সততার অভাবে শতভাগ বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না



জুনায়েদ শিশির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নির্বাচনের বছর হওয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করবে বাজেট বাস্তবায়ন। তবে বাজেট বাস্তবায়নে আমাদের সততার অভাব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। সোমবার বার্তা২৪.কম’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন বাজেটের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এ কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচনি বছর তাই ভোটের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরাদেশের রাস্তা-ঘাট সংস্কার, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কল্যাণে বাজেট বরাদ্দের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, বাজেট ঘাটতি কোনো সমস্যা না, তবে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে না পারাটা সমস্যার। কারণ, জাতিগতভাবে আমরা সৎ না। এটা শুধু সরকারের সমস্যা না,  বরং এটা আমাদের জাতিগত সমস্যা। তাই শতভাগ বাজেট বাস্তবায়নে সরকার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি। যদিও প্রতিবছর বাজেটের ৯৪-৯৫ ভাগ বাস্তবায়ন করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যেকোনো সরকারের বাড়তি চিন্তা থাকে, আমাদেরও রয়েছে। প্রতি বাজেটে আমরা সাধারণ মানুষের কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনা করি। বিশেষ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গরীব, নিম্ন আয়ের ও অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য,আয় ও কর্মসংস্থান সমস্যার সমাধান করা, শ্রমিকদের জন্য বাড়তি কল্যাণ করা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বাড়তি সুবিধা সৃষ্টি করা হয়।’

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের বছর আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। সবকিছু হিসাব করে আমরা সার্বিককল্যাণের পথে অগ্রসর হই। এক্ষেত্রে কোনো কোনো সময় বরাদ্দ অর্থের কম বা বেশি খরচ হয়ে যায়। যা ইচ্ছাকৃত নয়। তবে আমরা যারা রজনীতি করি, তারা তো ভোটের রাজনীতি করি। নির্বাচন নিকটে চলে এসেছে, এবার নৌকায় উঠবো। তাই শেষ মুহুর্তে মানুষকে কী দেবো, সে চিন্তা করতে হচ্ছে।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দোকানদার ক্রেতাকে বিদায় দেওয়ার সময় সালাম দিয়ে বলেন, ভাই আবার আসবেন। আমরাও সেভাবে ভোটারদের কাছে ভোট চাইবো, এটা অন্যায় কিছু না বরং এটাই নিয়ম। পৃথিবীর সব দেশেই এটা হয়। এ ক্ষেত্রে আমরা দরিদ্র বা সাধারণ মানুষের কল্যাণমূলক ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

বাজেট ঘাটতির বিষয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কৌশলগত কারণে বাজেটে ঘাটতি রাখা হয়। ১৯৭২ সালের বাজেটের তুলনায় এখন আমাদের বাজেট এক হাজারগুণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে আমি বলবো, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আমরা প্রথমপর্যায়ে আছি। ইউরোপ-জাপানের সঙ্গে আমাদের তুলনা করলে হবে না। কারণ তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এর বেশি হলে তাদের হার্টে সমস্যা হবে। সে হিসেবে আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেক। তাই আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাড়তি বিনিয়োগের দরকার। সেটা জেনেই আমরা ঘাটতি বাজেট করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাপে থাকতে পৃথিবীর সব দেশই কমবেশি ঘাটতি বাজেট করে। আমরা জানি, ঘাটতির পুরোটা হয়তো মেটানো যাবে না। সেজন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শাতংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। অনেক দেশে ঘাটতির পরিমাণ ১০ বা ১২ শতাংশ। আমাদের ৫ শতাংশ কখনও অতিক্রম করেনি, এবারও করবো না।’

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৪৫ বছর ধরে আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিচ্ছি। অনেকে মনে করেন এসব সাহায্যের টাকা। কিন্তু আমি জানি এসব ঋণের টাকা, যা নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। বাজেটের একটি বড় অংশ ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়। গত ৪৫ বছরে বাংলাদেশ একটা সুদের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। ফলে বুঝা যাচ্ছে আমাদের অর্থনীতি ভালো্।’

নির্বাচনি বছরে রাজস্ব আহরণে নতুন কৌশলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর আলোচনা থেকে জেনেছি, এবারের বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স কমানো হবে। যা হবে খুবই বড় উদ্যোগ। তাছাড়া প্রতি বছরের মতোই এ বছরও বাজেট কাঠামো অভিন্ন থাকবে। তবে বাজেটের ক্ষেত্র একটু প্রসারিত হতে পারে। কারণ মানুষের আয়-ব্যয় ও চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া এবারের বাজেটে বয়স্কদের আয় করমুক্ত সীমা কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।’

সারাদেশের রাস্তাঘাট সংস্কারের বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘মন্ত্রীসভার এক আলোচনায় শুনেছি, সারাদেশে অনেক রাস্তাঘাট তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক কারণে অনেকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা নতুন করে সংস্কার করা জরুরি। তবে অনেক সময় আমরা কমদামে বেশি রাস্তা তৈরি করতে চাই, এ জন্য মান ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। এছাড়া পরিবহন সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে ওভারলোডের কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করবে।

অনেক রাস্তায় কাজ শুরু হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না থাকায় অনেক রাস্তায় উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী নভেম্বরের মধ্যে যাতে এসব রাস্তা সংস্কার শেষ করা যায় সেজন্য এবারের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হবে।’

   

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে আরো সহজ, ঝামেলাহীন সেভিংস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং তাদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো দুটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ‘সাপ্তাহিক সেভিংস’। প্রথমবারের মতো দেশে সাপ্তাহিক এই ডিজিটাল সেভিংস সেবা চালু হলো বিকাশ অ্যাপে, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ২৫০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কিস্তিতে সেভিংস করতে পারছেন। সেভিংস করা যাচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ।

নতুন এই সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। স্বল্প আয় এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পেশাজীবীদের অল্প অল্প করে অর্থ জমানোর সুযোগ করে দিবে, যা তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা, কৃষি-ব্যবসায় বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা বা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসবে।

সাপ্তাহিক সেভিংস-এর পরিমাণ এবং মেয়াদ:

এই সেবার আওতায় বিকাশ গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, এবং ‌৫০০০ টাকা কিস্তিতে ৬ মাস অথবা ১২ মাস মেয়াদে আইডিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ সেভিংস খুলতে পারছেন। বিকাশ অ্যাপেই ব্যাংকগুলোর দেয়া তুলনামূলক মুনাফার হারের তথ্য বিবেচনা করে দিনে-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই সেভিংস খোলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাপে সেভিংস করার পদ্ধতি:

নতুন সেভিংস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করতে হবে। সেভিংস এর ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংসটি কেনো খুলতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। এরপর, সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বা ১২ মাস, জমার ধরন (সাপ্তাহিক) এবং প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, বা ৫০০০ নির্বাচন করতে হবে।

পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক বা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেভিংস-এর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর সেভিংস-এর বিস্তরিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই সেভিংস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ মেসেজ। বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সেভিংস খুলতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভিংস-এর টাকা কেটে নেয়া হবে। সেভিংস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর বিকাশ অ্যাপেই মুনাফাসহ মূল টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তা করতে পারবেন।

সাপ্তাহিক সেভিংস প্রসঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাসে বা সপ্তাহে টাকা জমানো বেশ কঠিন। এদিকে দৈনিক বা সপ্তাহ ভিত্তিতে আয় করা মানুষদের জন্য নিয়মিত বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত জীবনে সকল পেশার মানুষের জন্য আর্থিক লেনদেনে স্বস্তি এনে দিতেই বিকাশ তার অ্যাপে দুটি নতুন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা যুক্ত করেছে। সঞ্চয়ের অভ্যাস ব্যক্তি এবং সমাজের আর্থিক নিরাপত্তাকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক সঞ্চয় সেবা চালু হয়। এই সেবার জনপ্রিয়তার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ সেভিংস গ্রহণ করেছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যাদের এক-তৃতীয়ংশই নারী। বর্তমানে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এর পাশাপাশি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিটি ব্যাংকের মাসিক ‘সিটি ইসলামিক’ সেভিংস সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।

সেভিংস সেবা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে– https://www.bkash.com/products-services/savings।

;

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে যে কারণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আম দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে আগে বাজারে আসে এবং এই আমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সে কারণে সাতক্ষীরার আমের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভৌগলিক অবস্থানগত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ু অন্য সব জেলার আগে প্রবেশ করে। এতে করে এ এলাকার আম দ্রুত পাকে এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত ছাড়াও আবহাওয়াগত কারণেও আম দ্রুত পাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আগে প্রবেশ করার কারণে আমের মুকুলও তাড়াতাড়ি চলে আসে। এতে করে আম গরমে দ্রুত পাকতে শুরু করে।

তারা জানান, অন্য জেলাগুলোতে শীতের আমেজ সাতক্ষীরার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে নামে। সে কারণে ওই সব এলাকায় আমের মুকুলও দেরিতে আসে। এজন্য সাতক্ষীরার আম মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে চলে আসে।

গবেষকদের বক্তব্য, জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একেক আম একেক সময়ে পাকে। কিন্তু তারা দেখতে পেয়েছেন, আম কেবল জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাকে না; পাকে ভৌগোলিক অবস্থানগত ও আবহাওয়াগত কারণেও। যেমনটা ঘটে আম্রপালী আমের বেলায়। এ আম সাতক্ষীরায় এক সময়ে, চট্টগ্রামে আরেক সময়ে এবং সবার শেষে উত্তরাঞ্চলে পাকে।

একই জাতের আম পাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে দুই মাস পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে।

এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম ব্যাপক। কারণ, সাতক্ষীরার আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভালো।

ক্যালেন্ডারের আগেই পাকে সাতক্ষীরার আম

মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যাও রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা না করে, চাষীদের মতামত না নিয়ে, আমের দিকে খেয়াল না করে আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এতে করে আম আগে পেকে গেলেও সাতক্ষীরার চাষিরা তা পাড়তে পারেন না।

আমাদের দাবি, আমের ক্যালেন্ডার করার সময় সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা করে তারপর আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এতে করে সাতক্ষীরার আম সবার আগে বাজার দখল করবে এবং চাষীরাও লাভবান হবেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলের শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ। এসময় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাখাসমূহের সর্বস্তরের প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম সকলকে একসঙ্গে নবউদ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক এগিয়ে গেলে, ব্যাংকের উন্নয়ন হলেই আপনারা এগিয়ে যাবেন, তাই ব্যাংককে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি পেমেন্ট সংক্রান্ত্র এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ডিআইইউ-এর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি ও সেমিস্টার ফি-সহ যে কোন ধরনের ফি ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রদান করতে পারবেন।

সম্প্রতি ডিআইইউ কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ডিআইইউ-এর ট্রেজারার (চলতি দায়িত্ব) মমিনুল হক মজুমদার ও ব্যাংকের আশুলিয়া শাখাপ্রধান এ.বি.এম মোস্তফা আলী হায়দার সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান বশির আহমদ এবং ডিআইইউ-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাদির বিন আলী ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ও কমৃকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;