ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার নলেজেই শপথ নিয়েছি: মনসুর



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার নলেজেই এটা করেছি।

শপথবাক্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঐক্যফ্রন্টের অন্যরা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা তা নেবেন। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার নলেজেই এটা করেছি।

সুলতান মনসুর বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতিকূল অবস্থার মুখেও আমার সংসদীয় এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। জনগণের সহযোগিতা ছিল বলেই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। দীর্ঘ ১৮ বছর পর আমি এই সংসদ এলাকায় আসলাম। আগেও ১৯৯৬ সালে আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। এই ১৮ বছরে দেশের রাজনীতির সামাজিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এমপি হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে- আমার সংসদীয় এলাকার জনগণের পক্ষে কথা বলা। সংসদ নির্বাচনে যখন অংশগ্রহণ করেছি স্বাভাবিক কারণেই সংসদে এসে কথা বলা বা সংসদে যোগদান করা হচ্ছে প্রথম কাজ।

তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির শিক্ষাগুরু হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি যা ওয়াদা করতেন, তিনি তা রক্ষা করতেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী কর্মী। কাজেই সেই আদর্শের কর্মী হিসেবে আমি ৩০ ডিসেম্বরের পর জনসন্মুখে গণমাধ্যমে যা বলেছি, তাই কার্যকর করেছি এবং আজকে সেটা বাস্তবায়নের প্রথমিক পদক্ষেপ।

এক সঙ্গে চিঠি দিয়েও মোকাব্বির খান শপথ নেননি, আপনি নিয়েছেন; এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সুলতান মনসুর বলেন, আমি ৩ তারিখে চিঠি স্পিকারকে দিয়েছিলাম। মোকাব্বির কত তারিখে দিয়েছিলেন, সেটা তিনি বলতে পারবেন। আমি জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ছিলাম। আমি ঐক্যফ্রন্টের স্টেয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলাম। সেই সদস্য হিসেবেই আমি স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলাম।

ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি অবশ্যই সরকারি দলের প্রতিনিধিত্ব করছি না। আমি ধানের শীষ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছি। অনেকেই জানেন না, এই ধানের শীষ বা ধানের ছড়া এক সময় ছিল মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাপের মার্কা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এটি হয়েছে বিএনপির মার্কা। বর্তমানে ২০১৯ সালে এসে এই ধানের ছড়া মার্কা বা ধানের শীষ মার্কা হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মার্কা। আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একজন নীতি নির্ধারক হিসেবে আমি সেই ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করেছি, তবে অবশ্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিএনপি একটি বড় দল, এটা স্বীকার করতেই হবে।

দল থেকে বহিষ্কার বা অন্যান্য ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা অবশ্যই, দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকুন আমার ভূমিকার অপেক্ষায়ও থাকুন। স্পিকার ৭০ অনুচ্ছেদ মেনেই শপথ পাঠ করিয়েছেন, আমিও একজন সাবেক এবং বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাখা জানি।

নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা গণশুনানিতে অংশ নিয়েছেন তাদের এলাকায় হয়তো সেরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন পঞ্চগড়ে কী হয়েছে, সেটা তো বলতে পারব না। দিনাজপুরে কী হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ২৯২টি আসনে পরাজিত হয়েছে। আমাদের আটজন ছাড়া ওই ২৯২টি আসনে ২৯২ জন লোক নিয়েও একটা মিছিল কেউ করতে পারে নাই, করেন নাই। নির্বাচনে যদি গণভিত্তিক, সাংগঠনিক ভিত্তি মানুষকে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হতো, তাহলে আমাদের আটজনের মত হয়তো বা ফল হতে পারত।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী বাকি সাতজনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি চাইব, তাদের যে বক্তব্য বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে বক্তব্য, সেটা সংসদের ভেতরে বাইরে দুই জায়গাতেই কথা উঠতে পারে, আওয়াজ হতে পারে। তখন দেশের জনগণ জানবে। তাদের আহবান জানাব, শপথ নিয়ে সংসদের ভেতরে বাইরে জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলেন।

সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। শপথের পর কোথাও শ্রদ্ধা জানাবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন, দেখুন কোথায় যাই।

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন সুলতান মনসুর

আরও পড়ুন: মনসুরের ব্যাপারে গণফোরামের সিদ্ধান্ত বিকালে

   

বনানীতে বাসে আগুন, আহত সেই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাসের নিচে ঢুকে পরা মোটরসাইকেলটির চালক মারা গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শ্যামলির স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

শনিবার দুপুরে বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পরায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এ সময় আতহ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে আহত মোটরসাইকেল চালকের সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায়  এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লা (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদ্রাসার পাশে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (২৭এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোমান মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রাজু বলেছেন, আজ রাতের দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় ওই আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ রোববার (২৮ এপ্রিল)। ১৯৫৪ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ জামাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন।

সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী শেখ জামাল গিটার শেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তিনি একজন ভালো ক্রিকেটারও ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস, বিএলএফ) যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঐ দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন শেখ জামাল।

শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

;

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ট্রেনিং নিয়ে ফেরার পথে গুলিসহ ২ রোহিঙ্গাে আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মায়ানমার সেনাবাহিনীর ১৭ রাউন্ড জিথ্রি রাইফেলের বুলেটসহ ২ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কক্সবাজার -টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া এলাকায় তাদের আটক করা হয়।

মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আটক হওয়া দুই যুবক। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম।

আটককৃতরা মায়ানমারের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-ই-৩১৪ এর মো. ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯) ও নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্লাষ্টার-৬৫, রুম নং- জে-১২৩ এর আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ার মোস্তফা (১৮)।

অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম জানান, টেকনাফ-কক্সবাজারমুখী পায়রা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি করছিল হোয়াইক্যং থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে যাত্রীর আসনে থাকা দুজন যুবককে সন্দেহজনক মনে হলে তাদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় কেফায়েত উল্লাহর কোমরে বাঁধা কালো রংয়ের ব্যাগ থেকে গুলি গুলো জব্দ করা হয়। পরে অবৈধ বুলেট রাখায় ওই রোহিঙ্গা যাত্রী ও তার সহযাত্রী আনোয়ার মোস্তফাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে বহন করছিল। আসামিরা আরো জানায়, এ বছরের ১৯ এপ্রিল তারা দালালের মাধ্যমে মায়ানমারের মংডু জেলায় মায়ানমার সেনাবাহিনীর বুচিডং ক্যাম্পে যায়। সেখানে মায়ানমার সেনাবাহিনী তাদেরকে জি-থ্রি রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মায়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ৭ দিন থাকার পর অতিরিক্ত গরম ও খাদ্য কষ্টে সেখান থেকে আজ মায়ানমার সীমান্ত পার হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।

;