করোনা চিকিৎসায় সিএমএইচে ১০টি ভেন্টিলেটর দিল বিকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা চিকিৎসা এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতিতে সহায়তায় এবার ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১০টি ভেন্টিলেটর প্রদান করলো দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৪টি ভেন্টিলেটর প্রদান এবং বারডেমের সহযোগী ডায়াবেটিক হাসপাতালে (বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল) অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণের ধারাবাহিকতায় এবার সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের পরিবারসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবায় ঢাকা সিএমএইচকে এই ভেন্টিলেটরগুলো প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সেনা সদরদপ্তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহর হাতে ভেন্টিলেটরগুলি হস্তান্তর করেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর। এ সময় বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, এনডিইউ, পিএসসি (অব:) উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধান হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটর প্রদান ও অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করার পাশাপাশি বিকাশ, আলিবাবা ফাউন্ডেশন ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের দেয়া ৫০টি ভেন্টিলেটরসহ ছয় লক্ষাধিক চিকিৎসা সামগ্রী প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়াও একই সময়ে বিকাশ সেনা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে পাঁচ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। তাছাড়া বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের হাসপাতাল নির্মাণেও সহায়তা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শীঘ্রই বিকাশের এই চলমান উদ্যোগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ আরো হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সহায়তা সামগ্রী প্রদান করা হবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অংশ হিসেবে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে বিকাশ তার উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে।

   

ভবনের অ্যাকটিভ ডিজাইন বুমেরাং হয়েছে: নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষাটের দশকে আমাদের স্থাপত্যবিদরা পথ দেখিয়ে গেছেন কিন্তু আমরা মাঝখানে পথ হারিয়ে ফেললাম। সঠিক পথ ফেলে অ্যাকটিভ ডিজাইনে গেছি সেগুলো বুমেরাং হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় আগারগাঁও আইএবি সেন্টারে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিবদ্যালয়ের দিকে তাকায়, দেখেন তখন তারা চিন্তা করেছিলেন। অনেক দেশেই তখন বিষয়গুলো চিন্তায় আসেনি। আমরা সেখান থেকে অ্যাকটিভ ডিজাইনে গেলাম, এগুলো কস্ট ইফেক্টিভ হচ্ছে না। যারা ভালো কাজ করতে চায় তাদের টিকে থাকা কঠিন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে বেশ দক্ষ লোকজন থাকেন তাদের বক্সের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। তারা চেঞ্জ চাচ্ছে এটাই বড় বিষয়। আমরা তরুণদের নিয়ে একটি টিম করছি, আমাদের ভবনগুলো যেন ভবিষ্যৎ চিন্তা ও ব্যবহারকারী বান্ধব হয়। আমরা স্থাপত্যবিদদের দিয়ে তিতাসের ভবন করছি, ডেসকোর ভবন করছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রতিযোগিতা হলো নতুনদের ধ্যানধারণা পেলাম, তাদেরও একটা আইডিয়া হলো বড় পরিসরে কাজ করার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতায় ৮২টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত করা হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। আমরা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছি। আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু আমরা দায়ী না। অনেকে প্রশ্ন করেন আমরা কি করছি, কেন এখনও কয়লা ব্যবহার করছি। আমরা ক্লিন এনার্জির দিকে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ গত ১৪ বছর ধরে এডিপি বাস্তবায়নে এক নম্বর থাকে, প্রথম বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিষয়টি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। আমি মনে করি এর মাধ্যমে আইএবির সঙ্গে নতুন ডোর উন্মোচিত হবে। আমরা মনে করি হতাশ হতে হবে না। ভবনকে যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে পারি, তাহলে বিশাল অগ্রগতি হবে।

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমি তখন অর্থমন্ত্রণালয়ে তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবন করা হবে। আমরা বলেছিলাম যত টাকা লাগুক খরচ করতে রাজি আছি। ভবন গ্রিন হতে হবে, অনেক টাকা ব্যয় করেছি, তবে নান্দনিকও হয়নি, জ্বালানি সাশ্রয়ীও হয়নি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এনার্জি সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারে সেই ধারাবাহিকতা অংশ।

নেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল আধুনিকতম ভবনের সঙ্গে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করা। আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ এক সময় আন্দোলনে রুপান্তর হবে বলে আশাকরি।

আইএবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, এক সময়ের নাজুক বিদ্যুৎ বিভাগ এখন স্থাপত্য বিভাগের প্রধানপৃষ্টপোষক হয়ে উঠেছে। ডিজাইন প্রসঙ্গে বলেন, এখানে প্যাসিভ ডিজাইন করা হয়েছে, কনভেনশনাল জ্বালানির চেয়ে প্রাকৃতিক উৎসের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, নেসকো সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা।

নেসকো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে।

;

ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসছে ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদ। এ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

নতুন মডেলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ভার্টিকাল ফ্রিজার, চকোলেট কুলারসহ মোট ৭টি মডেলের ফ্রিজ।

এছাড়াও আছে সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তির স্প্লিট টাইপ এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং এবং ক্যাসেট টাইপ লাইট কমার্শিয়াল এসি, ৬৫ ইঞ্চির ওএলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের প্রোডাক্টস উন্মোচন করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান। অনুষ্ঠানে সারা দেশে একযোগে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করা হয়।

নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), মফিজুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. তানভীর রহমান, তাহসিনুল হক, সোহেল রানা, মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।

এছাড়া ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারা দেশ থেকে ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার ও পরিবেশকগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

;

১৯ মে জাতীয় এসএমই মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী রোববার (১৯ মে) শুরু হচ্ছে সাত দিনব্যাপী এসএমই মেলা। ক্ষুদ্র মাঝারী শিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১১তম জাতীয় এসএমই মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আগামী ১৯ মে শুরু হয়ে মেলা ২৫ মে পর্যন্ত চলবে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান জানান, শতভাগ দেশি পণ্য নিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সাড়ে ৩শ’র বেশী প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্ত এ মেলায় অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী নারী উদ্যোক্তা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের সাতজন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারের মেলায় তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্যে, হস্ত ও কারুশিল্প, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, খাদ্যপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তা, হারবাল/ভেষজ শিল্প, জুয়েলারি শিল্প, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাত, ফার্নিচার খাত এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে।

এ ছাড়াও ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব ও উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নেবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশে কোন টিকিট লাগবে না।

;

সামুদ্রিক দূষণ বন্ধে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনীল অর্থনীতির বিকাশের পথে অন্যতম বাধা সামুদ্রিক দূষণ। বিস্তীর্ণ সমুদ্রে চলাচলকারী দেশি-বিদেশি জাহাজের দূষণ বন্ধ করতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ও সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইট, রাডারসহ প্রযুক্তিভিত্তিক নজরদারির মাধ্যমে দূষণ বন্ধ করতে না পারলে দেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশের স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হবে। শুধু বঙ্গোপসাগরের তলদেশে নয়, সমুদ্রতটের বালুরাশিতে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে। যেমন ‘মনোজাইট’ নামক মূল্যবান খনিজ রয়েছে যা’ পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহারের উপযোগী।

তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক জলসীমায় চলাচলকারী নৌযানগুলো যেন তেল দূষণ না ঘটায়, তার জন্য মোবাইল কোর্ট, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীকে কঠোর অভিযান চালাতে হবে এবং এর সমান্তরালে দূষণের বিপর্যয় ও ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। পরিবেশ দূষণ শুধু জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে না, মানুষের মধ্যে প্রাণঘাতী ক্যান্সারও ছড়িয়ে পড়ছে। সারা দুনিয়া জুড়ে প্লাস্টিক-পলিথিন উৎপাদনে জড়িত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দূষণ সামুদ্রিক সম্পদকে ধ্বংস করছে।

তিনি বলেন, বহু দেশে কর্পোরেট শক্তির পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপে সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সামুদ্রিক মাছে ভারী ধাতব পদার্থও পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। সমস্ত শহর-নগরের বর্জ্য পদার্থের চূড়ান্ত গন্তব্য নদ-নদী হয়ে সাগর-মহাসাগর। কাজেই বর্জ্যের বিজ্ঞানসম্মত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রিসাইক্লিং নীতিকে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সেমিনারে অংশ নেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বিভিন্ন কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নৌবাহিনী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক ড. মো. নুরুজ্জামান এবং ‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ মেরিটাইম রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ এর লে. কমান্ডার মোঃ সাইফুল ইসলাম।

;