দেশের বাজারে সোনার দর দাম আরও এক দফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। নতুন দর বুধবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার কমছে ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬০ হাজার ৭৬৯ টাকা। সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হবে ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকায়।
তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আনেনি জুয়েলার্স সমিতি। ভালো মানের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা।
২১ ক্যারেটের রুপার অলংকার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২৫ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকেই সোনার দাম বাড়ছিল। কয়েক দফা বেড়ে মাঝে কিছু কমলেও গত অগাস্ট মাসে দেশের বাজারে সোনার ভরি ৭৭ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তারপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন গিয়ে অনিশ্চয়তায় সোনার বাজারে স্থিরতা আসছিল না।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন সোনার দাম ভরিতে ৫ হাজার ৮২৫ টাকা, গত ২৪ জুলাই ২ হাজার ৯১৬ টাকা এবং ৬ আগস্ট ৪ হাজার ৪৩৩ টাকা বৃদ্ধি করে জুয়েলার্স সমিতি।
তারপর দুই দফায় কমে ৪ হাজার ৯৫৮ টাকা। সর্বশেষ গত ২৫ নভেম্বর সোনার দাম ভরিতে সাড়ে ২ হাজার ৫০৭ টাকা কমিয়েছিল সমিতি।
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের (এয়ার অ্যাস্ট্রা) মধ্যে একটি কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ চুক্তির আওতায় ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বিমানের টিকিট ক্রয়ে বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।
ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফের উপস্থিতিতে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহাইল মজিদ এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ ওমর হায়াত চৌধুরী ও সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. এম. শহীদুল এমরান এবং অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের হেড অফ সেলস মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া ও ডেপুটি ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) সাকিব হাসান শুভসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে দশটি খাতকে। এই দশ খাতেই মোট বরাদ্দের প্রায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এনইসি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে ১০টি খাত। সেগুলো হচ্ছে-
১) পরিবহন ও যোগাযোগ খাত: বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।
২) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সাতক্ষীরা বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা ডেনাইট কলেজ মোড় থেকে শুরু করে বড় বাজার পর্যন্ত বড় লম্বা লাইন। আমের গাড়ি ঢুকছে আর বের হচ্ছে। তবে যেন লাইন আর শেষ হচ্ছে না!
এদিকে, একে একে চলছে, আমের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষি। গোবিন্দভোগ ২ হাজার ৭শ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকা মণ, গোপালভোগ ২ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অনেকেই বলছেন, আমের সাইজ এবং রঙ অনুযায়ী দামদর করা হচ্ছে। যে আমের সাইজ অনেক ভালো, তার দর বেশি হচ্ছে।
এদিকে, আমের মৌসুমে সাতক্ষীরার সুমিষ্ট আম ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে কুরিয়ারে করে সবার ঘরে পৌঁছে দিতে আম নিয়ে কাজ করছেন অনেক যুব উদ্যোক্তা।
তাদের মধ্যে একজন অপূর্ব রায়। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা এই সময় আম নিয়ে কাজ করি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমের দামদর নিয়ে পোস্ট করি এবং মার্কেটিং করি। তারপর ক্রেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা আম তাদের ঘরে পৌঁছে দিই। আমরা শুধু মাধ্যম হয়ে কাজ করি, যার ফলে আমাদের কিছু লাভ থাকে। এই সময়টা সাতক্ষীরাসহ বাইরের অনেক উদ্যোক্তা এখানে অবস্থান করে অনলাইনে আমের ব্যবসা করেন।
আম কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার আম মানে ব্র্যান্ড! দেশের অন্য জায়গার আমের থেকে সাতক্ষীরার আম সুমিষ্ট এবং স্বাদে ভরপুর। আম খেলে যাচাই করা যায়, এটা সাতক্ষীরার আম! সাতক্ষীরার আম দেশ ছাড়িয়ে প্রতিবছর বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তাছাড়া এই আমের কদরও অনেক বেশি রাজধানী ঢাকাতে।
বাগান চাষি সাব্বির মোড়ল বলেন, আজকের আমের দামটা আগের দিনের তুলনায় বেশি। কোনদিন দাম বেশি হবে, কোনদিন কমবে, এটা আগেভাগে বলা যায় না। তবে এবছর আমের দাম অনেকটা বেশি আগের বছরের তুলনায়; যার ফলে এবছর আম বাগান থেকে পুষিয়ে নিতে পারবো।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২শ ৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬শ ৫৮ হেক্টর, তালায় ৭শ ১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩শ ৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮শ ২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১শ ৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১শ ৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।
জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২শ ৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১শ চাষি রয়েছেন। সবমিলে ৪ হাজার ১শ ১৮ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালী আম সংগ্রহ করা হবে। মনে রাখতে হবে, গাছের সব আম একসঙ্গে পাকে না। সুতরাং আমের রং আসার আগে না-পাড়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত এনইসির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে আয়োজন করা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনগুলো তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।
তিনি জানান, এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি সহায়তা হিসেবে ১ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
এর বাইরেও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন আছে ১৩ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে নতুন এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।