চট্টগ্রাম: ১২৫ প্রার্থীর ৯৫ জনই হারালেন জামানত

  ভোট এলো, এলো ভোট


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
১২৫ প্রার্থীর ৯৫ জনই হারালেন জামানত

১২৫ প্রার্থীর ৯৫ জনই হারালেন জামানত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগসহ ২০টি দল এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে ১২৫ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ দলের চেয়ারম্যানসহ ৯৫ প্রার্থীই খুইয়েছেন জামানত। সেই হিসেবে ৭৫ শতাংশ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। 

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ না পান, তাহলে তিনি জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না। এই ৯৫ প্রার্থী সেই ভোটের আশপাশেও যেতে পারেন নি।

পাঁচ দলের প্রধানের চূড়ান্ত লজ্জা: 

চট্টগ্রামের চার আসনে এবার নির্বাচন করেছিলেন পাঁচ দলের প্রধান। কিন্তু একজনও জয় তো দূরে থাক, জামানতটাই রক্ষা করতে পারলেন না। তারা হলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশ ভিপি নাজিম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তরিকত ফেডারেশন এবং সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান যথাক্রমে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারির। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ফুলের মালা প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ২৩০ ভোট। আর সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভন্ডারি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৮ ভোট। এখানে নৌকা প্রতীকের খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ১ লাখ ৩৭০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনে। দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল না হওয়ায় তিনি তৃণমূল বিএনপির টিকেটে ভোটের মাঠে ছিলেন। সোনালী আশঁ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এই প্রার্থী ভোট পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৪০১টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীকে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ) আসন থেকে জামানত হারিয়েছেন গুলশান-বনানীর সাবেক সংসদ সদস্য বিএনএফের চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ। তিনি টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ১৫৯ ভোট। চট্টগ্রাম-৮ আসনে ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট নিয়ে জিতেছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে জামানত হারিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন। মোমবাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এই প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯৮ টি। এই আসনে নৌকা নিয়ে জয়ী হয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

জামানত হারালেন ৯৫ জন: 

চট্টগ্রামের প্রায় সবকটি আসনেই বেশিরভাগ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে চার আসনে নৌকার প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন। এবার দেখা যাক কোন আসনে কতজন জামানত হারালেন।

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল ও স্বতন্ত্র পার্থী গিয়াস উদ্দীন ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থীরই জামানত বাতিল হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মাহফুজুর রহমান ও মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ছাড়া বাকি ৫ জন প্রার্থীই জামানত বাতিল হয়েছে। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-নগর আংশিক) আসনে এসএম আল মামুন ছাড়া বাকি ৬ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী-নগর আংশিক) আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ছাড়া বাকি ৪ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ছাড়া জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ ৫ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। 

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-নগর আংশিক) আসনটি জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠকে ছেড়ে দিয়ে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদকে সরিয়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই শেঠ নিজের জামানতটাও রক্ষা করতে পারলেন না। এ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম। এ আসনে শেঠসহ জামানত হারিয়েছেন ৮ জন। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী ছাড়া বাকি ৬ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম ছাড়া ৮ প্রার্থী জামানত হারান। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে এম আবদুল লতিফ ও জিয়াউল হক সুমন ছাড়া বাকি ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনেও ৭ প্রার্থী হারিয়েছেন তাদের জামানত। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ছাড়া ৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে নৌকার প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী ছাড়া ৬ জন জামানত খুয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব (ঈগল) এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ছাড়া ৫ জন জামানত হারান। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান এবং আবদুল্লাহ কবির ছাড়া ৭ জন জামানত হারিয়েছেন।

   

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন মন্ত্রীর ভাতিজা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও গাজীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভাতিজা। 

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উপজেলার সফিপুরে তার নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু দলীয় কোন সিদ্ধান্ত পাইনি সেজন্য দলকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ গত ৩০ এপ্রিল চলে গেছে। তবুও আমার মনে হয়েছিল দলীয় কোন সাপোর্ট পাব। তাছাড়া এই আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক আমার আত্মীয়। আমি তার পরিবারের সদস্য। সেহেতু আমি চাইনা আমার কারণে একজন সিনিয়র মন্ত্রীর সম্মানহানি হোক।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী ২১ মে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যানার পোষ্টার টাঙনো শুরু হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাপ পিরিচ প্রতীক প্রার্থী মুরাদ কবির। সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক প্রার্থী কামাল উদ্দিন শিকদার ও গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কালিয়াকৈর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী সেলিম আজাদ।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

উপজেলা ভোট: তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এমধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

গৌরনদীতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচারণার অনন্য দৃষ্টান্ত



স্টাফ রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একসঙ্গে গণসংযোগ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

ওই প্রার্থীদের দাবি, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গৌরনদীকে ‘দানব মুক্ত’ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।

প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিনভর উপজেলার বাটাজোর ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ প্রচারণার সময় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুসহ ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিনজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থিত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান।

গৌরনদীতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে চারজন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন-সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মনির হোসেন মিয়া ও মো. হারিছুর রহমান।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, জামাল হোসেন গোমস্তা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান রনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার, শিপ্রা রানী ও আইরিন আক্তার শিল্পী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগৈলঝাড়ায় ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মো. জসীম উদ্দিন সরদার, ফরহাদ তালুকদার, সবুজ আকন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সঞ্জয় বাড়ৈ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন মলিনা রানী রায়, হাফিজা ইয়াসমিন, পবিত্র রানী রায়, মনিকা সরকার ও রিপা বেগম।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

  ভোট এলো, এলো ভোট

;