শাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু



শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ৬ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, 'এ' ও 'বি' দুই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর মধ্যে বি ইউনিটকে বি১ ও বি২ সাব ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে। বি১ সাব ইউনিটে আর্কিটেকচার ছাড়া বিজ্ঞানের সকল বিভাগ এবং বি২ সাব ইউনিটে আর্কিটেকচারসহ বিজ্ঞানের সকল বিভাগের বিষয় থাকবে।

'এ' ইউনিটের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা এবং 'বি' ইউনিটে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

এ ও বি১ ইউনিটে আবেদন ফরমের মূল্য ৮৫০ টাকা এবং বি২ সাব ইউনিটের আবেদন ফরমের মূল্য ৯৫০ টাকা। এ বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউনিট পরিবর্তন করা যাবে। ইউনিট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করতে হবে। admission.sust.edu এই লিংকে গিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

আবেদনের যোগ্যতা

২০১৮-১৯ সালে অনুষ্ঠিত এইচ.এস.সি (সাধারণ ও কারিগরি)/আলিম/ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স/সমমান এবং ২০১৬-১৭ সালে অননুষ্ঠিত এস.এস.সি (সাধারণ ও কারিগরি)/দাখিল বা সমমান  পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এ ইউনিটে আবেদন করার জন্য এইচ.এস.সি/সমমান ও এস.এস.সি/সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৬.৫ থাকতে হবে।

বি ইউনিটে আবেদন করার জন্য এইচ.এস.সি/সমমান ও এস.এস.সি/সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৭.০ থাকতে হবে এবং এইচ.এস.সি/সমমান পরীক্ষায় গণিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ (এ লেভেলের ক্ষেত্রে বি গ্রেড) থাকতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আবেদনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ৫ অক্টোবরের মধ্যে admission.sust.edu ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের কপি মূল্যায়নের জন্য আপলোড করতে হবে।

মূল্যায়নের পর তাদের সার্টিফিকেট ভর্তির যোগ্যতার মানদণ্ডে সঠিক আছে কিনা তা জানানো হবে। যোগ্যতা অর্জনকারী বিদেশে অধ্যয়ন করা দেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিদেশি নাগরিকদের ভর্তির আবেদনের জন্য Score SAT ন্যূনতম ৮০০ থাকতে হবে।

পরীক্ষার সময়সূচী

ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় এ ইউনিট এবং বিকেল আড়াইটায় বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার আবেদনের বিস্তারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.sust.edu ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

   

সহকর্মীদের সম্মাননা প্রদান করলো জবি সাদা দল



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুনভাবে প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত সহকর্মী শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করেছে বিএনপি পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

জবি সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীনের সঞ্চালনায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

জবি সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তর করতে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে নিজ অবস্থান থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এসময় জবি সাদা দলের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামের মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া কহরা হয়। 

;

শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ শেকৃবির ডিনের বিরুদ্ধে



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ

অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

জানা যায়, অনুষদভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম ও ট্যুরের বিষয়ে আলাপচারিতার জন্য ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শ্রেণিকক্ষে যান ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অনুষদের ডিন ড. অশোক কুমার ঘোষ গত ১৩ মে ২১-২২ সেশনের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে বলেন, তোরা কেন যাস আমি জানি না? মেয়েদের ফিগার দেখতে যাস? পাতলা কাপড়ের নিচে ব্রা এর স্ট্রিপ দেখতে যাস?

পরবর্তীতে ১৫ মে ডিনের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে ও ব্যাখ্যা চাইতে সব শিক্ষার্থী তার কাছে গেলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন এবং এসব কথার কোন রেকর্ড আছে কিনা জানতে চান। হুকমি দিয়ে বলেন তোরা কিভাবে পাস করিস দেখে নিব।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় অনুষদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু উক্ত শিক্ষক ও ফ্যাকাল্টিতে তার অনুগত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যার তৈরি করতে পারে আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা আর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যায়নি৷। তবে এ নিয়ে এখনো সমালোচনা চলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ড. অশোক ক্লাসে এসেও মেয়েদের বিষয়ে অশালীন কথা বলেন। বোর্ডে শুধু টপিক লেখেন তারপর এমন কিছু গল্প করেন যা শিক্ষকের কাছে কোন শিক্ষার্থী এমনটা আশা করে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. অশোক কুমার ঘোষ বলেন, মেয়েদের পোশাক নিয়ে যে অভিযোগ, এমন কোনো কথা আমি বলিনি। কেন তারা বানিয়ে বলেছে জানি না। আর ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছে সেক্ষেত্রে আমি ওদের কোনো কোর্স নেই না, কিভাবে আমি ফেল করাবো।

তাছাড়া আমি শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করেছি। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ ধরণের কথা আমি বলার কথা চিন্তাও করতে পারি না। যারা অভিযোগ আনছে তাদের উদ্দেশ্য কি সে বিষয়ে আমি অবগত নই।

;

জাবিতে মাস্টারপ্ল্যান না করে ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহার ছুটিতে গাছ কেটে নির্মাণ কাজ শুরু না করার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দেন ৩ শিক্ষার্থী। এ সময় উপাচার্য তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি জমাদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস বন্ধকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের অফিশিয়াল কাজ বন্ধ থাকে এমনকি অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভা করার অনুমতিও নেই। তাই আমরা বন্ধে গাছ না কাটতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বন্ধে গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমরা সদা তৎপর। যদি প্রশাসন ভবন তৈরির নামে বন্ধ-ক্যাম্পাসে লুকোচুরি করে গাছ কাটার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা দেখায় তাহলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় প্রশাসন তথা মাননীয় উপাচার্যকেই নিতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সারা দেশে ‘হিট ওয়েভ’ এর মতো উচ্চ তাপমাত্রাগত পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড় তাপমাত্রা রাজধানী ঢাকার গড় তাপমাত্রার তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম দেখা গেছে, যা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অস্তিত্বশীল বিশেষ প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যেরই ইতিবাচক অবদান।

স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন একাধিক স্থানে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে যেখানে ভবন নির্মাণ করতে হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ভিদ কর্তন করা হবে, জলাশয় ভরাট ও লেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে যা প্রাণিকুলের বাস্তুসংস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশগত বৈচিত্র্যের জন্যে অমোচনীয় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। আমরা সকলেই অবগত আছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে যা মাস্টারপ্ল্যানকে উপেক্ষা করেই হয়েছে। পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিতি ও বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশকে সচেতন ও প্রস্তুত করার বিদ্যায়তনিক দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনস্বীকার্য ব্যর্থতা।

এছাড়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশগত ক্ষতি এড়িয়ে ভবন নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সকল অংশীজনদের অংশগ্রহণে বিশেষজ্ঞনির্ভর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং ও উন্নয়নকার্যে তার অনুসরণ অপরিহার্য। প্রশাসন এই প্রয়োজন উপলব্ধি করে ইতোমধ্যেই একটি ‘মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করায় আমরা সাধুবাদ জ্ঞাপন করছি। তবে, অংশীজনের মতামত ছাড়াই কমিটি প্ল্যান প্রনয়নরত অবস্থাতেই, অর্থাৎ মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই তড়িঘড়ি করে ভবন নির্মাণ শুরু হলে প্রশাসনের সদিচ্ছা ও দায়িত্বশীলতা ব্যাপক আকারে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় সব অংশীজনের মতামত ছাড়াই ভবন নির্মাণের জায়গা চূড়ান্ত না করে, মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া প্রণয়ন না করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা সমীচীন নয়।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের জন্যে প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণস্থলে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও জীববৈচিত্র্যের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি জলাশয় রয়েছে যা ভবন নির্মাণকার্যের অংশ হিসেবে ভরাট করতে হবে। এই জলাশয়টি ভরাট হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ। জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও আছে। চারুকলা অনুষদকে পুরোনো আলবেরুনী হল বর্ধিতাংশ সংলগ্ন স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যাতে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও অতিথি পাখিদের বিচরণ স্থান হিসেবে পরিচিত একটি জলাশয় রয়েছে। এছাড়াও নানা জাতের গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যে এই স্থানটি সমৃদ্ধ। এখানে ছোটো বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে। স্থানটি পরিযায়ী অতিথি পাখিদের ‘ফ্লাইং জোন’ হিসেবেও স্বীকৃত। ভবন নির্মাণার্থে উক্ত লেকে পরিযায়ী পাখির বিচরণ রুদ্ধ হবে ও উদ্ভিদসমূহ কর্তন করা হলে এই অঞ্চলটি ও সার্বিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। কলা ও মানবিকী অনুষদের অংশীজনদের মতামত ছাড়াই বর্তমান প্রশাসনিক ভবনের পেছনে তাঁদের বর্ধিতাংশ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বর্তমান প্রশাসনিক ভবনকে পূর্নাঙ্গকরণের প্রয়োজনীয় কাজে জটিলতা সৃষ্টি করবে।

সবশেষে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ও ভাবমূর্তিগত স্বার্থ আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে যথাযথ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে তার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনো প্রয়োজনীয় ভবন কিংবা স্থাপনা নির্মিত হোক। আমরা বিনীতভাবে জানাতে চাই যে, মাস্টারপ্ল্যান ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য নষ্ট করে গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলছি এবং আমাদের যৌক্তিক আবেদনের পরেও প্রশাসন যদি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ অনুমোদন করে থাকে তবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের৷

;

জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক

জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

উপমহাদেশের বরেণ্য ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রবর্তন করা হয়েছে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) উপাচার্যের সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদকের ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়।

এই ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোক্তা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। পরে তার এই উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের পরিবার। প্রাথমিকভাবে দাতারা দশ (১০) লক্ষ টাকা প্রদান করে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন।

এই ট্রাস্ট ফান্ডের মূল লক্ষ্য, প্রতিবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে বি. এ. (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে স্নাতকের ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রায় সকলের শিক্ষক তিনি। আগামীকাল ২৪ মে অধ্যাপক মামুনের ৭৩তম জন্মদিন। বরেণ্য এই শিক্ষকের কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ আজ আয়োজন করেছিল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুর্শিদা বিনতে রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক খোদেজা খাতুন। দাতাদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- ফাতেমা মামুন ও অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদেরসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রায় পাঁচ দশক ধরে শিক্ষকতা, ইতিহাস চর্চা ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক। খুলনার গণহত্যা জাদুঘর ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর প্রতিষ্ঠাতা।

;