জাপাতেও গ্রুপিং আছে: জিএম কাদের

বিবিধ, রাজনীতি

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 07:47:50

বড় সব দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থেকেই গ্রুপিং তৈরি হয়। জাতীয় পার্টিতেও (জাপা) গ্রপিং রয়েছে। কিন্তু গ্রুপিংয়ের সেই শেকড় খুব গভীরে নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি তাকে জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং পার্টির ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয় জিএম কাদেরকে। কিন্তু ২২ মার্চ হঠাৎ করেই তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর উত্তরের নেতাদের আন্দোলনের মুখে ১৫ দিনের ব্যবধানে জিএম কাদেরকে আবার স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়।

অব্যাহতি, আবার পুনর্বহাল এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় পার্টিতে গ্রুপিং স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অতীতে গোপন থাকলেও এখন অনেকটাই ওপেন সিক্রেট।

এ বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন দলকে সংগঠিত করে এগিয়ে নেওয়াই আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমি আশা করি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আমাদের দলে যে গ্রুপিং রয়েছে এটার শেকড় খুব গভীরে নয়। ক্ষমতা হাতে এলে গ্রুপিং এমনিতেই থেমে যাবে।’

দায়িত্ব পাওয়ার পর দলকে সংগঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন জিএম কাদের, এমন অভিযোগের কারণে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তো পুরোপুরি দায়িত্বই পেলাম না, তাহলে ব্যর্থ হলাম কি করে। উনি (এরশাদ) দেশের বাইরে থাকলে আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সে হিসেবে মাত্র অল্প কয়েকদিন দায়িত্বে ছিলাম।’

উপজেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সময় পার্টির চেয়ারম্যানের অনুমতি না নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, ‘নির্বাচন এলে পার্টি অংশ নেবে এটাই রেওয়াজ। এখানে অংশ গ্রহণের জন্য পার্টির কোনো ফোরামে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে হ্যাঁ পার্টি যদি নির্বাচন বর্জন করতে চায়, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।’

ওই দু’টি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ব্যর্থ হয়েছে, এ কথা মানতে নারাজ জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের তিনজন চেয়ারম্যান এবং বেশ কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানে বিগত উপজেলা পরিষদে মাত্র দু’জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত নির্বাচনের সময়ে জাতীয় পার্টির বিরোধীদলে ও সরকারের অংশীদার ছিল। প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে বলতে হবে আমরা ভাল ফল করেছি।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের ইউনিটগুলো যথাযথভাবে কাজ করেনি। কিছু কিছু নেতা প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। যে কারণে সমানভাবে প্রচারণা চালানো যায়নি। তারপরও আমাদের প্রার্থী অনেক ভাল ভোট পেয়েছে। বিজয়ী হতে না পারলেও আমাদের সংগঠন চাঙা হয়েছে।’

সাংগঠনিক ক্ষমতা হাতে এলে সব কোন্দল বন্ধ হয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন জিএম কাদের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর