ডেঙ্গুর প্রভাবে লেনদেনের শীর্ষে ওষুধ খাত!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
প্রতীকী

প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

আগস্ট মাসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ৯২০ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী মাসে মোট ১৬ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচা বাবদ এই পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়। এর আগের মাস জুলাইয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮ হাজার ৯৪৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ২৯৪ টাকার শেয়ার।

জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। দরপতনের এ মাসেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিশটি খাতের মধ্যে সবার নজর ছিল ওষুধ খাতের শেয়ারের প্রতি। ফলে ব্যাংক, বিমা, তৈরি পোশাক, প্রকৌশল খাতকে পেছনে ফেলে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ খাত।

নতুন অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে ওষুধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩১৯ কোটি ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ টাকা। যা মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর আগের মাসে এ খাতের অবদান ছিলো ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকাসহ দেশে ডেঙ্গু রোগ মহামারি আকার ধারণ করে। ফলে ডেঙ্গু রোগের ওষুধের দাম দ্বিগুণ বাড়ে। আর তাতে বছর শেষে এসব কোম্পানিতে মুনাফাও দ্বিগুণ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। সে কারণে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ ছিল ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দিকে।

ডিএসইর তথ্য মতে, জুলাই মাসে তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাত বিমা খাতকে টপটিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। আগস্ট মাসে এ খাতে ১ হাজার ৪৬ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর আগের মাসে এ খাতের অবদান ছিল ৯৯৪ কোটি ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭ টাকা।

৮৫৮ কোটি ১৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকার লেনদেন হওয়া তৃতীয় স্থান দখল করেছে বিদ্যু ও জ্বালানি খাত। এরপরের স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ার। আগস্ট মাসে এ খাতের অবদান ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ।

এরপরের স্থানে নেমে এসেছে জুলাই মাসে লেনদেনের শীর্ষে থাকা বিমা খাত। আগস্ট মাসে এ খাতের লেনদেন হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা। যা মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

আর পুঁজিবাজারের প্রাণ বলে খ্যাত ব্যাংকের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ৫ম স্থানে রয়েছে। এ খাতে তালিকাভুক্ত ত্রিশটি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৪৫৭ কোটি ৫৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা। যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

এছাড়াও সিরামিক খাতের শেয়ার কেনাবেচা বাবব লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। ট্যানারি খাতের শেয়ার কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। খাদ্য-আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ার কেনাবেচা বাবদ ডিএসইর ৩ দশমিক ২০ শতাংশ এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড শেয়ার কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ভ্রমণ খাত দশমিক ৭৩ শতাংশ, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২ দশমিক ১০ শতাংশ, আইটি ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন ২ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং কাগজ-প্রকাশনা খাতে দশমিক ৯১ শতাংশ টাকার লেনদেন হয়েছে।

   

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে যে কারণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আম দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে আগে বাজারে আসে এবং এই আমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সে কারণে সাতক্ষীরার আমের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভৌগলিক অবস্থানগত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ু অন্য সব জেলার আগে প্রবেশ করে। এতে করে এ এলাকার আম দ্রুত পাকে এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত ছাড়াও আবহাওয়াগত কারণেও আম দ্রুত পাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আগে প্রবেশ করার কারণে আমের মুকুলও তাড়াতাড়ি চলে আসে। এতে করে আম গরমে দ্রুত পাকতে শুরু করে।

তারা জানান, অন্য জেলাগুলোতে শীতের আমেজ সাতক্ষীরার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে নামে। সে কারণে ওই সব এলাকায় আমের মুকুলও দেরিতে আসে। এজন্য সাতক্ষীরার আম মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে চলে আসে।

গবেষকদের বক্তব্য, জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একেক আম একেক সময়ে পাকে। কিন্তু তারা দেখতে পেয়েছেন, আম কেবল জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাকে না; পাকে ভৌগোলিক অবস্থানগত ও আবহাওয়াগত কারণেও। যেমনটা ঘটে আম্রপালী আমের বেলায়। এ আম সাতক্ষীরায় এক সময়ে, চট্টগ্রামে আরেক সময়ে এবং সবার শেষে উত্তরাঞ্চলে পাকে।

একই জাতের আম পাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে দুই মাস পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে।

এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম ব্যাপক। কারণ, সাতক্ষীরার আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভালো।

ক্যালেন্ডারের আগেই পাকে সাতক্ষীরার আম

মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যাও রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা না করে, চাষীদের মতামত না নিয়ে, আমের দিকে খেয়াল না করে আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এতে করে আম আগে পেকে গেলেও সাতক্ষীরার চাষিরা তা পাড়তে পারেন না।

আমাদের দাবি, আমের ক্যালেন্ডার করার সময় সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা করে তারপর আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এতে করে সাতক্ষীরার আম সবার আগে বাজার দখল করবে এবং চাষীরাও লাভবান হবেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলের শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ। এসময় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাখাসমূহের সর্বস্তরের প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম সকলকে একসঙ্গে নবউদ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক এগিয়ে গেলে, ব্যাংকের উন্নয়ন হলেই আপনারা এগিয়ে যাবেন, তাই ব্যাংককে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি পেমেন্ট সংক্রান্ত্র এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ডিআইইউ-এর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি ও সেমিস্টার ফি-সহ যে কোন ধরনের ফি ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রদান করতে পারবেন।

সম্প্রতি ডিআইইউ কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ডিআইইউ-এর ট্রেজারার (চলতি দায়িত্ব) মমিনুল হক মজুমদার ও ব্যাংকের আশুলিয়া শাখাপ্রধান এ.বি.এম মোস্তফা আলী হায়দার সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান বশির আহমদ এবং ডিআইইউ-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাদির বিন আলী ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ও কমৃকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে প্রতি চারজনের একজন ঋণগ্রস্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। একই সঙ্গে প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছে। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণে টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায় অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ৩১০.৯৪ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ঋণগ্রস্ত প্রার্থী তালিকার শীর্ষে আছেন নেত্রকোনার পূর্বধলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ৯৯.১৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। তিন নম্বরে পিরোজপুরের নেছারাবাদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সোহাগ মিয়া, তার ঋণ ৩৫.৮৭ কোটি।

;