পিএইচপি - কেএসআরএম জমি যুদ্ধ, কে জিতল?



বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই শিল্প গ্রুপই বছরে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা লেনদেনের ব্যবসা করেন। দুই শিল্প গ্রুপের চেয়ারম্যানের ধর্মপরায়ণতা, মানবিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও ব্যবসার নৈতিকতার কথা কমবেশি ব্যবসায়ীরা জানেন।

দুই জনের দান-খয়রাতের কাহিনী মানুষের মুখে মুখে। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে দিয়েছেন দুইজনই।

কিন্তু গত মাসে শিল্পকারখানার পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ের সরকারি মালিকানাধীন লিজ নেয়া মাত্র কয়েক হাজার টাকার জমি নিয়ে যে লঙ্কা-কাণ্ড ঘটে গেল, সেটা নিয়ে শুধু চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা নন, সরকারের নীতি-নির্ধারক মহলে চিন্তিত হয়ে পড়ে। ভাবনায় ও দ্বন্দ্বে পড়ে যায় সকলে।

দুই শিল্প মালিকের মধ্যে সামান্য জায়গা নিয়ে কেন এই বিরোধ? এর প্রকৃত মালিক আসলে কে? কোন মালিক সঠিক পথে এগুচ্ছেন? সামান্য এ জায়গা নিয়েই বা কেন এত হাকডাক?

এদের একজন হলেন- দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলির সুফি মিজানুর রহমান, আরেকজন হলেন নামকরা রড উৎপাদন ও বিদেশগামী জাহাজ ব্যবসার মালিক কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান।

বয়সে বড় সুফি মিজানুর রহমান। ব্যবসার পরিধিও তার অনেক, বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা ছাড়াও বোনাস দেন ১৪টি। কেএসআরএমও কম যায় না। মোহাম্মদ শাহজাহানও আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। মোহাম্মদ শাহজাহান অর্ন্তমুখি স্বভাবের, সাধারণের সঙ্গে খুবই কম চলাফেরা করেন। বিপরীতে সুফি মিজানুর রহমান ধর্ম-কর্ম আর সামাজিকতা নিয়ে সাধারণের সঙ্গে চলতে-থাকতে ভালোবাসেন।

এরকম শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মালিক হয়েও কয়েক হাজার টাকার লিজের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের নেপথ্যের কাহিনী খুবই করুণ ও পীড়াদায়ক। তাদের দুজনের ঘনিষ্ঠদের পক্ষ থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল নানাভাবে, নানা উপায়ে।

কিন্তু দু'পক্ষই অনড় ছিল কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হয়নি। প্রশাসনিকভাবেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৮ দিন পর। এই ৪৮ দিনে মিডিয়াজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

মিডিয়ার এই উত্তাপের রেশ সাধারণের মধ্যেও সংক্রমিত হয়। বলাবলি হচ্ছিলো নানা কথা ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানতো বলেই বসলেন- এতো ছোটোখাটো ইস্যূ নিয়ে কেন রশি টানাটানি, এতে তো চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদেরই সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আরেকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী জানতে চাইলেন, প্রকৃত ঘটনা কি। কোন পক্ষ বেদখল করেছে। মাঝারি মানের এক ব্যবসায়ী বলে বসলেন- ১০ কোটি টাকা খরচ করতে পারবেন, কিন্তু আপোস করবেন না শাহজাহান সাহেব। আর ব্যবসার কথা চিন্তা করে সুফি মিজান সহজে আপোস রফা করে ফেলবেন। এতো গেল শিল্পপতি-ব্যবসায়ীদের মনোভাব।

সরকারের নীতিনির্ধারকদের ঘনিষ্ঠ এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরাসরি জানতে চাইলেন, প্রকৃত ঘটনা আসলে কি? অর্থাৎ সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশে রেলওয়ের লিজ নেয়া জমিতে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে কাটা তারের বেড়া দিয়ে পিএইচপির জমি দখলে নেয়ার বিষয়টি এতো বিস্তৃত রূপ নেয়।

৬০ শতক ও এক দশমিক ৬ একর জায়গা ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ে থেকে লিজ নেয় পিএইচপি- এমন দাবি তাদের। ২০১৭ সালে ওই জায়গা লিজ নেয় রেল থেকে কেএসআরএম- এমন পাল্টা দাবিও তাদের।

দুই পক্ষের এমন অনড় দাবিতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ পর্যন্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যান- একই সঙ্গে চাপ অনুভব করতে থাকেন। এরকম নাটকীয় ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি, দেখেওনি কেউ।

যে এলাকায় রেলের জমি নিয়ে দুই শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মধ্যে এতো টানাপোড়েন, সেখানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ভারী শিল্পের কারখানা রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের একপাশে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ, অপর প্রান্তে বিরল প্রজাতির হাজার হাজার গাছের বন রয়েছে। অর্থাৎ দুই পাশেই পিএইচপির স্থাপনা।

এর কিছু দূরেই কেএসআরএমের শিল্প প্রতিষ্ঠান। রেল লাইন অতিক্রম করে পিএইচপির ১৬০ একর বনে ঢোকার প্রবেশপথসহ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে কেএসআরএম। যেদিন অর্থাৎ গত ২৯ মার্চ কেএসআরএম এই কাঁটা তারের বেড়া দেয়, তখন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান-পরিচালকদের সবাই ছিলেন ঢাকায় তাদের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ইউআইটিএস এর কনভোকেশনে। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে কোনো অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার সুযোগটি গ্রহণ করে কেএসআরএম।

বিভিন্ন ফলজ ও বিলুপ্ত প্রজাতির গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পিএইচপির কর্মচারীরা বাগানে যেতে পারছে না। বাগান আর গাছ রক্ষা করার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে উভয় পক্ষের সামাজিক মর্যাদার ইস্যুটি। মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধও তো আছেই। পণ্য বেচাকেনার বাজার বা শেয়ার দখল করার চাইতেও জমি দখলের এই যুদ্ধ অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তাদের কাছে। দেন-দরবারও চলতে থাকে উভয় পক্ষের। থানা, পুলিশ, সংবাদকর্মী, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বিভ্রান্ত হতে থাকে- আসলেই ঘটনা কি?

নানা তৎপরতা ও উদ্যোগ শেষে ৪৮ দিন পর রেলওয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ৬০ শতক লিজের জমি থেকে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ অবৈধ কাঁটাতারের বেড়া তুলে নিতে বাধ্য হয়। কারণ রেল কর্তৃপক্ষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় যে, এই জায়গার মালিক ছিল পিএইচপি ফ্যামিলি। ওই জায়গার পাশে ১ দশমিক ৬ একর লিজের জায়গা নিয়ে এখনো বিরোধ। দুই পক্ষের দাবি এটা তাদের জায়গা। জায়গা-জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়টি প্রমাণ করতে হয় বৈধ কাগজপত্রের মাধ্যমে। আগামীতে বোঝা যাবে ১ দশমিক ৬ একর লিজ নেয়া জায়গাটি আসলেই কার ।

মাত্র ৬০ শতক লিজের জায়গা, যার লিজমূল্য মাত্র ২৫ হাজার টাকার মতো। এই সামান্য টাকার জমি দখলে নিয়ে যে উত্তেজনা তৈরি করেছে চট্টগ্রামের দুটি নামকরা শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সেটি খুবই হাস্যকর সাধারণের কাছে। কেউ কেউ ভাবতে পারে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত বিরোধের মতোই বিশাল এক উত্তেজনাপূর্ণ ব্যাপার বুঝি। কিন্তু যখন কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে দখল করা জায়গা ছেড়ে দিতে হয়, তখন কি একটু লজ্জা হয় না কিংবা অনুশোচনা!

বছরে কেএসআরএমের ব্যবসায়িক লেনদেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারকে রাজস্ব দেয় প্রতি বছর কয়েকশ কোটি টাকা। লাভের বিশাল অঙ্ক দান খয়রাত করেন কেএসআরএমের মালিক মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি ধর্মপ্রাণ ও দানবীর। ইসলাম এমন এক ধর্ম, যেখানে শান্তি ও মানবিকতার কথা বলে।

অন্যের জমিতে জোর করে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার ঘটনার পর মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, ধর্মের শিক্ষা আর শান্তির কথা তখন কি মনে ছিল না?

এরপর গত ১২ মে কয়েক হাজার মানুষকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে চেয়েছিলেন নিজের এলাকা সাতকানিয়ায়। সেখানে হুড়োহুড়ি আর ঠেলাঠেলিতে প্রাণ গেছে নয় জন নিরীহ মহিলার। সে মামলায় আসামি করা হয়েছে কেএসআরএমের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানকে। তিনি এখন পলাতক বলে জানিয়েছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

মজার ব্যাপার হলো- যেদিন এই অপ্রীতিকর ঘটনা সাতকানিয়ায় তার পরের দিন বাড়বকুণ্ডের অবৈধ দখল থেকে কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে নেয় মোহাম্মদ শাহজাহানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা।

বিপদ যখন আসে তখন চারদিক থেকেই আসতে শুরু করে। এখানে ধর্মের শিক্ষা হলো ধৈর্য্য ধরা। জোর করে বেড়া না দিয়ে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলে কিংবা নিজেরা বসে সমঝোতা করলে কি ভালো হতো না? সময়, টাকা, আত্মমর্যাদা সবই তখন রক্ষা পেত।

   

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারের ব্যবহার বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সফটওয়্যার বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ।

দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিস্তৃতি সত্বেও লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। সাইবার ঝুঁকি এড়াতে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এখন জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর তরুণ সাওনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার তথ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। যার ফলে সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি ও ম্যালওয়্যার আক্রমণের শঙ্কা বেড়ে যায়। এসব ঘটনা গ্রাহক, অংশীদার ও সহযোগীদের বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়া এটি যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনী ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি ‍সুনাম ক্ষুণ্নের কারণও হতে পারে। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন, যার ফলে যে কোন সংস্থা বা সংগঠন মামলা, জরিমানা অথবা আইনি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে তাদের কোম্পানিগুলোয় সফটওয়্যার সক্রিয়ভাবে পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে। অনেক কোম্পানিই তাদের ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনায় লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন, বিশেষ করে নির্মাণ এবং অবকাঠামোর উন্নয়নের সাথে যুক্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশের সিইওদের দায়িত্ব হল তাদের কোম্পানিগুলো নিরাপদ, সুরক্ষিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে আইন মেনে চলছে কি না তা নিশ্চিত করা।”

বিএসএ-এর তথ্যে উঠে এসেছে যে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের অনেক কোম্পানিই লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, যার মধ্যে আছে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, খুচরা ও বড় ব্যবসা, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংকিং, আর্থিক পরিষেবা এবং স্থাপত্য ও প্রকৌশলসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সামনে উঠে আসে যখন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডেটা সেন্টার স্টোরেজ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, ফায়ারওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং আপডেট ইনস্টল করতে না পারার মতো একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এই সমস্যাগুলো তৈরি হওয়ার জন্য বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকে সরবরাহকৃত লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছিল যা মূলত আইন মেনে না চলার পরিনতিকেই নির্দেশ করে।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষতি শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর কারণে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনও বাধাগ্রস্ত হয়। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ব্যবসা মালিক, শেয়ারহোল্ডার এবং সি-স্যুট এক্সিকিউটিভদের জন্য এটা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে যে তাদের কর্মীরা লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কিনা এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছেন কিনা সে বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

বিএসএ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ে ব্যবহৃত বৃহৎ ভলিউমের সফটওয়্যারগুলো যাতে বৈধভাবে ব্যবহার করা হয় তার জন্য বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মতো সরকারি সংস্থার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

তরুণ সাওনি বলেন, "সাইবার আক্রমণ থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন কি না তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।”

বাংলাদেশের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো তুলে ধরে বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সাইবার হুমকির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধুমাত্র ঝুঁকি কমানোর জন্য নয় বরং একটি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত সাইবার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর/সংস্থাগুলোর উচিত বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়া।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার এই সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা নিয়মিতই ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোকে বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহার ও নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন করার পরামর্শ দিই৷ বিএসএ-এর মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা এই বিষয়ক সচেতনতা এবং বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এসব উদ্যোগ কার্যকরভাবে সাইবার নিরাপত্তার হুমকি কমাতে ভূমিকা রাখবে।”

বিএসএ তার সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্স বাড়ানোর অঙ্গীকারে অবিচল। ২০১৯ সাল থেকে, সংস্থাটি প্রায় ১ মিলিয়ন পিসিতে বৈধ ও নিরাপদ সফটওয়্যার ইনস্টল করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সহায়তার উদ্দেশ্যে ‘লিগ্যালাইজ অ্যান্ড প্রোটেক্ট’ নামের আঞ্চলিক প্রচারভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অবৈধ সফটওয়্যারের ব্যবহার এখনও চালু থাকায় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে সচেতন করতে এবং সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্সের প্রচারে আঞ্চলিকভাবে এবং বিশ্বব্যাপী বিএসএ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

বিএসএ বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার খাতকে তুলে ধরতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হিসেবে পরিচিত দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ (www.bsa.org)। এর সদস্যদের মধ্যে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা যে কোন ধরণের ছোট-বড় ব্যবসার আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষে সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান তৈরি করে।

সংস্থাটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। ৩০টিরও বেশি দেশে বিএসএ’র কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিএসএ বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রচার এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ডিজিটাল অর্থনীতির সমৃদ্ধির লক্ষে গৃহীত সরকারী নীতিমালা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।

;

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’

শনিবার (১৮ মে) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে টেবিল টেনিস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্টের এককে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

একই ইভেন্টে দ্বৈতে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য।

ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবক’টি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও।

এছাড়াও প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;

ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। 

আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১২ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। 

;

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান অর্জনে ব্রত নিয়ে বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এই পণ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলমুনের চেয়ারম্যান, এস আলম গ্রুপ ও একুশে টিভির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবু।

এসময় তিনি, গুণগত মান বজায় রেখে সিলমুন পাইপ প্লাস্টিক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে জানান।

দেশে দিন দিন প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে ভবন নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে।

গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এবার বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

'সঠিক পাইপে টেনশন ফ্রি লাইফে' এমন শ্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিলমুনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও জানান পণ্যের মান নিশ্চিতের কথা। দামও সাশ্রয়ীর কথাও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সিলমুনের, ডিলার, বিক্রয়কর্মী ও ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ২৬ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

;