‘চা’ এর ইতিহাসনির্ভর যে গ্রন্থ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে চা শিল্প’ গ্রন্থটির প্রচ্ছদ। ছবি: বার্তা

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে চা শিল্প’ গ্রন্থটির প্রচ্ছদ। ছবি: বার্তা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের চায়ের ইতিহাস দেড়শত বছরের বেশি। এই চা-শিল্পের সাথে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন শতসহস্র অধিকার বঞ্চিত মানুষ। নীতিমালায় সেই সব অভাগা চা শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের কথা সুস্পষ্টভাবে বলা থাকলেও তারা আজো জীবনযুদ্ধে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠী।

এসব পিছিয়ে পড়া চা জনগোষ্ঠীর নানা অবদানের কথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সাথে চমৎকারভাবে জুড়ে দিয়েছেন রাজু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর চা বাগানে জন্মগ্রহণ করেন এই চা শ্রমিক সন্তান। চা শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্ট বঞ্চনা-হতাশা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ হয়েছে তার।

সেইসব জমাটবদ্ধ কথামালাই প্রকাশ ঘটেছে রাজু দেশোয়ারা’র রচিত তথ্যবহুল ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা শিল্প’ গ্রন্থটিতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ গ্রন্থমালায় স্থান পেয়েছে এ বইটি।

২০২০ সালের আগস্টের প্রথমদিকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু দেশোয়ারার লেখা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা শিল্প’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু। সে সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার জীবন প্রমুখ।

এই বইয়ের মাধ্যমে জাতির পিতার কর্মময় জীবনের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে উল্লেখ করে লেখকের ভূয়সী প্রশংসা করেন উপস্থিত অতিথিরা।

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে চা শিল্প’ গ্রন্থগুচ্ছ। ছবি: বার্তা

বইটির মূল প্রবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী নীলুফার আহমেদ বলেছেন, ‘উনিশ শতকের শুরুতে বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশ ঘটে। এ শতকের শেষভাবে একক জেলা হিসেবে সিলেট সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে চা উৎপাদনে শীর্ষ এবং বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরে চা ছিল দেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। শ্রমঘন এ শিল্পে বর্তমানে প্রায় দেড় লক্ষ শ্রমিক (চা শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্যমতে) কাজ করছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৭ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা শিল্প’ বইটি ১৫৯ পৃষ্ঠার। মূল্য ৪শ’ টাকা। এটি প্রকাশিত হয়েছে শূন্য প্রকাশনী থেকে চলতি বছরের জুলাই মাসে। ২১টি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সাবলীলভাষায় ধাপে ধাপে যুক্ত করা হয়েছে। চায়ের বিশ্ব ইতিহাস, বাংলাদেশে সূচনা, চা শিল্পকে সুদূরপ্রসারী করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, চা শ্রমিকদের নানান সমস্যা-বঞ্চনার প্রাসঙ্গিক আলোচনা, চা শ্রমিকদের সংস্কৃতি ও জীবনবৈচিত্র্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণদানকারী চা শ্রমিকদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা প্রভৃতি বিষয়গুলো বইকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

বইটির লেখক রাজু দেশোয়ারা বাংলানিউজকে বলেন, উপমহাদেশের চা শিল্পের ইতিহাস, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে চা শ্রমিকদের আত্মত্যাগের অবদান, চা-শ্রমিকদের জীবনমান আলোচনা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চা-শিল্প নিয়ে যত অবদান সবকিছুই এখানে প্রকাশের চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি- এই বইটি তরুণ প্রজন্মের চা-শিল্প ও তার শিল্পীদের (শ্রমিক) নিয়ে জানার আগ্রহ মেটাতে সক্ষম হবে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‌‌‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে চা শিল্প’ বইয়ের রয়্যালটি বাবদ প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ চা শ্রমিক সন্তানদের লেখাপড়া খাতে ব্যয় হবে বলে জানান বইটির লেখক রাজু দেশোয়ারা।

বইটি পেতে রকমারি.কম অথবা প্রকাশক (০১৭১৯-৮৪৩১০৬, ০১৮২৪-৬০০৫৫৯) এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

   

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ মে) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান খেলার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক কর কাঠামো অপসারণ করা উচিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় চালু করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ প্রয়োজন। তিনি স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সভায় আসা সুপারিশ, অভিযোগ এবং দাবিগুলি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মনোনীত আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শোহেলার রহমান চৌধুরী বলেন, তারা দেশে শতভাগ ক্রয় ব্যবস্থাকে ই-জিপি পদ্ধতিতে আনতে চান।

তিনি বলেন, বিপিপিএ ক্রয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে ক্রমাগত সংশোধন করছে। প্রতিকার সহজতর করার জন্য বিদ্যমান তিন-পদক্ষেপের অভিযোগের সমাধানকে এক ধাপে নামিয়ে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম ‘গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্র্যাকটিস: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। "সিওআই সরকারী কর্মকর্তা এবং চুক্তি বা পরামর্শ শিল্পের মধ্যে সম্ভাব্য অনানুষ্ঠানিক বা অপ্রকাশিত সম্পর্কের থেকে উদ্ভূত হয়। সরকারী কর্মকর্তা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সংস্থায় একই ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন এমন উদাহরণ রয়েছে। তিনি বিপিপিএকে কোনো আইন বা নিয়ম প্রণয়নের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।

আইবিএফবির উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ আবদুল মজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদ ও সময়ের অপচয় কমাতে আর্থিক বছরে সংস্কার আনার সুপারিশ করেন। তিনি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কর কাঠামোর পরিবর্তে দেশি-বিদেশি কোম্পানির ওপর সমান কর আরোপের ওপর জোর দেন।

আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী সরকারকে পাবলিক আমদানিসহ সব পর্যায়ে অভিন্ন কর আরোপের আহ্বান জানান। তিনি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী কাজের পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) উপদেষ্টা প্রকৌশলী এসএম খোরশেদ আলম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ধারা বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিডের পরিমাণের পরিবর্তে ক্রয়ের সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।

এছাড়াও সেমিনারে ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্রান্সফরমার অ্যান্ড সুইচগিয়ারের (ম্যাটিএস) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল আলম প্রকল্পের পুরস্কার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় কোম্পানিগুলোর অসঙ্গতি দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।

;

সোনালীর সঙ্গে একীভূত হওয়ার চুক্তি করল বিডিবিএল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) সমঝোতা চুক্তি করেছে।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই চুক্তি সই হয়। এ সময় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির ফলে এখন ব্যাংক দুটির সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই নানা প্রক্রিয়া শেষে একীভূত হবে ব্যাংক দুটি।

বিডিবিএল সূত্র জানায়, মার্জারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায়। দুটো সরকারি ব্যাংক একমত হওয়ায় মার্জ (একীভূত) হবে। ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার পরে আজ চুক্তি হলো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্জার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের ফলে বিডিবিএলের কর্মীদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। ব্যাংকটি আরও সবল হবে; অডিট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামিমা নার্গিস বলেন, বিডিবিএলের চার সূচকের মধ্যে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা আছে, সময় পাওয়া গেলে এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যেত; তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে একীভূত হতে হচ্ছে।

;

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ১০ দিনে এলো ৮১ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মে মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ৭৩ কোটি ১০ লাখ, ৬৭ কোটি ৯০ লাখ, ৭১ কোটি ৮০ লাখ ও ৭৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। 

এদিকে মে মাসের প্রথম ১০ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ৪ থেকে ১০ মে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মে মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ দেশে এসেছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

;

রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আরবিসিসিআই) নিজেদের প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।

শনিবার (১১ মে) রাশিয়ার মস্কোর আজিমত অলিম্পিক হোটেলে বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।

আরবিসিসিআই এর সভাপতি পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরবিসিসিআই এর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এবং রাশিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাত্তার মিয়া, সাবেক সভাপতি ও রাশিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, আরবিসিসিআইয়ের সদস্যবৃন্দ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

আরবিসিসিআই সভাপতি পারভেজ তমাল বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রসারে রাশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (আরবিসিসিআই) মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, আইটি খাত, হার্ডওয়ার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর প্রসারে আরবিসিসিআই কাজ করছে।

তিনি বলেন, অধিক পরিমানে কৃষিপণ্য রাশিয়ায় রফতানির সুযোগ রয়েছে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় আরবিসিসিআই রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ছিল রাশিয়া। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে সহায়তা করেছে। এসময়, রাশিয়ার ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহবান জানান।

;