তারকাদের ভিড়ে মহাতারকা কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ফেরদৌস, ওবায়দুল কাদের, তারিক আনাম খান ও পূর্ণিমা

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ফেরদৌস, ওবায়দুল কাদের, তারিক আনাম খান ও পূর্ণিমা

  • Font increase
  • Font Decrease

সিনেমার তারকাদের নিয়ে ভক্তদের থাকে দারুণ আগ্রহ। তাদের একপলক দেখার জন্য ভক্তরা চাতক পাখির মত চেয়ে থাকে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ক্লাবে বসেছিল তারকাদের মিলনমেলা। আর সেই মিলন মেলায় মহাতারকা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানস্থলে তিনি পৌঁছানোর পর পুরো স্পটলাইট যায় তার উপর।

মন্ত্রীর রচিত উপন্যাস ‘গাঙচিল’ নিয়ে এবার নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ওপার বাংলার নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, নায়িকা পূর্ণিমা, তারিক আনাম খানসহ আরো অনেকে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537363682579.jpg

ওবায়দুল কাদেরের আগমনের পর ভিন্ন রকম পরিবেশ দেখা যায় অনুষ্ঠানজুড়ে। সচরাচর এরকম পরিবেশে রাজনৈতিক নেতাদের দেখা যায়না। দেশি-বিদেশি নায়ক নায়িকাদের ভিড়ে দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক। সমস্ত আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতেও তিনি। তার দ্যুতিতে ম্লান ঋতুপর্ণা ও পূর্ণিমার গ্লামার। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠান হয়ে উঠে রাজনীতি ও বিনোদন জগতের মানুষদের এক মিলনমেলা। আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি হাসি, আনন্দ, ফটোসেশনে কেটেছে পুরাটা সময়।

ওবায়দুল কাদের বলেন,

‘আমি প্রথমে লজ্জা পেতাম, আমার উপন্যাস প্রকাশ হলে চলবে কি না ভাবতাম। পরে আমার ‘গাঙচিল’ উপন্যাসটি প্রকাশ হয়। অমর একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার বইগুলোর একটি ছিল এটি। এখন এই উপন্যাস আবার ছবি হবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। এদেশের কোনো পলিটিশিয়ান উপন্যাস লেখেননি। তাদের গল্প নিয়ে সিনেমা হয়নি। এদিক থেকে আমি অনেক সৌভাগ্যবান। সব মিলিয়ে আজকের দিনটি আমার জন্য স্পেশাল।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,

‘একবার জেলে ছিলাম। এটা শেষ করেছি জেল থেকে বের হয়ে কক্সবাজারে গিয়ে। একটু একটু করে লেখা আগাচ্ছিল। পরে সাতদিন একটানা সময় নিয়ে উপন্যাসটি শেষ করি। আর এখন এটি নিয়েই সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537363856661.jpg

হাসানুল হক ইনু বলেন,

ওবায়দুল কাদের সাহেবের উপন্যাসটিতে বাংলাদেশের চেতনার কথা উঠে এসেছে। উপন্যাসটি নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের হাতে দেয়া হয়েছে। তিনি চমৎকার চিত্রনাট্যের মাধ্যমে সিনেমাটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশা করছি দর্শকরা সিনেমাটিকে ভালোভাবে গ্রহণ করবেন।

পূর্ণিমা বলেন,

একজন মন্ত্রীর উপন্যাসে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি, এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। বন্ধু ফেরদৌস যখন এ সিনেমায় আমাকে কাজ করতে বললেন তখন সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে পারিনি। কারণ অনেক দিন ধরে আমি সিনেমা থেকে দূরে আছি।

‘গাঙচিল’ ছবিটি পরিচালনা করবেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। এখানে জুটি হিসেবে দেখা যাবে ফেরদৌস-পূর্ণিমাকে। এই ছবিতে পূর্ণিমার পাশাপাশি আরও অভিনয় করবেন কলকাতার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537363717341.jpg

ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাস ‘গাঙচিল’ থেকে চিত্রনাট্য লিখছেন বাংলাদেশের মারুফ রেহমান আর ভারতের প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি প্রযোজনা করছে নায়ক ফেরদৌসের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নুজহাত ফিল্মস।

ঢাকায় পাঁচদিন শুটিংয়ের পর আগামী নভেম্বর মাস থেকে নোয়াখালী জেলায় এই ছবির বাকি শুটিং হবে বলে জানান পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল।

   

কানের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছি : আদনান আল রাজীব



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কান উৎসবে আদনান আল রাজীব

কান উৎসবে আদনান আল রাজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মঙ্গলবার পর্দা উঠেছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসরের। এই আয়োজন উদ্বোধন করেন তিনবার অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। অফিশিয়ালি বাংলাদেশ থেকে এ বছর কোনো সিনেমা মনোনয়ন না পেলেও নিজের প্রযোজিত ইংরেজি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘র‌্যাডিক্যালস’ নিয়ে এই মর্যাদাপূর্ণ উৎসবে অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা-প্রযোজক আদনান আল রাজীব।

কানের সমান্তরাল বিভাগ ‘ক্রিটিকস উইক’-এর ৬৩তম আসরে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে সিনেমাটি। এটি মূলত ফিলিপাইনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, যেটি পরিচালনা করেছেন ফিলিপাইনের নির্মাতা আরভিন বেলারমিনো। প্রযোজনায় রয়েছেন ক্রিস্টিন ডে লিয়ন। এ ছাড়াও আদনান আল রাজীব ও তানভীর হোসেনের সঙ্গে এটি সহপ্রযোজনা করেছেন ডমিনিক ওয়েলিনস্কি।

কান উৎসবে আদনান আল রাজীব

বিষয়টি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত আদনান আল রাজীব। সিনেমা নিয়ে কান উৎসবে পৌঁছানোর অনুভূতি শেয়ার করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব না। মনে হচ্ছে কল্পনাতীত। আমিসহ পুরো টিম এখানে এসে উপস্থিত হয়েছে। আসার পর থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাতা-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন অনেক কিছু শিখেছি যেটা ভবিষ্যতে আমার জন্য কাজে লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় নির্মাতা হিসেবে নিজের ভিত্তিটা গড়ার চেষ্টা করেছি, এখন চেষ্টা করছি প্রযোজক হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও নতুন কিছু করার এবং শেখার। অনেকেই হয়তো ভাবেন, প্রযোজনা মানে শুধু টাকা লগ্নি করা। কিন্তু এটা ভুল। এর বাইরেও অনেক ক্রিয়েটিভ বিষয় কিংবা মাইন্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা।’

তিনি আরও জানান, এই উৎসবে ‘র‌্যাডিক্যালস’ সিনেমার তিনটি প্রদর্শনী হবে। আগামী ২১ মে দুটি এবং ২৪ মে একটি। এই বিষয়ে আদনান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এতগুলো শো প্রদর্শনী কেউ পেয়েছে কি না আমি জানি না। তবে আমাদের এই সিনেমাটি তিনটি শো পেয়েছে।’

কান উৎসবে আদনান আল রাজীব ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘র‌্যাডিক্যালস’ টিম

কানে হাজির হয়ে প্রতিটা মুহূর্তই বেশ উপভোগ করছেন জানিয়ে এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘এখানে ফিলিপাইনের অনেক নির্মাতা পাশাপাশি আরও অনেক দেশের নির্মাতারাই আছেন তাদের সঙ্গে মিশে এবং কথা বলে তাদের পিচিং করার ধরন বোঝার চেষ্টা করছি। বাহিরের দেশের নির্মাতারা কীভাবে এলো কোনো প্রজেক্ট পিচ করে তারপর সেটা নিয়ে কীভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হয় এ রকম অনেক বিষয়। এখানে আসার পর থেকে এই বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি যেহেতু সামনে এ রকম আরও অনেক আন্তর্জাতিক প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তবে এই বিষয়গুলোতে আমাকে ভীষণভাবে সহযোগিতা করছে তানভীর হোসেন।’

কান উৎসব শেষ করে পরদিনই পুরো টিম উড়ে যাবেন প্যারিসে। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ নতুন কিছু কাজ নিয়ে পরিকল্পনায় বসবেন তারা। এরপর আগামী মাসে দেশে ফেরার কথা রয়েছে এই নির্মাতার।

কানের সমূদ্র সৈকতে আদনান আল রাজীব

এদিকে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে কান উৎসবে যোগ দেওয়ায় আদনান আল রাজীবকে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন তার সহকর্মীরা। ফিলিপাইনের সংস্কৃতি মোরগ-নাচের একটি প্রতিযোগিতাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র র‌্যাডিক্যালস। এতে অভিনয় করেছেন টিমোথি কাস্তিলো, রস পেসিগ্যান, এলোরা এসপানো।

;

ঢাকায় আসছেন ‘কুরুলুস উসমান’-এর উসমান’খ্যাত বুরাক



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজে বুরাক ঔজচিভিত

‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজে বুরাক ঔজচিভিত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুর্কি সুপারস্টার বুরাক ঔজচিভিত বাংলাদেশেও দারুণ জনপ্রিয়। বাংলা ভাষায় ডাবিং করা তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় দুটি সিরিজ ‘কুরুলুস উসমান’ ও ‘সুলতান সুলেমান’-এ অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। বিশেষ করে ‘কুরুলুস উসমান’–এর বিশেষ আকর্ষণ নায়ক বুরাক ঔজচিভিত। তবে নিজের নামে নয়, বাংলাদেশি দর্শকের কাছে ‘উসমানী সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমান’ হিসেবেই বহুল পরিচিত তার। সবার পছন্দের এই নায়ক আসছেন বাংলাদেশে।

তুরস্কের বিখ্যাত এই অভিনেতা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। সেখানে তাকে ভাঙা বাংলায় বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সালাম বাংলাদেশ, কেমন আছেন আপনারা ‘ এরপর তিনি জানান, বাংলাদেশে আসার জন্য তিনি বেশ এক্সাইটেড।

বুরাক ঔজচিভিত / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

জানা গেছে, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের রূপান্তর যাত্রার অংশ হিসেবে বুরাক ঔজচিভিতকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন ঢাকায়।

সিঙ্গার বাংলাদেশ বুরাক ঔজচিভিত-এর সাথে একাধিক সম্পৃক্ততা এবং উদ্যোগ নিয়ে আসতে চলেছে। অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে, বুরাক ঔজচিভিত সিঙ্গার বাংলাদেশের সাথে একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফর করবেন। ১৭ এবং ১৮ মে সিঙ্গার বাংলাদেশের উরাধুরা ফ্রাইডে ডিলের সময় singerbd.com থেকে যেকোনো পণ্য কেনার মাধ্যমে ভাগ্যবান বিজয়ী এই প্রিয় অভিনেতার সাথে একান্ত সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারবেন।

‘সিঙ্গার’ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কনজ্যুমার ডিউরেবল পণ্যের খুচরা বিক্রেতা। যার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ৪৬৩টি খুচরা পণ্য বিপণন কেন্দ্র ও ১০০০ এরও বেশি ডিলারশিপ রয়েছে।

‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজে বুরাক ঔজচিভিত

বুরাক ঔজচিভিত তুরস্কের নামি অভিনেতা। উসমানি সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা তার। পাশাপাশি সুলতান সুলেমান সিরিজে বালিবের চরিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসিত বুরাক। সিরিজে তার প্রেমে পড়েন সুলতান সুলেমানের মেয়ে মেহরিম সুলতান। কিন্তু বালিবের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন মেহরিম সুলতান। এই দুটি সিরিজের কারণে রাতারাতি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যান বুরাক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নায়কের ভক্ত-অনুসারীর সংখ্যা অনেক। বুরাকের জন্ম ১৯৮৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। এই মডেল ও অভিনেতা তুরস্কের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদে পড়ালেখা করেছেন। স্নাতক করেছেন ফটোগ্রাফি নিয়ে।

স্ত্রীর সঙ্গে বুরাক ঔজচিভিত / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

;

যে নাটক দেখে কাঁদছে প্রবাসীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘বাহাদুরী’ নাটকের দৃশ্যে নিলয় আলমগীর

‘বাহাদুরী’ নাটকের দৃশ্যে নিলয় আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসীদের গল্প নিয়ে এ পর্যন্ত বহু নাটকই নির্মিত হয়েছে যা দর্শকমনে ছাপও রেখেছে। তেমনি বাস্তবধর্মী গল্পে নির্মিত সাম্প্রতিক নাটক ‘বাহাদুরি’ও দর্শকদের আবেগে ভাসাচ্ছে! এটি পরিচালনা করেছেন শেখ নাজমুল হুদা ঈমন।

গল্পে দেখা যায়, সাত বছর পর বিদেশ থেকে দেশে আসেন নিলয় আলমগীর। কিন্তু তার মেয়ে তাকে চেনে না, বাবা বলে ডাকে না। বিদেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা পাঠালেও দেশে এসে ব্যবসা করার জন্য পরিবারের কাছ থেকে কোন সাহায্য পান না। অথচ তার কাছে স্ত্রী, শালী, শ্বাশুড়ি, ভাই, বাবার নানা আবদার। যখন নিলয় সবকিছু বুঝতে পারলো তখন তার দেশে থাকার ইচ্ছেটাই মরে গেল!

ইউটিউবে মুক্তির পর দারুণ সাড়া পাচ্ছে নাটকটি, বিশেষ করে প্রবাসীদের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাটকটি দেখেছে ২৫ লাখেরও বেশি দর্শক এবং মন্তব্য পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। সব ইতিবাচক মন্তব্য এবং শেষ দৃশ্যে এসে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন দর্শক।

ইউটিউবে মন্তব্যের ঘরে অনেকেই লিখেছেন, ‘একজন প্রবাসী হিসাবে নাটকটি আমার জীবনের সাথে মিলে গিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ পরিচালক ভাইকে, তিনি বাস্তবসম্মত একটি নাটক তৈরি করেছেন এবং এটা দেখে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশীদের শিক্ষা নিতে হবে।’

‘বাহাদুরী’ নাটকের পোস্টারে নিলয় আলমগীর ও তানিয়া বৃষ্টি

নাটকটির শেষ দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিল পুরো টিম। নির্মাতা বলেন, ‘যখন শেষ দৃশ্যটার শুটিং করি তখন নিলয় আলমগীর ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চোখে পানি চলে আসে। অভিনয় দিয়ে একজন নির্মাতাকে আবেগপ্রবণ করে তোলা চাট্টিখানি কথা না। নিলয় ভাইকে নিয়ে শুটিং করার আগে অনেকেই আমাকে বলছিল, তাকে নিয়ে এরকম গল্প দর্শক পছন্দ করবে না। এমনকি এও বলেছিল যে, তিনি নাকি সেটে নির্মাতাকে ডমিনেট করেন, স্ক্রিপ্ট পরিবর্তন করে ফেলেন। কিন্তু আমি এমন কিছুই নিলয় আলমগীরের মধ্যে পাইনি। স্ক্রিপ্টটা পড়ার পর সেখান থেকে একটা শব্দও তিনি পরিবর্তন করেননি বরং তার সহশিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করে পুরো কাজটা কীভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে তাকে উদগ্রীব হতে দেখেছি।’

‘বাহাদুরি’ নাটকে নিলয় আলমগীর ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি, শোয়েব মনির, শাহবাজ সানি প্রমুখ। নাটকটি দেখা যাচ্ছে বাংলাভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে।

;

অবশেষে কানে দেশি লুকে ভাবনা, নজর কেড়েছে রিকশা পেইন্ট ব্লাউজ!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নজর কেড়েছে ভাবনার রিকশা পেইন্ট ব্লাউজের কান লুক

নজর কেড়েছে ভাবনার রিকশা পেইন্ট ব্লাউজের কান লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, লেখক ও চিত্রশিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা এখন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে প্রথম দুইদিন তিনি রেড কার্পেটে ধরা দিয়েছেন পাশ্চাত্যের লুকে। তিনি গাউন বেছে নিয়েছিলেন দুদিনেই।

দ্বিতীয় দিনের গাউনটি ছিল স্পেশ্যাল। কারণ ঢাকার কাক নিয়ে ভাবনার যে অনুভূতি তা এতোদিন নিজের আঁকা ছবিতে প্রকাশ করলেও এবার সেই কাককে পোশাকে ধারণ করে কানের রেড কার্পেটে হেটেছেন ভাবনা। ফলে সেদিন ভাবনার লুক নিয়ে ভালোই চর্চা হয়েছে, প্রশংসা কুড়িয়েছে।

নজর কেড়েছে ভাবনার রিকশা পেইন্টের মোটিফে তৈরী ব্লাউজের কান লুক

কিন্তু বাংলাদেশের মেয়ে ভাবনার পরণে দেশি শাড়ি কিংবা দেশি লুক মিস করছিলেন নেটিজেনরা। বিশেষ করে ঢাকাই জামদানিকে কানের মঞ্চেই নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। ফলে ভাবনার পরনে এমন একটি দেশি শাড়ি দেখতে চাচ্ছিলেন ভক্তরা। অবশেষে তাদের সেই মনবাসনা পূর্ণ করলেন নায়িকা! কানে তৃতীয় দিনের উপস্থিতিতে নিয়ন গ্রীণ রঙের ঢাকাই জামদানিতেই দেখা গেল তাকে।

তবে সেই সাজে সবচেয়ে নজর কেড়েছে দেশের তরুণ মেধাবী ডিজাইনার ইমাম হাসানের নজরকাড়া রিকশা পেইন্টের ব্লাউজ।

ইমাম হাসানের পোশাকে সুপার মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ

আধুনিক উপস্থাপনা ও দেশীয় ঐতিহ্যের সঠিক মিশেল থাকলে যেকোন লুকই নজর কাড়তে বাধ্য। সেদিক থেকে ভাবনার এই কান লুকটি সত্যিই নজরকাড়া। দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেশীয় পোশাক ও গয়নার বিকল্প নেই। আর সেই লক্ষ্যেই নিজের অনন্য সৃজনশীল প্রতিভার নিদর্শন রেখেছেন ডিজাইনার ইমাম হাসান।

রিকশা পেইন্ট তো আমাদের বহুকালের ঐতিহ্য। সম্প্রতি এর ক্রেজের পালে হাওয়া লেগেছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মেলার ফলে। এই ইউনিক আর্টফর্মের অপূর্ব সুন্দর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে ভাবনার ব্লাউজের ন্যুড শেডের শিয়ার ফেব্রিকের ব্যাকে। দারুণ ফিটিংয়ের এই স্লিভলেস ব্লাউজের পেছনে রিকশা আর্টে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুখোমুখি দুটি ময়ূর, তাদের পাখা ও ফুলের মোটিফ। সামনে ব্যবহার করা হয়েছে রাজশাহী সিল্কের ক্লাসি ফেব্রিক। তাতে সুক্ষ্ম কারুকাজ করা। পেছনে উজ্জ্বল সবুজ ট্যাসেল রয়েছে।

ইমাম হাসানের বানানো স্টেটমেন্ট ব্লাউজ

বলা যায়, শাড়িটির লুককে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে দেশের মেধাবী ডিজাইনার ইমাম হাসানের বানানো স্টেটমেন্ট ব্লাউজটি। নিজের ডিজাইনার লেবেল নিয়ে তিনি আরও এমন চমক দেখান আমদেরকে, এই আমাদের প্রত্যাশা।

সব মিলিয়ে এই শাড়ির লুকটি অভিনেত্রী আশনা হাবিবের ন্যাচারাল সৌন্দর্য, মিনিমাল মেকআপ আর প্রাণবন্ত উপস্থিতিতেই জীবন্ত হয়ে উঠেছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে আধুনিক উপস্থাপনায় নিয়ে গেছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের আঙিনায়।

কানে যাওয়ার আগেই ঢাকাতে এভাবে লুক সেট করেন ভাবনা
;