কাঁচা চামড়ার পাইকারি দামে লোকসানের শঙ্কা খুচরা ব্যবসায়ীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
চামড়া নিয়ে ব্যস্ত শ্রমিকরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চামড়া নিয়ে ব্যস্ত শ্রমিকরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শত শত চামড়া বোঝাই পিকআপ, ছোট ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে রাজধানীর সড়ক জুড়ে। রাস্তায় চামড়ার স্তূপ, ফুটপাতে চামড়া স্তূপ। কাঁচা চামড়ার কটু গন্ধে যেন নিঃশ্বাস নেওয়াটাই দায়। শত শত শ্রমিক কাজ করছেণ চামড়াগুলো নিয়ে। সারাদিনের সংগ্রহ করা চামড়াগুলো থেকে কেউ ঝুলে থাকা মাংস ছাড়াতে ব্যস্ত, কেউ ব্যস্ত ছেড়া, ফাটা চামড়াগুলোকে আলাদা করতে, কারো ব্যস্ততা চামড়া ট্রাকে তুলতে। বাতাসে ভেসে আসা কটুগন্ধে রাস্তার দু'পাশের বেশিরভাগ দোকানপাট, বাসাবাড়ির দরজা জানালা ছিল বন্ধ। এরই মধ্যেও চলছিল চামড়া কেনাবেচা।

রোববার (১২ আগস্ট) রাত ৯টায় এই চিত্র দেখা যায় পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রবেশের তিন রাস্তার মোড়ে। এখান থেকে চামড়াগুলো পাইকারি দরে ক্রয় করে সেগুলো আড়তদারের কাছে বিক্রি করা হচ্ছিল। বিক্রিত চামড়া কিনে নেওয়া হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁচা চামড়ার আড়ৎ পুরান ঢাকার পোস্তায়।

তবে কাঁচা চামড়ার দামে হতাশ খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, ট্যানারি মালিক ও আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে রাখে, কিংবা বন্ধ রাখে। তাই কাঁচা চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। অনেকটা বাধ্য হয়েই চামড়া বিক্রি করতে হয় তখন। চামড়ার পাইকারি বিক্রিতে লাভের মুখ দেখা নিয়ে শঙ্কা আছে তাদের মধ্যে।

কাঁচা চামড়ার পাইকারি দামে লোকসানের শঙ্কা খুচরা ব্যবসায়ীদের

এবারের ইদুল আজহায় গরুর কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকায় নির্ধারণ করা ছিল প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সারাদেশে খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা।

কিন্তু সরকারের বেঁধে দেওয়া সে দামে গরুর মালিকের থেকে চামড়া কেনেননি খুচরা ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মৌসুমি খুচরা ব্যবসায়ীরা ৮০ হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম দিচ্ছেন ২০০-৩০০ টাকারও কম। এক লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকায়। একেকটি খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়, ভেড়ার চামড়া ১৫ টাকায়। যেটি গত কয়েক দশকের মধ্যে নজিরবিহীন। আর সেকারণে অনেকেই চামড়ার দাম না থাকায় সেটি মসজিদ কিংবা এতিমখানায় কাঁচা চামড়া দান করে দিয়েছেন।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সড়কে কথা হয় চামড়ার খুচরা ব্যবসায়ী কলিমুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া এখানে এনে স্তূপ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা। এই স্তূপ থেকে আড়ৎদার ও পাইকারেরা কাঁচা চামড়া কিনে আড়তে নিয়ে যায়। সেখানেই তারা লবণ লাগিয়ে চামড়া ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করে।'

মোহাম্মদ ফারুক নামের একজন ব্যবসায়ী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এবারে মাঝারি আকারের গরুর চামড়া বেশি, বড় গরুর চামড়া কম। চামড়ার দাম কম থাকায় তারা ভালো কোয়ালিটির চামড়াও ২০০ থেকে ২৫০ টাকার বেশি দিয়ে কিনতে পারেননি। কিন্তু সেই চামড়া নিয়েও এবার বিপদে পড়তে হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'বাড়ি বাড়ি ঘুরে আমি ১০০টা চামড়া কিনেছিলাম। সেই ১০০ চামড়ার দাম আড়তদারেরা ১৫ হাজার টাকা দাম বলে। এখানেই ৫ হাজার টাকা ক্যাশ ঘাটতি আছে।'

একই কথা জানালেন খুচরা ব্যবসায়ী মানিক। তার মতে, খুচরা ব্যবসায়ীদের থেকে ট্যানারি মালিকরা সরাসরি চামড়া কিনেন না। তাই বাধ্য হয়ে আড়ৎদারের কাছে চামড়া বিক্রি করতে হয়। আর সে সুযোগে আড়ৎদার ও ট্যানারি মালিক সিন্ডিকেট করে খুচরা ব্যবসায়ীদের ঠকায়।

তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন আড়তদারেরা। পোস্তায় আহমদ অ্যান্ড কোং আড়তের মালিক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, 'বিগত তিন চার বছর ধরেই বিশ্ববাজারে চামড়ার চাহিদা কম। এবার সেটি আরও বেশি। তাই চামড়া ব্যবসাটাই হুমকির মুখে আছে। আমরা নিজেরা দাম না পেলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কীভাবে দাম দেব।'

   

মে মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেভাগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারে। আরব আমিরাতে অবস্থান করা জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। দেশে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। তবে চট্টগ্রামে ফিরতে তাঁদের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিও সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে ২১ এপ্রিল বিকেলে। সেখানে কয়লা খালাস শেষে নতুন করে পণ্য নিতে মিনা সাকারে যাচ্ছে জাহাজটি। এরপরই অপেক্ষা ফুরাবে নাবিক ও তাঁদের পরিবারের। স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন নাবিকেরা।

;

বনানীতে বাসে আগুন, আহত সেই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাসের নিচে ঢুকে পরা মোটরসাইকেলটির চালক মারা গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শ্যামলির স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

শনিবার দুপুরে বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পরায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এ সময় আতহ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে আহত মোটরসাইকেল চালকের সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায়  এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লা (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদ্রাসার পাশে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (২৭এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোমান মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রাজু বলেছেন, আজ রাতের দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় ওই আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ রোববার (২৮ এপ্রিল)। ১৯৫৪ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ জামাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন।

সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী শেখ জামাল গিটার শেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তিনি একজন ভালো ক্রিকেটারও ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস, বিএলএফ) যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঐ দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন শেখ জামাল।

শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

;