পাশ্চাত্য ও দেশীয় স্বাদের মিশ্রণে খাইরুলের ‘ডার্ক বার্গ’



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
মাহমুদ খাইরুল ও তার প্রতিষ্ঠান ডার্ক বার্গ

মাহমুদ খাইরুল ও তার প্রতিষ্ঠান ডার্ক বার্গ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘুরেছেন ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন দেশে। পড়ালেখা ও চাকরির সুবাদে দেশের বাইরে ছিলেন টানা নয় বছর। এরপর দেশে ফিরে আসা ও চাকরিতে যোগদান করা। পেশায় তিনি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার, অ্যানিমেশন আর্টিস্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিষ্ট। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই চলছিল সবকিছু। কিন্তু বাধ সাধে নিজের ও নিজস্ব কিছু করার প্রবল ইচ্ছা।

খেতে বরাবরই ভালোবাসেন তিনি। দারুণ ভোজনরসিক মাহমুদ খাইরুল বিভিন্ন দেশে ঘুরে নানান ধরনের খাবারের স্বাদ আস্বাদন করেছেন। খাবারের মাঝে স্বাদের তারতম্য ও বৈচিত্র খুঁজে বেরিয়েছেন।

দেশের একদম ছোট থেকে শুরু করে সুপরিচিত প্রায় প্রতিটি বার্গার শপে ঘুরে ঘুরে বার্গার খেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন- দোকান ভিন্ন হলেও, বার্গার তৈরি ও বার্গারের স্বাদের ভিন্নতা ও পার্থক্য খুবই কম। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা ও নিজের প্যাশন থেকে সম্প্রতি তিনি চালু করেছেন বার্গার শপ ‘ডার্ক বার্গ’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/15/1565863598103.jpg

দোকানের এমন নামকরণের পেছনের কারণটি হলো, ডার্ক বার্গের প্রতিটি বার্গার বান নিজেদের তৈরি। মালয়েশিয়ান রেসিপিতে কোকোয়া পাউডার ব্যবহারে তৈরি করা এই বানগুলোর বর্ণের সাথে মিল রেখেই দোকানের নাম হয়েছে ডার্ক বার্গ। শুধু বার্গারের কালো রঙ নয়, প্রতিটি বার্গারের নামেও রয়েছে টুইস্ট। বার্গারের এই নামগুলোও তারই রাখা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/15/1565863651358.jpg

অন্যান্য বার্গার শপ থেকে ডার্ক বার্গে ব্যতিক্রম ও নতুন কী পাওয়া যাবে, বার্তাটোয়েন্টিফোরের এমন প্রশ্নের মুখে খাইরুল চটপট উত্তর দিলেন, ‘আমরা সাধারণত যে সব বার্গার খাই, প্রায় সব বার্গারের স্বাদ একই, একই ঘরানার সসের ব্যবহার, ভিন্নতা নেই বললেই চলে। একেবারে নতুন স্বাদ আনতে ডার্ক বার্গের বার্গারে ব্যবহার করা হয়েছে পিনাট বাটার, বাদাম, কিশমিশের সস, পেস্তা ও বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পনির। বার্গারে সাধারণত একই ধরনের পনির ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমাদের বার্গারে বেশ কয়েক প্রকারের ভিন্ন ভিন্ন পনির পাওয়া যাবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/15/1565863671392.jpg

‘রিইন্ট্রডিউসিং বার্গারস ইন বাংলাদেশ’ থিমকে সামনে রেখে ডার্ক বার্গের মেন্যু তৈরি করা হয়েছে। যেখানে পাশ্চাত্যের স্বাদের সাথে দেশীয় ঝাল আমেজের মিশ্রণে বার্গারের স্বাদ তৈরি করা হয়েছে। ডার্ক বার্গের প্রতিষ্ঠাতা খাইরুল আরও জানালেন, বার্গারের মান, ফ্রেশনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েই প্রতিটি বার্গার তৈরি করা হয়। বার্গার তৈরির বিভিন্ন উপাদান নিজ হাতেই বাজার করেন তিনি। মানের বিষয়ে কোন ছাড় নেই একদম।

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/15/1565863874723.jpg

চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা, তাও আবার বার্গার শপ দেওয়া, এমন সিদ্ধান্তে পরিবারের সমর্থন পেয়েছিলেন? এ প্রশ্নের মুখে কিছুক্ষণ চুপ থেকে জানালেন, স্বাভাবিকভাবেই প্রথম দিকে খুব একটা সমর্থন পাননি পরিবারের মানুষের কাছ থেকে। কেউই বিষয়টি মানতে প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু যখন দেখলেন এ কাজে তিনি খুব খুশি, বার্গার শপ চালু হওয়ার পর থেকে বেশ ভালো ক্রেতা সমাগম হচ্ছে, এখন পরিবারের সবাই খুশি, সাথে তার এ কাজে সমর্থনও দিচ্ছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/15/1565863889618.jpg

পরিবারের সমর্থনের কথায় ও গল্পে খাইরুল আরও বললেন, ‘শেফকে সাহায্য করার জন্য আমিও কাজ করি। বার্গার তৈরিতে সাহায্য করি, দোকানের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করি। এ সকল কাজ দেখে অনেকেই বলে- দেশের বাইরে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে এসে এখন এসব করছে! অথচ বাইরে একা থাকাকালীন সময়ে চাকরির পাশাপাশি নিজের রান্না করা, ঘর গোছানো একা হাতেই করতাম। তাই এখন এই কাজগুলো করাতে আমার কোন সমস্যাই হয় না। বলা যায় আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/15/1565863905351.jpg

সদ্য চালু হওয়া ডার্ক বার্গে পাওয়া যাবে আট ধরনের বার্গার, ওয়েজেস, কয়েক ধরনের মিল্ক শেইক। সামনে পরিকল্পনাও রয়েছে গ্রিল স্যান্ডউইচ আনার। সর্বনিম্ন ১৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৮০ টাকার মাঝেই পাওয়া যাবে বেসিক বয়, ফ্যাটি হাবি, স্যাশি গার্ল কিংবা কিউটি পাই নামের এই বার্গারগুলো। আর ব্যতিক্রমী এই বার্গারগুলোর স্বাদ নিতে চাইলে চলে যেতে হবে মিরপুর ডিওএইসএসের দারুচিনি ফুড কোর্টে বিকাল তিনটা থেকে রাত ১০টার মধ্যে। অবশ্য ছুটির দিনে দুপুর ১২টার সময় থেকেই খোলা থাকবে ডার্ক বার্গ।

আরও পড়ুন: খাবারের স্বাদে পরিপূর্ণতা আনবে ‘পূর্ণতা’

আরও পড়ুন: ফ্ল্যাগশিপ রেস্টুরেন্ট ও অ্যাপ নিয়ে পেয়ালার তৃতীয় শাখা

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;