বৃষ্টি ও অবরোধে বাড্ডায় চরম ভোগান্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বাড্ডায় রিকশাচালকদের অবরোধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাড্ডায় রিকশাচালকদের অবরোধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়ক থেকে রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন রিকশা চালকরা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। অবরোধ ও বৃষ্টি মিলে রাজধানীর বাড্ডা রোডে চলাচলরত যাত্রীদের এখন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা অবরোধের ফলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরা পর্যন্ত সকাল ৮ থেকে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দিয়ে দিচ্ছেন এ পথে চলাচলকারীরা। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বৃষ্টি ও অবরোধে বাড্ডায় চরম ভোগান্তি

এ বিষয়ে ষাটোর্ধ্ব মো. সিদ্দিকুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'কুড়িল থেকে হাঁটতে হাঁটতে উত্তর বাড্ডা এসেছি। মাঝ পথে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, যাব মালিবাগ। আর হাঁটতে পারছি না, রাস্তাও ফুরাচ্ছে না। আন্দোলন ও বৃষ্টিতে রাস্তায় অনেক কষ্ট হচ্ছে আমাদের।'

জাহানারা বেগম নামে আরেক যাত্রী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'উত্তরা থেকে কোনো গাড়ি চলছে না। মতিঝিল যাব কিন্তু শুনতেছি সম্পূর্ণ রাস্তায় নাকি গাড়ি চলছে না। এই বৃষ্টির মধ্যে কতক্ষণ হাঁটা যায়। আমরা চাই, সরকার দ্রুত তাদের দাবি মেনে নিক, যাতে করে আমরা ভোগান্তি থেকে বাঁচতে পারি।'

এদিকে রাস্তা অবরোধের বিষয়ে রিকশা চালকরা বলছেন, 'আমরা দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে যাব না। রাস্তা ছেড়ে আমরা যাব কোথায়। আমাদেরকে কাজ দেবে, আমরা কী করে খাব? দাবি না মানলে আমরা রাস্তায় মরে যাব, তার পরেও রাস্তা ছাড়ব না।'

   

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে)।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধান অনুযায়ী গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

;

কেএনএফ'র আরও এক নারী সদস্য কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
কেএনএফ'র আরও এক নারী সদস্য কারাগারে

কেএনএফ'র আরও এক নারী সদস্য কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ'র সদস্য সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেসি জিংরিনহ পার বম (২০) নামে এক নারী সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১ মে) দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নাজমুল হোসাইনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃত নারী আসামি জেসি জিংরিনহ পার বমের বাড়ী বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন এই নারী আসামিকে আটক করে। আজ বুধবার (১ মে) দুপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়।

বান্দরবান আদালতের পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ পর্যন্ত মোট ৮০ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ীর চালকসহ মোট ৮১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন নারী রয়েছেন।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমাতে পাঁচটি ও থানচিতে চারটি মোট ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

৪২.৮ ডিগ্রিতে পুড়ছে যশোর, নাকাল জনজীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১ মে) এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরআগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহাওয়া কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দীর্ঘ তাপ্রপ্রবাহে বিপর্যস্ত এ জেলার মানুষ। অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল। সারা দিন রোদ আর প্রচণ্ড গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনেও। এদিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে জেলাতে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। শহরাঞ্চলে তেমন লোডশেডিং না হলেও গ্রামে রাত-দিন মিলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।

অতিরিক্ত গরমে পোল্টি শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। খরা ও তাপে আম, লিচুর মুকুল ঝরে যাচ্ছে বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগের দাবি। তাপের কারণে বৃদ্ধিও কম হবে বলে কৃষকের আশঙ্কা।

তাছাড়া সবজির বিকাশেও ক্ষতি হচ্ছে। চাষিদের যেমন কষ্ট হচ্ছে তেমনি শুষ্কতায় সবজির বৃদ্ধিও ক্ষতি হচ্ছে।

;

পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি নারীদের 

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি নারীদের 

পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি নারীদের 

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরুষদের সমান সারাদিন মাঠে রোদে পুড়ে কাজ করি। ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজ শেষ করে এখানে কাজে আসতে হয়। স্বামী দুই বছর আগে মারা গেছে, এখন অভাবের সংসারে দুই মেয়ে নিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও ২৫০ টাকা মজুরি পেয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে— এভাবেই বলছিলেন ইটভাটার শ্রমিক খাদিজা বেগম।

খাদিজা বেগম নীলফামারী সদরের কচুকাটা বন্দরপাড়ার মৃত আজগার আলীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। 

খাদিজা বেগমের পরিশ্রমে দুই মেয়ে ও তার মুখে দুমুঠো ভাত উঠে। পুরুষের সমান কাজ করেও অর্ধেক মজুরি পান তিনি। বর্তমান সমাজে নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি-বেসরকারিভাবে সভাসেমিনার করা হলেও পাঠ পর্যায়ে নেই এর প্রতিফলন। কর্মক্ষেত্রে নারীদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের নেই কোন পদক্ষেপ। তবে দেশের শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নারীর পদচারণা রয়েছে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে নারীর হাতের ছোঁয়ায় কৃষিতে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা যায়, নারীরা পুরুষের মতই ফসলের পরিচর্যা, তামাকের মিল কাজ, ধানের চারা রোপণ, মাটি কাটা, সড়ক সংস্কারের কাজ করেন। পুরুষের সাথে সমানতালে কাজ করলেও বেতন পান অর্ধেক। পুরুষেরা দিন শেষে পেয়ে থাকেন ৫০০ টাকা, আর নারীরা ২৫০ টাকা। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করেও বেতন বৈষম্যের শিকার তারা।


জেলা শ্রমিক উন্নয়ন সংগঠনের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় দশ হাজার নারী বাসা-বাড়ি, কৃষি, হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে কৃষি ও হোটেল বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা নারীরা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। 

এ-বিষয়ে খাদিজা বেগম আরও বলেন, অভাবের সংসারে অর্ধেক বেতন, খুব কষ্টে আছি । আমার মত অনেক নারীই পুরুষের সমান কাজ করেও অর্ধেক মজুরি পায়। আমরা পুরুষদের সাথে সমান তালে কাজ করি তবুও আমাদের বেতন কম দেওয়া হয়। সমান বেতন হলে ভালোই সংসার চলত।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা রহিমা বেগম বলেন, আমাদের ছুটি নেই। কাজে না এলে মজুরি নেই। বাজার, কেনাকাটা, থাকা, সব নিজেদের। কিছু সময় শরীরের অবস্থা এত নাজুক থাকে যে বাকি সময় অন্য কোনও কাজ করার ক্ষমতা থাকে না। এ কাজ করে কোনোমতে সংসার চলে।

নীলফামারী জেলা শ্রমিক উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম বলেন, নারী-পুরুষ একসাথে কাজ করে, তবু মালিকরা তাদের কম মজুরি দেয়। আমরা বিভিন্ন সময়ে সভায় তাদের সমান মজুরি দেওয়ার দাবি করি। নারী পুরুষের সমান মজুরি দিতে আমরা আগামীতে বিভিন্ন কোম্পানির মালিকদের সাথে বসব৷

নীলফামারী জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, সরকারি কাজ টিআর, কাবিখা, কর্মসৃজনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে নারী পুরুষের সমান মজুরি দেওয়া হয়। বেসরকারি ও মালিকানাধীন কাজেও নারী পুরুষের সমান মজুরি এবং বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করছি।

;