বিপণন বিবেচনায় ‘দেশসেরা’ চা বাগানসমূহ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সৌন্দর্য। ছবি: বার্তা২৪

দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সৌন্দর্য। ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গরম চায়ের কাপে ধোঁয়া উঠে। আবার মিলিয়ে যায়। এভাবে ধোঁয়া মিলিয়ে যেতে যেতে পড়ে থাকে চা আর কাপ। বাড়ির এক টুকরো নির্জন কোণে চা এর সাথে একাকী সময় ব্যয় বরাবরই দারুণ এক অনুভূতি। 

চাপ্রেমী বাঙালি তার সতেজতা ফিরে পায় এমন চায়ের প্রতিটি চুমুকে। তরতাজা শরীর-মন অভিযাত্রী হয় আপন সৃজনশীল কোনো কাজে। আর সেটা মস্তিস্ক নির্ভরই হোক কিংবা কায়িকশ্রম নির্ভর। চায়ের চুমুক প্রতিবারই জানান দেয় সে অতুলনীয়।

পাহাড়ি এবং টিলাময় ভূমিতে চা বাগান তৈরির উদ্দেশ্যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধিতে চা চারা রোপণ করলেই কয়েক বছরের মধ্যে চা উৎপাদন সম্ভব। বিভিন্ন জাতের চায়ের সংমিশ্রণ, ক্লোনিংয়ের সমন্বয়ে ব্লেন্ডিং করা না গেলে চায়ের গুণগত মান বাড়ানো যায় না। দেশে সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় এমন বাগানের সংখ্যা কম নয়। তবে ভালো মানের চা উৎপাদনের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় বাগানের তালিকায় রয়েছে মুষ্টিমেয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। 

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) সূত্র জানায়, মূলত বছর বছর নতুন জাতের চা গাছ সৃজন, পর্যাপ্ত অপ্রাকৃতিক সেচ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত শেডট্রি বা ছায়াবৃক্ষ রোপণ, সময়মতো কুঁড়ি উত্তোলন ও দক্ষ শ্রমিকের সমন্বয়ে একটি বাগান ভালোমানের চা উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করে। একটি রুগ্ন চা বাগানে দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন ও মান বাড়ানো যায়। শুধু প্রাকৃতিক সেচ ও পরিবেশের ওপর নির্ভর না করে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেও চায়ের মান বাড়ানো সম্ভব।

চা পাতার সাথে চা-কন্যার সম্পর্ক খুবই নিবিড়। ছবি: বার্তা২৪

তবে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বাগানই বাংলাদেশ চা বোর্ডের হিসাবে রুগ্ন রয়ে গেছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বেশ কয়েকটি চা উৎপাদনকারী শিল্প গ্রুপ চা খাতে তাদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

দেশে সবচেয়ে ভালো মানের চা উৎপাদনের শীর্ষস্থানটি বরাবরের মতো ধরে রেখেছে খৈয়াছড়া ডালু চা বাগান। ব্র্যাকের পরিচালিত এ বাগানটি বেশ কিছুদিন ধরে ভালো মানের চা উৎপাদনের ‘প্রথম স্থান’ ধরে রেখেছে। শীর্ষ ২০টি বাগানের মধ্যে ব্র্যাকের অন্য বাগানগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী ষষ্ঠ ও কোদালা রয়েছে ১৪তম অবস্থানে। দেশের প্রথম সারির চা উৎপাদক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি গ্রুপের চারটি বাগানই শীর্ষ ২০ বাগানের মধ্যে অবস্থান করছে। এরমধ্যে ইস্পাহানির জেরিন, নেপচুন, মির্জাপুর ও গাজীপুর চা বাগান যথাক্রমে অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশতম অবস্থানে রয়েছে।

বিটিআরআই সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের হিসেব মতে খৈয়াছড়া বাগান সর্বোচ্চ ২৫৩ দশমিক ৪০ টাকা কেজি দরে ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯০ কেজি চা বিক্রি করেছে নিলামে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মধুপুর চা বাগান ২৪৬ দশমিক শূন্য ৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩০ কেজি চা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা দারাগাঁও চা বাগান ২৩৮ দশমিক ৯২ টাকা কেজি দরে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৪২৯ কেজি চা বিক্রি করেছে। এছাড়া চতুর্থ আমরাইল ২৩১ দশমিক ৬৮ টাকা কেজি দরে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ কেজি, পঞ্চম এইচআরসি গ্রুপের ক্লিভডন বাগান ২৩০ দশমিক ৯৩ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৭ কেজি। 

উত্তোলিত পাতা ওজনের জন্য চা-কন্যাদের সারি। ছবি: বার্তা২৪

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা কর্ণফুলি চা বাগান ২২৪ টাকা কেজি দরে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯০ কেজি, সপ্তম অবস্থানে থাকা বালিচেরা বাগান ২১৯ দশমিক ৯৪ টাকা কেজি দরে ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৩৭ কেজি, অষ্টম অবস্থানে থাকা ইস্পাহানির জেরিন চা বাগান ২১০ দশমিক ৭৬ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ১০৫ কেজি, নবম অবস্থানে থাকা একই প্রতিষ্ঠানের নেপচুন চা বাগান ২১০ দশমিক ৬০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৩ কেজি এবং দশম অবস্থানে থাকা ইস্পাহানির মির্জাপুর চা বাগান ২১০ দশমিক ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ২৭২ কেজি চা নিলামে বিক্রি করেছে।

শীর্ষ ২০টি বাগানের মধ্যে একাদশতম অবস্থানে রয়েছে ইস্পাহানির গাজীপুর চা বাগান (প্রতি কেজি গড়ে ২১০.০২ টাকা), দ্বাদশতম ডিনস্টোন (২০৯.৭০ টাকা), ত্রয়োদশতম রাঙ্গাপানি (২০৯.৬৪), চতুর্দশতম ব্র্যাকের কোদালা চা বাগান (২০৯.৯১), পঞ্চদশতম বারমাসিয়া (২০৬.৬২), ষষ্ঠদশতম রশিদপুর (২০৬.৩৪), সপ্তদশতম রাজঘাট (২০৬.৩৪), অষ্টাদশতম লস্করপুর (২০৫.২৯), ঊনবিংশতম বারাউড়া (২০৪.২২) ও বিংশতম অবস্থানে থাকা ডিউন্ডি চা বাগান ২০৩ দশমিক ৪৭ টাকা কেজি দরে চা বিক্রি করেছে বলে বিটিআরআই সূত্র জানায়।

   

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ মে) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান খেলার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক কর কাঠামো অপসারণ করা উচিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় চালু করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ প্রয়োজন। তিনি স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সভায় আসা সুপারিশ, অভিযোগ এবং দাবিগুলি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মনোনীত আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শোহেলার রহমান চৌধুরী বলেন, তারা দেশে শতভাগ ক্রয় ব্যবস্থাকে ই-জিপি পদ্ধতিতে আনতে চান।

তিনি বলেন, বিপিপিএ ক্রয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে ক্রমাগত সংশোধন করছে। প্রতিকার সহজতর করার জন্য বিদ্যমান তিন-পদক্ষেপের অভিযোগের সমাধানকে এক ধাপে নামিয়ে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম ‘গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্র্যাকটিস: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। "সিওআই সরকারী কর্মকর্তা এবং চুক্তি বা পরামর্শ শিল্পের মধ্যে সম্ভাব্য অনানুষ্ঠানিক বা অপ্রকাশিত সম্পর্কের থেকে উদ্ভূত হয়। সরকারী কর্মকর্তা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সংস্থায় একই ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন এমন উদাহরণ রয়েছে। তিনি বিপিপিএকে কোনো আইন বা নিয়ম প্রণয়নের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।

আইবিএফবির উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ আবদুল মজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদ ও সময়ের অপচয় কমাতে আর্থিক বছরে সংস্কার আনার সুপারিশ করেন। তিনি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কর কাঠামোর পরিবর্তে দেশি-বিদেশি কোম্পানির ওপর সমান কর আরোপের ওপর জোর দেন।

আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী সরকারকে পাবলিক আমদানিসহ সব পর্যায়ে অভিন্ন কর আরোপের আহ্বান জানান। তিনি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী কাজের পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) উপদেষ্টা প্রকৌশলী এসএম খোরশেদ আলম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ধারা বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিডের পরিমাণের পরিবর্তে ক্রয়ের সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।

এছাড়াও সেমিনারে ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্রান্সফরমার অ্যান্ড সুইচগিয়ারের (ম্যাটিএস) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল আলম প্রকল্পের পুরস্কার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় কোম্পানিগুলোর অসঙ্গতি দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।

;

সোনালীর সঙ্গে একীভূত হওয়ার চুক্তি করল বিডিবিএল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) সমঝোতা চুক্তি করেছে।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই চুক্তি সই হয়। এ সময় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির ফলে এখন ব্যাংক দুটির সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই নানা প্রক্রিয়া শেষে একীভূত হবে ব্যাংক দুটি।

বিডিবিএল সূত্র জানায়, মার্জারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায়। দুটো সরকারি ব্যাংক একমত হওয়ায় মার্জ (একীভূত) হবে। ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার পরে আজ চুক্তি হলো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্জার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের ফলে বিডিবিএলের কর্মীদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। ব্যাংকটি আরও সবল হবে; অডিট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামিমা নার্গিস বলেন, বিডিবিএলের চার সূচকের মধ্যে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা আছে, সময় পাওয়া গেলে এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যেত; তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে একীভূত হতে হচ্ছে।

;

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ১০ দিনে এলো ৮১ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মে মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ৭৩ কোটি ১০ লাখ, ৬৭ কোটি ৯০ লাখ, ৭১ কোটি ৮০ লাখ ও ৭৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। 

এদিকে মে মাসের প্রথম ১০ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ৪ থেকে ১০ মে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মে মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ দেশে এসেছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

;

রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আরবিসিসিআই) নিজেদের প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।

শনিবার (১১ মে) রাশিয়ার মস্কোর আজিমত অলিম্পিক হোটেলে বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।

আরবিসিসিআই এর সভাপতি পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরবিসিসিআই এর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এবং রাশিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাত্তার মিয়া, সাবেক সভাপতি ও রাশিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, আরবিসিসিআইয়ের সদস্যবৃন্দ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

আরবিসিসিআই সভাপতি পারভেজ তমাল বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রসারে রাশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (আরবিসিসিআই) মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, আইটি খাত, হার্ডওয়ার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর প্রসারে আরবিসিসিআই কাজ করছে।

তিনি বলেন, অধিক পরিমানে কৃষিপণ্য রাশিয়ায় রফতানির সুযোগ রয়েছে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় আরবিসিসিআই রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ছিল রাশিয়া। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে সহায়তা করেছে। এসময়, রাশিয়ার ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহবান জানান।

;