কয়েক’শ বার আমার গান রিজেক্ট হয়েছে : নাভেদ পারভেজ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

নাভেদ পারভেজ / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

নাভেদ পারভেজ এক দশকের বেশি সময় ধরে সংগীতপরিচালক ও সুরকার হিসেবে কাজ করছেন। তার বেশকিছু গান সুপারহিট হয়েছে। তবে অনেক মিউজিশিয়ানের মতো তার মুখ দর্শক শ্রোতার কাছে পরিচিত নয়। কারণ তিনি একেতো থাকেন দেশের বাইরে, তারওপর ভীষণ প্রচারবিমূখ। অন্তরালে থাকা সেই মানুষটিকেই খুঁজে বের করে বার্তা২৪.কম মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ


আপনার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হিট গান কি শাকিব খানের ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ সিনেমার ‘সুরমা সুরমা’?


আসলে আমার বেশকিছু গান আলাদা আলাদা দিক দিয়ে মাইলফলক। যেমন, ২০১৩-১৪ সালের দিকে ‘কিস্তিমাত’ সিনেমার ‘শুধু একবার বলো’ গানটি বের হয়। ওটাই আমার প্রথম বাংলা গান। অর্থাৎ চলচ্চিত্রের গান দিয়েই আমার যাত্রা শুরু। গানটি তখন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ আলোড়ন ফেলে। ওই গানটি ‘কিস্তিমাত’ সিনেমার একটি সেলিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছিল। ‘মুসাফির’ সিনেমার টাইটেল গানটি আবার অন্যভাবে সফল। সাম্প্রতিক সময়ের বাংলা সিনেমার সেরা ৩টি টাইটেল গানের তালিকা করলে এটিও তারমধ্যে থাকবে। গানটি সে সময় যতোটা হিট হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া ফেলেছে কোভিডের সময়। ‘অস্তত্ব’ সিনেমার ‘আয় না বল না’ গানটিও জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ‘সুপার হিরো’ সিনেমায় গান করি। এই ছবি দিয়েই শাকিব খানের সঙ্গে পরিচয়। ২০২২-এর সুপারহিট সিনেমা ‘পরান’-এর ‘চলো নিরালায়’ গানটি সে বছরের অন্যতম জনপ্রিয় গান। সেটিও শাকিব খান শুনেছেন। তার সুবাদেই গত বছর ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’-এ কাজ করা হয়। তিনি আমাকে তার বাসায় ইনভাইট করেছিলেন। আমি দেখা করতে গেলে এই ছবিতে গান করার কথা বলেন। এরপর তো সবাই জানেন, ‘সুরমা সুরমা’ কতোটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

এক দশকের সংগীত ক্যরিয়ারে বেশকিছু জনপ্রিয় গান উপহার দেওয়ার পরও তারকাখ্যাতি পাননি। বড় কোন পুরস্কারও ঘরে আসেনি। কতোটা তুষ্ট আপনি?


আসলে আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো- আমার গানগুলো দর্শক এতোটা গ্রহণ করেছে সেটি। নিজের সৃষ্টিকে দর্শক শ্রোতার মনে জায়গা করাতে পারার মতো সফলতা আর কি হতে পারে? এটা সবার ভাগ্যে জোটেও না। খুব কষ্টকর কাজ কিন্তু। আরেকটি বিষয় হলো- আমি যে সিনেমাগুলোতে গান করেছি সেই গানগুলো ওই ছবির সেলিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। এটাও এক ধরনের সার্থকতা। প্রযোজক-পরিচালকরা আমাকে সেভাবেই মূল্যায়ন করেন সব সময়। এজন্য আমি বছরে কয়টা গান করলাম সেটি কখনোই মূখ্য ছিল না। যে গানটি করলাম সেটি কতোখানি সফল হলো তা আমার আছে অগ্রগন্য। আর তারকাখ্যাতির কথা বলতে গেলে, এর জন্য যে পরিমাণ সময় কিংবা এফোর্ট দিতে হয় সেটি আমার দিতে ইচ্ছে করে না। আমি বরং সেই সময়ে নতুন কিছু সৃষ্টির কথা ভাবি। মানুষ আমাকে চিনলে, ভালোবাসা দিলে তো ভালো লাগেই। কিন্তু এটাই আমার কাজের একমাত্র লক্ষ্য নয়। আমার কাজ বেঁচে থাকলে সেটি বরং আমার চরম সার্থকতা হবে। এখন যে গানটি মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে, সেই গানটি সার্থক হবে যদি ১০ বছর পরও মানুষের মুখে মুখে থাকে। আমি এই বিশ্বাস নিয়েই কাজ করি।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

‘পরান’ সিনেমার সুপারহিট গান ‘চলো নিরালায়’-এর পেছনের গল্পটি শুনতে চাই...


মজার বিষয় হলো, ‘চলো নিরালায়’ কিন্তু মুক্তির পরদিনই সাড়া ফেলেনি। প্রথম চারদিনে মাত্র ৪০ হাজার ভিউ হয়েছিল ইউটিউবে। হুট করেই পঞ্চম দিনে গানটি অন্য জায়গায় চলে যায়। এটা হয়েছিল মূলত টিকটকের কল্যানে। টিকটকে গানটি ট্রেন্ড হওয়ার পর মূল গানটিও সবাই শোনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়। এটা তো গেল মুক্তির পরের কথা। গানটি তৈরীর সময়ও মজার গল্প আছে। যা আগে কখনো কোথাও বলিনি। পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ ‘তুমি যে আমার’ নামে একটি ছবি করতে চেয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এই গানটির আইডিয়া আমি তখন সেই ছবির জন্য করেছিলাম। ছবিটি যেহেতু হয়নি, তাই আইডিয়াটা যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম যাতে ভালো কোথাও ব্যবহার করতে পারি। কোভিডের মধ্যে রায়হান রাফী ‘পরান’ সিনেমার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার গল্পে যে সিচুয়েশন তার সঙ্গে এই গানটি একেবারেই মিলে যায়। এজন্যই গানটি ‘পরান’-এ দিয়েছি।


মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। লবিং ছাড়া নাকি ফিল্মের গান পাওয়ায় যায় না। আপনিতো থাকেন দেশের বাইরে। তাহলে এই ভালো ভালো কাজগুলো কিভাবে পান?


অনেকেই ভাবে আমি অনেক লবিং করে কাজ করছি। কিন্তু এই অপবাদ আজ অস্বীকার করছি। ‘কিস্তিমাত’ ছবিতে গান করার সুযোগ পাওয়ার আগে শোবিজের কেউ আমার পরিচিত ছিল না। দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে যোগাযোগ করা ছাড়া আর কোন উপায়ও ছিল না। ফেসবুকে পরিচালক, গায়ক-গায়িকাদের খুঁজে খুঁজে মিউজিক কম্পোজিশন পাঠাতাম। কয়েক’শ বার আমার গান রিজেক্ট হয়েছে। এখন যে সিঙ্গারদের সঙ্গে কাজ করছি তাদেরও কেউ কেউ সে সময় আমাকে পাত্তা দেয়নি। হয়ত সে কথা তাদের মনেও নেই। একটা সময় ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, ‘কিস্তমাত’-এ সুপারহিট গান উপহার দেওয়ার পরও এক বছর আমাকে কেউ কাজ দেয়নি। পরে একই পরিচালক তার ‘মুসাফির’ সিনেমায় আমাকে কাজ দেন। এসব কথা বলার কারণ হলো, আমি কখনোই লবিং করে কাজ করিনি। করলে শুরু থেকেই অনেক কাজ করতে পারতাম। আমি বেছে বেছে ভালো কিছু ছবিতে গান করেছি। কিছু ছবির মুক্তিই পায়নি। ফলে সেই গানগুলোও আলোর মুখ দেখেনি।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

নিজের কোন প্ল্যাটফর্ম খুললে তো গানগুলো সেখানে প্রকাশ করতে পারবেন...


আমার নিজের নামে ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখান থেকে একেবারেই নিজের পছন্দমতো কিছু গান প্রকাশ করছি। কিছুদিন আগে বেলাল খান আর কনার গাওয়া একটি গান এসেছে। এছাড়া যারা ভালো লিখতে পারে, গাইতে পারে তাদেরও সুযোগ দিচ্ছি। কেউ যদি মনে করেন আপনি মেধাবী তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারি। তবে যে গানগুলো আটকে আছে সেগুলো নিজের চ্যানেলে প্রকাশ করার উপায় নেই। কারণ গানগুলোর স্বত্ত্বতো ওই সিনেমার প্রযোজকের। তিনি তো আমাকে পারিশ্রমিক দিয়েই কাজটি করিয়েছেন।


সম্প্রতি বিয়ে করলেন। বিয়ের গল্পটা কেমন ছিল?


পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। এটা শুনলে অনেকে বিশ্বাসই করতে চায় না। বিয়ের আগে কোন প্রেমও করিনি! এদিকে বিয়ের বয়সও হয়েছে অনেক আগে। তাই পরিবার থেকে চাপ ছিল। আমেরিকাতে সদ্য আইটি জব পেয়ে ভেবেছিলাম আরেকটু গুছিয়ে নিয়ে বিয়ের কথা ভাবব। কিন্তু এরইমধ্যে আমার ঘনিষ্ট এক বন্ধু বলল, কিরে বিয়ে সাদি কি করবি না? আমি বলেছিলাম, তোমরা তো পাত্রী দেখ না! সিরিয়াসলি বললেও সে ভেবেছে মজা করছি। কিছুদিন পর আবারও একই প্রসঙ্গ। আমি একই উত্তর দিলাম। এবার সে সিরিয়াস হলো। অল্পদিনের মধ্যেই আমাকে পাত্রীর ছবি ও সিভি দেখালো। বলল, মেয়েটি তার বন্ধবীর ফ্রেন্ড। আমি আমিও সেই বন্ধুর বান্ধবীকে চিনি, নিউ ইয়র্কে থাকে। এজন্য আমি সিরিয়াসলি নিলাম বিষয়টি। বায়োডাটা, ছবি সব মিলিয়ে আমার ভালো লাগলো। পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম, তারাও খুব পছন্দ করলো। এরপর ফোনে কথা বলে দেখলাম মেয়েটি খুবই পজিটিভ মানসিকতার। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সেও খুব সংস্কৃতিমনা। ফোনে কথা বলেই মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। দেশে ফিরে একদিন মাত্র দেখা করার পরই বিয়ের দিনক্ষন পাকা হয়ে গেল। এরপর তো বিয়ে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানটি করেছি আরও কয়েক মাস পরে। আমার স্ত্রীর নাম ফারহানা বিনতি। তিনি এখনো ঢাকাতেই থাকেন। আমি ঢাকা-নিউ ইয়র্ক যাওয়া-আসার মধ্যে আছি।

নাভেদ পারভেজ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে
   

বিগবি-প্রভাস-দীপিকার ‘প্রজেক্ট কল্কি’র নতুন তারিখ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো পর্দায় জুটি বেঁধে আসছেন প্যান ইন্ডিয়ান তারকা প্রভাস এবং বলিউডের সুপারস্টার দীপিকা পাডুকোন। সঙ্গে আবার মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তাদের আসন্ন সিনেমার নাম ‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’।

হিন্দু পৌরাণিক দেবতা বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কির পৃথিবীতে অবতারনের গল্পের ভিত্তিতে কাল্পনিক গল্পের ভিত্তিতে এগিয়ে চলে এই সিনেমা। নাগ অশ্বিন পরিচালিত সিনেমাটি দেখার জন্য ভারতীয় দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এ বছরের ৯ মে। তবে সেই তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

আজ (২৭ এপ্রিল) এর নতুন তারিখ জানানো হয়েছে সিনেমাটির অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) একাউন্ট থেকে। একটা পোস্টার প্রকাশ করা হয় যেখানে প্রভাস, দীপিকা এবং অমিতাভ বচ্চনকে দেখা যায় পাশাপাশি। পোস্টারের উপরে সিনেমা মুক্তির তারিখ ২৭ জুন ২০২৪।

এই পোস্টারের মাধ্যমেই ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে

সপ্তাহখানেক আগেই সিনেমা সংশ্লিষ্টরা একটি টিজার প্রকাশ করে, যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল অমিতাভ বচ্চনের অশ্বত্থামা চরিত্র। সেখানে দেখা যায়, একটি গুহায় অবশিষ্ট শিব মন্দিরে উপস্থিত রয়েছেন মুখ ঢাকা এক বৃদ্ধ। শিবলিঙ্গের উপরে পড়তে থাকা পানির ফোটা বন্ধ হয়ে গেলে বোঝা যায় গঙ্গা, যমুনা সরস্বতী সহ সকল নদী শুকিয়ে গেছে। এক কিশোর বৃদ্ধের পরিচয় জানতে চাইলে জানা যায়, তিনি আর কেউ নন সপ্ত চিরঞ্জীবীর একজন দ্রোণপুত্র অশ্বত্থামা।

অমিতাভের চরিত্রের মাধ্যমেই জানা যায় আদিকাল থেকে নতুন অবতারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে তিনি আসায় এখন অশ্বত্থামার আত্মপ্রকাশের সময় এসেছে। মহাভারতের গল্পের সঙ্গে সিনেমার গল্পের বেশ গভীর যোগাযোগ বজায় রাখা হবে। ভবিষ্যত পৃথিবীর দুরবস্থা কল্পনা করে সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে। সিনেমায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কমল হাসান।

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

;

শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে কর্মশালা



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে গাজীপুরে দু’দিনব্যাপী কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গাজীপুর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাটমন্দিরে শুরু হয় এ কর্মশালা। কর্মশালায় সঙ্গীত শিল্পী, প্রশিক্ষণার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। শনিবার শেষ হয় দু’দিনব্যাপী এই কর্মশালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থা ২০-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১০টি জেলায় এ কর্মশালা পরিচালনা করছে। গাজীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ কর্মশালার বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার শারমীন জাহান জানান, নজরুলের সাহিত্যকর্ম ও তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে কবির কালজয়ী গান শুদ্ধ সুর ও বাণীতে প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নজরুল সঙ্গীত শিল্পী আফরোজা খান মিতা ও নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী দু’দিনের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। 

শনিবার সন্ধ্যায় কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার গাজীপুর এর উপপরিচালক (উপসচিব) মোঃ ওয়াহিদ হোসেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তিনি সনদপত্র বিতরণ করেন।

;

‘কাজলরেখা’র সব আলো কেড়ে নিলেন মিথিলা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা /  ছবি : রোহিত শায়ন

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা / ছবি : রোহিত শায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি ছবির প্রথমার্ধ শেষে একটি চরিত্র এলো। আর সেই চরিত্রই হয়ে উঠল দর্শকের হাসি, আনন্দ, বেদনা আর বিরক্তির কারণ!

বলছি, গুণী নির্মাতা গীয়াসউদ্দিন সেলিমের নতুন সিনেমা ‘কাজলরেখা’র কথা। আর যে চরিত্রটির বয়ান করা হচ্ছে, সেটি কঙ্কন দাসি। অভিনয়শিল্পীর নাম রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে কতোটা সফল সেটি সময় বলে দেবে। তবে যারা ছবিটি দেখেছেন তারা অন্তত হতাশ হয়ে ফেরেননি।

গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে পুষেছেন। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা ছিল বলেই হয়তো ছবিটি অবাস্তব কিংবা হাসির খোরাক হয়ে ওঠেনি।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

বাংলাদেশের রূপ অত্যন্ত মায়াময় করে উপস্থাপন করেছেন তিনি। লোকেশন, ক্যামেরার কাজ এবং মিউজিক তিনটিই ‘কাজলরেখা’র প্রাণ। ইমন চৌধুরী যে কাজটি নিয়ে অনেক রাতের ঘুম হারাম করেছেন তা তার কাজ পর্দাতেই ফুটে উঠেছে।

গুণী সব শিল্পীরা অভিনয় করেছেন, যার যার চরিত্রে যথার্থ। তবে আরও এনগেজিং হতে পারতো। সেখানেই সাফল্য মিথিলার। দুই দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে মিথিলা যেন সদ্য তুমুল আলোকচ্ছটা নিয়ে জ¦লে উঠছেন। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ মিথিলার অভিনয়ের কথা দর্শক ভুলবে না অনেকদিন। কলকাতায় ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’ কিংবা সেখানের সিনেপর্দায় ‘ও অভাগী’তেও সেই ধারা অব্যাহত।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

তবে ‘কাজলরেখা’র কঙ্কন দাসি চরিত্রে মিথিলাকে দেখে দর্শক হয়ত বলেই বসবেন, তিনি ছাড়া এই চরিত্র এমনভাবে আর কে ফুটিয়ে তুলতেন?

ছবিটির শেষার্থে এন্ট্রি নিয়ে পুরো আলোটাই নিজের করে নিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ‘কাজলরেখা’ নিয়ে লিখতে গিয়ে লিখেছেন, “মিথিলা এক দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীতে পরিণত হয়েছে। শি স্টিলস দ্য শো। এক্সপ্রেসন, বডি ল্যাংগুয়েজ, ডায়ালগ ডেলিভারি, সুপার্ভ!’

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

সুবর্ণার মতো অনেকেই এই চরিত্রটি নিয়ে আলাদা করে কথা বলছেন। যেরকম ওয়েব প্ল্যাটফর্ম চরকির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অনিন্দ্য ব্যানার্জী সিনেমাটি দেখেছে বলছেন, ‘সবাই খুব ভালো করেছেন কিন্তু সব্বাইকে ছাপিয়ে গেছে মিথিলা।’

‘কংকণ দিয়ে কিনসি, তাই নাম কঙ্কণ দাসী’ মিথিলার প্রথম এই সংলাপেই দর্শকরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। চোখে-মুখে কিঞ্চিত বিরক্তি, ভয়, আর একরাশ লোভ! সবকিছুরই একসঙ্গে দেখা মিলে কঙ্কণ দাসী চরিত্রের ভিতর।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করেছেন ‘কাজলরেখা’। যে ছবির অন্যতম চরিত্র কঙ্কন দাসী হিসেবে অভিনয় করেছেন মিথিলা। সিনেমায় এটি একমাত্র নেতিবাচক চরিত্র। যে চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় দেখিয়ে দর্শকের মন কেড়েছেন তিনি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছড়িয়েছেন দ্যুতি।

নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। মিথিলা সেই চ্যালেঞ্জটি যেন উতরে গেছেন দুর্দান্তভাবে। যে কাজলরেখা হাতের কঙ্কন দিয়ে কিনে রাখে দাসীকে, সে ই সুযোগ বুঝে কাজলরেখাকে হটিয়ে নিজেই হয়ে ওঠে রাজকুমারের রানী! তার শেষ পরিণতি কী হয় এবং সেটা মিথিলা কী করুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেন; তা দর্শক সিনেমাটি দেখলে আঁচ পাবেন! তাইতো সিনেমার নায়ক নায়িকার পাশাপাশি দর্শক আলাদা করে উল্লেখ করছেন কঙ্কন দাসী রূপে মিথিলার নামটিও!

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

বড় আয়োজনে নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। এর সেট নির্মাণে কাজ করেছেন হাজং, মগ ও চাকমা নৃগোষ্ঠীর অর্ধশতাধিক মানুষ। ছবিতে ২০টির মতো গান রয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সাদিয়া আয়মান, মন্দিরা চক্রবর্তী, গাউসুল আলম শাওন, খায়রুল বাসার, ইরেশ যাকের প্রমুখ।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

 

;

রণবীর-সাই পল্লবীর রাম-সীতা লুক ফাঁস



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী নির্মাতা নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শকমহল। ছবিতে রামের চরিত্রে থাকছেন রণবীর কাপুর এবং সীতার ভূমিকায় দক্ষিণী অভিনেত্রী সাই পল্লবী।

বড় বাজেটের এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক পরিচালক। শুটিং সেট থেকে কোন চরিত্রের লুক যাতে ফাঁস না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছেন পরিচালক। অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং নির্মাতা ছাড়া শুটিং ফ্লোরে কোন কলাকুশলীর ফোন ব্যবহার করার অনুমতি নেই।

তাও শেষ রক্ষা হলো না। আজ সকাল থেকেই অন্তর্জালে ঘুরছে ‘রামায়ণ’ ছবির নানা ছবি। সেট থেকে ফাঁস হয়ে গেছে রামের চরিত্রে রণবীর এবং সীতার চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক। সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

তাতে দেখা যাচ্ছে, রণবীর কাপুরের লম্বা চুল, শরীরটা বেশ কিছুটা মেদে ভরা। সাই পল্লবীকে দেখা যাচ্ছে মেরুন শাড়ি, ডিজাইনার ব্লাউজ ও দোপাট্টায়। রণবীরও তার সঙ্গে ম্যাচিং কাতানের ধুতি ও দোপাট্টা পরেছেন। সেই সঙ্গে দুজনের সোনার কোমরবন্ধনী, গলার হার আর কানের দুলও কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। 

ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, প্রাসাদের অন্দরে এটি ছিল নায়ক-নায়িকার রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং। পেছনে ছবির সেটের সোনালি চিত্রও দেখা যাচ্ছে খানিকটা।

ছবি সংশ্লিষ্টরা এতে বিরক্ত হলেও সাই-রণবীরের রসায়ন দেখে মুগ্ধ ভক্তরা।

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক
;