সমুদ্র পাড়ে স্বতন্ত্রদের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকার প্রার্থীরা

  ভোট এলো, এলো ভোট


আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আর মাত্র তিনদিনের অপেক্ষা। ৭ জানুয়ারি বহুল প্রতীক্ষিত ভোট। সারাদেশের মতো সমুদ্র জনপদ কক্সবাজারেও লেগেছে ভোটের হাওয়া। কক্সবাজারে নৌকার প্রতিপক্ষরাই মাঠ গরম করে রেখেছেন। চলছে কথার লড়াই। প্রতিপক্ষকে কথাঘাতে জর্জরিত করা বাংলাদেশের ভোটযুদ্ধের পুরনো সংস্কৃতি। হয় ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে চলে কথার ঠেস, নয়তো প্রতীক নিয়ে চলে কথার রেশ। নয়া কথা, নয়া ডায়লগ ডেলিভারি দিয়েও অনেক ভোটার দলে ভিড়ায় প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।

এবার কক্সবাজারের চারটি আসনের মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। কক্সবাজার-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের শক্ত প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের প্রার্থী শরিফ বাদশাহ। কক্সবাজার-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে সরব স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। এছাড়া কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুনও আছেন আলোচনায়। কক্সবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহিন আক্তারের শক্ত প্রতিপক্ষ টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর। কক্সবাজার-২ ও ৪ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় এমপিরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। তবে তাদের বিজয় ঠেকানো যাবে না বলে মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে হাতঘড়িতে ধরাশীয় হতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। ঋণ খেলাপির অভিযোগে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় নৌকার কোন প্রার্থী নেই। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম এবং হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গেল পাঁচ বছর এমপি থাকায় এলাকায় নিজস্ব অবস্থান রয়েছে জাফর আলমের। একই সঙ্গে নানা অভিযোগ ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন বারবার। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ গেল ৫ বছর ধরে এমপি জাফর আলম সন্ত্রাস, দখলবাজি, দুর্নীতিসহ নানা অপকর্ম করেছেন। তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। বেড়েছে দলীয় কোন্দলও। আওয়ামী লীগের ত্যাগী এবং তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে সন্ত্রাস, চোরদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট।

অপরদিকে নিজের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর সালাউদ্দিন আহমেদ তার অনুসারীদের নিয়ে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে সমর্থন দেন। একই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সভা আহবান করে হাতঘড়ি প্রতীককে বিজয়ী করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এরপর থেকে বদলে যেতে থাকে চকরিয়া-পেকুয়ায় ভোটের হিসাব। দিন দিন কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ির সমর্থন বাড়তে থাকে। অনেকে মনে করছেন হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই হবে এই আসনে।

হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল ইব্রাহিম বলেন, এই আসনের মানুষ একটি নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা চায়। গেল পাঁচ বছর যে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি হয়েছিলো এবার মানুষ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, চোর ও ডাকাতের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে। আমি বিশ্বাস করি মানুষ ন্যায়ের পক্ষে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম বলেন, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভোট হলে চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ ঘরের ছেলে জাফরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের শক্ত প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএম) প্রার্থী স্বল্প শিক্ষিত শরীফ বাদশাহ। শিক্ষাগত যোগ্যতায় আশেক উল্লাহর দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি থাকলেও মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শরিফ বাদশাহ। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহর বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ না থাকলেও দলের ভেতরে শক্ত প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশার ছেলের বিরোধিতা করেন এমপি আশেক উল্লাহ রফিক। সেই সময়কার মধুর প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী। মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ এমপির সঙ্গে বছর দশেক থেকে রয়েছে দ্বন্দ্ব। তিনিও গোপনে শরীফ বাদশার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা পরিবেশ বিজ্ঞানী আনছারুল করিম, উপজেলা যুবলীগ নেতা শাহজাহানসহ বিশাল একটি গ্রুপ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে অংশটি শরিফ বাদশাহর হয়ে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় আশেক উল্লাহ রফিকের ভাল অবস্থান থাকলেও শরিফ বাদশাহর সেই অবস্থান নেই ।

তবে, মহেশখালীতে রয়েছে এলাকাভিত্তিক গোষ্ঠীগত বিরোধ। যার কারণে মহেশখালী-কুতুবদিয়াতে আশেক বিরোধী অবস্থানটা বদলে দিতে পারে হিসেব নিকেশ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, যদি বিএনপি সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে যায় তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশেক উল্লাহর বিজয় সহজ হবে। কারণ হিসেবে তাদের দাবি সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা আলমগীর ফরিদ তার নিকট আত্মীয়। তারা পরিবারের কাছে ক্ষমতা রাখতে চাইবে। এবং শেষ পর্যন্ত সেটিই হবে।

এমপি আশেক উল্লাহ বলেছেন, বর্তমান সরকার মহেশখালী-কুতুবদিয়ার চেহারা বদলে দিয়েছেন। সুতরাং নৌকা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ অন্য কোনো মার্কায় ভোট দিবে না। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আমার সাথেই আছে। আমি বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। যদিও এ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী দলের মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুনও ভোটের মাঠে রয়েছেন। তবে এই এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদকে নানাভাবে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে কমলের ভোটব্যাংক কমছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, গেল পাঁচ বছর প্রতিটি গ্রামে ছুটে বেড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল। দলের বাইরে গিয়ে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক সৃষ্টি করেছেন তিনি। সম্প্রতি রামুতে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বও মিটিয়েছেন কমল। এ অবস্থায় তাকে পরাজিত করতে হলে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া সম্ভব নয়। তবে দলের অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ গতবারের মতো এবারও তার বিরুদ্ধে থাকবেন বলেও জানান তারা।

অপরদিকে উচ্চ আদালতের আদেশে ঈগল প্রতীক নিয়ে এই আসনে ভোটে নেমেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজাম সাঈদ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কক্সবাজার পৌরসভা, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে তার পরিচিতি থাকলেও মিজান সাঈদ বিভিন্ন ইউনিয়নে এখনো অপরিচিত হলেও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে দলের অভ্যন্তরে কমলের প্রতিপক্ষরা মিজান সাঈদের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। আওয়ামী লীগের অনেকের ধারনা মিজান সাঈদের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন এমপি কমল।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, জনগণের জন্য আমি রাজনীতি করেছি। করোনা মহামারি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যা বলেন, কখনো জনগণকে ফেলে যায়নি। একই সঙ্গে বর্তমান সরকার কক্সবাজারের চেহরাও পাল্টে দিয়েছেন। তাই আমি বিশ্বাস করি জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।

একইভাবে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া টেকনাফ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার এবং ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গেল পাঁচ বছরে এমপি হিসেবে শাহিন আক্তারকে কাছে না পেলেও ছিলেন তার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। বলতে গেলে শাহিন আক্তারের পুঁজি স্বামীর জনপ্রিয়তা। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে হলে তাকে পরাজিত করতে হবে শক্ত প্রতিপক্ষ টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশরের ঈগল প্রতীককে। তার পক্ষে মাঠে নেমেছে টেকনাফ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের একটি অংশ। টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিতসভা ডেকে তার পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে বদলে যায় উখিয়া-টেকনাফের ভোটের হিসাবে। যদিও দলের বাইরে বদির রয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ হাজার ভোট রিজার্ভ রয়েছে আব্দুর রহমান বদির। যা অন্য কোনো প্রার্থীর নেই। তিনি উখিয়া এবং টেকনাফে সমানভাবে জনপ্রিয়। কিন্তু দলের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ঈগল প্রতীক নিয়ে নুরুল বশর ভোটের মাঠে আসার পর টেকনাফ ছাড়াও উখিয়ার প্রভাবশালী অনেক নেতা তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ অবস্থায় নৌকার সহজ জয় হবে না বলে মনে করেন তারা। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হলে অনেক কাঠখড়া পোড়াতে হবে বলেও মনে করেন তারা।

   

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন মন্ত্রীর ভাতিজা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও গাজীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভাতিজা। 

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উপজেলার সফিপুরে তার নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু দলীয় কোন সিদ্ধান্ত পাইনি সেজন্য দলকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ গত ৩০ এপ্রিল চলে গেছে। তবুও আমার মনে হয়েছিল দলীয় কোন সাপোর্ট পাব। তাছাড়া এই আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক আমার আত্মীয়। আমি তার পরিবারের সদস্য। সেহেতু আমি চাইনা আমার কারণে একজন সিনিয়র মন্ত্রীর সম্মানহানি হোক।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী ২১ মে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যানার পোষ্টার টাঙনো শুরু হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাপ পিরিচ প্রতীক প্রার্থী মুরাদ কবির। সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক প্রার্থী কামাল উদ্দিন শিকদার ও গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কালিয়াকৈর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী সেলিম আজাদ।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

উপজেলা ভোট: তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এমধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

গৌরনদীতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচারণার অনন্য দৃষ্টান্ত



স্টাফ রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একসঙ্গে গণসংযোগ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

ওই প্রার্থীদের দাবি, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গৌরনদীকে ‘দানব মুক্ত’ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।

প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিনভর উপজেলার বাটাজোর ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ প্রচারণার সময় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুসহ ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিনজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থিত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান।

গৌরনদীতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে চারজন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন-সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মনির হোসেন মিয়া ও মো. হারিছুর রহমান।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, জামাল হোসেন গোমস্তা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান রনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার, শিপ্রা রানী ও আইরিন আক্তার শিল্পী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগৈলঝাড়ায় ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মো. জসীম উদ্দিন সরদার, ফরহাদ তালুকদার, সবুজ আকন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সঞ্জয় বাড়ৈ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন মলিনা রানী রায়, হাফিজা ইয়াসমিন, পবিত্র রানী রায়, মনিকা সরকার ও রিপা বেগম।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

  ভোট এলো, এলো ভোট

;