এডিসের লার্ভা পাওয়ায় সিপিডির নির্মাণাধীন ভবনকে জরিমানা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
নির্মাণাধীন বাড়ি, ছবি: সংগৃহীত

নির্মাণাধীন বাড়ি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু মশার বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তারই অংশ হিসেবে রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ধানমন্ডির ১১নং সড়কে অবস্থিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি)'র নির্মাণাধীন একটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রাবাদ এলাকার মীম নামে আরও একটি ভবনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন।

তিনি বলেন, ‘নগর জুড়ে আমাদের ডেঙ্গু মশার লার্ভা ধ্বংসে অভিযান চলছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে আজ (১৮ আগস্ট) ধানমন্ডি ও শুক্রাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানে ধানমন্ডির ১১ নং সড়কে (নতুন) নির্মাণাধীন সিপিডির ভবনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবনটিতে এডিস মশার প্রচুর লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া ১০৪ নং রোডে অবস্থিত মীম টাওয়ারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ডেঙ্গু মশার লার্ভা বিরোধী আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘ইতোমধ্যে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে ৫৮ হাজার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে অনেক বাড়িতেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তা ধ্বংস করে দেয়াসহ বাড়ির মালিকদের এ বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।’

এছাড়া এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্যগণ এক লাখ ১১ হাজার বাসা বাড়িতে গিয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সেগুলো ধ্বংস করা ও এ বিষয়ে বাড়িওয়ালাদের সতর্ক করা হয়েছে। স্কাউটস সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসকরণের এ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

   

চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২

চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২

  • Font increase
  • Font Decrease

আশুলিয়ায় একটি আঞ্চলিক সড়কে রিকশা-অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলছিল কয়েকজন যুবক। হঠাৎ পুলিশের আগমন। পুলিশের গাড়ি দেখে দৌড় দিলে তাদের পিছু নিয়ে দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চাঁদার টাকাও। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

রোববার (০৫ মে) সকালে আশুলিয়া থানা থেকে আটককৃতদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার (০৪ মে) বিকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার মো. সুমন মিয়া (৩৬) ও ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার মো. সাগর খান (২৭)। তারা আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও গোমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। এ ঘটনায় পলাতক আরও ২ সহযোগী হলেন, মো. ছাগির ও নুরুল দেওয়ান। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মোট ২ হাজার ২ শ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা নরসিংহপুর এলাকায় রিকশা ও অটোরিকশা চালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করত। রিকশা প্রতি তারা ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গেলেই পুলিশ দেখে দৌড় দিয়েছিল চাঁদা আদায়কারীরা। পরে ধাওয়া করে ২ জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছি। চাঁদাবাজির যেকোনো তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরই প্রেক্ষিতে নরসিংহপুর থেকে ২ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের সহযোগীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

;

কর্ণফুলী নদী থেকে অপরিশোধিত ২২ বস্তা চিনিসহ নৌকা জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী নদী থেকে অপরিশোধিত ২২ বস্তা চিনিসহ নৌকা জব্দ

কর্ণফুলী নদী থেকে অপরিশোধিত ২২ বস্তা চিনিসহ নৌকা জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে ২২ বস্তা অপরিশোধিত চোরাই চিনি ভর্তি একটি নৌকা জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই নদীতে লাফ দিয়ে পায়ে যান দুই চোরাকারবারি।

গতকাল শনিবার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা খালের মুখে তাতিয়া পুকুর পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে এসব অপরিশোধিত চিনি জব্দ করা হয়।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাতিয়া পুকুর সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই চোরাকারবারি নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে যান। রাত হওয়ায় তাদের আর ধরা যায়নি।

এসময় তাদের নৌকা থেকে ২২ বস্তা চিনির কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আমদানি করা চিনির কাঁচামাল ভর্তি জাহাজ থেকে এসব র’ চিনি চোরাকারবারিরা চুরি করে পাচার করছিলেন।

;

মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের আশ্রিত গরিব-অসহায় মানুষগুলোকে কষ্ট দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাদকাসক্ত মিল্টন সমাদ্দার। 

যখন মানুষগুলোর অপারেশনের প্রয়োজন হতো, তখন নিজ হাতে ব্লেড দিয়ে তাদের আঙুল কেটে ফেলতো মিল্টন। ব্লেড, ছুরি দিয়ে কাটাছেঁড়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো অমানবিক কষ্ট পেতেন, আর্তনাদ করতেন। এসব দেখে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন। 

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত লোমহর্ষক তথ্য সম্পর্কে জানান ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রোববার (০৫ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ আক্ষেপ করে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের মতো সাইকোপ্যাথিক মানুষ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি যে নির্যাতন করে, ব্লেড ছুরিতে নিজেই অপারেশন করতেন, টর্চার সেলে মানুষকে পেটাতেন, তাদেরকে তিনি বানর বলে অভিহিত করতেন। পিটিয়ে নিস্তেজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, এসব করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। আমরা তার টর্চার সেল থেকে আলামত জব্দ করেছি। কথিত অপারেশন থিয়েটার থেকে ব্লেড,  ছুরি জব্দ করেছি।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার ভয়াবহ অপরাধ করেছেন। একটি দুটি অপরাধ করেননি, তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ তো ভয়াবহ। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার একাউন্টে এখনো ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আছে। এতোগুলো টাকা থাকার পরও তিনি কাউকে চিকিৎসা করাননি। তিনি নিজেই হয়ে গেছেন অপারেশন থিয়েটারের হেড। তার অপারেশন থিয়েটারে থাকতো একটা ছুরি ও কিছু ব্লেড। তিনি এগুলো দিয়েই নিজেই অপারেশন করাতেন। এরকম ভয়াবহ, অমানবিক আচরণ, অসভ্য আচরণ, এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্যই তো লজ্জাজনক। যারা তার সঙ্গে জড়িত, যারা পেট্রনাইজড করেছে, সহযোগিতা করেছে, ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য যারা পেট্রন করেছে, ফাউন্ডেশনের মেম্বার তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

হারুন বলেন, যে ছেলেটা সেই উজিরপুর থেকে বাবাকে পিটিয়ে ঢাকায় এসে ঔষধের দোকানে চুরি করেছেন, এরপর একটা আশ্রম গড়ে তোলেছেন। যেখানে সে অসহায়, গরীব শিশু, বৃদ্ধ, প্যারালাইজড, বাকপ্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে সংগ্রহ করে আশ্রমে নিতেন। তাদের দেখিয়ে তিনি ফেইসবুকে ফলোয়ারের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেন। সেই টাকা আবার তিনি খরচা করতেন না।

তার আশ্রমে ৯০০ লোক মারা গেছে বলে নিজেই প্রচার করতেন উল্লেখ করে হারুন বলেন, মানুষগুলো মারা গেছেন। জানাজা হলো না, রাতের অন্ধকারে কবর দেয়া হলো, আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হলো না, মিথ্যেভাবে সিল স্বাক্ষর দিয়ে নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট দিলেন, পরেও স্বজনদের জানালেন না, এসবই আমাদের তদন্তে আসবে।

যেসব শিশু তার আশ্রমে ছিল, তাদের খোঁজ পাবার পর দেখা করতে দেয়া হতো না স্বজনদের। ওই শিশুদের ক্ষেত্রে আসলে কী ঘটেছিল? বিক্রি করতো? কিছু পেয়েছেন আপনারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে হারুন বলেন, একটু ধৈর্য ধরেন সবই বেরিয়ে আসবে। এরকম আরও যেসব মিল্টন সমাদ্দার বাংলাদেশে যদি আরও থেকে থাকে, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা নামে এ ধরনের অপকর্ম করে থাকে তাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেই বলেছেন, ৯০০ লোকের প্রাণ নিভে গেলো! কীভাবে নিভে গেলো? তিনি তো তাদের হাসপাতালে নেননি, ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি, থানা পুলিশকে অবহিত করেননি। আবার ৯০০ লোকের প্রাণ যাবার যে কথা তিনি বলেছেন, সেটা আদৌ সত্য কিনা, নাকি এটা টাকা ইনকামের একটা কথার কথা! সত্য হলে কি করেছেন। সব তদন্তে নিয়ে আসবো। এই আশ্রমের সঙ্গে আরও যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

হারুন বলেন, অটিজম শিশুদের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাতনী প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের (ডব্লিউএইচওএসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বৈশ্বিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। আর সেই দেশে অটিজমের নাম ধারণ করে অসহায়, বাক প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন মানুষ সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রচার করে ফলোয়ারদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে তিনি সেই টাকা খরচা করেননি। এটা তো লজ্জাজনক।

তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন। আমরা তো সেখানে যাতায়াত করা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, মিল্টন সমাদ্দার তার সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন, যা তিনি জানতেন না। মিল্টন সমাদ্দার নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তিনি নাকি মানবতার ফেরিওয়ালা। এসব অপকর্ম করে কীভাবে একজন মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হয়?

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা সিটি করপোরেশনের মৃত সনদ জাল কারার অভিযোগের মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।

রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে স্থানীয়রা। গ্রেফতারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।

;

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) রাতে ঘাটাইল উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় বজ্রপাতের সময় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার ঝাইকা রাস্তার নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওয়াজেদ আলী খান ঘাটাইল সদর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের মৃত সোনা খানের ছেলে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানান, ওয়াজেদ আলী একটি হোটেলের বাবুর্চি ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে হোটেলের কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আকাশে ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১টায় বজ্রপাতের এক পর্যায়ে ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। রোববার সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তার নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে ঝলসে গেছে। নিহতের পরিবার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে।

;