জাহিদুর রহমান
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বার্তা২৪.কম
ঢাকা
৫৩ প্রেক্ষাগৃহে আসছে তালাশ
জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিনোদন
অপেক্ষার পালা শেষ। শুক্রবার দেশের ৫০টির বেশি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে 'তালাশ'। এই ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে প্রথমবারের মতো রূপালি পর্দায় অভিষেক হচ্ছে আদর আজাদের। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী।
প্রেম নেশাগ্রস্ত একজন রকস্টারের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে 'তালাশ'। যৌথভাবে ছবির গল্প তৈরি করেছেন সৈকত নাসির ও আসাদ জামান এবং সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন আসাদ জামান।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা সৈকত নাসির।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ছবিটির পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীরা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ছবির পরিচালক অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি,বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মো শাহিন সুমন, নির্মাতা সৈকত নাসির, অভিনেতা আদর আজাদ ও শবনম বুবলী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, ভিন্নধর্মী প্রচারণা এবং মুক্তির আগে প্রকাশিত গান-ট্রেলার দিয়ে ইতোমধ্যে অন্তর্জালে প্রশংসা পেয়েছে ক্লিওপেট্রা ফিল্মস প্রযোজিত ছবি 'তালাশ'। ঝকঝকে নির্মাণ ও ভিন্ন ধাঁচে গল্প বলার গুণে নিঃসন্দেহে ছবিটি মুগ্ধ করবে দর্শকদের।
তালাশ ছবিতে মোট ছয়টি গান। যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান-কনা, এ আর রাব্বি,দিন ইসলাম শাহরুখ, ঐশী-আরিফ, মেজবাহ বাপ্পী। টাইটেল গান ফরিক আহাদ, সামির।
গানের কথা লিখেছেন প্রসেনজিৎ মন্ডল, রনক ইকরাম, সাদাত হোসেন, শাহ আবদুল করিম, ফকির আহাদ। মিউজিক করেন শাহরিয়ার আলম মার্সেল, এ আর রাব্বি, দিন ইসলাম শাহরুখ, নাভেদ পারভেজ, আহম্মেদ হুমায়ূন, মিনহাজ জুয়েল।
এতে বুবলি ও আদর আজাদ ছাড়াও অভিনয় করেছেন আসিফ আহসান খান, দিপক সুমন, ফথ্রুল বাসার মাসুম, মিলি বাসার, আশরাফ, জোযন মাহমুদ, মোঃ সারওয়ার শুভ, শারমিন শর্মী, রেজাউর রাহমান রাজু সহ আনেকে।
শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে কর্মশালা
ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে গাজীপুরে দু’দিনব্যাপী কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গাজীপুর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাটমন্দিরে শুরু হয় এ কর্মশালা। কর্মশালায় সঙ্গীত শিল্পী, প্রশিক্ষণার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। শনিবার শেষ হয় দু’দিনব্যাপী এই কর্মশালা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থা ২০-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১০টি জেলায় এ কর্মশালা পরিচালনা করছে। গাজীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ কর্মশালার বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার শারমীন জাহান জানান, নজরুলের সাহিত্যকর্ম ও তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে কবির কালজয়ী গান শুদ্ধ সুর ও বাণীতে প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নজরুল সঙ্গীত শিল্পী আফরোজা খান মিতা ও নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী দু’দিনের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার গাজীপুর এর উপপরিচালক (উপসচিব) মোঃ ওয়াহিদ হোসেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তিনি সনদপত্র বিতরণ করেন।
একটি ছবির প্রথমার্ধ শেষে একটি চরিত্র এলো। আর সেই চরিত্রই হয়ে উঠল দর্শকের হাসি, আনন্দ, বেদনা আর বিরক্তির কারণ!
বলছি, গুণী নির্মাতা গীয়াসউদ্দিন সেলিমের নতুন সিনেমা ‘কাজলরেখা’র কথা। আর যে চরিত্রটির বয়ান করা হচ্ছে, সেটি কঙ্কন দাসি। অভিনয়শিল্পীর নাম রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে কতোটা সফল সেটি সময় বলে দেবে। তবে যারা ছবিটি দেখেছেন তারা অন্তত হতাশ হয়ে ফেরেননি।
গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে পুষেছেন। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা ছিল বলেই হয়তো ছবিটি অবাস্তব কিংবা হাসির খোরাক হয়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশের রূপ অত্যন্ত মায়াময় করে উপস্থাপন করেছেন তিনি। লোকেশন, ক্যামেরার কাজ এবং মিউজিক তিনটিই ‘কাজলরেখা’র প্রাণ। ইমন চৌধুরী যে কাজটি নিয়ে অনেক রাতের ঘুম হারাম করেছেন তা তার কাজ পর্দাতেই ফুটে উঠেছে।
গুণী সব শিল্পীরা অভিনয় করেছেন, যার যার চরিত্রে যথার্থ। তবে আরও এনগেজিং হতে পারতো। সেখানেই সাফল্য মিথিলার। দুই দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে মিথিলা যেন সদ্য তুমুল আলোকচ্ছটা নিয়ে জ¦লে উঠছেন। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ মিথিলার অভিনয়ের কথা দর্শক ভুলবে না অনেকদিন। কলকাতায় ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’ কিংবা সেখানের সিনেপর্দায় ‘ও অভাগী’তেও সেই ধারা অব্যাহত।
তবে ‘কাজলরেখা’র কঙ্কন দাসি চরিত্রে মিথিলাকে দেখে দর্শক হয়ত বলেই বসবেন, তিনি ছাড়া এই চরিত্র এমনভাবে আর কে ফুটিয়ে তুলতেন?
ছবিটির শেষার্থে এন্ট্রি নিয়ে পুরো আলোটাই নিজের করে নিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ‘কাজলরেখা’ নিয়ে লিখতে গিয়ে লিখেছেন, “মিথিলা এক দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীতে পরিণত হয়েছে। শি স্টিলস দ্য শো। এক্সপ্রেসন, বডি ল্যাংগুয়েজ, ডায়ালগ ডেলিভারি, সুপার্ভ!’
সুবর্ণার মতো অনেকেই এই চরিত্রটি নিয়ে আলাদা করে কথা বলছেন। যেরকম ওয়েব প্ল্যাটফর্ম চরকির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অনিন্দ্য ব্যানার্জী সিনেমাটি দেখেছে বলছেন, ‘সবাই খুব ভালো করেছেন কিন্তু সব্বাইকে ছাপিয়ে গেছে মিথিলা।’
‘কংকণ দিয়ে কিনসি, তাই নাম কঙ্কণ দাসী’ মিথিলার প্রথম এই সংলাপেই দর্শকরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। চোখে-মুখে কিঞ্চিত বিরক্তি, ভয়, আর একরাশ লোভ! সবকিছুরই একসঙ্গে দেখা মিলে কঙ্কণ দাসী চরিত্রের ভিতর।
মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করেছেন ‘কাজলরেখা’। যে ছবির অন্যতম চরিত্র কঙ্কন দাসী হিসেবে অভিনয় করেছেন মিথিলা। সিনেমায় এটি একমাত্র নেতিবাচক চরিত্র। যে চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় দেখিয়ে দর্শকের মন কেড়েছেন তিনি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছড়িয়েছেন দ্যুতি।
নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। মিথিলা সেই চ্যালেঞ্জটি যেন উতরে গেছেন দুর্দান্তভাবে। যে কাজলরেখা হাতের কঙ্কন দিয়ে কিনে রাখে দাসীকে, সে ই সুযোগ বুঝে কাজলরেখাকে হটিয়ে নিজেই হয়ে ওঠে রাজকুমারের রানী! তার শেষ পরিণতি কী হয় এবং সেটা মিথিলা কী করুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেন; তা দর্শক সিনেমাটি দেখলে আঁচ পাবেন! তাইতো সিনেমার নায়ক নায়িকার পাশাপাশি দর্শক আলাদা করে উল্লেখ করছেন কঙ্কন দাসী রূপে মিথিলার নামটিও!
বড় আয়োজনে নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। এর সেট নির্মাণে কাজ করেছেন হাজং, মগ ও চাকমা নৃগোষ্ঠীর অর্ধশতাধিক মানুষ। ছবিতে ২০টির মতো গান রয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সাদিয়া আয়মান, মন্দিরা চক্রবর্তী, গাউসুল আলম শাওন, খায়রুল বাসার, ইরেশ যাকের প্রমুখ।
মেধাবী নির্মাতা নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শকমহল। ছবিতে রামের চরিত্রে থাকছেন রণবীর কাপুর এবং সীতার ভূমিকায় দক্ষিণী অভিনেত্রী সাই পল্লবী।
বড় বাজেটের এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক পরিচালক। শুটিং সেট থেকে কোন চরিত্রের লুক যাতে ফাঁস না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছেন পরিচালক। অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং নির্মাতা ছাড়া শুটিং ফ্লোরে কোন কলাকুশলীর ফোন ব্যবহার করার অনুমতি নেই।
তাও শেষ রক্ষা হলো না। আজ সকাল থেকেই অন্তর্জালে ঘুরছে ‘রামায়ণ’ ছবির নানা ছবি। সেট থেকে ফাঁস হয়ে গেছে রামের চরিত্রে রণবীর এবং সীতার চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক। সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।
তাতে দেখা যাচ্ছে, রণবীর কাপুরের লম্বা চুল, শরীরটা বেশ কিছুটা মেদে ভরা। সাই পল্লবীকে দেখা যাচ্ছে মেরুন শাড়ি, ডিজাইনার ব্লাউজ ও দোপাট্টায়। রণবীরও তার সঙ্গে ম্যাচিং কাতানের ধুতি ও দোপাট্টা পরেছেন। সেই সঙ্গে দুজনের সোনার কোমরবন্ধনী, গলার হার আর কানের দুলও কারো দৃষ্টি এড়ায়নি।
ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, প্রাসাদের অন্দরে এটি ছিল নায়ক-নায়িকার রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং। পেছনে ছবির সেটের সোনালি চিত্রও দেখা যাচ্ছে খানিকটা।
ছবি সংশ্লিষ্টরা এতে বিরক্ত হলেও সাই-রণবীরের রসায়ন দেখে মুগ্ধ ভক্তরা।
ভারতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সম্প্রতিও বলিউডে প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হয়েছেন! সে ঘটনা আবার তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তিনি এমন উদাহরণগুলো বর্ণনা করেছেন, যেখানে তাকে নানাবিধ কারণে কোণঠাসা করা হয়েছে এবং অনেকগুলো বড় সুযোগ হারিয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, যে প্রত্যাখ্যানের সাথে আসলে মোকাবিলা করা সহজ নয়। তিনি বলেন, ‘এটা কঠিন। বিশেষ করে বৈধতার ক্ষেত্রে। কতজন লোক আসে এবং আপনার সিনেমা দেখে বা আপনার পরিচালক আপনার অভিনয় সম্পর্কে কী ভাবেন বা আপনার কাস্টিং এজেন্ট কী ভাবেন, এর সবই বিষয়ভিত্তিক। ফলে কে আপনাকে কখন কো বিবেচনায় ফেলে দিলো, সেটা অনুমান করা বা শুধরানো খুবই কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, “আমি অনেক কারণে চলচ্চিত্র শিল্পে প্রত্যাখ্যান দেখেছি। আমরা সবাই বলতে পারি ‘আমি এর চেয়ে ভালো’। কিন্তু এটা সত্য না। আপনাকে প্রত্যাখ্যান বিষয়টি অনুভব করতে হবে। এটা শোক করার মতো। অনেক দিন আগেই আমি কর্মক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে আপোষ করে নিয়েছি।’’
এর আগে সিমি গারেওয়ালের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, বলিউডে কেউ তার সাথে কাজ করতে চায় না। ১৮ বছর বয়স থেকে প্রত্যাখ্যানের একটি চিত্র উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম কয়েক বছর সত্যিই খারাপ ছিল, কারণ আমি কাউকে বিশ্বাস করিনি। যা করা উচিত নয়। এমন একটি পর্যায় ছিল যেখানে আমার কোনও সিনেমার কাজই শুরু হয়নি। আমি ভাবছিলাম এখানে কী করছি এবং আমি আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার চিন্তাও করেছিলাম। কারণ আমি কাউকে বিশ্বাস করছিলাম নাম এবং অন্যরাও আমাকে প্রত্যাখ্যান করা শুরু করলো।’
২০২৩ সালে ড্যাক্স শেফার্ডের সাথে কথা বলে প্রিয়াঙ্কা বলিউডে কোণঠাসা হওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে ইন্ডাস্ট্রিতে (বলিউড) এক কোণে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। আমার কাছের লোকে আমাকে কাস্ট করেনি। খেলা খেলতে পারদর্শী নই তাই আমি রাজনীতিতে ক্লান্ত ছিলাম। তখনই মন বললো, আমার একটা বিরতি দরকার।’
তবে কোণঠাসা হওয়ার গল্পগুলো আজকাল প্রিয়াঙ্কার কণ্ঠে শোভা পেলেও তিনি কিন্তু বলিউড পেরিয়ে জয় করার পথে চলেছেন হলিউডও।