শুধু দৃষ্টিনন্দন মোড়ক নয়, মানও বিশ্বমানের হতে হবে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে পণ্যের দৃষ্টিনন্দন মোড়ক নয়, গুণগত মানের ক্ষেত্রেও বিশ্বমানের সক্ষমতা অর্জনের তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত "শিল্পখাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন: নিরাপদ ও টেকসই পৃথিবী গড়তে 'মান' এর ভূমিকা" শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএসটিআই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের যে অবস্থানে পৌঁছেছে, শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিএসটিআইকেও সে পর্যায়ে উন্নীত হতে হবে। গ্রাম-গঞ্জে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে বিএসটিআই'র কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একমাত্র মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গুরুদায়িত্ব বিএসটিআই এর ওপর বর্তায়। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বিএসটিআইকে একটি আধুনিক মান নিয়ন্ত্রণ ও মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় পর্যায়ের দপ্তরগুলোতে অত্যাধুনিক  ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।  নকল ও ভেজালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিএসটিআই'র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে পণ্য ও সেবার গুণগত মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, চলমান করোনার এই ক্রান্তিলগ্নেও কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নানাভাবে নষ্ট ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের  প্রতারিত করছে। এরা যত বড় ব্যবসায়ী হোক না কেন এদের ছাড় দেওয়া হবে না। স্থানীয় বাজারে বিক্রি কিংবা  বিদেশে রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রের জন্য উৎপাদিত পণ্যের মান যাচাইয়ে বিএসটিআইকে আরো কঠোর হতে হবে। পণ্যের মান সঠিক হলে মালিক, শ্রমিক এবং সরকার সকলেই লাভবান হবে।

মানহীন ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্রগ্রাম ও খুলনায় বিএসটিআই'র কার্যালয়ে নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ ও ফরিদপুর, কুমিল্লা ও কক্সবাজার জেলায় বিএসটিআই’র নতুন কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দেশের সর্বত্র সকল পণ্যের মান দ্রুত নির্ধারণ করার লক্ষ্যে আগামীতে সকল জেলায় বিএসটিআইয়ের কার্যালয় ও ল্যাবরেটরি সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। 

শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন, মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন করলে ক্রেতারা ঠকবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা হারাতে হবে। শিল্প সচিব দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সমন্বয় বজায় রেখে মানসম্পন্ন রুচিসম্মত পণ্য উৎপাদন করার পাশাপাশি  উৎপাদন প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রমকেও মানসম্মত করার আহবান জানান।

এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, দেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের মান বজায় রাখতে বিএসটিআই কার্যকর ভূমিকা রাখছে। রপ্তানির বাধাসমূহ অপসারণ ও কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়া আরও সহজতর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। 

সভাপতির বক্তৃতায় বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ড. মোঃ নজরুল আনোয়ার বলেন,  এ বছরের সেপ্টেম্বরে বিএসটিআই সারাদেশে ১০৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৮৯টি মামলা দায়েরসহ ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে। ১৪৫টি সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

   

এডিপি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেল যে ১০ খাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেল যে ১০ খাত

এডিপি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেল যে ১০ খাত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে দশটি খাতকে। এই দশ খাতেই মোট বরাদ্দের প্রায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এনইসি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে ১০টি খাত। সেগুলো হচ্ছে-

১) পরিবহন ও যোগাযোগ খাত: বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।

২) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।

৩) শিক্ষা খাত: প্রায় ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ)।

৪) গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাত: প্রায় ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।

৫) স্বাস্থ্য খাত: প্রায় ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৭ দশিক ৮০ শতাংশ)।

৬) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাত: প্রায় ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ)।

৭) কৃষি খাত: প্রায় ১৩ হাজার ২১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ)।

৮) পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ খাত: প্রায় ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ)।

৯) শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাত: প্রায় ৬ হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ)।

১০) বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাত: প্রায় ৪ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ২৫ শতাংশ)।

সবমিলিয়ে এই ১০টি খাতে মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটি মোট বরাদ্দের প্রায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ।

;

আমে আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বড় বাজার!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, সরিষাখাসের ছড়াছড়ি! সকাল হতেই গাড়িভর্তি আমের ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যানের লম্বা লাইন। সাতক্ষীরার সকালের বাজারে আম আসায় এক চিমটি জায়গাও নেই সেখানে। আমে আমে সয়লাব! যেদিকে তাকানো যাবে, সেদিকেই আম আর আম! ভৌগোলিক অবস্থার কারণে আগেভাগে বাজারে আসে সাতক্ষীরার আম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সাতক্ষীরা বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা ডেনাইট কলেজ মোড় থেকে শুরু করে বড় বাজার পর্যন্ত বড় লম্বা লাইন। আমের গাড়ি ঢুকছে আর বের হচ্ছে। তবে যেন লাইন আর শেষ হচ্ছে না!

এদিকে, একে একে চলছে, আমের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষি। গোবিন্দভোগ ২ হাজার ৭শ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকা মণ, গোপালভোগ ২ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে অনেকেই বলছেন, আমের সাইজ এবং রঙ অনুযায়ী দামদর করা হচ্ছে। যে আমের সাইজ অনেক ভালো, তার দর বেশি হচ্ছে।

আমে আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বড় বাজার, ছবি- বার্তা২৪.কম

এদিকে, আমের মৌসুমে সাতক্ষীরার সুমিষ্ট আম ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে কুরিয়ারে করে সবার ঘরে পৌঁছে দিতে আম নিয়ে কাজ করছেন অনেক যুব উদ্যোক্তা।

তাদের মধ্যে একজন অপূর্ব রায়। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা এই সময় আম নিয়ে কাজ করি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমের দামদর নিয়ে পোস্ট করি এবং মার্কেটিং করি। তারপর ক্রেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা আম তাদের ঘরে পৌঁছে দিই। আমরা শুধু মাধ্যম হয়ে কাজ করি, যার ফলে আমাদের কিছু লাভ থাকে। এই সময়টা সাতক্ষীরাসহ বাইরের অনেক উদ্যোক্তা এখানে অবস্থান করে অনলাইনে আমের ব্যবসা করেন।

আম কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার আম মানে ব্র্যান্ড! দেশের অন্য জায়গার আমের থেকে সাতক্ষীরার আম সুমিষ্ট এবং স্বাদে ভরপুর। আম খেলে যাচাই করা যায়, এটা সাতক্ষীরার আম! সাতক্ষীরার আম দেশ ছাড়িয়ে প্রতিবছর বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তাছাড়া এই আমের কদরও অনেক বেশি রাজধানী ঢাকাতে।

বাগান চাষি সাব্বির মোড়ল বলেন, আজকের আমের দামটা আগের দিনের তুলনায় বেশি। কোনদিন দাম বেশি হবে, কোনদিন কমবে, এটা আগেভাগে বলা যায় না। তবে এবছর আমের দাম অনেকটা বেশি আগের বছরের তুলনায়; যার ফলে এবছর আম বাগান থেকে পুষিয়ে নিতে পারবো।

সাতক্ষীরার বড় বাজারে এখন গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, সরিষাখাস আমের ছড়াছড়ি, ছবি- বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২শ ৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬শ ৫৮ হেক্টর, তালায় ৭শ ১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩শ ৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮শ ২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১শ ৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১শ ৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২শ ৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১শ চাষি রয়েছেন। সবমিলে ৪ হাজার ১শ ১৮ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালী আম সংগ্রহ করা হবে। মনে রাখতে হবে, গাছের সব আম একসঙ্গে পাকে না। সুতরাং আমের রং আসার আগে না-পাড়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

;

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত এনইসির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে আয়োজন করা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনগুলো তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।

তিনি জানান, এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি সহায়তা হিসেবে ১ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।

এর বাইরেও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন আছে ১৩ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে নতুন এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। 

;

বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশি ঋণে নেয়া প্রকল্পগুলো বাড়তি শ্রম দিয়ে দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ধরনের প্রকল্পের কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে প্রতি তিন মাস অন্তর অগ্রগতির প্রতিবেদন পাঠানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে আয়োজন করা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় আজ এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনগুলো তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।

তিনি জানান, এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি সহায়তা হিসেবে ১ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।

ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর নমনীয় শর্তে বিদেশি ঋণের সুবিধা কমে যাবে।

এর আগে বিদেশি সহায়তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

তিনি এ সময় আরও বলেন, সক্ষমতার ঘাটতির কারণে এডিপতে বরাদ্দ বিদেশি ঋণের মাত্র ৭০ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই হার বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সচিব আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তাদের নেয়া প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, কোন কর্মকর্তা বিদেশে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে আসার পর তাকে সংশ্লিষ্ট খাতেই নিযুক্ত করতে হবে।

থানা ভিত্তিক ছোট উন্নয়ন প্রকল্প না নিয়ে মহাপরিকল্পনার আওতায় জেলাভিত্তিক বড় প্রকল্প নেয়ার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, উপজেলাভিত্তিক ছোট প্রকল্প নেয়া হলে মনিটরিং ও মূল্যায়ন কঠিন হয়ে পরে।

প্রকল্প নেয়ার আগে মানসম্মত ফিজিবিলিটি স্টাডি নিশ্চিত করতে সভায় তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করে এমন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।

;