অনলাইনে ঈদ মার্কেটিং, ই-কমার্স সাইটে ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদকে সামনে রেখে রমজানের মধ্যে চলছে সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয়  সপ্তাহ। ফলে সাধারণ ছুটির আওতায় বন্ধ সব ধরনের শপিং মল। ওষুধ ও কাঁচাবাজারের মতো মার্কেটগুলো খোলা থাকলেও করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই নিজে গিয়ে পণ্য কিনতে চান না। কিন্তু রমজান মাস এবং ঈদকে সামনে রেখে জরুরি কিছু মার্কেটিং না করলেও চলে না। নাগরিক জীবনে এমন সঙ্কুল পরিস্থিতিতে আশা জাগিয়েছে ই-কমার্স।

অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে,  স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে অনেকেই এই লকডাউন পরিস্থিতিতে নিজেদের সব ধরণের কেনাকাটা করতে ই-কমার্স সাইটগুলোর প্রতি ভরসা ও আস্থা রাখতে চান। অনেকেই এবারের ঈদের কেনাকাটার জন্য সম্পূর্ণ রূপে অনলাইন শপ ও ই-কমার্স সাইটগুলোর ওপর নজরও রাখছেন।

তেমনি একজন ইভানা পারভীন, বার্তা২৪.কম'কে জানালেন নিজের অভিজ্ঞতা। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এলাকার এই গৃহবধু সব সময় প্রয়োজনীয় পণ্য অনলাইন থেকে কিনতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।  বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, অল্প সময়ে  ভিড় এড়িয়ে বাজার বা কেনাকাটার জন্য সব সময় অনলাইনের ওপর নির্ভর করতে পছন্দ করি। কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে এই ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা ভালোই। কাপড় থেকে শুরু করে সাংসারিক নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পন্যেই  অনলাইন থেকে অর্ডার করে সংগ্রহ করি। এই কোভিড সিচুয়েশনে সেটা আরোও বেড়েছে। এবার ভাবছি ঈদের কেনাকাটাও অনলাইনের মাধ্যমে করবো। হয়তো ঈদের আগে সব শপিং মল খুলে দিবে। তবুও বাচ্চা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ঈদের শপিংটাও অনলাইনে করবো বলে স্থির করেছি।

রাজধানী বাড্ডার কর্মজীবী নারী শাহরিনা হক আদর অনলাইনে কেনাকাটা করতে অভিজ্ঞ ও অভ্যস্ত। কোভিডের মধ্যে শপিংমলগুলো খুলে না দিলে এবারের ঈদ শপিং অনলাইনেই করবেন তিনি। এক্ষেত্রে ঈদের আগে ই-কমার্স সাইটগুলোতে আকর্ষণীয় ছাড়ে পণ্য কেনা যায় উল্লেখ করে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, সার্বক্ষণিক অনলাইনে আসা পণ্যের বিজ্ঞাপনগুলো আমি দেখি, পছন্দ হলে অর্ডার করি। এতে সময় কম খরচ হয়। নিজের চাহিদা মতো পণ্যও পাওয়া যায়। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজের ও পরিবারের জন্য ঈদ শপিং করবো অনলাইনেই। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন সাইটগুলো দারুন দারুন সব অফার দেয়, সেসব অফার কাজে লাগাতে চাই। এতে বাড়তি অর্থ খরচের ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে না।

চাকরিজীবী তরুণ ইফাদ রায়হান, থাকেন ধানমন্ডি পনেরো নাম্বার এলাকায়। নিজের পছন্দের সব ধরণের কাপড় অনলাইন থেকেই কিনতে পছন্দ করেন। এবারের ঈদের জন্য ইতিমধ্যেই অনলাইনে একটি ই-কমার্স সাইটে নিজের পছন্দের পোশাক অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। সময় মতো হাতেও পেয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই অনলাইনের মাধ্যমে কিনে থাকেন সাভার এলাকার গৃহবধু শরিফা খাতুন আক্তারী। তবে ঈদের শপিংয়ের জন্য অনলাইন কেনাকাটার বিষয়ে তার আগ্রহ খুব একটা বেশি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ই-কমার্স সাইটগুলো বেশ প্রসারিত হয়েছে এটা সত্য। তবে পূর্ণাঙ্গ ঈদ শপিংয়ের জন্য এগুলো এখনো শতভাগ প্রস্তুত না। ঈদের মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে যদি এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার কারণে সঠিক সময় সঠিক পণ্য ক্রেতা বুঝে না পায় তাহলে একটা অপ্রীতিকর ও খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যা মোটেও কাম্য নয়। সময় মতো পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অনেক উদাহারণ আছে আমাদের দেশীয়  ই-কমার্স সাইটগুলোর। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

নানা সীমাবদ্ধতা, সমালোচনা আর গ্রাহক চাহিদা আলোকে কতটুকু প্রস্তুত বাংলাদেশের ই-কমার্স খাত? এসব জানতে বার্তা২৪.কম কথা বলেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ( ই-ক্যাব)-এর সভাপতি শমী কায়সারের সাথে। তিনি বলেন, গত বছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারে আমাদের ই-কমার্স সেক্টর অনেকটাই পরিপক্ক। শুরুর দিকে নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠে এবার ই-কমার্স সাইটগুলো গ্রাহকদের  সুবিধা মাথায় রেখে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। অনেক ই-কমার্স সাইট এই লকডাউনে খুবই অল্প সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঢাকার যে কোন প্রান্তে পৌছে দিচ্ছে। তাছাড়া চলতি মাসের ২৬ তারিখ থেকে টিসিবি'র থেকে নিয়ে ন্যায্য মূল্যে চাল, ডাল বা তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌছে দেবে গ্রাহকদের কাছে। এদিকে ওষুধ, ফ্যাশন ওয়্যার বা ইলেকট্রনিক্স পণ্যও চাহিদা মতো গ্রাহকদের কাছে সীমিত সময়ের মধ্যে পৌছে দেওয়ার মতো দ্রুত ডেলিভারি ব্যবস্থাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

ই-কমার্স সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্রেতারা ক্রমশ অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। করোনাকালীন সময়ে যারা ঘরে বসে কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা সবদিক বিবেচনা করেই ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাকাটা করেন। পরিস্থিতি কারণে মার্কেটিং কালচারে অনেক বদল এসেছে এবং মানুষ অন-লাইনে কেনাকাটা ঝুঁকছেন।

উল্লেখ্য, এক হিসেব অনুযায়ী এখন দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রায় দেড় হাজার ই-কমার্স ফার্ম রয়েছে। এছাড়াও ফেসবুকভিত্তিক প্রায় এক লাখ এফ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন বিপুল অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে কমপক্ষে গড়ে এক লক্ষাধিক পণ্যের অর্ডার ও ডেলিভারি করা হয়।

   

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে আরো সহজ, ঝামেলাহীন সেভিংস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং তাদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো দুটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ‘সাপ্তাহিক সেভিংস’। প্রথমবারের মতো দেশে সাপ্তাহিক এই ডিজিটাল সেভিংস সেবা চালু হলো বিকাশ অ্যাপে, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ২৫০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কিস্তিতে সেভিংস করতে পারছেন। সেভিংস করা যাচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ।

নতুন এই সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। স্বল্প আয় এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পেশাজীবীদের অল্প অল্প করে অর্থ জমানোর সুযোগ করে দিবে, যা তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা, কৃষি-ব্যবসায় বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা বা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসবে।

সাপ্তাহিক সেভিংস-এর পরিমাণ এবং মেয়াদ:

এই সেবার আওতায় বিকাশ গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, এবং ‌৫০০০ টাকা কিস্তিতে ৬ মাস অথবা ১২ মাস মেয়াদে আইডিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ সেভিংস খুলতে পারছেন। বিকাশ অ্যাপেই ব্যাংকগুলোর দেয়া তুলনামূলক মুনাফার হারের তথ্য বিবেচনা করে দিনে-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই সেভিংস খোলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাপে সেভিংস করার পদ্ধতি:

নতুন সেভিংস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করতে হবে। সেভিংস এর ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংসটি কেনো খুলতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। এরপর, সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বা ১২ মাস, জমার ধরন (সাপ্তাহিক) এবং প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, বা ৫০০০ নির্বাচন করতে হবে।

পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক বা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেভিংস-এর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর সেভিংস-এর বিস্তরিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই সেভিংস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ মেসেজ। বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সেভিংস খুলতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভিংস-এর টাকা কেটে নেয়া হবে। সেভিংস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর বিকাশ অ্যাপেই মুনাফাসহ মূল টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তা করতে পারবেন।

সাপ্তাহিক সেভিংস প্রসঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাসে বা সপ্তাহে টাকা জমানো বেশ কঠিন। এদিকে দৈনিক বা সপ্তাহ ভিত্তিতে আয় করা মানুষদের জন্য নিয়মিত বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত জীবনে সকল পেশার মানুষের জন্য আর্থিক লেনদেনে স্বস্তি এনে দিতেই বিকাশ তার অ্যাপে দুটি নতুন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা যুক্ত করেছে। সঞ্চয়ের অভ্যাস ব্যক্তি এবং সমাজের আর্থিক নিরাপত্তাকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক সঞ্চয় সেবা চালু হয়। এই সেবার জনপ্রিয়তার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ সেভিংস গ্রহণ করেছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যাদের এক-তৃতীয়ংশই নারী। বর্তমানে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এর পাশাপাশি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিটি ব্যাংকের মাসিক ‘সিটি ইসলামিক’ সেভিংস সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।

সেভিংস সেবা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে– https://www.bkash.com/products-services/savings।

;

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে যে কারণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আম দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে আগে বাজারে আসে এবং এই আমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সে কারণে সাতক্ষীরার আমের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভৌগলিক অবস্থানগত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ু অন্য সব জেলার আগে প্রবেশ করে। এতে করে এ এলাকার আম দ্রুত পাকে এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত ছাড়াও আবহাওয়াগত কারণেও আম দ্রুত পাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আগে প্রবেশ করার কারণে আমের মুকুলও তাড়াতাড়ি চলে আসে। এতে করে আম গরমে দ্রুত পাকতে শুরু করে।

তারা জানান, অন্য জেলাগুলোতে শীতের আমেজ সাতক্ষীরার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে নামে। সে কারণে ওই সব এলাকায় আমের মুকুলও দেরিতে আসে। এজন্য সাতক্ষীরার আম মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে চলে আসে।

গবেষকদের বক্তব্য, জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একেক আম একেক সময়ে পাকে। কিন্তু তারা দেখতে পেয়েছেন, আম কেবল জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাকে না; পাকে ভৌগোলিক অবস্থানগত ও আবহাওয়াগত কারণেও। যেমনটা ঘটে আম্রপালী আমের বেলায়। এ আম সাতক্ষীরায় এক সময়ে, চট্টগ্রামে আরেক সময়ে এবং সবার শেষে উত্তরাঞ্চলে পাকে।

একই জাতের আম পাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে দুই মাস পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে।

এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম ব্যাপক। কারণ, সাতক্ষীরার আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভালো।

ক্যালেন্ডারের আগেই পাকে সাতক্ষীরার আম

মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যাও রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা না করে, চাষীদের মতামত না নিয়ে, আমের দিকে খেয়াল না করে আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এতে করে আম আগে পেকে গেলেও সাতক্ষীরার চাষিরা তা পাড়তে পারেন না।

আমাদের দাবি, আমের ক্যালেন্ডার করার সময় সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা করে তারপর আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এতে করে সাতক্ষীরার আম সবার আগে বাজার দখল করবে এবং চাষীরাও লাভবান হবেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলের শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ। এসময় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাখাসমূহের সর্বস্তরের প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম সকলকে একসঙ্গে নবউদ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক এগিয়ে গেলে, ব্যাংকের উন্নয়ন হলেই আপনারা এগিয়ে যাবেন, তাই ব্যাংককে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি পেমেন্ট সংক্রান্ত্র এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ডিআইইউ-এর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি ও সেমিস্টার ফি-সহ যে কোন ধরনের ফি ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রদান করতে পারবেন।

সম্প্রতি ডিআইইউ কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ডিআইইউ-এর ট্রেজারার (চলতি দায়িত্ব) মমিনুল হক মজুমদার ও ব্যাংকের আশুলিয়া শাখাপ্রধান এ.বি.এম মোস্তফা আলী হায়দার সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান বশির আহমদ এবং ডিআইইউ-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাদির বিন আলী ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ও কমৃকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;