শুভ জন্মদিন প্রিয় চট্টগ্রাম ভার্সিটি



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
নান্দনিক চবি ক্যাম্পাস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নান্দনিক চবি ক্যাম্পাস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের তৃতীয় শিক্ষাঙ্গন ও আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। এ বছর চবি স্পর্শ করেছে গতিশীল পথচলার ৫৪ বছর। শুভ জন্মদিন প্রিয় চবি।

৫৩ বছর পেরিয়ে ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক আছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ ও অধ্যাপনা করেছেন, যার মধ্যে ১ জন নোবেল বিজয়ী এবং একাধিক একুশে পদক ও অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ধন্য শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক, বারোজন শিক্ষার্থী সহ তিন জন কর্মকর্তা শহিদ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। তিনি গণবাহিনী (সেক্টর-১)-এর অধীনে নৌ-কমান্ডো হিসাবে যুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে জিরো পয়েন্ট চত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ স্মরণ।

মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এবং ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা।

বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসীগণ স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করেন । এ লক্ষ্যে ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারার দেয়াঙ পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। দুই বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন। এইসব গণদাবির প্রতি ব্রিটিশ দখলদার সরকার কর্ণপাত করেনি।

ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালে, তৎকালীন জনশিক্ষা বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করে এবং একই বছর রাজনীতিবিদগণ নির্বাচনী প্রচারণায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাধারণ প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। পরে ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ নামে আরেকটি পরিষদ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।

এক পর্যায়ে চট্টগ্রামের বদলে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালীতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়।

আরও পড়ুন: চবির জন্মদিন: যেখানে ট্রেন আসে কাশবন ছুঁয়ে

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ডক্টর কুদরাত-এ-খুদা, ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ডক্টর মফিজউদ্দীন আহমদকে সদস্য নির্বাচিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে।

১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই পাকিস্তানের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

১৯৬৫ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প-পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদের ৩নং সড়কের ‘কাকাসান’ নামের একটি ভবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের অফিস স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক সরকারি প্রজ্ঞাপন বলে তৎকালীন পাকিস্তান শিক্ষা পরিদপ্তরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অফিসে বদলি করা হয়। স্থপতি মাজহারুল ইসলামের ‘বাস্তকলা’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ১টি দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন, বিভাগীয় অফিস, শ্রেণিকক্ষ ও গ্রন্থাগারে জন্য একতলা ভবন তৈরি করার পাশাপাশি শিক্ষক ও ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার (১৪ মাইল) উত্তরে ২,১০০ একর (৮৫০ হেক্টর) একর পাহাড়ি এবং সমতল ভূমির উপর বর্তমানে বিকাশ লাভ করেছে। লাইব্রেরি, জাদুঘর, আবাসিক হল, ক্যাফে, খোলা চত্বর, বিভিন্ন স্থাপনা, স্মারক ও শিল্পকর্মে উদ্ভাসিত ক্যাম্পাসের সবুজের সমাবেশে জাগে প্রাণের স্পন্দন। প্রকৃতি ঘেরা পার্বত্য জনপদে শাটল ট্রেন আসে তারুণ্যের হুঁইসেল বাজিয়ে। বাংলাদেশে তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক ক্যাম্পাসের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি, গর্ব ও ঐতিহ্য সর্বজনবিদিত।

   

শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ শেকৃবির ডিনের বিরুদ্ধে



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ

অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

জানা যায়, অনুষদভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম ও ট্যুরের বিষয়ে আলাপচারিতার জন্য ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শ্রেণিকক্ষে যান ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অনুষদের ডিন ড. অশোক কুমার ঘোষ গত ১৩ মে ২১-২২ সেশনের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে বলেন, তোরা কেন যাস আমি জানি না? মেয়েদের ফিগার দেখতে যাস? পাতলা কাপড়ের নিচে ব্রা এর স্ট্রিপ দেখতে যাস?

পরবর্তীতে ১৫ মে ডিনের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে ও ব্যাখ্যা চাইতে সব শিক্ষার্থী তার কাছে গেলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন এবং এসব কথার কোন রেকর্ড আছে কিনা জানতে চান। হুকমি দিয়ে বলেন তোরা কিভাবে পাস করিস দেখে নিব।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় অনুষদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু উক্ত শিক্ষক ও ফ্যাকাল্টিতে তার অনুগত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যার তৈরি করতে পারে আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা আর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যায়নি৷। তবে এ নিয়ে এখনো সমালোচনা চলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ড. অশোক ক্লাসে এসেও মেয়েদের বিষয়ে অশালীন কথা বলেন। বোর্ডে শুধু টপিক লেখেন তারপর এমন কিছু গল্প করেন যা শিক্ষকের কাছে কোন শিক্ষার্থী এমনটা আশা করে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. অশোক কুমার ঘোষ বলেন, মেয়েদের পোশাক নিয়ে যে অভিযোগ, এমন কোনো কথা আমি বলিনি। কেন তারা বানিয়ে বলেছে জানি না। আর ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছে সেক্ষেত্রে আমি ওদের কোনো কোর্স নেই না, কিভাবে আমি ফেল করাবো।

তাছাড়া আমি শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করেছি। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ ধরণের কথা আমি বলার কথা চিন্তাও করতে পারি না। যারা অভিযোগ আনছে তাদের উদ্দেশ্য কি সে বিষয়ে আমি অবগত নই।

;

জাবিতে মাস্টারপ্ল্যান না করে ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহার ছুটিতে গাছ কেটে নির্মাণ কাজ শুরু না করার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দেন ৩ শিক্ষার্থী। এ সময় উপাচার্য তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি জমাদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস বন্ধকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের অফিশিয়াল কাজ বন্ধ থাকে এমনকি অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভা করার অনুমতিও নেই। তাই আমরা বন্ধে গাছ না কাটতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বন্ধে গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমরা সদা তৎপর। যদি প্রশাসন ভবন তৈরির নামে বন্ধ-ক্যাম্পাসে লুকোচুরি করে গাছ কাটার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা দেখায় তাহলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় প্রশাসন তথা মাননীয় উপাচার্যকেই নিতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সারা দেশে ‘হিট ওয়েভ’ এর মতো উচ্চ তাপমাত্রাগত পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড় তাপমাত্রা রাজধানী ঢাকার গড় তাপমাত্রার তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম দেখা গেছে, যা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অস্তিত্বশীল বিশেষ প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যেরই ইতিবাচক অবদান।

স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন একাধিক স্থানে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে যেখানে ভবন নির্মাণ করতে হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ভিদ কর্তন করা হবে, জলাশয় ভরাট ও লেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে যা প্রাণিকুলের বাস্তুসংস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশগত বৈচিত্র্যের জন্যে অমোচনীয় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। আমরা সকলেই অবগত আছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে যা মাস্টারপ্ল্যানকে উপেক্ষা করেই হয়েছে। পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিতি ও বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশকে সচেতন ও প্রস্তুত করার বিদ্যায়তনিক দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনস্বীকার্য ব্যর্থতা।

এছাড়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশগত ক্ষতি এড়িয়ে ভবন নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সকল অংশীজনদের অংশগ্রহণে বিশেষজ্ঞনির্ভর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং ও উন্নয়নকার্যে তার অনুসরণ অপরিহার্য। প্রশাসন এই প্রয়োজন উপলব্ধি করে ইতোমধ্যেই একটি ‘মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করায় আমরা সাধুবাদ জ্ঞাপন করছি। তবে, অংশীজনের মতামত ছাড়াই কমিটি প্ল্যান প্রনয়নরত অবস্থাতেই, অর্থাৎ মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই তড়িঘড়ি করে ভবন নির্মাণ শুরু হলে প্রশাসনের সদিচ্ছা ও দায়িত্বশীলতা ব্যাপক আকারে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় সব অংশীজনের মতামত ছাড়াই ভবন নির্মাণের জায়গা চূড়ান্ত না করে, মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া প্রণয়ন না করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা সমীচীন নয়।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের জন্যে প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণস্থলে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও জীববৈচিত্র্যের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি জলাশয় রয়েছে যা ভবন নির্মাণকার্যের অংশ হিসেবে ভরাট করতে হবে। এই জলাশয়টি ভরাট হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ। জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও আছে। চারুকলা অনুষদকে পুরোনো আলবেরুনী হল বর্ধিতাংশ সংলগ্ন স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যাতে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও অতিথি পাখিদের বিচরণ স্থান হিসেবে পরিচিত একটি জলাশয় রয়েছে। এছাড়াও নানা জাতের গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যে এই স্থানটি সমৃদ্ধ। এখানে ছোটো বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে। স্থানটি পরিযায়ী অতিথি পাখিদের ‘ফ্লাইং জোন’ হিসেবেও স্বীকৃত। ভবন নির্মাণার্থে উক্ত লেকে পরিযায়ী পাখির বিচরণ রুদ্ধ হবে ও উদ্ভিদসমূহ কর্তন করা হলে এই অঞ্চলটি ও সার্বিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। কলা ও মানবিকী অনুষদের অংশীজনদের মতামত ছাড়াই বর্তমান প্রশাসনিক ভবনের পেছনে তাঁদের বর্ধিতাংশ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বর্তমান প্রশাসনিক ভবনকে পূর্নাঙ্গকরণের প্রয়োজনীয় কাজে জটিলতা সৃষ্টি করবে।

সবশেষে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ও ভাবমূর্তিগত স্বার্থ আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে যথাযথ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে তার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনো প্রয়োজনীয় ভবন কিংবা স্থাপনা নির্মিত হোক। আমরা বিনীতভাবে জানাতে চাই যে, মাস্টারপ্ল্যান ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য নষ্ট করে গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলছি এবং আমাদের যৌক্তিক আবেদনের পরেও প্রশাসন যদি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ অনুমোদন করে থাকে তবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের৷

;

জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক

জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

উপমহাদেশের বরেণ্য ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রবর্তন করা হয়েছে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) উপাচার্যের সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদকের ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়।

এই ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোক্তা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। পরে তার এই উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের পরিবার। প্রাথমিকভাবে দাতারা দশ (১০) লক্ষ টাকা প্রদান করে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন।

এই ট্রাস্ট ফান্ডের মূল লক্ষ্য, প্রতিবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে বি. এ. (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে স্নাতকের ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রায় সকলের শিক্ষক তিনি। আগামীকাল ২৪ মে অধ্যাপক মামুনের ৭৩তম জন্মদিন। বরেণ্য এই শিক্ষকের কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ আজ আয়োজন করেছিল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুর্শিদা বিনতে রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক খোদেজা খাতুন। দাতাদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- ফাতেমা মামুন ও অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদেরসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রায় পাঁচ দশক ধরে শিক্ষকতা, ইতিহাস চর্চা ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক। খুলনার গণহত্যা জাদুঘর ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর প্রতিষ্ঠাতা।

;

চবিতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্যারিয়ার ফেস্ট



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক্সিলেন্স বাংলাদেশ ও মার্কেটিং সোসাইটি ফর লিডারশিপ প্রোলিফারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ক্যারিয়ার উৎসব 'কীরণ মাস্টারকার্ড প্রেজেন্ট চট্টগ্রাম ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০২৪'।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এক্সিলেন্স বাংলাদেশ এর এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার মাহবুব এ রহমান ও মার্কেটিং সোসাইটি ফর লিডারশিপ প্রোলিফারেশনের (এমএসএলপি) সাধারণ সম্পাদক রাফি মিনহাজ।

আগামী ২৫ মে (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

আয়োজনে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তুনাজ্জিনা সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজন উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আবু তাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী ও অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সিইও, ফাউন্ডারসহ আলোচক হিসেবে থাকবেন ২২ জন অতিথি। আমন্ত্রিত অতিথিরা হচ্ছেন, সাব্বির নাসির, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড (স্বপ্ন)। মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং পার্টনার বিল্ড আইকন কনসালটেন্সিস লিমিটেড। ফাহিম মাশরুর, সিইও বিডিজবস.কম, শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ। ইন্দ্রনীল চট্টপাধ্যায়, সিএমও ব্রাক ব্যাংক,পিএলসি। মঞ্জুরুল হক, ফাউন্ডার, বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপ। জিসান কিংশুক হক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিডস একোনমি লিমিটেড।
তানভীর শাহরিয়ার রিমন, সিইও র‍্যাংকন রিয়াল এস্টেট এন্ড সি ফিশিং।

আরও থাকবেন, জাবেদ সুলতান পিয়াস, চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার প্রথম আলো। মানজুমা মুর্শেদ, ম্যানেজিং পার্টনার্স মেন্টর চিটাগং। তাওহিদা শিরোপা, ফাউন্ডার এন্ড সিইও মনির বন্ধু। ইসরাত করিম ইভি, ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর আমল ফাউন্ডেশন। ইকবাল বাহার জাহিদ, ফাউন্ডার নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন। ডিপেশ নাগ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্রামীন ডানোন ফুডস লিমিটেড। এহসানুর রাজা রনি, ফিচার ইডিটর এ্যান্ড হেড অফ কন্টেন্ট মার্কেটিং দ্যা ডেইলি স্টার।

রুম্মান কালাম, লিড ডিজিটাল প্রোডাক্ট এ্যান্ড ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশ, ফাউন্ডার এ্যাট র‍্যান্টেজ। নাফিজ সেলিম, সিইও ইমপ্যাক একাডেমি। কিংকর আহসান, রাইটার এন্ড ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। খান ফারহানা, ফাউন্ডার ফারহানাস ব্রাইন্টেশন।
ইমতিয়াজ চৌধুরী, সেলস ডিরেক্টর সিগনেন্টা বাংলাদেশ লিমিটেড। সানজিদ হোসাইন, সিইও ডি-লজিক। তাজদিন হাসান, চিপ অপারেশন অফিসার কিরণ, চিপ বিজনেস অফিসার দ্য ডেইলি স্টার।

এছাড়াও মিউজিক সেশন পরিচালনা করবেন, সাদী মোহাম্মাদ শাহ নেওয়াজ এবং অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবেন এক্টর এন্ড ডিরেক্টর শারাফ আহমেদ জীবন ।

;