'জোগান সংকটে' পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী!



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মিরপুর-১-এর পাইকারি দোকানে  মজুত করে রাখা পেঁয়াজ

মিরপুর-১-এর পাইকারি দোকানে মজুত করে রাখা পেঁয়াজ

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহস্থলি পণ্য পেঁয়াজ। যেকোনো তরকারি রান্না করতে পেঁয়াজ অপরিহার্য। কোরবানির ঈদের পর পেঁয়াজের দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী। সরকারি হিসাবে পেঁয়াজের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও জোগান পর্যাপ্ত হলেও বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি পেঁয়াজের জোগান কম।

তাদের দাবি, সরকারি হিসাব সঠিক নয়। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা এবং ভারতে দাম বাড়ায় পেঁয়াজের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। তাছাড়া বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তবে অন্যান্য সবজির দামের তুলনায় পেঁয়াজের দাম খুব বেশি নয়।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারের খুচরা, পাইকারি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

রোববার মিরপুর-১ কাঁচাবাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার গলিতে ভ্যানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।

অন্যদিকে পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দামও বাড়তি। দেশি পেঁয়াজ ৪৪/৪৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২-৪৫ টাকা ও ক্রস (ভারতীয় বীজ কিন্তু দেশের মাটিতে উৎপাদন হয়) জাতের পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, দেশে এবার পেঁয়াজের মোট সরবরাহ হয়েছে ৩৬ লাখ টন। বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। সুতরাং উদ্বৃত্ত আছে ১২ লাখ টন। সেই হিসাবে পেঁয়াজের দাম কম থাকার কথা থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন! পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে আমাদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।

মিরপুর-১ বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শামসুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ঈদের আগে দেশি পেয়াঁজ কিনেছি ৩৫/৪০ টাকায়। তখন দাম কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। ঈদের পরই দাম বাড়তে শুরু করে। গেল সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ কিনছি ৫০ টাকা কেজি দরে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু দামে তার কোনো প্রভাব নেই। নিশ্চই কোথাও সিন্ডিকেট কাজ করছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করছে তারা।’

খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আজ ৪৫ টাকা কেজি পাইকারিতে কিনে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় যে ব্যক্তি ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতেন তিনি এখন ২ কেজি কিনছেন।

দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিসংখ্যান তৈরি করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ডিএই ও বিবিএস সমন্বিত পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১.৬০ লাখ মেট্রিকটন, সেখানে উৎপাদিত হয়েছে ২৫.৪২১ লাখ মেট্রিকটন, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৪ লাখ টন বেশি। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পরিসংখ্যান এখনো প্রস্তুত হয়নি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে (ঋণপত্র নিষ্পত্তি) ১০ লাখ ৯২ হাজার টন। এতে মোট সরবরাহ দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ লাখ টন। কিন্তু বাজারে সে তুলনায় পেঁয়াজ নেই। বরং সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজ আমদানির ওপর আমরা নির্ভরশীল। ভারতে বন্যার কারণে ১২ টাকা কেজির পেঁয়াজ ২৫ টাকা হয়েছে। সেই প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়েছে।

জানতে চাইলে মিরপুর -১ কাঁচাবাজারের পাইকারী দোকান সততা বাণিজ্যালয়ের মালিক আব্দুল লতিফ মোল্লা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সরকারের হিসাব পুরাতন। এ বছর বন্যায় দেশের পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই দেশি পেঁয়াজের বাজার চড়া। বন্যা না হলে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৩৫ টাকার বেশি হতো না।’

তিনি আরো বলেন, ‘পেঁয়াজের ৯৯ শতাংশই আমদানি হয় ভারত থেকে। মাঝে মধ্যে ভারতে দাম অনেক বেড়ে গেলে কিছু পেঁয়াজ চীন, মিসর, তুরস্ক থেকেও আসে। তবে ভারতে সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেঁড়েছে। ভারত থেকে এলসি খুলে কিনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা দরে। সেখান থেকে আড়তে পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ হয় প্রতি কেজিতে গড়ে ৪ টাকা। সে হিসেবে ভারতীয় পেঁয়াজের দামও পাইকারিতে ৪৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’

পাটোয়ারি বাণিজ্যালয়ের সত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘দেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে আরো দুই/আড়াই মাস বাকি আছে। এ সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে হলে অবশ্যই আমদানি বাড়াতে হবে। কারণ বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ নেই।’

   

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে যে কারণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আম দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে আগে বাজারে আসে এবং এই আমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সে কারণে সাতক্ষীরার আমের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভৌগলিক অবস্থানগত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ু অন্য সব জেলার আগে প্রবেশ করে। এতে করে এ এলাকার আম দ্রুত পাকে এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত ছাড়াও আবহাওয়াগত কারণেও আম দ্রুত পাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আগে প্রবেশ করার কারণে আমের মুকুলও তাড়াতাড়ি চলে আসে। এতে করে আম গরমে দ্রুত পাকতে শুরু করে।

তারা জানান, অন্য জেলাগুলোতে শীতের আমেজ সাতক্ষীরার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে নামে। সে কারণে ওই সব এলাকায় আমের মুকুলও দেরিতে আসে। এজন্য সাতক্ষীরার আম মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে চলে আসে।

গবেষকদের বক্তব্য, জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একেক আম একেক সময়ে পাকে। কিন্তু তারা দেখতে পেয়েছেন, আম কেবল জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাকে না; পাকে ভৌগোলিক অবস্থানগত ও আবহাওয়াগত কারণেও। যেমনটা ঘটে আম্রপালী আমের বেলায়। এ আম সাতক্ষীরায় এক সময়ে, চট্টগ্রামে আরেক সময়ে এবং সবার শেষে উত্তরাঞ্চলে পাকে।

একই জাতের আম পাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে দুই মাস পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে।

এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম ব্যাপক। কারণ, সাতক্ষীরার আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভালো।

ক্যালেন্ডারের আগেই পাকে সাতক্ষীরার আম

মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যাও রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা না করে, চাষীদের মতামত না নিয়ে, আমের দিকে খেয়াল না করে আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এতে করে আম আগে পেকে গেলেও সাতক্ষীরার চাষিরা তা পাড়তে পারেন না।

আমাদের দাবি, আমের ক্যালেন্ডার করার সময় সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা করে তারপর আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এতে করে সাতক্ষীরার আম সবার আগে বাজার দখল করবে এবং চাষীরাও লাভবান হবেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলের শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ। এসময় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাখাসমূহের সর্বস্তরের প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম সকলকে একসঙ্গে নবউদ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক এগিয়ে গেলে, ব্যাংকের উন্নয়ন হলেই আপনারা এগিয়ে যাবেন, তাই ব্যাংককে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি পেমেন্ট সংক্রান্ত্র এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ডিআইইউ-এর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি ও সেমিস্টার ফি-সহ যে কোন ধরনের ফি ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রদান করতে পারবেন।

সম্প্রতি ডিআইইউ কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ডিআইইউ-এর ট্রেজারার (চলতি দায়িত্ব) মমিনুল হক মজুমদার ও ব্যাংকের আশুলিয়া শাখাপ্রধান এ.বি.এম মোস্তফা আলী হায়দার সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান বশির আহমদ এবং ডিআইইউ-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাদির বিন আলী ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ও কমৃকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে প্রতি চারজনের একজন ঋণগ্রস্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। একই সঙ্গে প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছে। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণে টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায় অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ৩১০.৯৪ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ঋণগ্রস্ত প্রার্থী তালিকার শীর্ষে আছেন নেত্রকোনার পূর্বধলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ৯৯.১৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। তিন নম্বরে পিরোজপুরের নেছারাবাদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সোহাগ মিয়া, তার ঋণ ৩৫.৮৭ কোটি।

;