী ও প্রিন্স কোটে দেখা গেছে। যাতে বাহারি সুতার হেভি অ্যাম্ব্রয়ডারি করা।
এবার কানে যাওয়া বলিউড তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়াচ্ছেন হালের সেনসেশন কিয়ারা আদভানি। এই তারকাও রেড কার্পেটে একবারই হাজির হয়েছেন। এমনকি তিনি এবারই প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। কিয়ারার প্রথম দিনের রেড কার্পেট লুক ছিল দুর্দান্ত। ভিন্ন ধাচের কালো ও বেবি পিংক গাউন, নো মেকাপ লুক, ক্ল্যাসিক হেয়ার স্টাইল, ছিমছাম ডিজাইনের ডায়মন্ডের গয়না আর নেটের হাত মোজা- সবমিলিয়ে যেন কোন দেশের রাজকন্যা কিয়ারা।
তবে রেড কার্পেটে হাজির হওয়ার আগে কিয়ারা নিজেকে কানের সমূদ্র সৈকতের শীতল বাতাসেও ভিজিয়ে নিয়েছেন কিছুক্ষণ। সে সময় তার পরনের স্লিট কাটিংয়ের অফ হোয়াইট ফ্লোলেস টপ আর কানের পার্লের বৈচিত্রময় ঝোলানো দুল নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। সবাই বলছে, কিয়ারা বেশ বুঝেশুনে আটঘাট বেঁধেই তার প্রথম কান যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।
হাবিব ওয়াহিদকে নতুন শতাব্দির বাংলা গানের অন্যতম আকর্ষণ বলা যায়। তিনি বাংলাদেশের গানে ভিন্নতা এনেছেন। সবচেয়ে বড়কথা তিনি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। ফলে এ দেশের সব শিল্পী তার সঙ্গে গান করতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবার তো আর সেই সুযোগ হয় না। সেদিক থেকে আতিয়া আনিসা বেশ সৌভাগ্যবান।
গত বছরই তিনি হাবিবের সঙ্গে প্রথমবার গেয়েছিলেন ‘হোক বাড়াবাড়ি’ শিরোনামের একটি গান।
আতিয়া আনিসা নিজেও এ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী। পেশাগত সংগীত ক্যারিয়ার অল্প দিনের হলেও তার অর্জনের ঝুলি বেশ পরিপূর্ণ! এরইমধ্যে তিনি সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন। ‘পরাণ’ সিনেমার ‘চলো নিরালায়’ গানটি গেয়ে প্রথমসারির শিল্পীর কাতারে উঠে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক কনসার্ট শেষ করে দেশে ফিরেছেন আনিসা।
যাই হোক, বছর ঘুরতে না ঘুরতে হাবিব-আনিসা হাজির দ্বিতীয় নিবেদন ‘তোমার আদরে’ নিয়ে। গত ১৭ মে গানটি প্রকাশিত হয়েছে হাবিব ওয়াহিদেও অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
অমিতা কর্মকারের কথায় এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। আপাতত অডিও ভার্সন বের হয়েছে। নতুন এই গানে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে আতিয়া আনিসা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি সত্যিই এতোটা সাড়া আশা করিনি। কারণ এখন সবাই বলেন ভিডিও ছাড়া অডিও গান তেমন কেউ শোনেই না। সে হিসেবে এই গানের অডিওটি দারুণ সাড়া পাচ্ছে। তবে ইউটিউবের কমেন্টে বেশিরভাগ শ্রোতারই অনুরোধ, গানটির যেন ভিডিও করা হয়। তাই আমরা পরিকল্পনা করেছি গানটির ভিডিও প্রকাশ করব।’
আনিসা আরও জানালেন, হাবিব ওয়াহিদের গানের ভক্ত তিনি অনেক আগে থেকেই। তার সঙ্গে কাজ করা মানে নতুন কিছু শেখা, নিজেকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করা। তাইতো দ্বিতীয় গান প্রকাশের আগেই হাবিবের সঙ্গে আরও তিনটি গান করে ফেলেছেন আনিসা। প্রতিটি গানই নিয়েই আশাবাদী তরুণ এই শিল্পী।
সদস্যপদ ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন জায়েদ খান
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং এ সময়ের ভাইরাল নায়ক জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল হওয়ার ঘটনা শোবিজে বেশ আলোচিত হয়। তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নামে জন সম্মুখে আজে বাজে মন্তব্য করার দায়ে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়।
গত ১৯ এপিল জায়েদ খান সমর্থিত মিশা সওদাগর-ডিপজল প্যানেল শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন দ্রুতই জায়েদ তার সদস্য পদ ফিরে পাবেন। তবে একই কারণে যে নিপুণকে উল্টো সদস্য পদ হারাতে হবে সেকথা হয়তো কেউ ভাবনাতেও আনেননি। সম্প্রতি নিপুণও জন সম্মুখে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে নিয়ে কুরূচিকর মন্তব্য করেছেন বলে দাবী মিশা-ডিপজল প্যানেলের। ফলে জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল হলে নিপুণের ক্ষেত্রে কেন একই সিদ্ধান্ত হবে না জানতে চেয়ে শিল্পী সমিতিতে নোটিশ দিয়েছে বর্তমান কমিটি। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নিপুণ অবশ্য বলেছেন, তার সদস্যপদ বাতিল করা হলে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।
যাই হোক আজ জায়েদ খানের সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব জানান, জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপনেও বিষয়টি জানিয়েছে শিল্পী সমিতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগরও।
ইতোমধ্যে সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার চিঠি পেয়েছেন জায়েদ খান। এরপর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আমার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু মিশা-ডিপজল ভাই পরিষদ সেই অন্যায় প্রশ্রয় না দিয়ে সঠিক তদন্ত করে সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছেন। এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, ‘তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি (নিপুণ) বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।’
জায়েদ এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, ‘শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তারকারা নানা চরিত্র হয়ে হাজির হন পর্দায়। চরিত্রগুলো কখনো দর্শকে হাসায়, কখনো কাঁদায়, কখনো বিষণ্ন করে আবার কখনো ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। এতো এতো চরিত্রের ভিড়ে তারকার কাছে তার অভিনীত সেরা চরিত্র কোনগুলো, তা নিয়ে বার্তা২৪.কমের নতুন বিভাগ ‘তারকার সেরা ৫ চরিত্র’। এ বিভাগের আজকের তারকা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
আপনার অভিনীত সেরা ৫টি চরিত্র নিয়ে কথা বলতে চাই...
শিল্পী হয়ে নিজেই নিজের সেরা কাজগুলো নিয়ে বলাটা কঠিন। কারণ সবকটি কাজই তো সর্বোচ্চ অনেস্টি দিয়ে করার চেষ্টা করে থাকি। তারপরও নিজের ভালোলাগা তো বটেই, সেই সঙ্গে দর্শক ও সমালোচকপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে ৫টি চরিত্রের কথা বলছি...
‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর জরী
অনেকেই হয়তো জানেন, লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমা দিয়ে আমার পেশাগত অভিনয়জীবন শুরু। হুমায়ূন আহমেদের মতো কথাসাহিত্যিকের গল্প, তৌকীর আহমেদের মতো অভিনেতার নির্মাণ এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ছিল ছবিটি। সবমিলিয়ে আমার শুরুটা দারুণ হয়েছিল বলতেই হয়। এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র ‘জরী’। সেই চরিত্রে আমি অভিনয় করি। একে তো প্রথম যে কোন কিছুর প্রতি মানুষের আলাদা দুর্বলতা থাকে। তারওপর জরি চরিত্রটি সত্যিই অনবদ্য। একজন তরুণী, যে আবার চোখে দেখে না তার জীবনযাপন, সংগ্রাম, সমাজে অ্যাকসেপ্টেন্স-এর কথা বলা হয় চরিত্রটিতে। শুরুতেই বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ছবিটি মুক্তির পর সবার কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাই। প্রথম ছবির জন্য আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও পাই। সবমিলিয়ে ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর জরি আমার প্রথম পছন্দের চরিত্র।
‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর নীলা
‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর নীলাও আমার খুব প্রাণের কাছের একটি চরিত্র। শুধু এজন্য না যে সিনেমাটি একইসঙ্গে সুপারহিট এবং সমালোচকপ্রিয়। এই চরিত্রটি আমার চোখের সামনে তৈরী করেছিলেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। ফলে আমি চরিত্রটির মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম শুরু থেকেই। এরপর নিজের মধ্যে তা লালন করেছি দীর্ঘদিন। এই চরিত্রে আমি শুধু অভিনয়ই করিনি, এর পুরো লুক কেমন হবে, কি ধরনের সাজ পোশাক হবে সবটাই আমার আইডিয়া ছিল। ফলে এই চরিত্রটির প্রতি আমার দুর্বলতা অণ্যরকম। রোমান্টিক গল্পের ছবি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। আমার আর আরিফিন শুভ’র রোমান্টিক রসায়ন দর্শক খুব পছন্দ করে। তার বাইরেও যে নায়িকা চরিত্রটি আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে স্বকীয় হতে পারে সেটি নীলা চরিত্রটি দেখলে বোঝা যায়। এই চরিত্রটি করে আমি মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারের দর্শক জরিপ এবং সমালোচক- দুই শাখাতেই সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাই।
‘আলতা বানু’র আলতা
‘আলতা বানু’ আমার সাম্প্রতিক কাজ। এটি একটি নারীকেন্দ্রীক সিনেমা। অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় এই ছবিটিও প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মস। এখানে আমি নাম ভূমিকায় অভিনয় করি। একটি আটপৌরে মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প ‘আলতা বানু’। চরিত্রটিতে অনেক বাঁক ছিল। তাই কাজটি করে আনন্দ পেয়েছি। মুক্তির পর যে সব দর্শক গল্পনির্ভর ছবি দেখতে পছন্দ করেন তারা আমাকে দারুণ ফিডব্যক দিয়েছিলেন।
আমার অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা তো খুব বেশি নয়। তারমধ্যে এই তিনটি চরিত্র বেশি পছন্দ। এছাড়া ‘স্ফূলিঙ্গ’ নামে তৌকীর আহমেদের আরেকটি ছবি করেছিলাম সরকারি অনুদানের। সেখানেও উচ্চবিত্ত পরিবারের ড্রাগ অ্যাডিক্টেড একটি মেয়ের চরিত্র করেছিলাম। সেটিও আমার বেশ ভালো লেগেছিল।
‘ফুলমতি’ নাটকের ফুলমতি
নাটকেই তো সবচেয়ে বেশি অভিনয় করা হয়েছে। তারমধ্যে অনেক চরিত্র আছে খুব প্রিয়। তবে একটি চরিত্র বাছতে বলা হলে সুমন আনোয়ারের গ্রামীণ পটভূমির নাটক ‘ফুলমতি’র কথা বলব। এখানেও আমি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম। আফরান নিশো একটি ছোট্ট চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন। গ্রামীণ সমাজে একটি দরিদ্র মেয়ে নিজের সম্মান নিয়ে বাঁচতে কি ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে তার জীবন্ত চিত্র তুলে ধরেছিলেন সুমন আনোয়ার। চরিত্রটিতে অভিনয়ের অনেক জায়গা ছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম ফুলমতির গহনের জ্বালা পর্দায় মূর্ত করতে। নাটকটি প্রচারের পর ভীষণ সাড়া পেয়েছিলাম সব শ্রেণীর দর্শকের কাছ থেকে।
দর্শক অবশ্য আমার নাটকের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দ করেছে শিহাব শাহীনেরই পরিচালনায় ‘নীলপরী নীলাঞ্জনা’র নীলাঞ্জনা চরিত্রটি। তাহসান খানের সঙ্গে এই রোমান্টিক কাজের কথা এখনো দর্শক আমাকে বলে থাকে।
ওয়েব সিরিজ ‘অগোচরা’র হিন্দু বাড়ির বউ
সম্প্রতি ওয়েবেই পছন্দের কাজগুলো করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি চরিত্র বাছতে বললে বিঞ্জের ‘অগোচরা’ ওয়েব সিরিজের চরিত্রটির কথা বলব। জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর এক ভিন্ন রকম গল্প নিয়ে ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিদ্দিক আহমেদ। প্রযোজনা করেছেন হাসিবুল হাসান তানিম। পুরান ঢাকার আন্ডাওয়ার্ল্ডের গল্প নিয়ে নির্মিত। এ ধরনের গল্পে নারী চরিত্রের খুব একটা কাজ থাকে না। তবে আমাকে প্রধান নারী চরিত্রটি করতে দেওয়া হয়েছিল, যে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল। এখানে আমি একটি হিন্দু ঘরের বউ। তবে এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে সে স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। চরিত্রটিতে গ্রে শেড রয়েছে। তাই কাজটি করে মজা পেয়েছি।