আকিজ ফুডসহ ১১ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের লোগো

আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, এ কে খান ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, খাজানা মিঠাই এবং রেভেন ফুড কোম্পানি লিমিটেডসহ সারা দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে (বিএসটিআই)।

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—নারায়ণগঞ্জের শক্তি এডিবল প্রা. লিমিটেড, চট্টগ্রামের নিউ চট্টলা (প্রা.) লিমিটেড, রাজশাহীর মডার্ন কসমেটিকস অ্যান্ড হারবাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও জি এম কেমিক্যাল ওয়ার্কস, চাঁদপুরের বিসমিল্লাহ সল্ট ফ্যাক্টরি ও জনতা সল্ট মিল এবং ঝালকাঠির জে কে ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড।

বুধবার (০৭ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআই-এর সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন পণ্যের নমুনা ক্রয় করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় পণ্য নিন্মমানের হওয়ায় কোম্পানিগুলোর বিএসটিআই’র সিএম লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের ওই পণ্যগুলো বিক্রি-বিতরণ, সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাজার থেকে ওই সব পণ্য প্রত্যাহার এবং ভোক্তাসাধারণকে পণ্যগুলো কেনা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঘি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ‘ফার্ম ফ্রেশ ব্র্যান্ডের ঘি’-এর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে শক্তি এডিবল প্রা. লিমিটেডের ফর্টিফাইড সয়াবিন অয়েল শক্তি ‘কিচেনা’ বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়াও এ কে খান ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফর্টিফাইড সয়াবিন অয়েল ‘সেফ’। বিসমিল্লাহ সল্ট ফ্যাক্টরির আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘উট’। জনতা সল্ট মিল আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘নজরুল’। জে কে ফুড প্রোডাক্টেরর লাচ্ছা সেমাই ‘মদিনা’, মডার্ণ কসমেটিকস অ্যান্ড হারবাল ইন্ডাস্ট্রিজের ‘স্কিন ক্রিম মডার্ন’, জি এম কেমিক্যাল ওয়ার্কসের ‘স্কিন ক্রিম জিএম’, নিউ চট্টলা (প্রাঃ) লিমিটেডের ‘ঘি এরাবিয়ান স্পেশাল’, রেভেন ফুড কোম্পানি লিমিটেডের লাচ্ছা সেমাই ‘রেভেন’ এবং খাজানা মিঠাই লিমিটেডের লাচ্ছা সেমাই, ঘি ও চানাচুর খাজানার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

   

রাসায়নিক খাতের উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, চাষাবাদ, তৈরি পোশাকসহ প্রায় সবক্ষেত্রে রাসায়নিক এর ব্যবহার হয়। বিশাল সম্ভাবনাময় এ খাতের বড় একটি বাজার বাংলাদেশ। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই রাসায়নিক কারখানা প্রতিষ্ঠা ও এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা চান এই খাতের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজিকরণ ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে বরাদ্দকৃত জমির দ্রুত হস্তান্তর চান তারা।

শনিবার (মে ১৮, ২০২৪) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত রাসায়নিক ও পারফিউমারি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাসায়নিকের ব্যবহার এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক শিল্পকারখানা আছে যেগুলো রাসায়নিক ছাড়া চলে না। কিন্তু এর ব্যবহার পরিকল্পিত ও সুরক্ষিত হতে হবে। ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স দরকার। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান ও কারখানা কমপ্লায়েন্সের বাইরে চলে যাবে। ব্যবসায়ীদের রাসায়নিক এর গুদাম ও কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় জমি বিতরণ ও ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তিতে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।

বিশাল সম্ভাবনাময় এ শিল্পের সমস্যা সমাধানে সরকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এফবিসিসিআই আলোচনা করবে বলেও জানান মাহবুবুল আলম।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, সরকার ও বেসরকারি খাত একসাথে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে দেশকে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মটির সাথে ব্যবসায়ীরা সমন্বয় করে কাজ করতে পারলে দেশে রাসায়নিক শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, খাদ্য, চাষাবাদ, পোশাক শিল্পসহ প্রায় সবখানে রাসায়নিকের ব্যবহার রয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ উপাদানের প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশেই এর কারখানা তৈরি করা গেলে আমদানি কমানোর পাশাপাশি রপ্তানিরও সুযোগ তৈরি হবে। তবে দুর্ঘটনা রোধে এটি ব্যবহারের পর রাসায়নিকের সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও রি-সাইক্লিং নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ। তিনি বলেন, রাসায়নিক বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে পেছন থেকে অবদান রাখছে। আমদানি কমিয়ে রপ্তানি বাড়াতে নতুন প্রজন্মকে দেশে রাসায়নিক এর কারখানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) এর উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারি পরিচালক ফয়সালুর রহমান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহিদ উল্লাহ, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

;

জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরশিল্প এসএমইখাতের আওতাভুক্ত।

তিনি বলেন, এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে, যা মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ। এসএমইখাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগের জোগান দিয়ে থাকে। আমাদের সরকার এবছরকে ‘জাতীয় হস্তশিল্প বছর’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

১৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা ২০২৪ আয়োজন করছে। 

শিল্প উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিল্প উন্নয়ন ভাবনার পরিস্ফুটন হয় ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনি ইশতেহারে, যা তিনি নিজেই প্রস্তুত করেছিলেন।

তিনি বলেন, ইশতেহারটির ২১ দফা ঘোষণাপত্রের চারটি দফা ছিল তাঁর শিল্প উন্নয়ন পরিকল্পনা। তিনি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এসময় তিনি বাংলাদেশে শিল্প প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম শিল্প ও বিনিয়োগনীতি ঘোষণা করেন এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেন। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রয়োজনীয় দপ্তরসমূহ গঠন করেন। জাতির পিতার উন্নয়ন দর্শনের আলোকে বিগত ১৫ বছর আমরা শিল্পখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ফলে দেশের শিল্পখাত ক্রমেই সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরশিল্প এসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এখাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে, যা মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ। এসএমইখাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্প পণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগের জোগান দিয়ে থাকে। আমাদের সরকার এ বছরকে ‘জাতীয় হস্তশিল্প বছর’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে তার সরকারের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে আমরা বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্পনীতি-২০২২ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী, বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দিয়েছি।

করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় আমরা এসএমই শিল্পে আর্থিক প্রণোদনা এবং রফতানিখাতে অবদানের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প বিকাশের ফলে অধিক জনবল শ্রমখাতে নিযুক্ত হচ্ছে এবং নারী উদ্যোক্তা ও কর্মী সংখ্যা বাড়ছে।

এসএমইএফ কর্তৃক নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি ও স্টার্টআপ বিষয়ে ১শ ৫০টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৩০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে ক্রেডিট হোলসেলিং মডেল ব্যবহার করে ৭শ ১৬ কোটি টাকা ৮ হাজার ২শ ৮৬ জন উদ্যোক্তাকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যার ২৩ শতাংশ নারী।

শিল্পখাতে অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার শিল্পখাতে সফল উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিতকরণে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার, সিআইপি (শিল্প) সম্মাননা প্রদান চালু করেছে।

ফলে বিগত ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ১১২ দশমিক ২৪ শতাংশ বাস্তবায়ন এবং চামড়া শিল্পে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার রফতানি আয় অর্জন উল্লেখযোগ্য, যার মধ্যে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ।

২০৩১ সালের মধ্যে এসএমই খাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় তথা এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এসএমই পণ্যের বাজারজাতকরণে এসএমই পণ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ মেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়াবে। সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করার বিকল্প নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।

দেশের তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকরণে এসএমইখাত ও জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে আর এভাবেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ।

;

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যবিমোচন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

১৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ সব কথা বলেন।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) কর্তৃক একাদশ ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৪’ আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠানসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যবিমোচন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সরকার এসএমই খাতের বিকাশ ও টেকসই শিল্পায়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে।

জাতীয় শিল্পনীতিতে এসএমই শিল্পকে শিল্পায়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিকশিত করতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। রূপকল্প ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। জাতীয় শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে উন্নীতকরণে সবাইকে আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪ উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং এসএমই পণ্যের রফতানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে এসএমই খাতের যথাযথ বিকাশ নিশ্চিতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

;

ইলেক্ট্রিক্যাল এবং লাইটিং পণ্যের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য



কানজুল কারাম কৌষিক, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
ইলেক্ট্রিক্যাল এবং লাইটিং পণ্যের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য

ইলেক্ট্রিক্যাল এবং লাইটিং পণ্যের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের 'ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্য' এর ওপর সম্প্রতি 'মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ' (এমডব্লিউবি)- দেশব্যাপী একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমান এই শিল্পে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে এমডব্লিউবির গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। গবেষণার ফলাফল এবং দিক-নিদেশর্না তুলে ধরেন- মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডব্লিউবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের বর্তমান চ্যায়ারমেন ড.এ বি এম শহীদুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড.রাজিয়া বেগম।

গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণার আওতায় আনা পণ্যগুলো ছিল- সুইচ, সকেট, হোল্ডার, মাল্টি-প্লাগ, সার্কিট ব্রেকার, মিটার এবং বিভিন্ন হালকা পণ্য যেমন এলইডি লাক্স, এলইডি টিউব, এলইডি প্যানেল, ব্র্যাকেট এলইডি, জিএলএস, এনার্জি এফিশিয়েন্সি বাল্ব, ইমার্জেন্সি লাইটিং অপশনস।

প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি বড় এবং অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং ২৫০০ উদ্যোক্তাসহ মোট ৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দুই ক্যাটাগরির পণ্যের সম্মিলিত বাজার আকার প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ পণ্যের বাজার প্রায় ৩,৩০০ কোটি এবং লাইটিং পণ্যের বাজার প্রায় ২,৭০০কোটি টাকা। আশাব্যাঞ্জক তথ্য হলো- উভয় পণ্যের বাজার গত দুই দশক ধরে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১০% (প্রায়) এবং ১৩%(প্রায়)।  যদি আগামী দিনগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই খাতটি একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বড় খাত হিসাবে আবির্ভূত হবে।

এই বাজারের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মোট মার্কেট শেয়ারের প্রায় অর্ধেক নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য দখল করে আছে। যেহেতু দেশীয় কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, তাই আগামী দিনগুলোতে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে আরও বেশি আধিপত্য বিস্তার করবে।

গবেষণায় দেখা যায়, দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুপারস্টার গ্রুপ উভয় প্রকার পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। গবেষণা অনুসারে, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ব্যান্ডেড পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৯ শতাংশ, ওয়ালটন ১৭ শতাংশ, ক্লিক ১৭ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৯ শতাংশ, ওসাকা শতাংশ এবং ব্লিঙ্ক, এমইপি ও লাক্সারি প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে বাজার দখল করে আছে। অন্যদিকে ব্রান্ডেড লাইটিং পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৫.৫৯ শতাংশ, ক্লিক ১৩ শতাংশ, ওয়ালটন ১২ শতাংশ, ট্রান্সটেক ১০ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৮ শতাংশ এবং ফিলিপস ৭ শতাংশ বাজার দখল করে আছে।

এই শিল্পের অগ্রগতির পেছনে মূলত গত ২৫ বছরে ব্যাপক বিদ্যুতায়ন, অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান আয়, দ্রুত ও পরিকল্পিত নগরায়ণ, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সরকারের গৃহীত সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে।

দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় এই শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য গ্রে-মার্কেটের কার্যক্রম হ্রাসে সরকারের তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। একই সাথে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের বিদ্যমান ট্যাক্স পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে যাতে কোম্পানিগুলো কম ব্যয়ে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি এ সমস্ত শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ গড়ে তোলার জন্য সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে নিরাপদ ও মানসম্মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

;