জেতার বিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তামিম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
তামিম ইকবাল, ছবি: সংগৃহীত

তামিম ইকবাল, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শুরু হচ্ছে আরেকটি হিসেব গোনা- কে ফেভারিট? এই প্রশ্নে আপাতত কোনো ক্রিকেট পণ্ডিত বাংলাদেশের নাম রাখেননি। তবে কে বাংলাদেশকে ফেভারিট বললো আর কে বললো না-তা নিয়ে বিতর্কে যেতে রাজি নন তামিম ইকবাল। নিজের বিশ্বাসটা নিজের কাছেই তার। সেই বিশ্বাস নিয়েই তামিম বললেন- ‘দেখুন এই বিশ্বকাপে ১০টা দল খেলছে। কোনো দলই কিন্তু স্রেফ অংশগ্রহণ করার জন্যই খেলছে না সবাই যাচ্ছে জেতার জন্য। আমরাও যাচ্ছি জেতার জন্যই।’

জেতার বিশ্বাসটা যদি নিজের মধ্যেই না থাকে তবে জিতবো কেমন করে? তাই বাংলাদেশ দলকে নিয়ে অন্যরা কে কি হিসেব করলো সেটা গোনায় না ধরে নিজের আস্থা নিয়েই সামনে বাড়তে চান তামিম- ‘আমি যদি বলি যে শুধু অংশগ্রহণ করার জন্য যাচ্ছি তাহলে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। আমরা পারি বা না পারি, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা জিততে পারি। এই বিশ্বাস নিয়েই আমাদের যেতে হবে।’

মঙ্গলবার নির্বাচকরা যখন বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে আসছিলেন তামিম ইকবাল তখন মিরপুরের সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলনে ব্যস্ত। শেষের দিকে ধুমধাম কিছু ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্রাম নিতে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন। বাউন্ডারি লাইনের কাছে এসে গ্লাভস-প্যাড খুলে রাখছিলেন।

-তামিম কংগ্রাচুলেসন!

নাটুকে ভঙ্গিতে চমকে উঠে তামিমের স্বস্তি- ‘দলে আছি তাহলে আমি!’ মুখে দুষ্টামির হাসি নিয়ে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা দিলেন।

বুধবার আরেকবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তামিম। এবার গল্পের সময়টা আরও বাড়লো।

-কেমন হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল?

এই প্রশ্নে নির্বাচকদের হয়েই ব্যাট করলেন তামিম- ‘ আমার মনে হয় যেই স্কোয়াডই দেয়া হোক না কেন, যেই খেলোয়াড়কে নেয়া হোক বা কেন, সবারই কিছু না কিছু যদি-কিন্তু থাকবেই। কিছু পছন্দ-অপছন্দ তো থাকবেই। এটাই নিয়ম। আমার মনে হয় এখন দলে কে থাকা উচিত ছিল বা কে থাকলে ভালো হতো, এই আলোচনা না করে যেই ১৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে তাদের পুরোপুরি সমর্থন করা। অমুকের জায়গায় অমুক থাকলো ভালো হতো, এমনসব প্রশ্ন এখন তুললে, যারা সুযোগ পেয়েছে তারা মন ছোট করবে। আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি বিশ্বকাপের জন্য। এখন আমাদের সবার উচিত হবে পুরো দলের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা।’

২০০৭ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছেন তামিম ইকবাল। এটি হতে যাচ্ছে তার চতুর্থ বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের মাঠেই তামিম ইকবালকে প্রথম চিনেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ভারতের বিরুদ্ধে তার সেই মারকুটো হাফসেঞ্চুরিতেই ঘোষিত হয়েছিলো নতুন এক তারকার জন্ম কাহিনী। সেদিনের তরুণ তামিম ইকবাল এখন পরিণত এক ক্রিকেটার। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই জানালেন-‘আমি কখনো টার্গেট সেট করতে পছন্দ করি না। আমার লক্ষ্য একটাই দলের চাহিদা মেটানো। দল আমার কাছ থেকে যা চায় সেটা যেন পুরো করতে পারি।’

তামিম আপনার কাছ থেকে দল একটা জিনিষই চায়-জয়!

   

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;