বাংলাদেশে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে ১০ গডফাদার
বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসা মূলত ১০ জন মাফিয়া বা গডফাদার নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানতে পেরেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের এক শিল্পপতিও আছে। এছাড়া অন্যরাও ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ওই গডফাদারদের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পেরেছে, তাদের সঙ্গে আবদুল রহিম নামে একজন রোহিঙ্গা আছে। যিনি মিয়ানমারের নাগরিক। মূলত তার কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে আসতো টেকনাফের সাইফুল করিম, তার ভাই মাহবুবুল করিম, রেজাউল করিম মুন্না ও রাশেদ করিম। এছাড়াও ওই চক্রে রয়েছে জুবায়ের ওরফে রিদুয়ান, কামরুল হাসানসহ আরো ৪ জন। যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মঈনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমরা ইয়াবা পাচার চক্রের আসল গডফাদারদের বিষয়ে জানতে পেরেছি। যারা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচার করে আসছে। সুতরাং এবার তাদের গ্রেফতার করা গেলে দেশে ইয়াবা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগে যারা ইয়াবাসহ ধরা পড়তো তারা মূলত মধ্যস্বত্ত্বভোগী, মূল ব্যবসায়ী না। ব্যবসায়ীরা থাকতো ধরা ছোয়ার বাইরে। আমরা বাংলাদেশে মূল ১০ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম জানতে পেরেছি। যারা ইয়াবা ব্যবসা করে শিল্পপতি হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।’
ইতোমধ্যে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর গাড়ির ড্রাইভারকে আমরা আটক করেছি বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে চট্টগ্রামের হালি শহর এলাকা থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু মূল হোতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে ওই ইয়াবা চালানের গডফাদার রেদুয়ান ওরফে জুবায়েরকে (৫৫) গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। সে মালয়েশিয়া পালাতে চেয়েছিল। ৮ নভেম্বর বিকেলে ওই আসামিকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
চট্টগ্রামে ডিবির কার্যালয়ে উপ-কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন জানান, ইয়াবা পাচারের আর্ন্তজাতিক চক্রকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। যারা ফ্লাইটের মাধ্যমেও বিদেশে ইয়াবা পাচার করতো। তারা শিল্পপতি হিসেবে এলাকায় পরিচিত।