ওয়ালটন টিভি রফতানিতে দুর্দান্ত সাফল্য



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ালটন টিভির সিইও প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদা হোসেনের হাতে ‘এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এর ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তরা

ওয়ালটন টিভির সিইও প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদা হোসেনের হাতে ‘এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এর ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তরা

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতেও সুখবর নিয়ে এলো বাংলাদেশি জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের টেলিভিশন। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই আগের বছরের মোট রফতানির পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। নতুন বাজার সৃষ্টি তথা বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে রফতানি আয়ে এই সফলতা অর্জন করেছে ওয়ালটন টেলিভিশন। ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ মহাদেশের সবগুলো দেশে টিভি রফতানির টার্গেট নিয়েছে বাংলাদেশি এই শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড।

জানা গেছে, ২০২০ সালের টিভি রফতানির পরিমাণ এ বছরের প্রথম প্রান্তিকেই (জানুয়ারি থেকে মার্চ) ছাড়িয়েছে ওয়ালটন। যা আগের বছরের মোট টিভি রফতানির চেয়ে প্রায় ১৩৭ শতাংশ বেশি। এই অর্জন শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়, দেশের রফতানি আয় ও অর্থনীতির জন্যও এক বিশাল মাইলফলক।

কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপের জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, পোল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে শক্তিশালী বাজার তৈরিতে সাফল্য দেখিয়েছে ওয়ালটন। সম্প্রতি তারা রোমানিয়া এবং ইতালিতে বাজার সম্প্রসারণ করেছে। ইউরোপে নতুন বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখায় ওয়ালটন টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা নাহিদ হোসেনকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং হিরোস’ শীর্ষক এক প্রোগ্রামে ‘এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পান তিনি। তার হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার ও হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম প্রমুখ।

ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য সরবাহের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজার ধরতে সক্ষম হচ্ছে ওয়ালটন। ফলে করোনা মহামারিতেও স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধিতেও ওয়ালটন ব্যাপক অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, ওয়ালটনের টার্গেট বিশ্ব ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে শক্তিশালী অবস্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পতাকাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা।

প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চ মানের ওয়ালটন টেলিভিশনের প্রতি আস্থা তৈরি হওয়ায় বৈশ্বিক ক্রেতাদের কাছ থেকে মিলছে ব্যাপক সাড়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে করোনা মহামারির মধ্যেও ইউরোপে বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সফলতা আসছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, স্পেনসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশে ১০ গুণ বেশি রফতানি হয়েছে ওয়ালটন টেলিভিশন। এছাড়া, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই ছাড়িয়ে গেছে ২০২০ সালের টিভি রফতানি। অর্জিত হয়েছে ১৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

তিনি জানান, ওয়ালটন এখন বিশ্বের সেরা পাঁচটি টেলিভিশন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় পৌঁছানোর মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ২০২৩ সালের মধ্যে পাঁচটি মহাদেশের সবগুলো দেশে ওয়ালটনের তৈরি টেলিভিশন রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে টিভি তৈরি করছে ওয়ালটন। ইতিমধ্যে সর্বাধুনিক টেকনোলজির ডলবি এবং গুগল লিস্টেড ‘লাইসেন্সড টিভি ম্যানুফ্যাকাচারার’ এর স্বীকৃতি পেয়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই ডলবি’র অফিশিয়াল সাউন্ড কোয়ালিটির টিভি উৎপাদন করছে। এসব টিভির দাম যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি মানেও সেরা। তাই, স্থানীয় বাজারে মার্কেট শেয়ার বিবেচনায় শীর্ষে এখন ওয়ালটন টিভি।

স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটন টিভি। বর্তমানে ৩৫টিরও বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রফতানি করছে ওয়ালটন। পরিবেশকের মাধ্যমেও বিভিন্ন দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে টিভি রফতানি হচ্ছে। শীর্ষ টিভি রফতানিকারক হিসেবে ওয়ালটন দেশের রফতানি আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, কর্মস্থংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি খাতে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলায় অবদার রাখছে। সেই সঙ্গে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছে বিশেষ অবদান।

   

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে আরো সহজ, ঝামেলাহীন সেভিংস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং তাদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো দুটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ‘সাপ্তাহিক সেভিংস’। প্রথমবারের মতো দেশে সাপ্তাহিক এই ডিজিটাল সেভিংস সেবা চালু হলো বিকাশ অ্যাপে, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ২৫০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কিস্তিতে সেভিংস করতে পারছেন। সেভিংস করা যাচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ।

নতুন এই সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। স্বল্প আয় এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পেশাজীবীদের অল্প অল্প করে অর্থ জমানোর সুযোগ করে দিবে, যা তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা, কৃষি-ব্যবসায় বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা বা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসবে।

সাপ্তাহিক সেভিংস-এর পরিমাণ এবং মেয়াদ:

এই সেবার আওতায় বিকাশ গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, এবং ‌৫০০০ টাকা কিস্তিতে ৬ মাস অথবা ১২ মাস মেয়াদে আইডিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ সেভিংস খুলতে পারছেন। বিকাশ অ্যাপেই ব্যাংকগুলোর দেয়া তুলনামূলক মুনাফার হারের তথ্য বিবেচনা করে দিনে-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই সেভিংস খোলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাপে সেভিংস করার পদ্ধতি:

নতুন সেভিংস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করতে হবে। সেভিংস এর ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংসটি কেনো খুলতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। এরপর, সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বা ১২ মাস, জমার ধরন (সাপ্তাহিক) এবং প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, বা ৫০০০ নির্বাচন করতে হবে।

পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক বা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেভিংস-এর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর সেভিংস-এর বিস্তরিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই সেভিংস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ মেসেজ। বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সেভিংস খুলতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভিংস-এর টাকা কেটে নেয়া হবে। সেভিংস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর বিকাশ অ্যাপেই মুনাফাসহ মূল টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তা করতে পারবেন।

সাপ্তাহিক সেভিংস প্রসঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাসে বা সপ্তাহে টাকা জমানো বেশ কঠিন। এদিকে দৈনিক বা সপ্তাহ ভিত্তিতে আয় করা মানুষদের জন্য নিয়মিত বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত জীবনে সকল পেশার মানুষের জন্য আর্থিক লেনদেনে স্বস্তি এনে দিতেই বিকাশ তার অ্যাপে দুটি নতুন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা যুক্ত করেছে। সঞ্চয়ের অভ্যাস ব্যক্তি এবং সমাজের আর্থিক নিরাপত্তাকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক সঞ্চয় সেবা চালু হয়। এই সেবার জনপ্রিয়তার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ সেভিংস গ্রহণ করেছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যাদের এক-তৃতীয়ংশই নারী। বর্তমানে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এর পাশাপাশি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিটি ব্যাংকের মাসিক ‘সিটি ইসলামিক’ সেভিংস সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।

সেভিংস সেবা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে– https://www.bkash.com/products-services/savings।

;

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে যে কারণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আম দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে আগে বাজারে আসে এবং এই আমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সে কারণে সাতক্ষীরার আমের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভৌগলিক অবস্থানগত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ু অন্য সব জেলার আগে প্রবেশ করে। এতে করে এ এলাকার আম দ্রুত পাকে এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত ছাড়াও আবহাওয়াগত কারণেও আম দ্রুত পাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আগে প্রবেশ করার কারণে আমের মুকুলও তাড়াতাড়ি চলে আসে। এতে করে আম গরমে দ্রুত পাকতে শুরু করে।

তারা জানান, অন্য জেলাগুলোতে শীতের আমেজ সাতক্ষীরার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে নামে। সে কারণে ওই সব এলাকায় আমের মুকুলও দেরিতে আসে। এজন্য সাতক্ষীরার আম মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে চলে আসে।

গবেষকদের বক্তব্য, জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একেক আম একেক সময়ে পাকে। কিন্তু তারা দেখতে পেয়েছেন, আম কেবল জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাকে না; পাকে ভৌগোলিক অবস্থানগত ও আবহাওয়াগত কারণেও। যেমনটা ঘটে আম্রপালী আমের বেলায়। এ আম সাতক্ষীরায় এক সময়ে, চট্টগ্রামে আরেক সময়ে এবং সবার শেষে উত্তরাঞ্চলে পাকে।

একই জাতের আম পাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে দুই মাস পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে।

এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম ব্যাপক। কারণ, সাতক্ষীরার আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভালো।

ক্যালেন্ডারের আগেই পাকে সাতক্ষীরার আম

মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যাও রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা না করে, চাষীদের মতামত না নিয়ে, আমের দিকে খেয়াল না করে আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এতে করে আম আগে পেকে গেলেও সাতক্ষীরার চাষিরা তা পাড়তে পারেন না।

আমাদের দাবি, আমের ক্যালেন্ডার করার সময় সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা করে তারপর আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এতে করে সাতক্ষীরার আম সবার আগে বাজার দখল করবে এবং চাষীরাও লাভবান হবেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলের শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ। এসময় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাখাসমূহের সর্বস্তরের প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম সকলকে একসঙ্গে নবউদ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক এগিয়ে গেলে, ব্যাংকের উন্নয়ন হলেই আপনারা এগিয়ে যাবেন, তাই ব্যাংককে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি পেমেন্ট সংক্রান্ত্র এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ডিআইইউ-এর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি ও সেমিস্টার ফি-সহ যে কোন ধরনের ফি ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রদান করতে পারবেন।

সম্প্রতি ডিআইইউ কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ডিআইইউ-এর ট্রেজারার (চলতি দায়িত্ব) মমিনুল হক মজুমদার ও ব্যাংকের আশুলিয়া শাখাপ্রধান এ.বি.এম মোস্তফা আলী হায়দার সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান বশির আহমদ এবং ডিআইইউ-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাদির বিন আলী ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ও কমৃকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;