ফিরোজা বেগম আর্কাইভের উদ্বোধন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীতে মানুষ তাঁর কৃতকর্মের জন্য অমর হয়ে থাকেন। যুগ যুগান্তর বেঁচে থাকেন মানুষের মনের মণিকোঠায়। অসামান্য অবদানের কারণে হয়ে ওঠেন কালোত্তীর্ণ।

ফিরোজা বেগম তেমন-ই এক কালজয়ী সংগীতশিল্পীর নাম। যিনি নজরুল সংগীত সাধনায় জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। নজরুল সংগীতে অসামান্য অবদান তাঁকে করেছে মহান। গভীর উপলদ্ধিবোধ নিয়ে তিনি আজীবন গানের চর্চা করে গিয়েছেন। ধ্যানমগ্ন ছিলেন সুরের মূর্চ্ছনায়। কঠোর অনুশীলন আর লক্ষ্যে অবিচল থেকে হয়ে উঠেছিলেন গানের কিংবদন্তি।

কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগমকে স্মরণীয় করে রাখতে এসিআই ফাউন্ডেশন এক মহান উদ্যোগ নিয়েছে যার ফলশ্রুতিতে ফিরোজা বেগমের ৯১তম জন্মবার্ষিকী (২৮ জুলাই) উদ্বোধন করা হয়েছে একটি ডিজিটাল আর্কাইভ (www.ferozabegum.com)।

এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেছে ফিরোজা বেগম আর্কাইভ। যেখানে এই মহান কণ্ঠশিল্পীর জীবন ও কর্মের যুগাান্তকারী সব সৃষ্টি সংরক্ষিত আছে যেমন- শুরুতেই জীবনী, পুরস্কারের তালিকা, বিশেষ করে থাকছে নজরুলের গান, কাব্যগীতি, আধুনিক বাংলা গান, গীত ও গজল।

রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দুর্লভ সংগ্রহ। টেলিভিশন থেকে রেডিও, মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে সাক্ষাৎকার পেয়ে যাবেন এক ক্লিকে। থাকছে বিভিন্ন বাংলা, ইংরেজি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকার, অনুষ্ঠান, প্রতিবেদন।

ফটো গ্যালারিতে রয়েছে তার একক ছবিসহ পারিবারিক জীবন, সঙ্গীত জীবন, বিভিন্ন দিকপালদের সাথে ছবি। এর পাশাপাশি রয়েছে হাতে লেখা নোটবুকের কপি, চিঠি-পত্র আরও অনেক কিছু। আছে তাঁর স্বামী প্রখ্যাত সুরকার কমল দাশগুপ্তের জীবনী, গানের খাতার প্রতিলিপি, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, গান এবং ছবি।

কমল দাশগুপ্তের সুরে ফিরোজা বেগমের বহুল প্রচলিত গানগুলোর মধ্যে- আমি বনফুল গো, এমনই বরষা ছিল সেদিন, মোর জীবনের দুটি রাতি, মাটির এ খেলাঘরে অন্যতম। থাকছে তাঁকে ঘিরে বিভিন্ন প্রজন্মের নানা শিল্পীর কথা। ভবিষ্যতে কোনো গুণগ্রাহীর কাছে থেকে পাওয়া কোনো তথ্য, ভিডিও বা গান এই আর্কাইভে সংযোজন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

শিল্পী ফিরোজা বেগমের সহোদর ও এসিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব এম. আনিস উদ দৌলার পক্ষে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মিসেস সাদিয়া আফরিন মল্লিক উদ্বোধনী বক্তৃতা পড়ে শোনান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে এসিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, শিল্পী ফিরোজা বেগমের ঐশ্বরিক কণ্ঠ এবং তাঁর একাগ্র সাধনায় নজরুল সংগীত এই উপমহাদেশে জনপ্রিয় করে তুলেন। তিনি সবাইকে অনুরোধ করে বলেন, “কারো কাছে যদি ফিরোজা বেগমের কোন স্মৃতি চিহ্ন থাকে, তা যদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন, আমরা সন্মানের সাথে তা এই আর্কাইভে সংরক্ষণ করবো।”

তিনি আরও বলেন, “এটি একটি অলাভজনক উদ্যোগ।”

জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের শিল্পীরা জানতে পারবে, শিখতে পারবে, গবেষণা করতে পারবে।

ফিরোজা বেগমের পুত্র জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীত শিল্পী শাফিন আহমেদ তার মা ফিরোজা বেগম সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ করেন।

ভার্চুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকাতা থেকে কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ফিরোজা বেগমকে স্মরণ করেন এবং শিল্পী অনুপ ঘোষাল তাঁর অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।

সাদিয়া আফরিন মল্লিকের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি আসাদুজ্জামান নূর (সংসদ সদস্য) ও সম্পাদক মতিউর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য দিয়েছেন শিল্পী মোস্তফা মনোয়ার, ফেরদৌসী রহমান।

ফিরোজা বেগমের সহোদর, সাবেক সচিব ও প্রখ্যাত গীতিকার জনাব মোহাম্মদ আসাফ উদ দৌলাহ তাঁর স্মৃতিচারণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আরও যুক্ত ছিলেন দুই বাংলার সংগীতাঙ্গনের বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দসহ প্রথিতযশা বিভিন্ন ধারার শিল্পী, কলাকুশলী, অসংখ্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এছাড়া ভিডিও শুভেচ্ছা-বার্তাও দিয়ে পাঠান আরতি মুখার্জী, হৈমন্তী শুক্লা, শ্রীকান্ত আচার্য প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি দৈনিক প্রথম আলোর ফেইসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

নজরুল সংগীত সম্রাজ্ঞী ফিরোজা বেগমের ডিজিটাল আর্কাইভ নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে, এই অসাধারণ সংগীত ভান্ডারের মাধ্যমে যা এসিআই ফাউন্ডেশনের একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।

ফিরোজা বেগমের ভাতিজী এবং অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা মিস সুস্মিতা আনিস এর পক্ষে, সঞ্চালক সাদিয়া আফরিন মল্লিক তার ধন্যবাদ- জ্ঞাপন বক্তব্যটি পড়ে শোনান।

   

বিগবি-প্রভাস-দীপিকার ‘প্রজেক্ট কল্কি’র নতুন তারিখ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো পর্দায় জুটি বেঁধে আসছেন প্যান ইন্ডিয়ান তারকা প্রভাস এবং বলিউডের সুপারস্টার দীপিকা পাডুকোন। সঙ্গে আবার মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তাদের আসন্ন সিনেমার নাম ‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’।

হিন্দু পৌরাণিক দেবতা বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কির পৃথিবীতে অবতারনের গল্পের ভিত্তিতে কাল্পনিক গল্পের ভিত্তিতে এগিয়ে চলে এই সিনেমা। নাগ অশ্বিন পরিচালিত সিনেমাটি দেখার জন্য ভারতীয় দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এ বছরের ৯ মে। তবে সেই তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

আজ (২৭ এপ্রিল) এর নতুন তারিখ জানানো হয়েছে সিনেমাটির অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) একাউন্ট থেকে। একটা পোস্টার প্রকাশ করা হয় যেখানে প্রভাস, দীপিকা এবং অমিতাভ বচ্চনকে দেখা যায় পাশাপাশি। পোস্টারের উপরে সিনেমা মুক্তির তারিখ ২৭ জুন ২০২৪।

এই পোস্টারের মাধ্যমেই ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে

সপ্তাহখানেক আগেই সিনেমা সংশ্লিষ্টরা একটি টিজার প্রকাশ করে, যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল অমিতাভ বচ্চনের অশ্বত্থামা চরিত্র। সেখানে দেখা যায়, একটি গুহায় অবশিষ্ট শিব মন্দিরে উপস্থিত রয়েছেন মুখ ঢাকা এক বৃদ্ধ। শিবলিঙ্গের উপরে পড়তে থাকা পানির ফোটা বন্ধ হয়ে গেলে বোঝা যায় গঙ্গা, যমুনা সরস্বতী সহ সকল নদী শুকিয়ে গেছে। এক কিশোর বৃদ্ধের পরিচয় জানতে চাইলে জানা যায়, তিনি আর কেউ নন সপ্ত চিরঞ্জীবীর একজন দ্রোণপুত্র অশ্বত্থামা।

অমিতাভের চরিত্রের মাধ্যমেই জানা যায় আদিকাল থেকে নতুন অবতারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে তিনি আসায় এখন অশ্বত্থামার আত্মপ্রকাশের সময় এসেছে। মহাভারতের গল্পের সঙ্গে সিনেমার গল্পের বেশ গভীর যোগাযোগ বজায় রাখা হবে। ভবিষ্যত পৃথিবীর দুরবস্থা কল্পনা করে সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে। সিনেমায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কমল হাসান।

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

;

শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে কর্মশালা



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে গাজীপুরে দু’দিনব্যাপী কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গাজীপুর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাটমন্দিরে শুরু হয় এ কর্মশালা। কর্মশালায় সঙ্গীত শিল্পী, প্রশিক্ষণার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। শনিবার শেষ হয় দু’দিনব্যাপী এই কর্মশালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থা ২০-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১০টি জেলায় এ কর্মশালা পরিচালনা করছে। গাজীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ কর্মশালার বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার শারমীন জাহান জানান, নজরুলের সাহিত্যকর্ম ও তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে কবির কালজয়ী গান শুদ্ধ সুর ও বাণীতে প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নজরুল সঙ্গীত শিল্পী আফরোজা খান মিতা ও নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী দু’দিনের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। 

শনিবার সন্ধ্যায় কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার গাজীপুর এর উপপরিচালক (উপসচিব) মোঃ ওয়াহিদ হোসেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তিনি সনদপত্র বিতরণ করেন।

;

‘কাজলরেখা’র সব আলো কেড়ে নিলেন মিথিলা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা /  ছবি : রোহিত শায়ন

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা / ছবি : রোহিত শায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি ছবির প্রথমার্ধ শেষে একটি চরিত্র এলো। আর সেই চরিত্রই হয়ে উঠল দর্শকের হাসি, আনন্দ, বেদনা আর বিরক্তির কারণ!

বলছি, গুণী নির্মাতা গীয়াসউদ্দিন সেলিমের নতুন সিনেমা ‘কাজলরেখা’র কথা। আর যে চরিত্রটির বয়ান করা হচ্ছে, সেটি কঙ্কন দাসি। অভিনয়শিল্পীর নাম রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে কতোটা সফল সেটি সময় বলে দেবে। তবে যারা ছবিটি দেখেছেন তারা অন্তত হতাশ হয়ে ফেরেননি।

গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে পুষেছেন। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা ছিল বলেই হয়তো ছবিটি অবাস্তব কিংবা হাসির খোরাক হয়ে ওঠেনি।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

বাংলাদেশের রূপ অত্যন্ত মায়াময় করে উপস্থাপন করেছেন তিনি। লোকেশন, ক্যামেরার কাজ এবং মিউজিক তিনটিই ‘কাজলরেখা’র প্রাণ। ইমন চৌধুরী যে কাজটি নিয়ে অনেক রাতের ঘুম হারাম করেছেন তা তার কাজ পর্দাতেই ফুটে উঠেছে।

গুণী সব শিল্পীরা অভিনয় করেছেন, যার যার চরিত্রে যথার্থ। তবে আরও এনগেজিং হতে পারতো। সেখানেই সাফল্য মিথিলার। দুই দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে মিথিলা যেন সদ্য তুমুল আলোকচ্ছটা নিয়ে জ¦লে উঠছেন। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ মিথিলার অভিনয়ের কথা দর্শক ভুলবে না অনেকদিন। কলকাতায় ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’ কিংবা সেখানের সিনেপর্দায় ‘ও অভাগী’তেও সেই ধারা অব্যাহত।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

তবে ‘কাজলরেখা’র কঙ্কন দাসি চরিত্রে মিথিলাকে দেখে দর্শক হয়ত বলেই বসবেন, তিনি ছাড়া এই চরিত্র এমনভাবে আর কে ফুটিয়ে তুলতেন?

ছবিটির শেষার্থে এন্ট্রি নিয়ে পুরো আলোটাই নিজের করে নিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ‘কাজলরেখা’ নিয়ে লিখতে গিয়ে লিখেছেন, “মিথিলা এক দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীতে পরিণত হয়েছে। শি স্টিলস দ্য শো। এক্সপ্রেসন, বডি ল্যাংগুয়েজ, ডায়ালগ ডেলিভারি, সুপার্ভ!’

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

সুবর্ণার মতো অনেকেই এই চরিত্রটি নিয়ে আলাদা করে কথা বলছেন। যেরকম ওয়েব প্ল্যাটফর্ম চরকির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অনিন্দ্য ব্যানার্জী সিনেমাটি দেখেছে বলছেন, ‘সবাই খুব ভালো করেছেন কিন্তু সব্বাইকে ছাপিয়ে গেছে মিথিলা।’

‘কংকণ দিয়ে কিনসি, তাই নাম কঙ্কণ দাসী’ মিথিলার প্রথম এই সংলাপেই দর্শকরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। চোখে-মুখে কিঞ্চিত বিরক্তি, ভয়, আর একরাশ লোভ! সবকিছুরই একসঙ্গে দেখা মিলে কঙ্কণ দাসী চরিত্রের ভিতর।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করেছেন ‘কাজলরেখা’। যে ছবির অন্যতম চরিত্র কঙ্কন দাসী হিসেবে অভিনয় করেছেন মিথিলা। সিনেমায় এটি একমাত্র নেতিবাচক চরিত্র। যে চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় দেখিয়ে দর্শকের মন কেড়েছেন তিনি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছড়িয়েছেন দ্যুতি।

নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। মিথিলা সেই চ্যালেঞ্জটি যেন উতরে গেছেন দুর্দান্তভাবে। যে কাজলরেখা হাতের কঙ্কন দিয়ে কিনে রাখে দাসীকে, সে ই সুযোগ বুঝে কাজলরেখাকে হটিয়ে নিজেই হয়ে ওঠে রাজকুমারের রানী! তার শেষ পরিণতি কী হয় এবং সেটা মিথিলা কী করুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেন; তা দর্শক সিনেমাটি দেখলে আঁচ পাবেন! তাইতো সিনেমার নায়ক নায়িকার পাশাপাশি দর্শক আলাদা করে উল্লেখ করছেন কঙ্কন দাসী রূপে মিথিলার নামটিও!

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

বড় আয়োজনে নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। এর সেট নির্মাণে কাজ করেছেন হাজং, মগ ও চাকমা নৃগোষ্ঠীর অর্ধশতাধিক মানুষ। ছবিতে ২০টির মতো গান রয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সাদিয়া আয়মান, মন্দিরা চক্রবর্তী, গাউসুল আলম শাওন, খায়রুল বাসার, ইরেশ যাকের প্রমুখ।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

 

;

রণবীর-সাই পল্লবীর রাম-সীতা লুক ফাঁস



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী নির্মাতা নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শকমহল। ছবিতে রামের চরিত্রে থাকছেন রণবীর কাপুর এবং সীতার ভূমিকায় দক্ষিণী অভিনেত্রী সাই পল্লবী।

বড় বাজেটের এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক পরিচালক। শুটিং সেট থেকে কোন চরিত্রের লুক যাতে ফাঁস না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছেন পরিচালক। অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং নির্মাতা ছাড়া শুটিং ফ্লোরে কোন কলাকুশলীর ফোন ব্যবহার করার অনুমতি নেই।

তাও শেষ রক্ষা হলো না। আজ সকাল থেকেই অন্তর্জালে ঘুরছে ‘রামায়ণ’ ছবির নানা ছবি। সেট থেকে ফাঁস হয়ে গেছে রামের চরিত্রে রণবীর এবং সীতার চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক। সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

তাতে দেখা যাচ্ছে, রণবীর কাপুরের লম্বা চুল, শরীরটা বেশ কিছুটা মেদে ভরা। সাই পল্লবীকে দেখা যাচ্ছে মেরুন শাড়ি, ডিজাইনার ব্লাউজ ও দোপাট্টায়। রণবীরও তার সঙ্গে ম্যাচিং কাতানের ধুতি ও দোপাট্টা পরেছেন। সেই সঙ্গে দুজনের সোনার কোমরবন্ধনী, গলার হার আর কানের দুলও কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। 

ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, প্রাসাদের অন্দরে এটি ছিল নায়ক-নায়িকার রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং। পেছনে ছবির সেটের সোনালি চিত্রও দেখা যাচ্ছে খানিকটা।

ছবি সংশ্লিষ্টরা এতে বিরক্ত হলেও সাই-রণবীরের রসায়ন দেখে মুগ্ধ ভক্তরা।

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক
;