গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য মজুত বেড়েছে ২ টিসিএফ!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) বেড়েছে। ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় উত্তোলন শেষে এখন ৯ টিসিএফের বেশি গ্যাস মজুত থাকছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা সূত্র।

দিনের (৪ থেকে ৫ মার্চ) হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিদিন ২.১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। একই হারে উত্তোলন চলতে থাকলে বছরে উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দশমিক ৭৬ টিসিএফ। সে হিসাবে নতুন কোনো গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার না হলে আগামী ১২ বছর পর গ্যাসের মজুত শেষ হয়ে যাবে। তবে মজুতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠেছে পেট্রোবাংলা।

সংস্থাটির ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন (৩১ ডিসেম্বর ২০২২) দেখাচ্ছিল, সে বছর শেষে অবশিষ্ট গ্যাসের মজুত ছিল ৮ দশমিক ৬৮ টিসিএফ। পরে ২০২৩ সালে দেশীয় ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে প্রায় ১ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়। ফলে মজুত সাড়ে ৮ টিসিএফ থেকে কমে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৭ টিসিএফ।

সুখের কথা হচ্ছে, এরই মধ্যে সম্প্রতি একটি নতুন গ্যাস ফিল্ড (ইলিশা-১) ও কয়েকটি ফিল্ডে নতুন স্তর আবিস্কৃত হয়। এতে মজুতে আরও প্রায় ২ টিসিএফ জমা পড়ে বলে পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়।

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, "গ্যাসফিল্ডগুলোর অবশিষ্ট মজুত পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে মজুত বেড়ে ৯ টিসিএফ ছাড়িয়ে গেছে। মজুত রিভিউ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইটসহ সব জায়গায় তথ্য হালনাগাদ করা হবে।

বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের ব্যবস্থাপনায় থাকা দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসফিল্ড বিবিয়ানার রিজার্ভ বেড়েছে বলে তথ্য মিলছে। সেখানে কতটুকু বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, "এই মুহুর্তে সঠিক ফিগার (অঙ্ক) মনে পড়ছে না। তবে তাদের মজুদ আগের চেয়ে বেড়েছে।"

তবে পেট্রোবাংলার গ্যাস মজুত বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে জানান, বিবিয়ানার মজুত প্রায় ১ টিসিএফ এর মতো হয়েছে। ২০২২ সালের রিপোর্টে তাদের উত্তোলন পরবর্তী মজুত ছিল ৩৩৩ দশমিক ৪৪ বিসিএফ। তারপর এক বছর ধরে দৈনিক কমবেশি ১০৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। সে হিসাবে ২০২৩ সালে এই ক্ষেত্র থেকে ৩৭৭ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়। হিসাব মতে, এতদিনে ফিল্ডটির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনও উত্তোলন অব্যহত রয়েছে এবং প্রতিদিন আগের মতো হারেই গ্যাস উত্তোলন করা যাচ্ছে।

গ্যাস মজুতের হিসাব কষতে একাধিক সূত্র ব্যবহৃত হয়। একটি হচ্ছে থ্রিপি অর্থাৎ প্রুভেন বা প্রমাণিত, প্রব্যাবল বা সম্ভাব্য এবং পোটেনশিয়াল বা সম্ভাবনাময়। এর মধ্যে প্রমাণিত এবং সম্ভাব্য মিলে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত নির্ণয় করা হয়। সম্ভাবনাময়কে সাধারণত এই হিসাবের আওতায় আনা হয় না।

১৯৯৮ সালে আবিষ্কৃত গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গ্যাস ফিল্ড হিসেবে বিবেচিত। ৩পি যোগ করলে মজুত দাঁড়ায় ৭ হাজার ৮৪ বিসিএফ। এর মধ্যে সম্ভাবনাময় মজুত বিবেচনা করা হয় ১৩২৯ বিসিএফ। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাস ফিল্ডটি থেকে ৫ হাজার ৪২২ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।

২০০৮ সালের ওই হিসাব মতে, নতুন কূপ খনন ও অন্যান্য সমীক্ষার মাধ্যমে নতুন মজুদ প্রাক্কলন করা হয়েছে। শেভরন বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই মজুত বেশি রয়েছে বলে দাবি করে আসছিল। তাতে সায় ছিল না পেট্রোবাংলার। এবার পেট্রোবাংলা কর্তৃক অনুমোদন, এরপর জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ ঘুরে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী) দপ্তরে পৌঁছে গেছে। ফাইল ফিরে আসলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ১১৩ বছরে (প্রথম কূপ খনন ১৯১০সাল) মাত্র ৯৮টি অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কা হয়েছে। মোবারকপুর ও কশবার মতো কয়েকটি ফিল্ড যেগুলোতে গ্যাসের আধার পেলেও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয় বলে তা ঘোষণা করা হয়নি। অন্যদিকে, ভারতের ত্রিপুরায় ছোট্ট জায়গায় ১৫০টির বেশি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশ তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এখনও পিছিয়ে রয়েছে বিবেচনা করা হয়। বরং গ্যাস সংকট দূর করতে এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সে কারণে টালমাটাল হয়ে উঠেছে দেশের জ্বালানির বাজার। দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

দেশে গ্যাস সংকটের জন্য অনুসন্ধান স্থবিরতাকেই দায়ী করে আসছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘদিন ধরে পেট্রোবাংলার ঢিলেমির কারণে অনেকেই সমালোচনায় মুখর ছিলেন। তবে সেইদিন এখন বদলে যেতে শুরু করেছে। আড়মোড়া ভেঙে বুলেট গতিতে ছুটতে শুরু করেছে পেট্রোবাংলা। একদিকে যেমন গতিময় হয়েছে, অন্যদিকে নতুন মাত্রাও যুক্ত হয়েছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে।

এতদিন তেল-গ্যাস অনুসন্ধান একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আটকে ছিল বাংলাদেশ। আরও ছোট করে বলতে গেলে সুরমা বেসিন তথা, সিলেট থেকে শুরু করে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী এবং ভোলার মধ্যে আটকে ছিল বাংলাদেশ। অন্যান্য এলাকায় কিছু অনুসন্ধান কার্যক্রম হলেও তার পরিমাণ নগণ্য বলাই যায়। সেখানেও আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা।

চলমান ৪৬ কূপ প্রকল্পের সঙ্গে আরও দু’টি যুক্ত করা হয়েছে। দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলছে ৪৮ কূপ খনন প্রকল্প, ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে। ইতোমধ্যেই ওই কর্মসূচির সুফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১০টি কূপের মাধ্যমে দৈনিক ১৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা বেড়েছে বাংলাদেশে। দৈনিক ১০ কোটি ঘনফুট উৎপাদন বৃদ্ধির আশা করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েছে ৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস বেশি পাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে।

৪৮ কূপ খনন প্রকল্পের পাশাপাশি ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পেট্রোবাংলা। এ জন্য তিন শতাধিক সম্ভাবনাময় এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ১০০টি কূপ চূড়ান্ত করা হবে। এ জন্য একটি কোর কমিটি কাজ করছে।

বাংলাদেশে আবিষ্কৃত ২৯টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে ২০টি থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। পাইপলাইন না থাকাসহ নানা কারণে ৪টি গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাচ্ছে না। আর সাঙ্গু, ছাতক, কামতা, ফেনী ও রূপগঞ্জ সাময়িকভাবে উত্তোলন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ১৯.৯৪ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে দেশীয় গ্যাস ফিল্ড থেকে।

   

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ২৪ দিনে এলো ১৭৯ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৯ কোটি ডলার

২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৯ কোটি ডলার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। গত এপ্রিলের প্রথম ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৫ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন দেশে রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। গত এপ্রিলের প্রথম ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৫ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।

এদিকে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ডলার।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

;

রিমালের কারণে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ গভীর সমুদ্রে প্রেরণ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে জ্বালানি তেলবাহী দুটি জাহাজ গভীর সমুদ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়ের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করায় রোববার (২৬ মে) বিকেল ৪টায় এফএসআরইউ (ফ্লোটিং গ্যাস রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) দুটি থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাতের মধ্যেই ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অভ্যন্তরীণ নৌরুটে তেল পরিবহণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' হতে উদ্ভুত দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে (ভূমিধস ও ভূমিকম্প বিষয়ে) ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলা ও উপজেলা বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাসমূহের বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের নিম্নলিখিত নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে (০১৭১২-৮১১২৫২, ০১৭১৫-৮২১৮০২, ০১৯১২-৬৭৫১৮০, ০১৭১৭-২৯৩৪১১, ০১৭২৬-৭০৬৭৫৫, ০১৫৫২৪৪৭০৯৩)।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে কোন পদ খালি থাকলে দ্রুত একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান, বিদ্যুৎ সংযোগ যথাসময়ে বিচ্ছিন্ন করা, খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বাপবিবো ও ওজোপাডিকো'র কর্মকর্তা/কর্মচারীর ছুটি প্রয়োজনে বাতিল, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো ঘূর্ণিঝড় রিমালের অভিঘাত থেকে রক্ষা করা, বাপবিবো ও ওজোপাডিকো'র খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমাল বিষয়ক কাজে সাপোর্ট দেয়ার জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড় বা অন্য কারণে বিচ্ছিন্ন লাইন যাতে কেউ স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার দেখলে অতি দ্রুত নিকটবর্তী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম (০১৭৯২-৬২৩৪৬৭, ০২-৮৯০০৫৭৫), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বরিশাল অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৮, খুলনা অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১১, পটুয়াখালী অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৯ নম্বর সার্বক্ষণিক খোলা থাকছে বলে জানানো হয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা সেন্ট্রাল, নর্থ, সাউথ ও ইস্ট জোনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা সেন্ট্রাল জোনপ্রধান মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মানজুরে ইলাহী।

মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শরী‘আহ সেক্রেটারিয়েট-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা সাউথ জোনপ্রধান শিকদার মো. শিহাবুদ্দিন। জোনসমূহের অধীন বিভিন্ন শাখার নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

;

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই'র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগ করতে সরকারি, বেসরকারি কোম্পানি ও শিল্পমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই'র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

রোববার (২৬ মে) সকালে পুঁজিবাজার ও বন্ড বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে শিল্পায়নে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। শিল্প মালিকদের জন্যও এটি তুলনামূলক সহজ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অল্পসংখ্যক বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। এসময় দেশ-বিদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এক্সিট সুবিধা থাকা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পুঁজিবাজার উন্নত হলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বাড়ে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় এই বিষয়ে এফবিসিসিআইতে মতবিনিময় সভা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আসিফ ইব্রাহীম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, স্মার্ট বাংলাদেশসহ রূপকল্প-২০৪১ এর লক্ষ্যগুলো অর্জনে পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে দেশের মোট বাজারের তুলনায় পুঁজিবাজার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মুনতাকিম আশরাফ বলেন, পুঁজিবাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের তুলনায় বড় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা অনেক কম। এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ এক্সিট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক পরিচালক আক্কাস মাহমুদসহ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের আকার বড় হওয়া দরকার। এজন্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা ও জণসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্টক এক্সেঞ্জগুলোকে সহজ নিয়ম নীতি প্রদান করা দরকার। এছাড়া সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

;