বিকাশে অ্যাড মানি করলেই একশ টাকা ক্যাশব্যাক ও কুপন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশে প্রথমবার অ্যাড মানি করলে ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক এবং ১০০ টাকার একটি কুপন পাচ্ছেন গ্রাহকরা। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর সময়ের মধ্যে ১০০০ টাকা বা তার বেশি পরিমাণ অ্যাড মানি করলে অফারটি পাওয়া যাবে। অফারটি ব্যাংক থেকে বিকাশে কিংবা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনা উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

অফারটি পেতে গ্রাহককে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাড মানি করতে হবে। পরবর্তী কার্যদিবসে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ক্যাশব্যাক ও কুপন পৌঁছে যাবে। উল্লেখ্য, একজন গ্রাহক একবারই অফারটি নিতে পারবেন।

এই অফার চলাকালীন যেকোনো পিৎজা হাট বা কেএফসি আউটলেটে পেমেন্ট করার সময় গ্রাহক ১০০ টাকার কুপনটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ন্যূনতম পেমেন্টের পরিমাণ হতে হবে ৩০০ টাকা এবং কুপন পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই তা ব্যবহার করতে হবে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ গত বছর অ্যাড মানি সেবা চালু করেছে যার ফলে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড থেকে সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারেন। করোনাকালীন লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার সময়ে এই সেবা গ্রাহকদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে। ব্যাংক কাউন্টারে গিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসেই ব্যাংকের সেবা পাওয়া অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। গ্রাহকরা অ্যাড মানি করার পাশাপাশি বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা এনে অন্যান্য সেবা যেমন- মোবাইল রিচার্জ, সেন্ড মানি, পেমেন্ট, পে বিল, অনলাইন শপিং ইত্যাদির মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্পর্শবিহীন লেনদেন নিশ্চিত করেছেন।

এখন পর্যন্ত দেশের ২০টি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক বিকাশের অ্যাড মানি নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া, গ্রাহকরা ভিসা এবং মাস্টারকার্ড থেকেও যেকোনো সময় বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারেন অনায়াসে।

   

সামুদ্রিক দূষণ বন্ধে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনীল অর্থনীতির বিকাশের পথে অন্যতম বাধা সামুদ্রিক দূষণ। বিস্তীর্ণ সমুদ্রে চলাচলকারী দেশি-বিদেশি জাহাজের দূষণ বন্ধ করতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ও সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইট, রাডারসহ প্রযুক্তিভিত্তিক নজরদারির মাধ্যমে দূষণ বন্ধ করতে না পারলে দেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশের স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হবে। শুধু বঙ্গোপসাগরের তলদেশে নয়, সমুদ্রতটের বালুরাশিতে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে। যেমন ‘মনোজাইট’ নামক মূল্যবান খনিজ রয়েছে যা’ পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহারের উপযোগী।

তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক জলসীমায় চলাচলকারী নৌযানগুলো যেন তেল দূষণ না ঘটায়, তার জন্য মোবাইল কোর্ট, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীকে কঠোর অভিযান চালাতে হবে এবং এর সমান্তরালে দূষণের বিপর্যয় ও ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। পরিবেশ দূষণ শুধু জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে না, মানুষের মধ্যে প্রাণঘাতী ক্যান্সারও ছড়িয়ে পড়ছে। সারা দুনিয়া জুড়ে প্লাস্টিক-পলিথিন উৎপাদনে জড়িত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দূষণ সামুদ্রিক সম্পদকে ধ্বংস করছে।

তিনি বলেন, বহু দেশে কর্পোরেট শক্তির পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপে সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সামুদ্রিক মাছে ভারী ধাতব পদার্থও পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। সমস্ত শহর-নগরের বর্জ্য পদার্থের চূড়ান্ত গন্তব্য নদ-নদী হয়ে সাগর-মহাসাগর। কাজেই বর্জ্যের বিজ্ঞানসম্মত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রিসাইক্লিং নীতিকে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সেমিনারে অংশ নেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বিভিন্ন কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নৌবাহিনী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক ড. মো. নুরুজ্জামান এবং ‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ মেরিটাইম রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ এর লে. কমান্ডার মোঃ সাইফুল ইসলাম।

;

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের (এয়ার অ্যাস্ট্রা) মধ্যে একটি কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ চুক্তির আওতায় ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বিমানের টিকিট ক্রয়ে বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফের উপস্থিতিতে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহাইল মজিদ এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ ওমর হায়াত চৌধুরী ও সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. এম. শহীদুল এমরান এবং অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের হেড অফ সেলস মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া ও ডেপুটি ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) সাকিব হাসান শুভসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

এডিপি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেল যে ১০ খাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেল যে ১০ খাত

এডিপি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেল যে ১০ খাত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে দশটি খাতকে। এই দশ খাতেই মোট বরাদ্দের প্রায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এনইসি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে ১০টি খাত। সেগুলো হচ্ছে-

১) পরিবহন ও যোগাযোগ খাত: বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।

২) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।

৩) শিক্ষা খাত: প্রায় ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ)।

৪) গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাত: প্রায় ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।

৫) স্বাস্থ্য খাত: প্রায় ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৭ দশিক ৮০ শতাংশ)।

৬) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাত: প্রায় ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ)।

৭) কৃষি খাত: প্রায় ১৩ হাজার ২১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ)।

৮) পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ খাত: প্রায় ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ)।

৯) শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাত: প্রায় ৬ হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ)।

১০) বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাত: প্রায় ৪ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ২৫ শতাংশ)।

সবমিলিয়ে এই ১০টি খাতে মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটি মোট বরাদ্দের প্রায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ।

;

আমে আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বড় বাজার!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, সরিষাখাসের ছড়াছড়ি! সকাল হতেই গাড়িভর্তি আমের ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যানের লম্বা লাইন। সাতক্ষীরার সকালের বাজারে আম আসায় এক চিমটি জায়গাও নেই সেখানে। আমে আমে সয়লাব! যেদিকে তাকানো যাবে, সেদিকেই আম আর আম! ভৌগোলিক অবস্থার কারণে আগেভাগে বাজারে আসে সাতক্ষীরার আম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সাতক্ষীরা বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা ডেনাইট কলেজ মোড় থেকে শুরু করে বড় বাজার পর্যন্ত বড় লম্বা লাইন। আমের গাড়ি ঢুকছে আর বের হচ্ছে। তবে যেন লাইন আর শেষ হচ্ছে না!

এদিকে, একে একে চলছে, আমের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষি। গোবিন্দভোগ ২ হাজার ৭শ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকা মণ, গোপালভোগ ২ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে অনেকেই বলছেন, আমের সাইজ এবং রঙ অনুযায়ী দামদর করা হচ্ছে। যে আমের সাইজ অনেক ভালো, তার দর বেশি হচ্ছে।

আমে আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বড় বাজার, ছবি- বার্তা২৪.কম

এদিকে, আমের মৌসুমে সাতক্ষীরার সুমিষ্ট আম ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে কুরিয়ারে করে সবার ঘরে পৌঁছে দিতে আম নিয়ে কাজ করছেন অনেক যুব উদ্যোক্তা।

তাদের মধ্যে একজন অপূর্ব রায়। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা এই সময় আম নিয়ে কাজ করি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমের দামদর নিয়ে পোস্ট করি এবং মার্কেটিং করি। তারপর ক্রেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা আম তাদের ঘরে পৌঁছে দিই। আমরা শুধু মাধ্যম হয়ে কাজ করি, যার ফলে আমাদের কিছু লাভ থাকে। এই সময়টা সাতক্ষীরাসহ বাইরের অনেক উদ্যোক্তা এখানে অবস্থান করে অনলাইনে আমের ব্যবসা করেন।

আম কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার আম মানে ব্র্যান্ড! দেশের অন্য জায়গার আমের থেকে সাতক্ষীরার আম সুমিষ্ট এবং স্বাদে ভরপুর। আম খেলে যাচাই করা যায়, এটা সাতক্ষীরার আম! সাতক্ষীরার আম দেশ ছাড়িয়ে প্রতিবছর বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তাছাড়া এই আমের কদরও অনেক বেশি রাজধানী ঢাকাতে।

বাগান চাষি সাব্বির মোড়ল বলেন, আজকের আমের দামটা আগের দিনের তুলনায় বেশি। কোনদিন দাম বেশি হবে, কোনদিন কমবে, এটা আগেভাগে বলা যায় না। তবে এবছর আমের দাম অনেকটা বেশি আগের বছরের তুলনায়; যার ফলে এবছর আম বাগান থেকে পুষিয়ে নিতে পারবো।

সাতক্ষীরার বড় বাজারে এখন গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, সরিষাখাস আমের ছড়াছড়ি, ছবি- বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২শ ৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬শ ৫৮ হেক্টর, তালায় ৭শ ১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩শ ৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮শ ২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১শ ৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১শ ৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২শ ৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১শ চাষি রয়েছেন। সবমিলে ৪ হাজার ১শ ১৮ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালী আম সংগ্রহ করা হবে। মনে রাখতে হবে, গাছের সব আম একসঙ্গে পাকে না। সুতরাং আমের রং আসার আগে না-পাড়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

;