ডিএসই’তে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সূচক কমে শেষ হয়েছে লেনদেন কার্যক্রম। এদিন ডিএসইর সব সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন। তবে সিএসইতে লেনদেন ও সূচক উভয়ই কমেছে।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪০ পয়েন্ট এবং সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ৫৬ পয়েন্ট।

বুধবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) লেনদেন হয়েছিল ৯৪৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অপরদিকে এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই

এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে ১০ পয়েন্ট সূচক বাড়ে। তবে লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে। বেলা ১০টা ৪০মিনিটের দিকে ডিএসইএক্স সূচক ৭ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর থেকে সূচক আবারও সামান্য বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার দিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট বাড়ে। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে।

অন্যদিকে ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহসূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৩২৪ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ২১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।

বুধবার দাম বৃদ্ধির ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আছে- প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, গ্রামীণ ফোন, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, আরএসআরএম স্টিল, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম।

সিএসই

আপরদিকে লেনদেন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক (সিএসইএক্স) ৫৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ১৪৮ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৬৩৫ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করে।

লেনদেন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

এদিন দাম বাড়ার ভিত্তিতে সিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- সায়হাম টেক্সটাইল, ইনটেক অনলাইন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্স, বিডি ল্যাম্পস, উত্তরা ফাইন্যান্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার সিমেন্ট এবং জনতা ইন্স্যুরেন্স।

   

এ দফায় সোনার দাম কমল ১২৮৩ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দ্বিতীয় দফা কমল সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। 

শনিবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাজুস।

আগামীকাল রোববার (২৬ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৮৬৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৯ হাজার ২৫৭ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

;

মালিক-শ্রমিক উভয়ের স্বার্থরক্ষায় কাজ করার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষের যাতে স্বার্থ রক্ষা হয় সেভাবে পরিকল্পনা করে কাজ করতে সরকারসহ মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

শনিবার (২৫ মে) বিকেলে এফবিসিসিআইর শ্রমনীতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ভার্চুয়্যালি অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। 

মাহবুবুল আলম বলেন, “শ্রমিকরা আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। একইভাবে দেশের অর্থনীতিক সমৃদ্ধি অর্জনে মালিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আমাদের দেশের ব্যবসায়ী বা কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসাধারণ আন্তরিকতা বিদ্যমান। তবে শ্রমিকদের নিয়ে যাতে কমপ্লায়েন্স এর সাথে কাজ করা যায় এবং মালিকপক্ষেরও যেন স্বার্থ রক্ষা হয় সেভাবে পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে”।

এসময় শ্রম আইনের আধুনিকায়নের করার ব্যাপারে কমিটির সদস্যদের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে প্রস্তাবনা তৈরি করার আহ্বান করেন তিনি।

কমিটির সদস্যদের সুপারিশের ভিত্তিতে তৈরিকৃত প্রস্তাবনা নিয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলে জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কে এম এইচ শহীদুল হক। বিশ্বের অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশের শ্রম ব্যবস্থা উন্নত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শ্রমব্যবস্থায় বাংলাদেশ অনেক দেশের থেকে তুলনামূলক উন্নত। তবে শ্রমিকদের দক্ষতায় পিছিয়ে থাকার কারণে কারখানায় লোকবল বেশি দরকার হয়। মেশিন অপারেটরদের সাথে অনেক সময় একজন সহায়ক রাখার প্রয়োজন হয়। যা সাধারনত অন্যান্য দেশে দেখা যায় না।

এফবিসিসিআইর পরিচালক নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে খাবার, পরিবহন ইত্যাদির সাথে তাদের স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ। শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকলে শিল্পের জন্যই ক্ষতি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক আবুল হোসেন, এ এম মাহবুব চৌধুরী, কাওসার আহমেদ, মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।

উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায় থেকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

;

নেট মিটারিংয়ের সম্ভাবনা অনেক, তবে অর্জন সামান্যই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নেট এনার্জি মিটারিংয়ের সম্ভাবনা অনেক তবে অর্জন সামান্যই। বিনিয়োগ ছাড়াই এর সুবিধা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। এতে ৫ থেকে ৭ বছরেই বিনিয়োগ উঠে আসছে। তবে অব্যবহৃত সোলার প্যানেল পড়ে থেকে ময়লা পড়ে অকেজো হয়ে যাচ্ছে।

এ কারণে অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন। এজন্য প্যানেলগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো কৌশল বের করতে হবে।

শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সোলার নেট মিটারিংয়ের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন মতামত উঠে আসে।

বক্তারা বলেন, নেট মিটারিং কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি ভোক্তার আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে এখানে আমদানি শুল্কসহ কিছু অসামঞ্জস্য রয়েছে। এগুলো দূর করা গেলে অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সৌর বিদ্যুতের ইনভার্টার ও স্টোরেজের ওপর থেকে ডিউটি কমানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। এফবিসিসিআই প্রস্তাবনা দেবে। সেই প্রস্তাবনা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ হোসাইন আরো বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে খুবই আন্তরিক হয়ে কাজ করছে। একটা সময় যখন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বাসার ছাদে সোলার প্যানেল থাকা বাধ্যতামূলক করা হলো, তখন অনেকেই ভাড়ায় আনতো বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে। সংযোগ পাওয়ার পর সেগুলো ফেরত দিতো। এখানে আমাদেরও দায় রয়েছে। তবে এখন প্রেক্ষাপট বদলে যাচ্ছে। এখন গ্রাহকদের নিজেদের স্বার্থে সোলার প্যানেল থাকা উচিত। কারণ, এতে তারা অনেক লাভবান হবেন।

অব্যবহৃত সোনার প্যানেল পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সোলার প্যানেলে ময়লা পড়ে অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে অন্যরা আগ্রহ হারাচ্ছে। প্যানেলগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো কৌশল বের করতে হবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-এর (বিইআরসি) সদস্য (পাওয়ার) আবুল খায়ের মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ভর্তুকি দিয়ে কোনোখাতকে স্থায়ী ভিতের ওপর দাঁড় করানো যায় না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠলে সেটাই হয় শক্তিশালী ও স্থায়ী। তবে হ্যাঁ, একটা সময় পর্যন্ত প্রণোদনার প্রয়োজন থাকতে পারে।

ইপিজেডগুলোতে বিপুল পরিমাণ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ইপিজেড কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না- এমন আলোচনার প্রেক্ষিতে বিইআরসির সদস্য বলেন, ইপিজেড নিয়ে আমরাও সমস্যায় আছি। তারা আমাদের কাছে আসছেন লাইসেন্স থেকে অব্যাহতি চাইতে।

পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের নেট মিটারিং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সেরা। এ জন্য রক্ষণাবেক্ষণের প্রোটোকল থাকা দরকার।

আমার মনে হয়, বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলো হুমকি মনে করছে। তাই, তারা এতে কম আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখানে তাদের ঝুঁকি হ্রাসের ব্যবস্থা থাকা উচিত। তাদের হুইলিং চার্জ থাকলে তবেই নেট মিটারিং সফল হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

স্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, আমি যখন স্রেডা’তে ছিলাম, তখনও ইপিজেডের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। একাধিক দফায় প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলাম কিন্তু সফল হতে পারিনি। ইপিজেড কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেনে নির্দিষ্ট দামে। তারপর সেখানে ১৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় করে। হতে পারে, সেই সার্ভিস চার্জ হারানোর ভয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের ভিজিটিং গবেষণা ফেলো ও ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ইশতিয়াক বারী।

তিনি বলেন, ইপিজেডগুলোতে নেট এনার্জি মিটারিং করা গেলে বছরে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯শ ৪৮ মেগাওয়াট থেকে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯শ ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।

চীন ২০১৩ সালে, ডেনমার্ক ২০১০ সালে নেট এনার্জি মিটারিং পদ্ধতি চালু করেছে। এর মাধ্যমে তাদের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখছে বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে ২০১৮ সালে নেট মিটারিং নীতিমালা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ১৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ৩শ ২৪টি শিল্প কারখানা এবং ৫শ ৭৪টি আবাসিকে নেট মিটারিং স্থাপন করা হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮ বছরের বিনিয়োগ উঠে আসছে। এরপর আরো ১২ বছর ফ্রি সার্ভিস পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী নুরুল আখতার বলেন, নেট মিটারিং ঝুঁকিমুক্ত এবং বিনিয়োগ ছাড়াও সম্ভব। এখানে নিজে বিনিয়োগ করা যায় আবার তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিনিয়োগ ছাড়াও সম্ভব। এখানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত। নেট মিটারিং কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

ঢাকা চেম্বারের পরিচালক সাইফুদ্দৌলা বলেন, নেট মিটারিংয়ের নীতিমালায় অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। ধরুন, আমি একটি কারখানায় বিনিয়োগ করলাম। ৫ বছর পর সেই কারখানা বন্ধ হয়ে গেল, তাহলে কী হবে! সরকারের কাছে বিক্রির বিকল্প সুবিধা থাকা উচিত। এছাড়া অর্থায়নের দীর্ঘসূত্রিতা দূর করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অজিৎ কুমার ভৌমিক বলেন, নেট মিটারিং অনেক হচ্ছে। ৩ থেকে ৪ মেগাওয়াট পর্যন্ত হচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি গ্রাহক এলেই দেওয়া হবে।

ইউনাইটেড ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ২ থেকে ৩ বছর পরে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে গ্রাহকেরা ধরে নিচ্ছেন, সোলার নষ্ট হয়ে গেছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সোলার নিয়ে। এখন ৫ বছরের আগেই বিনিয়োগ উঠে আসছে। গ্রিড বিদ্যুতের চেয়ে সৌর বিদ্যুতের দাম অনেক কম। এখানে সচেতনতা বাড়াতে পারলেই হয়। কিছু বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া উচিত, তবে বরাদ্দ লোডের বেশি হবে না, এমন বিধিনিষেধ থাকা উচিত।

ডেসকো’র নাসির উদ্দিন বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখছি, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উত্তরাতে একটি লাইটিং প্রজেক্ট করে। সেখানে দেখলাম রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছুদিন পরেই অকেজো হয়ে পড়ে। অপর একটি প্রকল্পে দেখলাম, প্যানেলের ওপর দুই ইঞ্চি ধুলার আস্তরণ পড়েছে আবার ব্র্যাক ইউনির্ভাসিটির মতো সফল প্রকল্পও রয়েছে।

চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি)-এর চেয়ারম্যান মো. শামীম জাহাঙ্গীর, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার-এর এডিটর মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, টোটাল এনার্জির হেড অব বিজনেস ইমরানুল হক চৌধুরী, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এসই জহিরুল করিম প্রমুখ।

;

যৌথ উদ্যোগে লাইফ অ্যান্ড হেলথ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যৌথ উদ্যোগে লাইফ অ্যান্ড হেলথ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা

যৌথ উদ্যোগে লাইফ অ্যান্ড হেলথ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা

  • Font increase
  • Font Decrease

লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেড শনিবার (২৫ মে) থাইল্যান্ডের স্বনামধন্য হসপিটাল পায়াথাই-২ এর সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশি রোগীদের সরাসরি স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ

প্রদান করেন। ডাঃ উইসিত কাসেতসার্মউইরিয়া (ব্যারিয়াট্রিক এবং জেনারেল সার্জন, মিনিমাল ইনভেসিভ সার্জারি বিশেষজ্ঞ) এবং ডাঃ তানোমসিরি স্তিথিত (গাইনোকোলজি এবং গাইনোকোলজিক-অনকোলজি বিশেষজ্ঞ) পায়াথাই-২ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল, থাইল্যান্ড এই পরামর্শ দেন।

পায়াথাই-২ থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হসপিটালগুলির মধ্যে একটি। এখানে সমস্ত বিভাগ একত্রে, এক ছাদের নিচে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। হসপিটালটি ২২শে জুলাই ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসা কর্মী, নার্স এবং দক্ষ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে বিশেষায়িত পরিষেবাগুলির একটি বিস্তৃত সেবা রোগীরা সর্বদা অনুভব করতে পারে। এটি থাইল্যান্ডের বিডিএমএস গ্রুপের একটি জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) স্বীকৃত সদস্য হসপিটাল।

বাংলাদেশে ‘লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেড’ এর ধানমন্ডিস্থ সুবাস্তু ইত্তেহাদ স্কয়ার, বাসাঃ ১১, রোডঃ ৫, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৫, ছাড়াও বনানী এবং চট্টগ্রাম অফিস থেকে সমস্ত ক্লিনিক্যাল অনুসন্ধানের পাশাপাশি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং, পাসপোর্ট জমা, ভিসা প্রদান, ভ্রমণের বুকিং, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং আরও অনেক ধরণের সহায়তা করে থাকে। এই অফিসের চিকিৎসা সহায়তায় কোন সার্ভিস চার্জ নেই। তাই আপনার যে কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা প্রয়োজনে সরাসরি ০১৯৫১১১১৮০৫ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন। পায়াথাই-২ হসপিটালের কিছু নামকরা বিভাগের মধ্যে রয়েছে ‘নিউরোলজিক্যাল সেন্টার’ - যা অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ নিউরোলজিস্ট/নিউরোসার্জন, দক্ষ নার্স এবং উন্নত সরঞ্জাম যেমন নিউরো-নেভিগেটর, আধুনিক মাইক্রোস্কোপ এবং মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারীর সমন্বয়ে একটি নিবেদিত দলকে একত্র করেছে।

পায়াথাই-২ এর হার্ট সেন্টার এশিয়ার অগ্রগণ্য কার্ডিয়াক চিকিৎসা কেন্দ্র। কেন্দ্রটি অত্যাধুনিক সুবিধার সাথে সজ্জিত করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং সহ হৃদরোগের জন্য বিস্তৃত ডায়গনিস্টিক পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা প্রধান করে। অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্র স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে হাড়, পেশী, টেন্ডন, স্নায়ু এবং জয়েন্টগুলির অসুস্থতার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। অর্থোপেডিক্সের একটি সাব-স্পেশালিটিতে সম্পূর্ণ হাঁটু এবং হিপ প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করা হয়। সার্জারি সেন্টারে বোর্ড-প্রত্যয়িত সার্জনরা সাধারণ, ভাস্কুলার এবং মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারী করেন।

ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি স্থুলকায় ব্যক্তিদের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং স্থূলতার কারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমায়। ARC (অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ সেন্টার) বন্ধ্যাত্ব এবং গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত সমস্যার সম্পূর্ণ মূল্যায়ন ও চিকিৎসা প্রদান করে। এই ক্লিনিকের পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছেI IVF, ICS, ব্লাস্টোসিস্ট কালচার, ইত্যাদি। এই হসপিটালের প্রতিটি ক্লিনিক আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি যেমন হাইব্রিড অপারেটিং রুম, ম্যাগনেটিক থ্রি ডি , সিটি-২৫৬ স্লাইস, আল্ট্রাসাউন্ড ফোর-ডি, ডিজিটাল এক্স-রে, ডিজিটাল ম্যামোগ্রাম ব্যবহার করে বিখ্যাত এবং বোর্ড-প্রত্যয়িত ডাক্তার দ্বারা রোগ নির্ণয় থেকে দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা পর্যন্ত রোগীদের।

;